মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর, ২০১১

ডাক

কচ্ছপের পায়ে ভর দিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে সে যে
নিঃশব্দ পায়ে পায়ে, তার পদধ্বনি শুনি
হিম নিঃশ্বাস এর হালকা পরশ পাচ্ছি একটু একটূ করে
ঠান্ডা হয়ে আসা গায়ে, তাই মৃত্যুর প্রহর গুনি।

একটু একটু করে যাত্রা অন্য ভূবনের পানে
ভালো লাগে না আর ধীর পায়ে এগিয়ে চলা
ঢিমা তালে ধীর লয়ে গুনগুনানো মত্যুর গানে গানে
বড্ড ক্লান্তিকর লাগে আজ সুদূর এই পথ চলা।

আলোছায়া খেলা করে আজ জ্যোৎস্না ঢালা রাতে
মেঘের সাথে লুকোচুরি যেন চাঁদের
হাওরে বাতাস বয় গা হিম করা হো হো শব্দে
ওপারের অলুক্ষুনে ডাক পরে আজ তাদের।

কস্টগুলো দানা বেধে আছে ওই দূর আকাশের গাঁয়ে
কখন জানি ঝরে পড়বে বৃস্টিফোটায় ভর করে
ধুয়ে মুছে নিয়ে চলে যাবে গ্লানিগুলি সব
পড়ে ছিল সকলই যা হ্রদয়ের ধার ধরে।

তিল তিল করে এগিয়ে চলা ওই অচেনা ভূবনের পানে
ইচ্ছে করে না চলতে এ পথ হাঁটি হাঁটি পায়ে
এসো হে মরন আলিঙ্গন করি তোমায় একবারে মন প্রানে
মৃত্যুর ঠিকানা লেখা হোক আজ কবরের গায়ে গায়ে।

চোখের ওপরে কালো ছায়া ফেলে আজ শকুনেরা উড়ে চলে
শব হতে তাই মৃত আত্মারা উড়ে যেতে চায় আকাশেতে ডানা মেলে
ওপারের ডাক যেন শুনতে যে পাই একটু একটু করে
কবর যে আজ ডেকেছে আমায়, চলে যেতে হবে দূরে, বহু দূরে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন