ভালোবাসার লু হাওয়া মাঝে মাঝে স্তব্ধ হয়ে যায়
যেন ঝড়ের পূর্বাভাস
থমথমে হয়ে থাকে চারিধার
হয়ে থাকে তোমার মুখভার।
মাতাল সময় কাটাই তপ্ত দিনগুলিতে
ভয়ে ভয়ে দিন কাটে,রাত নামে
ঝড়ো হাওয়া এই বুঝি আসে
ওলোট পালোট করে দিতে চারিধার।
একটা সময় ছিল আমাদের
অনেক পুরোনো, সেই চিঠি লেখালেখির যুগের;
ভালোবাসাবাসি হত চোখে চোখে
হঠাত হঠাত করে বছরে
কিংবা ছ মাসে একবার করে।
খুব মাঝে মাঝে চিঠি লিখতাম
দুজনে দুজনে
মাসে একটা কিংবা দুটো অনেক ভয়ে ভয়ে
তোমার চিঠি দেওয়ার ঠিকানা ছিল
আমারই এক বন্ধুর মেস বাড়ি
আর তোমায় আমি চিঠি দিতেম
তোমার সমবয়সী খালার ঠিকানাতে
খুব ভয়ে ভয়ে,
যদি কারো হাতে পড়ে যায়
ভালোবাসার নীল খামে লেখা চিঠিগুলো;
কতই না দ্বিধা সংকোচ, লোকলজ্জা ছুঁয়ে থাকত
আমাদের মাঝে,
যদি লোক জানাজানি হয়ে যায়?
সে দিনগুলোর কথা তোমার কি আজ মনে পড়ে?
আর এখন দেখ যুগের কি আশ্চর্য পরিবর্তন এসেছে
প্রতিদিন এখন আমাদের কথা হয় মুঠোফোনে
কতই না কথা, কত ভালোবাসাবাসি
দুজনে দুজনে;
তবুও কেমন জানি একটা ভয় কাজ করে
যত বেশি কাছাকাছি চলে এসেছি আমরা
যুগের পরিবর্তনের হাওয়ায় ভেসে
পরিবর্তিত হয়ে গেছে যেন আমাদের ভালোবাসাবাসি গুলো।
এখন আমাদের সাত দিনের প্রেমালাপে
তিন দিন কাটে অভিমানে
তিন দিন যায় অভিমান ভাঙ্গাতে
আর একদিন হয়তোবা দুজনে কাছাকাছি
ভালোবাসাবাসি।
সেই পুরাতন যুগের প্রেম আর আজকের প্রেমের মধ্যে
কোন পার্থক্য কি খুঁজে পাও?
সেদিনের সেই নীলখামের চিঠির কোথাও কিন্তু অভিমান ছিল না
ছিল না প্রাত্যহিক মান ভাঙ্গানোর পালা
হয়তো কিছু অনুযোগ রয়ে যেত
তাও খুব হঠাত করে
অনেক দিন না দেখা হওয়ার অন্তরালে।
আর এখন দেখ যুগের পরিবর্তনে কি নিদারুন সময় কাটাচ্ছি
ভয়ে ভয়ে
সাপ্তাহিক ঝড়ের পূর্বাভাস মাথায় করে
দুজনে আর দুজনে।
সে কাল আর আজকের ভালোবাসায় পার্থক্য কতটুকু বলতে পার?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন