কালের ঘুণপোকা সব বাসা বেধে চলেছে
নিউরণ কোষের ভাজে ভাজে
কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে যেন আমার
বেঁচে থাকা স্মৃতির অবশিস্ট ওই টুকরোগুলোকে।
আজকাল কোন কিছুতেই যেন
মন বসাতে পারি না
আসলে আমার কোন কিছুই
আর এখন মনে থাকে না।
সামনে মানুষের ভির লেগে থাকে
কত কি যে কথা বলে যায়
একে অপরের সাথে
মাঝে মাঝে হয়তো আমারো সাথে।
সব কথা বুঝি না, আসলে মন দিয়ে শোনা হয়না
সব কিছু কেমন জানি ভাসা ভাসা লাগে
হঠাৎ হঠাৎ চমকে উঠতে হয়
সামনে বসে থাকা মানুষগুলোর প্রশ্নবানের মাঝে।
কি নিয়ে কথা বলছে, কি জিজ্ঞাসা করে
কিছুই মাথায় ঢোকে না; ফ্যালফ্যাল চেয়ে থাকা
আর মাথা নেড়ে যাওয়া কথার পিঠে পিঠে
যেন সব বুঝে গেছি তাদের ওই কথা মালা ভিরে।
আসলে হয়তো তখন ভেসে বেড়াচ্ছি আমি
নীল সাগরের তীরে কিংবা পাহাড় চূড়ার পরে
মনে মনে, মেঘের ডানায় ভর করে
স্বপ্লেরও ঘোরে, স্বপ্লেরও ঘোরে।
মাঝে মাঝে মুঠোফোন খানির
টিং টিং শব্দ বেজে ওঠে
অলস দুপুরে কিংবা ক্লান্ত বিকেল বেলায়
পাখীগুলোর বাড়ি ফেরার কালে ভর সন্ধ্যায়।
মাঝে মাঝে গভীর রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে দিয়ে
টিং টিং করে কানের কাছে বেজে ওঠে
অলস হাত বাড়াই, চুপচাপ শুনে যাই
ওপাড়ের কথাগুলি কিংবা কারো অভিমানের ফুলঝুড়ি।
মাথার ভেতর কেমন যেন ওলোট পালোট ভাব ওঠে
কিছু কথা বুঝি, কিছু যেন নতুন নতুন লাগে;
মনে করতে পারি না সব কথা
কেমন জানি অসহায় লাগে।
কথা হারিয়ে ফেলি কথার মাঝে মাঝে
নতুন কথা, পুরানো কথা মিলে মিশে
জট বেধে থাকে মস্তিস্কের ভাজে ভাজে
মনে পড়ে না ওবেলায় শোনা কথাগুলি এবেলার কালে।
হাঠাৎ হঠাৎ এক একটি নাম ভেসে ওঠে
কোন এক স্মৃতির কুয়োপাড় হয়ে, মনের মাঝে
কিছুতেই মনে করতে পারি না তার মুখছবিখানি
মনের কোনায় খুজি আতিপাতি হয়ে।
হঠাৎ করেই কোন এক চেহারা ভেসে ওঠে
মনের আয়নায় কিছু রঙ হয়ে ফোঁটে
কিছুতেই মনে করতে পারি না সে নাম অবশেষে
স্মৃতির তলদেশ খুঁজি আঁতিপাঁতি হয়ে।
আসলে আমি হয়তো আর আমাতে নেই
হারিয়ে গিয়েছি কোন এক অচিনের দেশে
যেখানে স্মৃতিগুলো হারিয়ে যায়
চিরতরে মুখ লুকোয় গিয়ে নিউরণ কোষে।
কি যে এক অপেক্ষায় পথ চেয়ে থাকি
আর প্রতিক্ষার প্রহর গুনি মনে মনে
তীব্র এক বাসনা অনুভব করি মনের কোনে
চলে যাব সহসাই আমি, ওই না ফেরার দেশে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন