সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১১

চন্দ্রকাথার কাব্য

চন্দ্রকাথার কাব্য সব লিখে গিয়েছেন যত মনীষী জন
চাঁদের হাজার রূপের তাতে হয়েছে কি সব বর্ণন?

প্রতি জ্যোৎস্না রাতে সে যেন আসে নব নব সাজে
প্রতি চন্দ্রবেলায় হ্রদয়ে তাই তো নতুন সুর বাজে।

মধ্যরাতের হেসে ওঠা চাঁদের বন্যায়
আঁখি হতে নিদ সব কেড়ে নিয়ে যায়
জ্যোৎস্নার ঢল ভাসায় ধরাচল
তারে দেখিবার তরে আঁখি চঞ্চল।

হ্রদয় বীণায় নব ঝংকারে নতুন নতুন সুর সব বাজে
হারাই হারাই আমি ওই বহুরূপী জ্যোৎস্নারও মাঝে।

প্রতি চন্দ্রবেলায় আঁকি, রূপ যত তার
রঙ সে কি ধরা যায় ওই জ্যোৎস্নার
তুলিতে শুকায় রঙ শুধু ভাবনায়
আঁচর পড়ে না শুধু ক্যানভাসের গায়।

নারকেল পাতার ফাঁক গলে চুয়ে পড়ে জ্যোৎস্না
একটুখানি গা ভেজাবার মনে বড় বাসনা
বালিয়ারি ঢেকে দেয় খোলা সাগর তীরে
জোয়ার এসে আছরে পড়ে ধুয়ে নেয় স্রোতের ভিরে।

জানালার ফাঁক গলে আলো চুমে যায়
ঘুম ভাঙে মাঝরাতে চাঁদের বন্যায়
ছুটে যাই আহ্বানে ঘর থেকে বার
সারা গাঁয়ে মেখে নিতে আলোটুকু তার।

কত আশা বাসা বাঁধে মনে ভাবনায়
একটি বার যদি ওই, জ্যোৎস্না ধরা যায়
অপার্থিব রূপের আঁধার আর আছে কার
আলো যত রূপ ধরে ওই জ্যোৎস্নার।

চাঁদ যদি ঢেকে যায় মেঘেরও ছায়ায়
সুর তোলে বীণার তার, বোবা কান্নায়
পাওয়া আর না পাওয়ার বেদনা যত
চন্দ্রগীতি লেখা হবে হ্রদয়ে তত।

প্রেমিকের ভালোবাসা বাঁচে থাকে যত
জ্যোৎস্নার হাসিতে দেখে হারায় হ্রদয় তত
চন্দ্রকাব্য লেখা হবে তার কলমে অপূর্ণ সব আশায়
প্রতি চন্দ্রবেলায়, হায় প্রতি চন্দ্রবেলায়।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন