শুক্রবার, ৩০ মার্চ, ২০১২

চৈত্রের দিবস-রজনী

আজ সকালে সূর্যোদয় দেখেছি
ভোরের পাখিদের ডানামেলা গুনতে গুনতে
হাজার পাখিদের ভিরে তোমার মেলে দেয়া পাখা খুঁজতে খুঁজতে
ঠিক কালকের সকালের মত
জানালার কার্ণিশে মাথা রেখে।
চৈত্রের সকালগুলো এত দেরি করে আসে কেন
তোমাকে ছাড়া, বলতে পার?

আজ দুপুরে রোদে পুড়েছি
হেঁটে যেতে যেতে গরমে ঝুঝতে ঝুঝতে
হাজার মানুষের ভিরে তোমার মুখটি খুঁজতে খুঁজতে
ঠিক কালকের দুপুরের মত
পিচঢালা রাস্তায় পা রেখে।
চৈত্রের দুপুরগুলো এত উদাস হয় কেন
তোমাকে ছাড়া, বলতে পার?

আজ বিকেলে সূর্যাস্ত দেখেছি
অনেক্ষণ ধরে তোমার কথা শুনতে শুনতে
অনেক কথামালার ভিরে তোমার না বলা কথাগুলো বুঝতে বুঝতে
ঠিক কালকের বিকেলের মত
তোমার কাধে মাথা রেখে।
চৈত্রের বিকেলগুলো এত বিষন্ন হয় কেন
তোমাকে ছাড়া, বলতে পার?

আজ সন্ধ্যায় ঘুমিয়ে পড়েছি
চৈত্রের বাতাসের হাহাকার ধ্বণি শুনতে শুনতে
স্বপ্নালু চোখে তোমার কথা ভাবতে ভাবতে
ঠিক কালকের সন্ধ্যার মত।
ইজি চেয়ারের হাতলে মাথা রেখে
চৈত্রের সন্ধ্যাগুলো কাটে না কেন
তোমাকে ছাড়া, বলতে পার?

আজকের রাতে আমি জেগে রয়েছি
একটি দুটি করে তারা গুনতে গুনতে
কিংবা তারাদের ভিরে তোমার মুখচ্ছবি খুঁজতে খুঁজতে
ঠিক কালকের রাতের মত
টেরেসে বিছানো মাদুরে মাথা রেখে।
চৈত্রের রাতগুলো এত দীর্ঘ হয় কেন
তোমাকে ছাড়া, বলতে পার?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন