কার, কখন কিভাবে যে ভালোবাসার শুরু হয়
কে বলতে পারে
হঠাৎ করেই এক নজরের দেখা
একটু চোখাচোখি আড়ে আড়ে
হয়তো বন্ধুত্বের নিবির সম্পর্কের মধ্যে থেকেই
মাঝে মাঝে ভালোবাসার বীজবপন
এক এক জনের জন্য একেক ভাবে হয় শুরু
তারপর থেকেই সেই আদি কথন।
মনে বড় জ্বালা তারে ছাড়া
মুখভাসে চারিদিকে যেদিক পানে তাকায় সে যে
চারিদিকে মায়া খেলা করে
তারে সামনে দেখলে জ্বলে আলো
না দেখলে অন্ধকার
জীবনটা বড় মধুর মনে হয় থাকলে সে পাশে
না থাকলেই হয় আঁধার।
মনের মাঝে কেমন যেন এক বোধ কাজ করে
অচেনা অনুভুতিগুলি মনের ভেতর জেগে রয় সারে সারে
মন বড় উচাটন হয় সেই সব দিনগুলোতে
খাদ্যে অরুচি, নিদ্রা দেয় ফাঁকি
ভালো লাগা আর না লাগার মাঝে বসবাস
সারাক্ষণ মুঠোফোনে চেয়ে থাকা বারবার
যদি আসে কোন সন্দেসা তার।
মাঝে মধ্যে একটুকু দেখা হয়
ভালোলাগার আবেশ জড়িয়ে রয়
কোথাও বসে বাদামের খোসা ছাড়ানো
কফি হাউসে কিছু সময় কাটানো
একটুকু হাতে হাত রাখা
চোখে চোখে বলে যায় সব ভালোবাসার কথা
একটুকু স্পর্শ পেতে মন বড় চায়
মুহূর্তের মাঝে সময়গুলো কেটে যায়।
তারপর অপেক্ষার প্রহর
আবার দেখা হবার, কাটে দুজনার
দিন কাটে না, রাতগুলো বড় দীর্ঘ
নক্ষত্র রাশি রাশি আকাশে জেগে রয়
মনে মনে নক্ষত্রের সাথে কথা কয়
জ্যোৎস্না হয় ম্লান বিরহের কালে
সময় ঘড়ির কাঁটা ঝুলতে থাকে ডালে
কবিতারা ডানা মেলে মনের আকাশে
বিরহ গানের সুর জেগে রয় বাতাসে বাতাসে
রবীন্দ্রনাথকে বড় আপন মনে হয়
বিরহ গানগুলোতে মোবাইল ভরে রয়।
তারপর একসময় বাস্তবতার মুখোমুখি
পাড়ি দিতে হয় ঝড় ঝঞ্জার সিড়ি
হয় দিতে হয় প্রেমের জলাঞ্জলি
কিংবা ঠাই হয় শেষে বিয়ের পিড়ি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন