সোমবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১২

খেয়ালী কথা


খেয়ালী মনে কিছু খেয়ালী কথা ভাসে
খেয়ালী কিছু স্বপ্ন খেলা করে খেয়ালী ভাবনার মাঝে এসে
খেয়ালী শব্দগুলো দিয়ে খেয়ালী কলমের আঁকিবুঁকি একে যাই
খেয়ালী কিছু কবিতা লিখতে ইচ্ছে করে
খেয়ালী খেলার ছলে
খেয়ালী কবিতা কথা বলে।

বিষণ্ণ রাত জাগে তারি সাথে জাগে বিষণ্ণময়ী চাঁদ
বিষণ্ণ জ্যোৎস্না খেলা করে বিষণ্ণ রাতের পরে
বিষণ্ণ কুয়াশা নামে শীতের বিষণ্ণ রাতে ঘন করে
বিষণ্ণ কিছু হরিণী ডাকে বিষণ্ণ নদী তীরে
বিষণ্ণ রাতে বিষণ্ণ পাখি ফেরে নীরে
বিষণ্ণতায় ঘিরে থাকে চারিদিক
বিষণ্ণময়ী কবিতার ভীরে।

ভালোবাসার দেয়াল তুলে রেখেছ তুমি ভালোবাসায় ঘিরে
বিষণ্ণ অমানিশা ছেয়ে রয় তাই চারিদিক নীল নক্ষত্র জুরে
অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় আজ প্রতিক্ষার চকিত ভোরে
মনের বিষণ্ণ ভাবনাগুলি উড়িয়ে দিতে হবে সাইক্লোন ঝড়ে
অরুদ্ধ সকাল আসে বাকরুদ্ধ করে তোমার প্রতিক্ষার পরে

মেঘ-রুদ্র আকাশে খেলা করে কালো মেঘের ভেলা
মেঘ থমথম হয়ে আছে আজ বিষণ্ণ বিকেল বেলা
কালবৈশাখি পরিণত হয় তীব্র সাইক্লোন ঝড়ে
উড়িয়ে নিয়ে ফেলে যে আমায় তোমার বুকের পরে
বিষণ্ণময়ী বিকেল গড়িয়ে আনন্দময়ী সন্ধ্যে নামে
খেয়ালীমনের স্বপ্নগুলো কি যে সব ছবি আঁকে মনে
চকিতে ফিরে চাই ধাক্কা খেয়ে বাস্তবতার টানে
ঘুম ঘুম চোখে জেগে উঠে তাকাই নিষ্ঠুর পৃথীবির পানে
কেও কারো নয় হেথা, বাস্তবতার বোধ জাগে আজ মনে।

কিছু শব্দ, কিছু কথা, কিছু বোধ জেগে রয় মনে
স্বপ্নের জ্যোৎস্নায় কথামালা গাঁথি আজ শব্দনীড়ের বনে
কলমের আঁচরেতে ভালোবাসার কথাগুলো লেখা হয়ে ফোটে না
প্রেমহীন লেখাগুলো তাইতো কভু কবিতা হয়ে ওঠে না
মেঘ-রুদ্রের করুণা ছাড়া আকাশেতে মেঘ রবে না
কল্যানময়ীর স্পর্শ ছাড়া প্রেমেতে সফলতা হবে না।

শব্দের জালবুনি কথার মালায়, তবু প্রেম যে দিয়েছে ধোঁকা
হলোনাকো প্রেম হলোনা কবিতা, হলো না তোমার ছবি আঁকা
হাত বাড়িয়ে খুঁজছি তোমায় তুমি হীনা লাগে একা
তোমার তরেতেই আজো পড়ে আছি আমি, নির্বাসনে একা।


ঘৃণার প্রদীপ


প্রদীপ যতই বিলিয়ে যাক আলো
তার ঠিক নীচেই থাকে অন্ধকারের কালো
নিজে জ্বলে পুরে হয় ছাড়খার
নিজেরে বিলিয়ে করে আলোকিত চারিধার
রাত্রির বুক চিরে হঠায় আঁধার
তবু ঠিক তার নীচেই রয়ে যায়; অপার অন্ধকার।

তীব্র ঘৃণা মনের ভেতর যতটুকু সয়
তারই অপর পিঠে একটুখানি ভালোবাসা জেগে রয়
অভিমান থেকে অনুরাগ, তারই থেকে ঘৃণা
মনের মাঝে বয়ে চলে রাগের সুর বীণা
যতই সরিয়ে দিতে চায় মন থেকে তারে
ভালোবাসা উঁকি মারে তবুও হৃদয়ে বারে বারে
ভালোবাসার মালা পড়েছে যে গলে একবারে
ঘৃণার সাধ্য কি আছে ভুলে যেতে তারে।

আলোকিত প্রদীপের ঠিক নিচেই
অন্ধকারের চির বসবাস
ঘৃণার অপর পাতায় তেমনি করেই
একটুখানি ভালোবাসার রয়ে যায় বাস।

প্রদীপও যে ভুল করে সরাতে অন্ধকার
আর বোকা মানুষগুলোতো কোন ছাড়
ভুল করে ভালোবেসে একবার
কিংবা ভুল পথে বার বার
ভুল করে ভালোবাসার বিষ যে করেছে পান
ঘৃণার আগুনে জ্বলেছে সে যে রাত্রি দিনমান
ঘৃণার মাঝেই বসবাস আর যাপিত জীবন তার
তবু মরন কি হয় কভু ভালোবাসার!!


সোমবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১২

চোখ

দুটি চোখ
সাগরের গভীরতা নিয়ে চেয়ে থাকে
ডুবিয়ে নিয়ে যেতে অতল গহ্বরে
আমায় সে যে।

কিছু কথা বলে সে যে
মুখে চুপ হয়ে থেকে
কিছু গান গায় যে সে
চোখে চোখে চেয়ে চেয়ে।

কিছু ভাষা বলে যায়
না বলা ভাষায়
কিছু কবিতা একে যায়
হ্রদয় কাঁদায়।

কিছু কান্না জমে থাকে
বারি হয়ে ঝরে না যে
কিছু সুর সাজে হেথায়
হ্রদয় বীনার মাঝে।

মুখ ফুটে বলে না সে
তবু সব বলে যায়
ভাষা ভাষা চোখে চেয়ে
বলে ইশারায়।

আমি তারে চেয়ে দেখি
বুঝিতে যে চাই
না বলা কথার মালায়
নিজেকে হারাই।

শনিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১২

ভালোবাসার আদি কথন

কার, কখন কিভাবে যে ভালোবাসার শুরু হয়
কে বলতে পারে
হঠাৎ করেই এক নজরের দেখা
একটু চোখাচোখি আড়ে আড়ে
হয়তো বন্ধুত্বের নিবির সম্পর্কের মধ্যে থেকেই
মাঝে মাঝে ভালোবাসার বীজবপন
এক এক জনের জন্য একেক ভাবে হয় শুরু
তারপর থেকেই সেই আদি কথন।

মনে বড় জ্বালা তারে ছাড়া
মুখভাসে চারিদিকে যেদিক পানে তাকায় সে যে
চারিদিকে মায়া খেলা করে
তারে সামনে দেখলে জ্বলে আলো
না দেখলে অন্ধকার
জীবনটা বড় মধুর মনে হয় থাকলে সে পাশে
না থাকলেই হয় আঁধার।

মনের মাঝে কেমন যেন এক বোধ কাজ করে
অচেনা অনুভুতিগুলি মনের ভেতর জেগে রয় সারে সারে
মন বড় উচাটন হয় সেই সব দিনগুলোতে
খাদ্যে অরুচি, নিদ্রা দেয় ফাঁকি
ভালো লাগা আর না লাগার মাঝে বসবাস
সারাক্ষণ মুঠোফোনে চেয়ে থাকা বারবার
যদি আসে কোন সন্দেসা তার।

মাঝে মধ্যে একটুকু দেখা হয়
ভালোলাগার আবেশ জড়িয়ে রয়
কোথাও বসে বাদামের খোসা ছাড়ানো
কফি হাউসে কিছু সময় কাটানো
একটুকু হাতে হাত রাখা
চোখে চোখে বলে যায় সব ভালোবাসার কথা
একটুকু স্পর্শ পেতে মন বড় চায়
মুহূর্তের মাঝে সময়গুলো কেটে যায়।

তারপর অপেক্ষার প্রহর
আবার দেখা হবার, কাটে দুজনার
দিন কাটে না, রাতগুলো বড় দীর্ঘ
নক্ষত্র রাশি রাশি আকাশে জেগে রয়
মনে মনে নক্ষত্রের সাথে কথা কয়
জ্যোৎস্না হয় ম্লান বিরহের কালে
সময় ঘড়ির কাঁটা ঝুলতে থাকে ডালে
কবিতারা ডানা মেলে মনের আকাশে
বিরহ গানের সুর জেগে রয় বাতাসে বাতাসে
রবীন্দ্রনাথকে বড় আপন মনে হয়
বিরহ গানগুলোতে মোবাইল ভরে রয়।

তারপর একসময় বাস্তবতার মুখোমুখি
পাড়ি দিতে হয় ঝড় ঝঞ্জার সিড়ি
হয় দিতে হয় প্রেমের জলাঞ্জলি
কিংবা ঠাই হয় শেষে বিয়ের পিড়ি।

বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১২

স্পর্শ

হাতে হাত রেখে বসে থাকা চুপচাপ
একে অপরের দিকে অপলক চেয়ে চেয়ে
সময় ঘড়ি টিক টিক কথা কয়
সেকেন্ডের কাঁটা মিনিট ঘুরে রয়
ঘন্টা কাটে হাতে হাত রেখে
অপলক চেয়ে চেয়ে
তবুও যেন মনে হয়ে কখনো আমায় স্পর্শ করে নি সে যে।

অধর ওষ্ঠের সাথে মিলে রয় একসাথে
চোখে চোখ রেখে, দুজনে দুজন দেখে;
ঘন্টাগুলো কাটে মুহূর্তের ফাঁকে
সময় কোথা দিয়ে চলে যায় নিমিষের মাঝে
যেন ঝড় বয়ে চলে চারিদিকে চারিদিকে
ঠোঁটে ঠোঁট একসাথে
তবুও যেন মনে হয় কখনো আমি স্পর্শ করিনি তাকে।

হৃদয় মিলে রয় হৃদয়ের সাথে
একসাথে মিলে মিশে
মুখে কোন কথা না বলে
শুধু দুজনে দুজন জড়িয়ে ধরে রেখে
টিক টিক টিক টিক সময় বয়ে চলে
মুখ ফুটে বলতে হয় নি মনের কথাগুলো
বলা হয়েছে যত কথা হৃদয়ে হৃদয়ে
তবুও যেন মনে হয়ে আজো পারিনি স্পর্শ করতে তার হৃদয়।

মঙ্গলবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১২

বন্ধুত্বের বলিদান

বন্য ভালোবাসায় ভেসেছিলে তুমি হঠাৎ করেই
চলে এসেছিল তোমার মনে ভালোবাসার কথা
হঠাৎ করেই তীব্র রূপ ধারণ করেছিল ক্ষনিকের তরে
হ্রদয়ে হয়তো দাগ কাটে নি হয়তো তোমার, তেমন করে
কিংবা হৃদয়ের গভীরে বাসা বাঁধে নি আঁচর কেটে
তবু ভাসিয়ে নিতে চেয়েছিলে আমায় তোমার মতন করে
বন্য ভালোবাসার বন্যায় হঠাৎ করে।

সাড়া দিয়েছিলেম আমি ধির লয়ে ধিরে ধিরে
সময় নিয়েছিলেম অল্প অল্প করে উপেক্ষার আদলে
তোমার বন্য ভালোবাসাটুকু দাঁত বসিয়েদিয়েছিল হ্রদয়ে ধিরে ধিরে
হৃদয় থেকে দাগ বসে গিয়েছিল মস্তিস্কের কোষে কোষে
বন্য ভালোবাসার খেসরত দিয়ে যাচ্ছি এখন প্রতিদিন একটু একটু করে
পুড়ছে হ্রদয় প্রতিদিন রক্ত ঝরাতে, আজ তোমায় হারিয়ে
বন্ধুত্বের বলিদান দিয়েছিলেম যে ভালোবাসার ডাকে সাড়া দিয়ে।

সোমবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১২

মনে পড়ে

বড্ড দেখতে ইচ্ছে করে
ওই ফোলা ফোলা গাল দুটো
যেথা অনুরাগের ছায়া পড়ে
মনের কোনো গহীন কোনে
ভালোলাগা জেগে ওঠে
তোমার চোখেরও পরে
ভালোবাসা ভেসে ওঠে
মনে পড়ে, মনে পড়ে।

বড্ড দেখতে ইচ্ছে করে
লালচে হয়ে আসা নাকের ছবিখানা
মনের আয়নায় ভেসে চলে
রাগে লাল হয়ে যাওয়া বোঁচা নাকখানি
ঝগড়া করার মুহূর্তের তোমার চেহারাখানা
ভালোবাসা আর রাগের মেলানো মেশানো
তোমার অনুভুতিগুলোর কথা
মনে পড়ে, আজ মনে পড়ে।

বড্ড দেখতে ইচ্ছে করে
অভিমানে বাঁকানো ঠোঁটের ভাজ পরে আছে
টেবিলের ওপরে চুপিসারে
হাতে হাত রেখে ঠোঁট ভাজ করে
চুপ করে বসে থাকা অভিমান ভরে
তোমার ঐ চোখ দিয়ে রাগের
বা অনুরাগের আগুন ঝড়ে
মনে পড়ে, আজ মনে পড়ে।

বড্ড দেখতে ইচ্ছে করে
তোমার বেদনা ভরা বড় বড় চোখ দুটো
যখন ভিজে ওঠে নোনা জলে
মুক্তোদানা পাপড়িতে ভেসে রয়
পড়েনা গড়িয়ে আমার বাড়ানো হাতেরও পড়ে
অন্যদিকে তাকিয়ে অস্রু সংবরণের চেষ্টা
চুপিচুপি মুখলুকিয়ে আমার চোখকে ফাঁকি দিয়ে
মনে পড়ে আজ, মনে পড়ে।

বড্ড দেখতে ইচ্ছে করে তোমায়
বড্ড মনে পড়ে সেই দিনগুলোর কথা
রাগ করে তোমার কিছু বকাঝাকা
আঁখি পল্লব পড়ে দুষ্টুমির ঝিলিক
অভিমান ভরে অনুরাগের কথপোকথন
আর আমায় নিয়ে তোমার হাজার দুশ্চিন্তার ভারে
নুইয়ে পড়া তোমার চিবুকখানি
মনে পড়ে আজ, মনে পড়ে।

হাতে হাত রেখে বসে থাকা
চোখে চোখ চেয়ে না বলা সব কথা
একে একে বকে যেতে মনে মনে ভালোবাসার কথা
সেই সব দিনগুলোর কথা বারে বারে মনে পড়ে
আর তারই সাথে সাথে তোমারই মুখচ্ছবি ভেসে ওঠে
আজ মনেরও মাঝে হৃদয়েরও ভাঁজে ভাঁজে
আজ তোমাকে বড্ড দেখতে ইচ্ছে করে
মনে পড়ে আজ, তোমাকে বড্ড মনে পড়ে।

রবিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১২

শরীর আর মন

শরীর ছুঁতে চাই নি কখনো তোমার
চাই নি আব্রু খুলে দেখতে তোমারি
শরীরের রঙ চেনা আছে আমার
সাদা, কালো কিংবা বাদামি
রঙ এর তারতম্য হতেই পারে তাতে
হয়তো একটু হালকা বা ভারি।

মন ছুঁতে চেয়েছিলেম তোমার
হৃদয় খুলে দেখতে তোমারি
মনের রঙ পড়তে চেয়েছিলেম শুধু
হৃদয় খেলায় আমি যে বড় আনাড়ি
মনের রঙ দেখতে গিয়ে বড্ড ভুল করেছিলেম
আসলে ভুল হয়ে গিয়েছিল আমারই।

খুলে খুলে পড়েছিলে তুমি আমায় একটু একটু করে
মাথা থেকে পা পর্যন্ত বে আব্রু করে
বিভাজন করেছিলে প্রতিটি কোষের
নিজের মতন করে
খুব সন্তর্পণে হৃদয়টাকে আলাদা করে রেখেছিলে,
দাওনি তাকে বিভাজিত হতে।
হয়তোবা ভয় হয়েছিল তোমার খুলে দেখতে আমার হৃদয়টাকে
যদি নাম লেখা থাকে সেথা তোমারই, প্রতিটা কোষের ফাঁকে?

শরীরে শরীর কথা কয়
সে যে আসলে মনের কথা নয়
ক্ষণিকের শারীরিক সুখের আবেশ, সময়ে পরে যায় যে ঘুচে।
কিছু অধিকার জন্মায় নিজে থেকে, শরীরে শরীর মিশে
ভালোবাসার মনের ঘরে তারই স্থায়ী দাগ কি পড়ে এসে?
চাই নি কখনো যা মনের কোনো কোণা থেকে
চেয়েছিলেম থাকতে তোমার হৃদয়ে মিলে মিশে
জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত, তোমার সাথে হেসে হেসে।

আমি কিন্তু ঠিকই সেদিন পড়ে নিয়েছিলেম তোমার মনটাকে
তোমার অজান্তে একটু একটু করে
করেছিলেম বিভাজন তোমার হৃদয়টাকে
আমার নিজেরই হাতে, ভালোবাসার ছুড়ি হাতে।
জানা হয়ে গিয়েছিল সেদিনই আমার তোমার মনটাকে
চিনে নিয়েছিলেম প্রতিটি রঙ,
বের হয়ে এসেছিল যা কাটতে গিয়ে
লাল, নীল রঙ এর ভালোবাসাগুলো, ফাঁক গলে তোমার হৃদয় হতে।

আমার বড্ড ভয় হচ্ছিল সেদিন তোমাকে কাটতে গিয়ে
ছুড়ি হাতে নিয়ে বসেছিলেম দ্বিধা দন্দে মিশেমিশে
যদি আর কারো নাম পাই সেথা তোমার হৃদয়ের কোষে কোষে
সইতে পারব কি আমি, তোমায় এতটা ভালোবেসে?

আমার শরীরটা থাক তোমারই চিরকাল, ব্যবহারের পর বাতিল যা হয়ে গেছে
ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলে যাকে ডাস্টবিনের এক কোনে, টেনে ছিড়ে খাক কিছু রাস্তার কুকুরেতে
তোমার হৃদয়টা তো আমারই রয়ে গেছে, আমার হৃদয়ে মিলে মিশে
কখনো নিজেই বুঝতে পারো নি, ঢিলে দিয়ে ফেলে দিয়েছিলে যা আমার মনের পুকুরেতে।

বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১২

তোর জন্য তোকে ছাড়া

একলা লাগে বড্ড বেশি তোর জন্য তোকে ছাড়া
কেমন জানি দিন কাটে যে পাগল পাগল ছন্নছাড়া
তোকে ছাড়া রাত্রি বেলা রাত নামে না, রাত কাটে না
উঠাস না তুই সকাল বেলা, তোরে ছাড়া ঘুম ভাঙ্গে না।

তোরে ছাড়া চৈত্র রাতে আকাশেতে চাঁদ ওঠে না
তুই না এলে বৈশাখেতে মেঘ ডাকে না ঝড় আসে না
মেঘ গুড় গুড় আকাশ কালো, মেঘে মেঘে বজ্র ঘসে
বৃষ্টি নামে না তোকে ছাড়া, মেঘের কোলে কান্না ভাসে।

একাদশী চাঁদের রাতে জ্যোৎস্না লুকায় মেঘের কোলে
অভিমানে চাঁদ যে লুকোয়, রাতের বেলায় তুই না এলে
তুই থাকলে আকাশেতে পূর্ণিমারই চাঁদ যে হাসে
আলো ছড়ায় রাতের বেলায়, মেঘ সরে যায় অবশেষে।

সূর্যোদয়ের সকাল বেলায় রবি এসে মুখ চুমে যায়
লাল টুকটুক ডিমের কুসুম সূর্যাস্তের বিকেল বেলায়
সারাটা দিন তোরই আশে, মেঘ তারিয়ে আলো আসে
পাশে যদি থাকিস রে তুই, সারাটা দিন সূর্য হাসে।

থাকিস যদি মুখ লুকিয়ে মন খারাপের বাদলা দিনে
কাদা মাখি একলা গায়ে পারবি কি তুই নিতে চিনে
সারাটা দিন মেঘলা আকাশ, কান্না ঝরায় বৃষ্টি এসে
হাত বাড়িয়ে তোকে না পাই, তুই যদি না থাকিস পাশে।

সকাল দুপুর সন্ধ্যাবেলায়, রাতের বেলা তারার মেলায়
সেকেন্ড, মিনিট ঘন্টা গুনি, হাত ঘড়িরই সময় কাঁটায়
তোরে খুঁজি তোকেই বুঝি ছিলি যে তুই চোখের তারায়
থাকিস পাশে, কিংবা দূরে; তোরই মাঝে হৃদয় হারায়।

তোকে ছাড়া ছন্নছাড়া দিন কাটে না রাত কাটে না
তুই থাকলে মনের ভেতর শুন্যতার ওই ভাব জাগে না
কেমন জানি সময় কাটে পাগল পাগল ছন্নছাড়া
একলা লাগে বড্ড বেশি তোর জন্য তোকে ছাড়া।

অদ্ভুত জীবন

যত রাগ তত অভিমান
মনের মাঝে বয়ে চলে অবিরাম
রাগ আর অভিমানে পুঞ্জিভূত একটু একটু ঘৃণা
ভুলে থাকার কিছু প্রচেষ্টা, তোমাকে ছাড়া তুমি হীনা
কি অদ্ভুত আয়োজন প্রকৃতির, খেলারাম খেলে যার ধাঁধা
ভালো থাকবি তূই? রেখে দিলেম তোর পথে শত বাঁধা
ঘৃণার ঠিক উল্টোপাশেই বসবাস ভালোবাসার
কালকের আশাগুলির মনে বাসা বাঁধে আজকে নিরাশার
জীবন এত অদ্ভুত কেন?
হাসি আর কান্নায় মেলানো মেশানো।

বুধবার, ১১ এপ্রিল, ২০১২

ন মানুষ

আজ একটি ন মানুষ কথা বলি
আজ একটি পাকা অভিনেতার কথা বলি -

মনের কথাগুলো বোঝাতে পারে না তাকে
যখন যা মনে আসে
জিহ্বা আড়ষ্ট হয় বাঁধো বাঁধো ঠেকে
মুখে যদি কথা আসে
বড্ড উচাটন হয় মন তখনই
এদিক ওদিক তারে দেখে যখনই
বড্ড অস্থির লাগে মনের মাঝে ঘুমে কিংবা জাগরণে
যখন হৃদয় ভাঙ্গার আওয়াজ শোনে
অসহায় হয়ে পড়ে পারেনা বলতে দুটি সান্ত্বনার কথা
শুধু মুখ বুজে সয়ে যায় ব্যথা, আসলে সবই যে তার ছলনার কথা।

আজ একটি ন মানুষ কথা বলি
আজ একটি লম্পটের কথা বলি -

সুধাকর ছিল সে যে লূটেছিল সুধাবারী
প্রেমের ভানিতায় চলে স্বার্থের তরবারি
ভাঙ্গা দেহে ছিল তার কলুষিত ভাঙ্গা মন
ছলনার পরিহাসে লুটেছিল তারই মন
লাম্পট্য আর হিংস্র হায়েনার গর্জন
ধিক তারে বারে বারে, মানুষরূপী দুর্জন।

আজ একটি ন মানুষ কথা বলি
আজ একটি বোকা মানুষের কথা বলি -

কখনো মন যে তার হয়নি উদাস
পড়েনিকো জীবনে জীবনানন্দ দাস
তবুও বোকার হদ্দ সে যে আজে বাজে কথা লেখে
কলমের আঁচড়েতে স্বপ্নের কথা লেখে
তুলিতে লাগাতে পারে না রঙ, তবু সে যে ছবি আঁকে
হাবিজাবি কথাগুলোর স্থান হয় তাই আজ ডস্টবিনের ফাঁকে ফাঁকে।

কবি অক্ষয় কুমার কয় -
"কাব্য নয়, চিত্ত নয় প্রতিমূর্তি নয়
ধরণী চাহিছে শুধু - হৃদয়, - হৃদয়"

কবি অক্ষয় কুমার বড়ই ভুল কয়, আমার যা মনে লয় -
"এমন মানুষকে কভু ভালোবাসতে নয়
কবিতা নয় গান নয়, সে যে আসলে মানুষ নয়
ছিল যার একটা শুধু ভাঙ্গা হৃদয়
সে যে আসলে একটি ন মানুষ হয়।"

একটি কারণও নাই তাকে ভালোবাসার
একটিও কারণ ঘটে নাই তাকে মনে রাখার।

রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১২

তোমার থাকা আর না থাকা

সকাল হয় প্রতিদিনই এক নতুন আশার আলো নিয়ে
তুমি আসবে বলে
নিরাশার সূর্যাস্ত নেমে আসে আমার আকাশ কালো হয়ে
তুমি আসনা না বলে।

ঘর ভরা দরজা আমার তবু ঢোকার পথ পাই না
সবগুলো জানালা খুলে রাখি তবুও ঘরে আলো আসে না
তুমি ছাড়া, শুধু তুমি নেই বলে।

পূব-পশ্চিম উত্তর-দক্ষিণ, আকাশের সব সীমানায়
মেঘের ছায়া নেই কোথাও, তবু বিদ্যুৎ চমকায়
তুমি এলে, শুধু তুমি এলে।

সূর্যের সাথে হয় আলাপন মধ্য দুপুরে
চাঁদের সাথে কথপোকথন প্রতি জ্যোৎস্না রাতে
তোমাকে নিয়ে, শুধু তোমাকে নিয়ে।

জ্যৈষ্ঠের কাঠফাটা দুপুরে আগুন হলকায়
তারি মাঝেও কোথা থেকে আসা এক দমকা হাওয়া শরীর জূড়ায়
তোমার দেখা পেলে, শুধু তুমি চলে এলে।

সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আকাশের সাথে মেঘের কানাকানি
দুর্যোগ নেমে আসে পৃথিবী জুড়ে আর বজ্রের হানাহানি
তোমার দেখা না পেলে, শুধু তুমি চলে গেলে।

আশার আলো ভাসে মেঘের ভেলায় চড়ে
শুধু তুমি আসবে বলে
নিরাশার কান্না বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে
শুধু তুমি আসনা না বলে।

শুক্রবার, ৬ এপ্রিল, ২০১২

বিদায় পর্ব

সেই পরিচয়ের প্রথম দিন
চারদেয়ালের কাঠঘরের মাঝে পরিচয়
অনেক সেজেছিলে সেদিন
প্রথম দেখায় চোখে চোখে কিছু ভাব বিনিময়।

তারপর স্থিতি কিছুকাল -

ভাবনার কড়িকাঠ রোদেতে শুকায়
সময়ের হাত ধরে সময় লুকায়
মনের লুকোচুরি জ্যোৎস্নার জলে
ঢল নামে বর্ষার মনেরও তলে
তপ্ত দুপুরবেলা ওড়া গাংচিলে
চিন্তার চেতনারা খেল তোমায় গিলে
মনের ঘরেতে একটু টোকা দিলে
মনেতে মন যেন একটুকু মিলে।

তারপর ভাবনার কিছুকাল -

সময়ের হাত ধরে সময় গড়ায়
চোখে চোখে কথা হয় কত দুজনায়
হাতে হাতে বসে থাকা চুপচাপ চেয়ে থাকা
দুজনার মনেতে রংতুলি ছবি আঁকা
দুজনে দুজনার কত শত কথা বলার
সময় গড়ায় প্রহর বেলার
ভালোবাসার তুলি টানে গভীর রূপরেখা
প্রতিদিন প্রতিক্ষণ দুজনার দেখা।

তারপর ভালোবাসার কিছুকাল -

দ্বিধা দ্বন্দ্ব কিছু কিছু ভয়, কিছু মনের কিছু শংসয়
শরীর টানে ভালোবাসার পানে
একসময় জলাঞ্জলি, ছুঁড়ে ফেলা দ্বিধা ভয়
কপোলে একটি চুমু করে নিল সব জয়
ঠোঁট নেমে আসে মধুর সন্ধানে
পৃথিবীতে কে যে কার, কেবা সেটা জানে
শুধু তুমি আমি চুপচাপ ঠোঁটে ঠোঁট চাপি
খুলে গেলো গোপন সেই ভালোবাসার ঝাপি।

তারপর এলো সময় সত্যিকারে চেনাজানার কাল -

একটু গভীরে উঁকি দেয়া দুজনে দুজনার
সময় ছিল যে ওটা প্রেমে মজার
ভালোবাসার বিশ্বাস গড়ে ওঠে মনে
গড়িয়ে গভীরে চলি দুজন দুজনে
হারিয়ে যেতে চাই দুজনের ভেতর
যদিওবা ভাবনাগুলো চলে যেত মাথার উপর।

তারপর এলো সময় বদলে যাবার -

তারপর এতদিনে নতুন করে সুর
পাপী আমি হয়ে বাধি নতুন গানের সুর
এতদিনের ভালোবাসা সবই গেল জলে
নরকের কীট আমি এই রূপ মেলে
খেলার পুতুল ছিলেম প্রথমদিন হতে
এক বোকা কেন আমি, এটা মেনে নিতে
পারনি চিনতে আমায় সেদিনও যেমন
পরিচয় দেব কেন তোমায় সত্যিকরে এমন।

তারপর এলো সময় বিদায় নেবার -

তুমি আসলে আমাকে প্রথম থেকেই ঠিক চিনতে পারনি
তারপর যখন বুঝতে পারলে হঠাৎ থমকে গেলে, থমকে গেলো পৃথিবী তোমারি
হয়ত গলার কাছে এসে আটকে গেল নিশ্বাস, কিছু সময়ের জন্য তোমার
পরিচয় পেলে যখন আমার সত্যিকারে পাপী অবস্থার
আমি কিন্তু চিনেছি তোমায়, একবারের দেখায়
হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেম গভীর ভরসায়।

বৃহস্পতিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১২

অপেক্ষায় তোমার

তোমার পৃথিবী অন্যরকম যেথায় তোমার বাস
চেনা পৃথিবীর অন্যপাশেতে কর তুমি বসবাস
আমার পৃথিবী শুধু যে তুমি, আমার মনেতে আশ
একবারের তরে তোমারে দেখিব মনে জাগে অভিলাষ।

আমার পৃথিবী অন্যরকম শুধুই তোমারে চিনি
তোমার তরেই পথ চেয়ে থাকি,একেলা প্রহর গুনি
তোমার পৃথিবীতে হাজার মানুষ হাজার রঙ এর খেলা
তবু একবার দেখা দিয়ে যেও, ফুরিয়ে গেলে বেলা।

তোমার পথে অনেক কাঁটা জানি আমি তার সব
তবুও মনের রেডিওটা ঘুরিয়ে চলেছে, টিউনিং এর সব নব
শেষ দিনও যদি আসতে না পার থাকবে না মনে দুঃখ
কবরের পাশে বেলিফুল গেঁথে রেখে যেও এক গুচ্ছ।

পুড়েছিলেম যত তোমার বিরহে একটু একটু প্রতিদিনে
তোমার লাগি তার'চে ছিল ঢের বেশি প্রেম মনে
অন্যভুবনে পাড়ি দেয়ার কালে কিছু কথা লিখে গেলেম
শিউলি না ফুটুক কবরে জানি, ঢাকবে আমায় হেম।

মঙ্গলবার, ৩ এপ্রিল, ২০১২

বেদনার রঙ

অনুভবের রঙ মেখে চলি
বেদনার রঙ এর সাথে চোখের জল গুলিয়ে
রংতুলিতে ছবি আঁকব বলে;
জলরং এ ক্যানভাসে রংগুলো দেই ছড়িয়ে
তোমারই বেদনাগুলো ফুটিয়ে তুলতে
সাদা রঙ এর ক্যানভাসে
নীল রঙ একে দিয়ে
তোমারই বেদনাগুলো জড়িয়ে;
অবাক তাকিয়ে থাকি
রংতুলির খেলা দেখি
ছবি ফুটে ওঠে তাতে একটু একটু করে
বেদনার রঙ নীল থেকে গাঢ় নীলে উঠে না ফুটে
তোমার বেদনার অনুভবগুলো সব
তোমারই মুখছবি হয়ে
সাদা ক্যানভাসে সাদাকালো ছবি হয়ে ফুটে ওঠে
বেদনার নীল রঙ বদলায়
সাদাকালো সব অনুভবেতে ।

অনুভুতির আঁচর ফেলি
কালো কলমের দোয়াতে লোনা জল মিলিয়ে
কবিতার ঢং এ কিছু লিখব বলে;
মনের ক্যানভাসে রংগুলো দেই বিলিয়ে
তোমারই বেদনাগুলো মুছে দিতে
সাদা রঙ এর কবিতার খাতায়
কালো রঙ এ একে নিতে
তোমারই বেদনাগুলো যেন যায় মিলিয়ে;
অবাক তাকিয়ে থাকি
কলমের খেলা দেখি
লিখা হয় না কবিতা আমার, কষ্টের অনুভুতিগুলো আর
বেদনার কথা সব কলমের আঁচড়েতে ওঠে না ফুটে
তোমার নীল কষ্টের অনুভুতিগুলো সব
তোমারই মুখছবি হয়ে
কালো কলমের আঁচড়েতে সাদা পাতায় ভেসে ওঠে
বেদনার রঙ বদলায়
সাদাকালো সব অনুভুতিতে ।

সোমবার, ২ এপ্রিল, ২০১২

"তুমি"

আলো আঁধার আমরা দেখি প্রতিদিন
প্রকৃতিরই অংশ, রাত আর দিন
চাঁদ সূর্য বলয়ে ঘুরে ঘুরে
অমাবস্যা আর জ্যোৎস্না খেলা করে।

সুখ দুঃখ জীবনে আসে বার বার
হাসি কান্নায় মিলে মিশে জীবন পার
আনন্দ বেদনা একসাথে মিশে রয়
অনুভুতিগুলি জীবনেরই কথা কয়।

প্রকৃতির বিপরীত রূপ দেখি প্রতিদিনে
বৈপরীত্যের অনভুতির বাস শুধু মনে
বিপরীত অনুভুতি যখনি মনকে যায় চুমি
কারন খুঁজতে গেলে পাই সে যে "তুমি"।

বিপরীত বোধ খেলা করে মনে, আনন্দ আর বেদনার
বিপরীত অনুভুতি মনে রয়, তোমার থাকা আর না থাকার
যখনই তুমি নাই, কেঁপে ওঠে পায়ের নিচের ভুমি
কারণ খুঁজে পাই, পার্থক্য হয়ে রও শুধু "তুমি"।

রবিবার, ১ এপ্রিল, ২০১২

বিপরীত জীবন যাপন

বেঁচে আছি যেন আজ দুটি সত্বার ভিরে
ইচ্ছে আর অনিচ্ছের ঘুড়ি আকাশে ওড়ে
একসাথে মিলেমিশে, নাচে আমায় ঘিরে ঘিরে
সুখ আর দুঃখের অপূর্ব মিস্রন
কাজ আর অবসাদ এর জীবন যাপন
আমি অসহায় চেয়ে দেখি
দুটি আলাদা সত্বার বেচে থাকা
একই দেহে, আমাকে ঘিরে।

তোমাকেই দেখলেই খুশিতে মন ওঠে ভরে
ইচ্ছে করে বুকে জড়িয়ে ধরে
ঠোঁটে রাখি ঠোঁট জড়িয়ে
ভালোবাসায় দিতে ভরিয়ে
ইচ্ছে ঘুড়ি আকাশেতে ওড়ে
ইচ্ছে ডানায় ঘুরে ঘুরে
আমি চেয়ে চেয়ে দেখি
ভালোবাসার বেঁচে থাকা
আমাকে ঘিরে,আমাকে ঘিরে।

আবার না দেখলেই কেমন জানি অস্থিরতা ঘিরে
মনের মাঝে এক শুন্যতা কাজ করে
বুকের মাঝে কষ্ট কষ্ট ব্যথা ছড়িয়ে
কোথায় জানি যাই হারিয়ে
কষ্টগুলো বাতাসে ওড়ে
বুকের মাঝে পুড়ে পুড়ে
আমি চেয়ে চেয়ে দেখি
দুঃখগুলোর বেঁচে থাকা
আমাকে ঘিরে,আমাকে ঘিরে।

বেঁচে আছি আজ দুটি সত্বার ভিরে
আনন্দ আর বেদনা যেন চক্রাকারে ঘুরে
আমাকে ঘিরে, আমাকে ঘিরে
সাদা আর কালোর কি এক বাধন
ভালো মন্দ মিলেই আজ কাটাই জীবন
আমি অসহায় চেয়ে দেখি
দুটি আলাদা সত্বার বেঁচে থাকা
একই দেহে, আমাকে ঘিরে।