হায় নারী
আজ কি সং সেজেছিস তুই ফ্যাশনের নামে?
নিজেকে বিকিয়েছিস আধুনিকতার দামে
মাথা থেকে পা পর্যন্ত
নিজেকে বদলে ফেলতে ছিল না তোর
চেষ্টার কোন অন্ত।
দূর থেকে যায় না বোঝা হেঁটে যাচ্ছে কে
কে বলে দেবে পেছন থেকে এটা ছেলে না মেয়ে
অথচ আজ কত সাধ করে
বেলি মালা গেঁথে এনেছিল প্রেমিক যে তোর
পরাবে বলে খোঁপায়
সামনে এসে হোঁচট খেল একি?
না পেল বেণী না পেল খোঁপা,
বয়কাট করে আসা চুল
দেখল তোর মাথায়।
হায় নারী
পুস্পের রেনু মাখার কথা ছিল তোর ঠোঁটে
লিপিষ্টিকের লাল কালো রেখা সেথা কিছু জোটে
ঢেকে রাখার কথা ছিল স্তনদুটি শাড়ির আঁচলেতে
আজ অর্ধেক খুলে রাখিস, অর্ধেক বাধিস কভু কাঁচুলিতে
কোমরের দোলায় দুলিয়ে দিস পৃথিবী যেন
হায়, নাভী বের করা আজ এ ফ্যাশন কেন?
কাপড়ের টুকরো দুটি হলেই চলে যায় তোর
পারলে নেংটা ঘুরিস, থাকুক সামনে আপন কিবা পর
একটিতে বাধা থাকে কোনমতে বুক
আরেকটি ঢেকে রাখে জঙ্ঘার মুখ
উরুদুটি যেন কলাগাছ, বের হয়ে থাকে
দেখুক না লোকে তাতে কিবা আসে
হায় নারী
দেহের পসরা আজ দিয়েছিস খুলে
চোখের পর্দাটুকুও আজ গিয়েছিস ভুলে।
হায় মানবী
প্রলুব্ধ নগ্নতায় মেলে ধরেছিস আজ নিজেই নিজেকে
আকর্ষণ করতে মানব কিছুকে
কামনার মায়াজালে
লাজ লজ্জা হায়া শরম সব বিসর্জন দিয়ে
নগ্নতাকে পুঁজি করে খুলে ধরেছিস নিজেকে
শরীর দেখাতে
দিয়েছিস তাদের ভোগের আমন্ত্রন
ঈশ্বর কি বা ছাই ফিরিয়ে দেবে এই কামনার নিমন্ত্রন
লোভ লালসার হা করা পশুরা ঘুরছে তাই তোকে কেন্দ্র করে
কামনার কালো জিহ্বা বের করে দিয়ে
চারিধার ধরে
তোকে ঘিরে, আজ তোকেই ঘিরে
স্বল্প বসনে দিয়েছিস নিজেই তাদের ভোগের অধিকার
হোক না ধর্ষনের নামে শারীরিক অনাচার
বোধ বুদ্ধিহীন হয়ে গেছে আজ মানব সকল
পুরুষ মাত্রেই যে দাস, বাসনা কামনার
শুধু তোরই জন্য হায় নারী
আজ তোর নগ্নতার জন্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন