শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০১১

তুমি, তুমি আর তুমি

নিঃস্তব্ধতা খেলা করে কোলাহল মুখরিত ব্যস্ত নগরীর ভাজে ভাজে
কোথায় যেন ডাকাতিয়া সুরের করুন আর্তনাত কেঁদে ফেরে
আছরে পড়া কাঁচের ঝনঝন শব্দে ভেংগেচুরে তচনচ করে নিতে
মনের গভীরে বাসা বেঁধে থাকা ওই নিঃস্বংগতা ভেঙ্গে দিতে।

নিঃস্বংগতা রয়ে যায় হাজার মানুষের ভিরের মাঝে মাঝে
কে যেন হাত বাড়িয়ে ডাকে আয় আয় রবে অচিন কোন ভূবন থেকে
ভালোবাসায় ভাসিয়ে দিয়ে চায় যেন মনের ভেতরেতে গেড়ে বসে
হ্রদয়ের গভীর হতে টেনে হিচরে নিঃস্বংগতাগুলি বের করে নিয়ে এসে।

শুন্যতার হাহাকার কথা কয় এক জীবনের সকল পাওয়ার মাঝে থেকে
না দেখা সব স্বপ্নগুলো তবু জেগে রয় নিদ্রাহীন আঁখির পলকে
হাতছানি দিয়ে ডেকে নিয়ে যেতে চায় কে যেন আমায় নিজের করে নিতে
না পাওয়া সব বেদনাগুলির মাঝে বসবাসরত সব শুন্যতাগুলি ভরে দিতে।

একাকীত্ব বয়ে চলে শত নদীর টন টন পানির স্রোতের টানে টানে
না বলা কথামালাগুলো মনে গেথে রয় ফুলোমালা গাঁথা হলো না বলে
সুঁই এ সুতো ভরা হলে ফুলের সন্ধানে কোন পথ পানে ছুটে চলে আনমনে
আমার একাকীত্বের কবর দেয়া হবে বলে ফুলগুলো সব গাছ হতে পেড়ে আনে।





শিরিষ কাগজে ঘসা স্কাল্পচারের মূর্তি খানি দেখি
অনভ্যাস্ত হাত বুলিয়ে চলি ভাস্কর্যের গায়ে
কোন এক বোদ্ধা খোঁজে কিংবা আমি খুঁজে বেড়াই
তোমার স্পর্শ ওই ভাস্কর্যের মূর্তির গায়।

রাতের কোলাহলে ব্যস্ত রাস্তায় কোন পথে হেঁটে চলি
আলো দিতে থাকে মাঝ রাতের সোডিয়াম লাইটগুলি আমার গায়
হলুদ আলোগুলি খুঁজে ফেরে তোমাকে কিংবা আমার আঁখিদুটি
হারিয়ে যাওয়া তোমাকে যদি পাই তাই হেঁটে যাই ক্লান্ত পায়।

অন্ধকারের তারার ভিরে জ্বলে ওঠে চাঁদ আকাশে আলো দিতে
খুঁজে পেতে তোমাকে ওই অন্ধকারের ঘুটঘুটে পথে
অন্ধকারের তারা খোঁজে কিংবা জোনাকি আলো জ্বেলে
তোমার রূপের আলোর দিশা গভীর অন্ধকারের ভিরে।

একটু একটু করে যেব অবয়ব হয়ে ধরা পড় তুমি
ছায়া ছায়া হিম কুয়াশার ওপার তীরে
তোমারই ছায়া যেন খুঁজে ফিরি আমি
আলোর দিশা রূপে আজো অন্ধকারের ভিরে।

স্বপ্নের মাঝে তুমি আছ আছ তুমি আমারই কল্পনায়
হাত বাড়িয়ে আলো আধারে খুঁজি তোমায় তায়
রেখেছিলে আমায় তুমি কতনা ভালোবাসায় মুড়ে
তাইতো আছ তুমি আজো আমার সাড়া অস্তিত্ব জুড়ে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন