নির্লিপ্ত বিবেক
- যাযাবর জীবন
রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে আছে অন্ধ লোভের বাস
কাম, ক্রোধ আর ঘৃণার সব গোপন অভিলাষ
মদ, মোহ আর মাৎসর্য একসাথে মিশিয়ে বিষের পেয়ালায়
রিপুর নেশায় বুঁদ হয়ে পান করে যাচ্ছে মানুষ আজ নির্দ্বিধায়।
একটুও ক্ষরণ হয় না মনুষ্যত্বের
পশুতে পরিণত বোধ বিবেকহীন মানুষের
ঢেউ ওঠে না বিবেকের রক্ত পেয়ালায়
রিপুগুলো সব নিজেরই রক্ত বিষিয়ে দিচ্ছে হিম নির্লিপ্ততায়।
কামের লিপ্সায় কিবা নর কিবা নারী
দেহের ক্ষুধা মেটাতে ভাদ্রের কুকুর আর কুকুরী
মদের টেবিলে আছড়ে পরছে বোতলের পর বোতল
জুয়ার নেশায় জলাঞ্জলি মনুষ্যত্ব সকল।
লোভের আগুনে পুড়ে উজাড় বনের পর বন
হিংসায় জ্বলে পুড়ে একাকার পরশ্রীকাতর মন
উগরে দেয়া ক্রোধের অনল এসিডের বোতলে
মনুষ্যত্ব মেলা ভার খুঁজে হৃদয়ের অতলে।
জলাঞ্জলি বিবেকের, আজ মানুষ হয়েছে রিপুর দাস
মানুষের পৃথিবীতে যেন আজ কিছু নরপশুর বসবাস
পরাস্ত বিবেক, আজ জয়ী হয় ফাঁপা ষড়রিপুর অভিলাষ
মনুষ্যত্ব পুড়ে দগ্ধ, পড়ে থাকে অবহেলায়; বিবেকের লাশ।
শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১২
ওকাল, সেকাল আর একাল
ওকাল, সেকাল আর একাল
- যাযাবর জীবন
এনালগ প্রেমের যুগ শেষ হয়ে গেছে কবে
ক্রিং ক্রিং এনালগ টেলিফোনের ঘণ্টা এখন আর বাজে না
বাবা মাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দৌড়ে ছুটে গিয়ে
ছো মেরে ক্রাডল থেকে ফোন তুলে নেয়া
চুপিসারে ফিসফিসিয়ে প্রেমিকের সাথে দুটো কথা
দুকথায় এ সপ্তাহের মিলন স্থান আর তারিখ ঠিক করে নেয়া
সে যুগ কি আর আছে?
এনালগ তো কবেই মরে গেছে।
চিঠি লেখার যুগ শেষ হয়ে গেছে তারও অনেক অনেক কাল আগে
চুপিসারে বইয়ের ফাঁকে মনের কথাগুলোকে কাগজে কলমে
ফুটিয়ে তোলা সারা রাত জেগে জেগে
আর বইয়ের ভাঁজে সকলের আড়ালে তুলে দেয়া প্রেমিকের হাতে
বই এক্সচেঞ্জ কিংবা নোটের আদান প্রদানের মাঝে মাঝে
কত কথা কত সুখ গাঁথা লেখা থাকতো কাগজের ভাঁজে ভাঁজে
সে যুগ কি আর আছে?
চিঠি লেখার দিন তো কবেই শেষ হয়ে গেছে।
এখন সময় ডিজিটাল যুগের
মুঠোফোনের বদৌলতে সারা রাত জেগে জেগে প্রেমের আলাপন
প্রেমিক প্রেমিকা এখন আর নির্দিষ্ট নয়, বদলের খেলা চলে অনুক্ষণ
বাবা মা কে থোড়াই কেয়ার, রাতের আলাদা ঘর আলাদা বিছানা
কোলবালিশটাকে প্রেমিকা মনে করে, ডিজিটাল প্রেম করে
কত সুবিধা ইদানীং মুঠোফোন কোম্পানিগুলোর?
রাতের সাশ্রয়ী কলরেট, প্রেমের তুবড়ি ছোটানোতে
তাই হয়তো ইদানীং, প্রেমগুলোও ডিজিটাল হয়ে গেছে
পছন্দ না হলেই বদলে ফেলা, প্রতিদিন নতুন নতুন মুঠোফোনের মডেলের মত
হায় ডিজিটাল প্রেম
জয় জয়কার
বদলে গেছে সময়, বদলে দাও পৃথিবী
প্রেম এখন নতুন প্রকার খেলনা, বদলে গেছে প্রেমের ধরন
ভালোবাসা ইদানীং আর হৃদয়ে জাগায় না ক্ষরণ
আগের মতন করে, পড়ে নেই আমরা সে আদিকালের জগতে
এক রঙ নাম্বারের বদৌলতে প্রেমের বান ডাকে
একটু অনুরাগ অনুযোগ কথায় কিংবা আলাপনে
আছড়ে ভাঙ্গে মুঠোফোন, বদলে যায় প্রেমিকা
স্থান নেই তার আর মনের কোনো কোণে
এখন নিত্য নতুন প্রেমিকার সন্ধান ডিজিটাল যুগের বদৌলতে।
আমরা এনালগ থেকে ডিজিটালে বদলে গেছি
সাথে সাথে বদলে গেছে আমাদের চিন্তা, ভাবনা, চেতনা
আর মানবিক মূল্যবোধগুলো;
আমরা এর পরিণাম সইতে পারব কি?
ক্ষয়িষ্ণু মানবতা কাঁদে বিবেক আর মূল্যবোধের বিসর্জনে।
- যাযাবর জীবন
এনালগ প্রেমের যুগ শেষ হয়ে গেছে কবে
ক্রিং ক্রিং এনালগ টেলিফোনের ঘণ্টা এখন আর বাজে না
বাবা মাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দৌড়ে ছুটে গিয়ে
ছো মেরে ক্রাডল থেকে ফোন তুলে নেয়া
চুপিসারে ফিসফিসিয়ে প্রেমিকের সাথে দুটো কথা
দুকথায় এ সপ্তাহের মিলন স্থান আর তারিখ ঠিক করে নেয়া
সে যুগ কি আর আছে?
এনালগ তো কবেই মরে গেছে।
চিঠি লেখার যুগ শেষ হয়ে গেছে তারও অনেক অনেক কাল আগে
চুপিসারে বইয়ের ফাঁকে মনের কথাগুলোকে কাগজে কলমে
ফুটিয়ে তোলা সারা রাত জেগে জেগে
আর বইয়ের ভাঁজে সকলের আড়ালে তুলে দেয়া প্রেমিকের হাতে
বই এক্সচেঞ্জ কিংবা নোটের আদান প্রদানের মাঝে মাঝে
কত কথা কত সুখ গাঁথা লেখা থাকতো কাগজের ভাঁজে ভাঁজে
সে যুগ কি আর আছে?
চিঠি লেখার দিন তো কবেই শেষ হয়ে গেছে।
এখন সময় ডিজিটাল যুগের
মুঠোফোনের বদৌলতে সারা রাত জেগে জেগে প্রেমের আলাপন
প্রেমিক প্রেমিকা এখন আর নির্দিষ্ট নয়, বদলের খেলা চলে অনুক্ষণ
বাবা মা কে থোড়াই কেয়ার, রাতের আলাদা ঘর আলাদা বিছানা
কোলবালিশটাকে প্রেমিকা মনে করে, ডিজিটাল প্রেম করে
কত সুবিধা ইদানীং মুঠোফোন কোম্পানিগুলোর?
রাতের সাশ্রয়ী কলরেট, প্রেমের তুবড়ি ছোটানোতে
তাই হয়তো ইদানীং, প্রেমগুলোও ডিজিটাল হয়ে গেছে
পছন্দ না হলেই বদলে ফেলা, প্রতিদিন নতুন নতুন মুঠোফোনের মডেলের মত
হায় ডিজিটাল প্রেম
জয় জয়কার
বদলে গেছে সময়, বদলে দাও পৃথিবী
প্রেম এখন নতুন প্রকার খেলনা, বদলে গেছে প্রেমের ধরন
ভালোবাসা ইদানীং আর হৃদয়ে জাগায় না ক্ষরণ
আগের মতন করে, পড়ে নেই আমরা সে আদিকালের জগতে
এক রঙ নাম্বারের বদৌলতে প্রেমের বান ডাকে
একটু অনুরাগ অনুযোগ কথায় কিংবা আলাপনে
আছড়ে ভাঙ্গে মুঠোফোন, বদলে যায় প্রেমিকা
স্থান নেই তার আর মনের কোনো কোণে
এখন নিত্য নতুন প্রেমিকার সন্ধান ডিজিটাল যুগের বদৌলতে।
আমরা এনালগ থেকে ডিজিটালে বদলে গেছি
সাথে সাথে বদলে গেছে আমাদের চিন্তা, ভাবনা, চেতনা
আর মানবিক মূল্যবোধগুলো;
আমরা এর পরিণাম সইতে পারব কি?
ক্ষয়িষ্ণু মানবতা কাঁদে বিবেক আর মূল্যবোধের বিসর্জনে।
বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১২
অণুকথন – ৬
অণুকথন – ৬
- যাযাবর জীবন
আলো আঁধার:
এখন জ্যোৎস্না আমায় চারিদিক থেকে ঘিরে রয়
ভাবিস নে তুই, অমাবস্যাও আমার কিন্তু সয়
জ্যোৎস্নালোকিত রাত কিংবা জোনাক জ্বলা অন্ধকার
এখন কিন্তু হয়ে রয়েছে অংশ জীবনেরই আমার
দেরিতে হলেও মেনে নিয়েছি
তাইতো এখন বোধহীন হয়ে পড়েছি
কি আসে যায় আলো কিংবা আঁধারে আমার?
ভালোবাসা:
ভালোবাসলে কাঁদতে হয়
এ কোনো নতুন কথা নয়
তবুও আমরা ভালোবেসে যাই প্রতিদিন
কাঁদার জন্য
কিংবা আমরা কেঁদে মরি প্রতিদিন
ভালোবাসার জন্য।
সাহসিকতা:
আরেকটু বসে যা না কিছুক্ষণ পাশে একটু
কথা না হয় নাই বা কইলি কিছু
অনুভবের সাহসী হাত রাখ আমার বুকে
ভালোবাসার ঢিপ ঢিপ শব্দগুলোকে শুষে নিয়ে যা
চিরকালের মতন
যদি দুঃসাহসী না হতে পারিস
জড়িয়ে রাখার মতন।
খোঁচা:
ছেড়া হৃদয়ে সুঁই ফোটাচ্ছিস
রক্ত বেরোবে কি?
প্রেমের আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিস
ভস্মে ঢালছিস ঘি।
বন্ধন:
হরিৎ জ্যোৎস্নায় ভেজাতে পারিস নি প্রেমের সরোবর
কালো অমাবস্যায় কেন তবে বাঁধতে চেয়েছিলি ঘর।
- যাযাবর জীবন
আলো আঁধার:
এখন জ্যোৎস্না আমায় চারিদিক থেকে ঘিরে রয়
ভাবিস নে তুই, অমাবস্যাও আমার কিন্তু সয়
জ্যোৎস্নালোকিত রাত কিংবা জোনাক জ্বলা অন্ধকার
এখন কিন্তু হয়ে রয়েছে অংশ জীবনেরই আমার
দেরিতে হলেও মেনে নিয়েছি
তাইতো এখন বোধহীন হয়ে পড়েছি
কি আসে যায় আলো কিংবা আঁধারে আমার?
ভালোবাসা:
ভালোবাসলে কাঁদতে হয়
এ কোনো নতুন কথা নয়
তবুও আমরা ভালোবেসে যাই প্রতিদিন
কাঁদার জন্য
কিংবা আমরা কেঁদে মরি প্রতিদিন
ভালোবাসার জন্য।
সাহসিকতা:
আরেকটু বসে যা না কিছুক্ষণ পাশে একটু
কথা না হয় নাই বা কইলি কিছু
অনুভবের সাহসী হাত রাখ আমার বুকে
ভালোবাসার ঢিপ ঢিপ শব্দগুলোকে শুষে নিয়ে যা
চিরকালের মতন
যদি দুঃসাহসী না হতে পারিস
জড়িয়ে রাখার মতন।
খোঁচা:
ছেড়া হৃদয়ে সুঁই ফোটাচ্ছিস
রক্ত বেরোবে কি?
প্রেমের আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিস
ভস্মে ঢালছিস ঘি।
বন্ধন:
হরিৎ জ্যোৎস্নায় ভেজাতে পারিস নি প্রেমের সরোবর
কালো অমাবস্যায় কেন তবে বাঁধতে চেয়েছিলি ঘর।
পরশ্রীকাতরতা
পরশ্রীকাতরতা
- যাযাবর জীবন
আমার মাথার চুল উঠে গেছে সব
তবু কাক ঠোকরায় তোরই মাথায়......
.................................কেন রে?
আমার গাল ভরে আছে দাঁড়ির জঙ্গলে
তবু তোর গালে উকুন দৌড়ায়......
.................................কেন রে?
খোস পাঁচড়ায় আমার গা ভরা
তবু তোরই শরীর চুলকায়......
...........................কেন রে?
একবার নিজের মনে “কেন” গুলোর উত্তর খুঁজে দেখ
পরশ্রীকাতরতার পরাকাষ্ঠা থেকে বের হয়ে আয়
নিজের জীবন অনেক সুন্দর
অন্যের খুঁত যদি ধরতে না হয়।
- যাযাবর জীবন
আমার মাথার চুল উঠে গেছে সব
তবু কাক ঠোকরায় তোরই মাথায়......
.................................কেন রে?
আমার গাল ভরে আছে দাঁড়ির জঙ্গলে
তবু তোর গালে উকুন দৌড়ায়......
.................................কেন রে?
খোস পাঁচড়ায় আমার গা ভরা
তবু তোরই শরীর চুলকায়......
...........................কেন রে?
একবার নিজের মনে “কেন” গুলোর উত্তর খুঁজে দেখ
পরশ্রীকাতরতার পরাকাষ্ঠা থেকে বের হয়ে আয়
নিজের জীবন অনেক সুন্দর
অন্যের খুঁত যদি ধরতে না হয়।
বুধবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১২
জ্যোৎস্না রাতে আজো তোকে মনে পড়ে
জ্যোৎস্না রাতে আজো তোকে মনে পড়ে
-যাযাবর জীবন
কবে যে ওই চাঁদের পানে হারিয়েছিলাম মন
যেদিন থেকে আলাদা দু পথ দু দিক আমরা দু জন
জ্যোৎস্না রাতে চাঁদের সাথে প্রেম হয়েছে সেদিন থেকে
যেদিন মোদের আলাদা দু পথ দু দিক পানে গিয়েছে বেঁকে।
এখন আমি একলা থাকি সঙ্গিনী ওই চাঁদ
সঙ্গোপনে এড়িয়ে চলি ভালোবাসার ফাঁদ
কুহকিনী ওই হাতছানি যখনই আসে স্মরণ
মনে হয় তোরই কথা হৃদয়ে নামে ক্ষরণ।
খোলা ছাদে পাটি পেতে চাঁদের সনে মিশে
জ্যোৎস্না মাখি সারা রাতি হারিয়ে আমি দিশে
বিছানাটা পড়ে থাকে শূন্য একা ঘরে
ছাদের ওপর চাননিস্নানে জ্যোৎস্না গায়ে পড়ে।
আকাশেতে হাসতো চাঁদ চোখ জ্বালানো অগ্নি
অন্ধকারের রাতের বেলায় তুই ছিলি মোর চাঁদনি
তোর মাঝেতেই দেখেছিলাম স্বপ্ন-পুরীর আলো
জ্যোৎস্না থেকে তোকেই আমার লাগত বেশি ভালো।
রাত্রিগুলো চাঁদের সাথে করত লুটোপুটি
জড়িয়ে ধরে আমায় যে তুই করতি হুটোপুটি
কখনো কি ভেবেছিলেম আমায় ফেলে যাবি
একলা পড়ে চাঁদনি রাতে তোরই কথা ভাবি।
খেলায় খেলায় কাটিয়েছিলেম কত না এমন রাত
কেমন করে কোথা দিয়ে হত আমাদের প্রভাত
ভুলি নি আজো সে রাত গুলোকেএতদিনের পরে
সত্যি করে বল না রে তুই, তোর কি মনে পড়ে?
-যাযাবর জীবন
কবে যে ওই চাঁদের পানে হারিয়েছিলাম মন
যেদিন থেকে আলাদা দু পথ দু দিক আমরা দু জন
জ্যোৎস্না রাতে চাঁদের সাথে প্রেম হয়েছে সেদিন থেকে
যেদিন মোদের আলাদা দু পথ দু দিক পানে গিয়েছে বেঁকে।
এখন আমি একলা থাকি সঙ্গিনী ওই চাঁদ
সঙ্গোপনে এড়িয়ে চলি ভালোবাসার ফাঁদ
কুহকিনী ওই হাতছানি যখনই আসে স্মরণ
মনে হয় তোরই কথা হৃদয়ে নামে ক্ষরণ।
খোলা ছাদে পাটি পেতে চাঁদের সনে মিশে
জ্যোৎস্না মাখি সারা রাতি হারিয়ে আমি দিশে
বিছানাটা পড়ে থাকে শূন্য একা ঘরে
ছাদের ওপর চাননিস্নানে জ্যোৎস্না গায়ে পড়ে।
আকাশেতে হাসতো চাঁদ চোখ জ্বালানো অগ্নি
অন্ধকারের রাতের বেলায় তুই ছিলি মোর চাঁদনি
তোর মাঝেতেই দেখেছিলাম স্বপ্ন-পুরীর আলো
জ্যোৎস্না থেকে তোকেই আমার লাগত বেশি ভালো।
রাত্রিগুলো চাঁদের সাথে করত লুটোপুটি
জড়িয়ে ধরে আমায় যে তুই করতি হুটোপুটি
কখনো কি ভেবেছিলেম আমায় ফেলে যাবি
একলা পড়ে চাঁদনি রাতে তোরই কথা ভাবি।
খেলায় খেলায় কাটিয়েছিলেম কত না এমন রাত
কেমন করে কোথা দিয়ে হত আমাদের প্রভাত
ভুলি নি আজো সে রাত গুলোকেএতদিনের পরে
সত্যি করে বল না রে তুই, তোর কি মনে পড়ে?
মঙ্গলবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১২
বোধের যন্ত্রণা
বোধের যন্ত্রণা
- যাযাবর জীবন
কিছু কথা রয়ে যায় মনের অনেক অনেক গভীরে
মুখ ফুটে বলা যায় না কাওকে
গোপন কিছু কথা প্রতিটি মানুষেরই খুব নিজের
লজ্জার কিছু কথা থাকে মনের ভেতর
নিজ হতেই আড়াল করে সংগোপনে
ঘুমিয়ে মনের অনেক অনেক গভীরে
বলতে পারা যায় না কাওকে
তবুও খুব মাঝে মাঝে চলে আসে মনের মাঝে
কেমন এক বোধের যন্ত্রণায় হারিয়ে ফেলি নিজেকে
ঠিক বোঝানো যায় না কথায়
ঠিক ফুটে ওঠে না ভাষায়
তবে বড্ড পোড়ায়
খুব মাঝে মাঝে।
মনের চেতন অনুভূতিগুলো আড়াল করে রাখতে চায়
মনের সে না বলা কথাগুলো, নিজের কাছ থেকেই
মনের ঘরে তালা দিয়ে
মনের অচেতন অনুভূতিগুলো খুলে ফেলে তালাবদ্ধ বাক্স
কোন চাবি ছাড়াই, যেন পোড়াতে দহনে
খুব মাঝে মাঝে
বড্ড পোড়ায়
কান্না ঝরায়
ক্ষরণ কথা বলে যেন নিজের সাথেই
অনুতাপের দহনে জ্বলে।
মানুষ হওয়ার যন্ত্রণা অনেক
অনুভূতি যদি হয় মানবের
ক্ষরণ আর অনুতাপের
না বলা সব লুকিয়ে রাখা একান্ত লজ্জার কথাগুলো মনে হলে
না বলা সব বোধের অনুভূতিগুলো জানালা খুলে দিলে
এক এক সময় মনে হয় কুকুর জীবন হয়তো অনেক ভালো
তারস্বরে ঘেউ ঘেউ চীৎকারে উড়িয়ে দেয়া যেত মনের সব না বলা কথাগুলো
মরে মরে প্রতিদিন বেঁচে থাকার চাইতে সেও হয়তো হতো অনেক ভালো।
- যাযাবর জীবন
কিছু কথা রয়ে যায় মনের অনেক অনেক গভীরে
মুখ ফুটে বলা যায় না কাওকে
গোপন কিছু কথা প্রতিটি মানুষেরই খুব নিজের
লজ্জার কিছু কথা থাকে মনের ভেতর
নিজ হতেই আড়াল করে সংগোপনে
ঘুমিয়ে মনের অনেক অনেক গভীরে
বলতে পারা যায় না কাওকে
তবুও খুব মাঝে মাঝে চলে আসে মনের মাঝে
কেমন এক বোধের যন্ত্রণায় হারিয়ে ফেলি নিজেকে
ঠিক বোঝানো যায় না কথায়
ঠিক ফুটে ওঠে না ভাষায়
তবে বড্ড পোড়ায়
খুব মাঝে মাঝে।
মনের চেতন অনুভূতিগুলো আড়াল করে রাখতে চায়
মনের সে না বলা কথাগুলো, নিজের কাছ থেকেই
মনের ঘরে তালা দিয়ে
মনের অচেতন অনুভূতিগুলো খুলে ফেলে তালাবদ্ধ বাক্স
কোন চাবি ছাড়াই, যেন পোড়াতে দহনে
খুব মাঝে মাঝে
বড্ড পোড়ায়
কান্না ঝরায়
ক্ষরণ কথা বলে যেন নিজের সাথেই
অনুতাপের দহনে জ্বলে।
মানুষ হওয়ার যন্ত্রণা অনেক
অনুভূতি যদি হয় মানবের
ক্ষরণ আর অনুতাপের
না বলা সব লুকিয়ে রাখা একান্ত লজ্জার কথাগুলো মনে হলে
না বলা সব বোধের অনুভূতিগুলো জানালা খুলে দিলে
এক এক সময় মনে হয় কুকুর জীবন হয়তো অনেক ভালো
তারস্বরে ঘেউ ঘেউ চীৎকারে উড়িয়ে দেয়া যেত মনের সব না বলা কথাগুলো
মরে মরে প্রতিদিন বেঁচে থাকার চাইতে সেও হয়তো হতো অনেক ভালো।
ঝিমানো বিকেল
ঝিমানো বিকেল
- যাযাবর জীবন
খাঁ খাঁ দুপুরগুলো অলস বিকেলে গড়ায়
জানালার শার্শিতে ঝলকানো রোদে লাল রঙ ধরে
নীচে প্রাত্যহিক জীবনের কর্মব্যস্ততা
চায়ের স্টলে নিয়মিত খদ্দেরগুলো
জুতো ঠিক করছে আপন মনে মুচি বুড়োটি
অনবরত গাড়ির আনাগোনা
কান ঝালাপালা করা হর্নের শব্দ দূষণ
আমার যেন সময় কাটে না ঝিমধরা বিকেলে
বার বার মুঠোফোনের দিকে চোখ যায়
ইদানীং জিহ্বা আড়ষ্ট, কথা বেজে বেজে যায়
তবু মন কাঁদে প্রতীক্ষায়
চোখ থাকে মুঠোফোনের পর্দায়
সোনালী বিকেলে স্বর্ণালী খুশির ঝলকের প্রতীক্ষায়
যদি বহু প্রতীক্ষিত হারিয়ে যাওয়া নাম্বারটি ভেসে আসে!
নীল কষ্টগুলো রয়ে যায় বন্দী, মুঠোফোনের নীল পর্দায়
হেলানো সূর্যের কিরণে চিকচিকে অশ্রুজল অবিরাম বয়ে যায়
ক্ষরণ ধীরে ধীরে লালিমা ছড়ায় পশ্চিম দিগন্ত জুড়ে।
- যাযাবর জীবন
খাঁ খাঁ দুপুরগুলো অলস বিকেলে গড়ায়
জানালার শার্শিতে ঝলকানো রোদে লাল রঙ ধরে
নীচে প্রাত্যহিক জীবনের কর্মব্যস্ততা
চায়ের স্টলে নিয়মিত খদ্দেরগুলো
জুতো ঠিক করছে আপন মনে মুচি বুড়োটি
অনবরত গাড়ির আনাগোনা
কান ঝালাপালা করা হর্নের শব্দ দূষণ
আমার যেন সময় কাটে না ঝিমধরা বিকেলে
বার বার মুঠোফোনের দিকে চোখ যায়
ইদানীং জিহ্বা আড়ষ্ট, কথা বেজে বেজে যায়
তবু মন কাঁদে প্রতীক্ষায়
চোখ থাকে মুঠোফোনের পর্দায়
সোনালী বিকেলে স্বর্ণালী খুশির ঝলকের প্রতীক্ষায়
যদি বহু প্রতীক্ষিত হারিয়ে যাওয়া নাম্বারটি ভেসে আসে!
নীল কষ্টগুলো রয়ে যায় বন্দী, মুঠোফোনের নীল পর্দায়
হেলানো সূর্যের কিরণে চিকচিকে অশ্রুজল অবিরাম বয়ে যায়
ক্ষরণ ধীরে ধীরে লালিমা ছড়ায় পশ্চিম দিগন্ত জুড়ে।
সোমবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১২
ভবিষ্যৎ
ভবিষ্যৎ
- যাযাবর জীবন
একদিন আমাদের সময় থাকবে না গল্প শোনার
একদিন আমাদের সময় হবে না কবিতা পড়ার
একদিন আমরা হারিয়ে যাব নিজেদের মাঝ থেকে
একদিন আমরা একাকীত্বের মাঝে খুঁজে পাব নিজেকে
একদিন গর্জে উঠবে মানুষের মাঝে সব পশুত্ব
একদিন সময়ের কাছে পরাজিত হবে মনুষ্যত্ব
একদিন ভুলে যাব বাবা মা পরিবার আর সন্তান
একদিন অনর্থের অর্থই হয়ে উঠবে মহা মূল্যবান
সে দিন আর খুব বেশি দূরে নয়
যেভাবে অর্জিত হচ্ছে তিলে তিলে পাপের সঞ্চয়
সময়ের হাত ধরে চলেছি আমরা আজ যেদিকে
মানুষ আর মানুষ রূপে খুঁজে পাবে না নিজেকে।
- যাযাবর জীবন
একদিন আমাদের সময় থাকবে না গল্প শোনার
একদিন আমাদের সময় হবে না কবিতা পড়ার
একদিন আমরা হারিয়ে যাব নিজেদের মাঝ থেকে
একদিন আমরা একাকীত্বের মাঝে খুঁজে পাব নিজেকে
একদিন গর্জে উঠবে মানুষের মাঝে সব পশুত্ব
একদিন সময়ের কাছে পরাজিত হবে মনুষ্যত্ব
একদিন ভুলে যাব বাবা মা পরিবার আর সন্তান
একদিন অনর্থের অর্থই হয়ে উঠবে মহা মূল্যবান
সে দিন আর খুব বেশি দূরে নয়
যেভাবে অর্জিত হচ্ছে তিলে তিলে পাপের সঞ্চয়
সময়ের হাত ধরে চলেছি আমরা আজ যেদিকে
মানুষ আর মানুষ রূপে খুঁজে পাবে না নিজেকে।
রবিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১২
মনুষ্যত্ব
মনুষ্যত্ব
- যাযাবর জীবন
বাজানগো! আম্মাগো!!!
বড্ড জার করে বাজান
বড় শীত করে গো মা
একটা গরম কাপড় দিবেন?
কত পুড়াইনা কাপড়ই তো ফালাইয়া দেন আফনেরা
বড্ড জার গো, এককেরে হাড্ডির ভিতরে কামড়ায়
দেন না গো আফনেগো পুরাইন্না একটা গরম জামা
একটু জার কমাই।
শীতার্তের আর্তনাদ!!!
পৌঁছায় কি কানে কখনো আমাদের?
লেপ মুড়ি দিয়ে ওম বিছানায় শুয়ে
কিংবা কাল্পনিক দুঃখ কষ্টের বেদনা বিধুর আর্ট ফিল্ম দেখতে দেখতে
দরজা জানালা বন্ধ ওম ঘরে সাহেবের পায়ের কাছে হিটার চলছে......
বেগম সাহেবার লেপের ওম থেকে মুখ বের করে আদুরে ডাক
বন্ধ কর না গো টিভিটা, আমাকে একটু জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকো
শীতে বড্ড কাহিল হয়ে পড়েছি, ওম নেব তোমার বুকে।
হিটারের গরমেই যেন মাঝে মাঝে একটু যেন বেশি উষ্ণ হয়ে পড়ে কামরা
বাইরে শীতার্ত রাত কুয়াশার অন্ধকারে ঘেরা
ঘরে বসে আর্ট ফিল্ম দেখা সাহেব ঘেমে ওঠেন
আর্ট ফিল্মের আর্টিষ্টিক স্টাইলে গলা ফাটানো চিৎকার-
ওই বান্দির ঝি!!
কই গেলি?
হিটারটা বন্ধ কইরা দিয়া যা।
সাহেব এখন ফিল্মের দুনিয়ায়
হাত বাড়িয়ে পাশের হিটার বন্ধ করতে কি মন চায়?
বেগম সাহেবা গলা মেলায়...
ওই সকিনা, ওই বান্দির ঝি, কই গেলি?
হিটারটা বন্ধ কইরা দিয়া যা
সাবের গরম লাগতেছে শুনছ না?
রান্নাঘরের শীতল মেঝেতে পাটি পেতে শুয়ে আছে
শীতে কাঁপতে থাকা সকিনা
কম্বল জোটে নি তার সাহেব বাড়িতে.........
ধীরে পায়ে ঘরে ঢোকে বান্দির ঝি সকিনা
হিটার বন্ধ করে বেগম সাহেবার দিকে করুণ দৃষ্টি মেলে
খুব মৃদু স্বরে বলে......
আম্মাগো বড় জার করে
একটা কম্বল দিবেন আম্মা!!!!
মানুষ আমরা, মনুষ্যত্ব কোথায়?
বিবেক কি কখনো কড়া নাড়ে দরজায়?
- যাযাবর জীবন
বাজানগো! আম্মাগো!!!
বড্ড জার করে বাজান
বড় শীত করে গো মা
একটা গরম কাপড় দিবেন?
কত পুড়াইনা কাপড়ই তো ফালাইয়া দেন আফনেরা
বড্ড জার গো, এককেরে হাড্ডির ভিতরে কামড়ায়
দেন না গো আফনেগো পুরাইন্না একটা গরম জামা
একটু জার কমাই।
শীতার্তের আর্তনাদ!!!
পৌঁছায় কি কানে কখনো আমাদের?
লেপ মুড়ি দিয়ে ওম বিছানায় শুয়ে
কিংবা কাল্পনিক দুঃখ কষ্টের বেদনা বিধুর আর্ট ফিল্ম দেখতে দেখতে
দরজা জানালা বন্ধ ওম ঘরে সাহেবের পায়ের কাছে হিটার চলছে......
বেগম সাহেবার লেপের ওম থেকে মুখ বের করে আদুরে ডাক
বন্ধ কর না গো টিভিটা, আমাকে একটু জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকো
শীতে বড্ড কাহিল হয়ে পড়েছি, ওম নেব তোমার বুকে।
হিটারের গরমেই যেন মাঝে মাঝে একটু যেন বেশি উষ্ণ হয়ে পড়ে কামরা
বাইরে শীতার্ত রাত কুয়াশার অন্ধকারে ঘেরা
ঘরে বসে আর্ট ফিল্ম দেখা সাহেব ঘেমে ওঠেন
আর্ট ফিল্মের আর্টিষ্টিক স্টাইলে গলা ফাটানো চিৎকার-
ওই বান্দির ঝি!!
কই গেলি?
হিটারটা বন্ধ কইরা দিয়া যা।
সাহেব এখন ফিল্মের দুনিয়ায়
হাত বাড়িয়ে পাশের হিটার বন্ধ করতে কি মন চায়?
বেগম সাহেবা গলা মেলায়...
ওই সকিনা, ওই বান্দির ঝি, কই গেলি?
হিটারটা বন্ধ কইরা দিয়া যা
সাবের গরম লাগতেছে শুনছ না?
রান্নাঘরের শীতল মেঝেতে পাটি পেতে শুয়ে আছে
শীতে কাঁপতে থাকা সকিনা
কম্বল জোটে নি তার সাহেব বাড়িতে.........
ধীরে পায়ে ঘরে ঢোকে বান্দির ঝি সকিনা
হিটার বন্ধ করে বেগম সাহেবার দিকে করুণ দৃষ্টি মেলে
খুব মৃদু স্বরে বলে......
আম্মাগো বড় জার করে
একটা কম্বল দিবেন আম্মা!!!!
মানুষ আমরা, মনুষ্যত্ব কোথায়?
বিবেক কি কখনো কড়া নাড়ে দরজায়?
শনিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১২
লোভ-লিপ্সা
লোভ-লিপ্সা
- যাযাবর জীবন
হা করা জিহ্বা বেরিয়ে আছে
আলজিব দেখা গেলে ক্ষতি কি?
লোভের দাস তো মানুষই হয়
রিপুর পুজোতে টাকার পাহাড়, ক্ষতি কি?
বিবেকগুলো পড়ে আছে বাক্সবন্দী
টাকার নেশায় ছুটছে সবাই
লোভ লালসার মাথা ফাটিয়ে
পকেট করছে ভারী
রাশি রাশি টাকা কড়ি।
বিধবা এক ছিল গাঁয়েতে
ভিটেমাটি আঁকড়ে স্বামীর ভিটেতে
পেল না বাঁচতে মোড়লের হাত থেকে
লোভেতে বুলায় দাঁড়ি
লাঠিয়াল বাহিনীর আঘাতে আঘাতে
দুধের শিশুকে বুকেতে জড়িয়ে
পালিয়ে দিল শহরে পাড়ি;
বিধবার ভিটেতে বাইজী নাচিয়ে
মোড়ল বুলালো দাঁড়ি
জয় হো...... লিপ্সা
পকেট হচ্ছে ভারী
সম্পত্তির পাহাড় আর
রাশি রাশি টাকা কড়ি।
লোভের আগুনে পুড়ছে বিবেক
কাড়ি কাড়ি টাকা, সম্পত্তি অনেক
সহবাস টাকার সাথে
বসবাস সম্পত্তির পাহাড়েতে
পিছ পা হয়না ছুঁড়ি বেধাতে
পর কিংবা আপনার পিঠেতে
লুটে নিতে সব ধন রাশি
জয় হো...... লিপ্সা
পকেট হচ্ছে ভারী
সম্পত্তির পাহাড় আর
রাশি রাশি টাকা কড়ি।
কাফনে বাঁধা শরীরটা পড়ে আছে
সাড়ে তিন হাত মাটি ডাকছে
কিছুই তো সাথে নিতে পারলি নারে হতভাগা
পকেট বিহীন সাদা কাফন কাঁদে একা একা।
- যাযাবর জীবন
হা করা জিহ্বা বেরিয়ে আছে
আলজিব দেখা গেলে ক্ষতি কি?
লোভের দাস তো মানুষই হয়
রিপুর পুজোতে টাকার পাহাড়, ক্ষতি কি?
বিবেকগুলো পড়ে আছে বাক্সবন্দী
টাকার নেশায় ছুটছে সবাই
লোভ লালসার মাথা ফাটিয়ে
পকেট করছে ভারী
রাশি রাশি টাকা কড়ি।
বিধবা এক ছিল গাঁয়েতে
ভিটেমাটি আঁকড়ে স্বামীর ভিটেতে
পেল না বাঁচতে মোড়লের হাত থেকে
লোভেতে বুলায় দাঁড়ি
লাঠিয়াল বাহিনীর আঘাতে আঘাতে
দুধের শিশুকে বুকেতে জড়িয়ে
পালিয়ে দিল শহরে পাড়ি;
বিধবার ভিটেতে বাইজী নাচিয়ে
মোড়ল বুলালো দাঁড়ি
জয় হো...... লিপ্সা
পকেট হচ্ছে ভারী
সম্পত্তির পাহাড় আর
রাশি রাশি টাকা কড়ি।
লোভের আগুনে পুড়ছে বিবেক
কাড়ি কাড়ি টাকা, সম্পত্তি অনেক
সহবাস টাকার সাথে
বসবাস সম্পত্তির পাহাড়েতে
পিছ পা হয়না ছুঁড়ি বেধাতে
পর কিংবা আপনার পিঠেতে
লুটে নিতে সব ধন রাশি
জয় হো...... লিপ্সা
পকেট হচ্ছে ভারী
সম্পত্তির পাহাড় আর
রাশি রাশি টাকা কড়ি।
কাফনে বাঁধা শরীরটা পড়ে আছে
সাড়ে তিন হাত মাটি ডাকছে
কিছুই তো সাথে নিতে পারলি নারে হতভাগা
পকেট বিহীন সাদা কাফন কাঁদে একা একা।
শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১২
মেঘের পরে সূর্য হাসে
মেঘের পরে সূর্য হাসে
- যাযাবর জীবন
প্রতিদিন আকাশ কালো হয়ে মেঘ জমবে
প্রতিদিন মনের আকাশে বৃষ্টি ঝরবে
প্রতিদিন দাবানলে পুড়ে ছারখার বনাঞ্চল
প্রতিদিন দহনে পুড়ে হৃদয় অনল
প্রতিদিন ঝড় ঝঞ্ঝা বয়ে যাবে পৃথিবীর বুক জুড়ে
প্রতিদিন আলোড়িত হয়ে যাব মনের ঘরে উথাল ঝড়ে
প্রতিদিন পথ হারাবে পথের বাঁকে যেয়ে
প্রতিদিনই প্রতীক্ষার আগুনে জ্বলা পথ চেয়ে
এমন তো কোন কথা হতে পারে না।
মেঘ কেটে যায় সূর্য ওঠে
পুড়ে খাটি হয় সোনা
ঝড়ের পরে শান্ত সবই
শেষ হয় অপেক্ষার পথ গোনা;
নতুন জীবনের আশা করতে হবে না
নতুন ভাবে সব শুরু করা যাবে না
এমন তো কোন কথা নেই।
- যাযাবর জীবন
প্রতিদিন আকাশ কালো হয়ে মেঘ জমবে
প্রতিদিন মনের আকাশে বৃষ্টি ঝরবে
প্রতিদিন দাবানলে পুড়ে ছারখার বনাঞ্চল
প্রতিদিন দহনে পুড়ে হৃদয় অনল
প্রতিদিন ঝড় ঝঞ্ঝা বয়ে যাবে পৃথিবীর বুক জুড়ে
প্রতিদিন আলোড়িত হয়ে যাব মনের ঘরে উথাল ঝড়ে
প্রতিদিন পথ হারাবে পথের বাঁকে যেয়ে
প্রতিদিনই প্রতীক্ষার আগুনে জ্বলা পথ চেয়ে
এমন তো কোন কথা হতে পারে না।
মেঘ কেটে যায় সূর্য ওঠে
পুড়ে খাটি হয় সোনা
ঝড়ের পরে শান্ত সবই
শেষ হয় অপেক্ষার পথ গোনা;
নতুন জীবনের আশা করতে হবে না
নতুন ভাবে সব শুরু করা যাবে না
এমন তো কোন কথা নেই।
মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর, ২০১২
ব্যঞ্জন জীবন
ব্যঞ্জন জীবন
- যাযাবর জীবন
কক্ষচ্যুত জীবনের ছিল না কোন লক্ষ্য, বুঝিনি আগে
ক্ষয়িষ্ণু মানবতার মাঝে হারিয়ে ফেলেছি নিজেকে
গ-সাগু লসাগু অঙ্ক কষিনি কখনো জীবনের
ঘাম ঝরানো জীবনের ঘানি টেনে গেছি কলুর বলদের
ঙ আমায় করেছে কাঙাল, বোধোদয় এই শেষ বেলায়।
চতুরস্র কক্ষে আবদ্ধ জীবন গলা চেপে ধরত আমায়
ছকে বাঁধা জীবন থেকে ছিটকে গিয়েছিলাম তাই তো হায়
জগৎসংসার থেকে বিচ্ছিন্ন দিনাতিপাত বড্ড বেশি ঝুঝে ঝুঝে
ঝড়ের ঝাপটা সব সয়ে গেছি একাকী মুখ বুজে
ঞ’র কুজ পিঠে করে সয়ে গেছি সব ঝঞ্ঝা।
টাকা পয়সা গাড়ি বাড়ির অনেক বড় স্থান জীবনে
ঠকিয়েছে চারিধারে মানুষগুলো পদে পদে, বুঝিনিকো আগে
ডাকাতিয়া কোন এক বাঁশীর সুরে ঘর ছেড়ে বেড়িয়েছিলাম
ঢাকের বাঁয়া গলে করে পথে পথে ঘুরেছিলাম
ণত্ব বিধির ণিচ্ কাজগুলো মনেতে জাগাতো সঙ্কা।
তঞ্চকতা সয়ে গেছি ভেবে, যদি হয় উপকার কাছের লোকের
থতমত খেয়েছি অনেক, হয়ে বলির পাঠা ফলস্রুতিতে মানুষের
দক্ষিণায়নান্তবৃত্ত ঘুরে বেড়িয়েছি মানুষের সন্ধানে
ধকল সকল কাঁধে বয়ে জীবনের, ধন্যা এই পৃথিবীতে
নৈর্ব্যক্তিক নিরাশায় ছাওয়া বেদনাবিধুর অনুভূতিতে।
পাছে লোকে কত কথা বলে গেছে মোরে
ফানুশ উড়িয়েছি সেসব পেছনের কথাগুলোরে
বক্রোক্তির সব বঁইচির অম্ল স্বাদ খেয়েছি মধুর ভেবে
ভক্তবিটেল মানুষজন সব ভক্তবৎসল রূপে ছিল ঘিরে
মুখেতে মধু আর হৃদয়ে বিষের পেয়ালা মনেতে ধরে।
যাযাবর হতে চাইনি তবু জীবন করেছে যাযাবর মোরে
রঙ আর রূপ অনেক দেখেছি মানুষের ভেতর বাহির জুরে
লাভ-লোকশানের চুল চেরা বিশ্লেষণে আমার খাতা শূন্য
শূন্য খাতায় পাপের বোঝা মাথা পেতে নিয়ে হয়েছি ধন্য
ষটষষ্ঠী পর্যন্ত বেঁচে থাকার আমার খায়েশ নেই কোনো।
সংকীর্ণতায় ছেয়ে থাকা সং সাজা কিছু মানুষরূপী সংকর
হাসি খেলায় কাটিয়ে দিচ্ছে অবহেলায় জীবন ভর
ড় এর ওপর র উঠে যায় কামড়া কামড়ি করে
ঢ়ূড় বাস্তবে তারাই সফল টাকা পয়সার মূল্যে
য়’রা পড়ে র‘য়’ যাযাবরের মত বিফল মানুষ হ‘য়ে’
ৎ কুপোকা‘ৎ’ তাদের তৎসম জীবনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে
ং এর কংশ মামারা ওপরের মানুষগুলোর অংশ হয়
ঃ তে দুঃখ বেদনা যাযাবররা সারা জীবন ধরে সয়
“ঁ” চঁন্দ্রবিন্দু তাদের জীবনে অমাবস্যা হয়ে রয়।
- যাযাবর জীবন
কক্ষচ্যুত জীবনের ছিল না কোন লক্ষ্য, বুঝিনি আগে
ক্ষয়িষ্ণু মানবতার মাঝে হারিয়ে ফেলেছি নিজেকে
গ-সাগু লসাগু অঙ্ক কষিনি কখনো জীবনের
ঘাম ঝরানো জীবনের ঘানি টেনে গেছি কলুর বলদের
ঙ আমায় করেছে কাঙাল, বোধোদয় এই শেষ বেলায়।
চতুরস্র কক্ষে আবদ্ধ জীবন গলা চেপে ধরত আমায়
ছকে বাঁধা জীবন থেকে ছিটকে গিয়েছিলাম তাই তো হায়
জগৎসংসার থেকে বিচ্ছিন্ন দিনাতিপাত বড্ড বেশি ঝুঝে ঝুঝে
ঝড়ের ঝাপটা সব সয়ে গেছি একাকী মুখ বুজে
ঞ’র কুজ পিঠে করে সয়ে গেছি সব ঝঞ্ঝা।
টাকা পয়সা গাড়ি বাড়ির অনেক বড় স্থান জীবনে
ঠকিয়েছে চারিধারে মানুষগুলো পদে পদে, বুঝিনিকো আগে
ডাকাতিয়া কোন এক বাঁশীর সুরে ঘর ছেড়ে বেড়িয়েছিলাম
ঢাকের বাঁয়া গলে করে পথে পথে ঘুরেছিলাম
ণত্ব বিধির ণিচ্ কাজগুলো মনেতে জাগাতো সঙ্কা।
তঞ্চকতা সয়ে গেছি ভেবে, যদি হয় উপকার কাছের লোকের
থতমত খেয়েছি অনেক, হয়ে বলির পাঠা ফলস্রুতিতে মানুষের
দক্ষিণায়নান্তবৃত্ত ঘুরে বেড়িয়েছি মানুষের সন্ধানে
ধকল সকল কাঁধে বয়ে জীবনের, ধন্যা এই পৃথিবীতে
নৈর্ব্যক্তিক নিরাশায় ছাওয়া বেদনাবিধুর অনুভূতিতে।
পাছে লোকে কত কথা বলে গেছে মোরে
ফানুশ উড়িয়েছি সেসব পেছনের কথাগুলোরে
বক্রোক্তির সব বঁইচির অম্ল স্বাদ খেয়েছি মধুর ভেবে
ভক্তবিটেল মানুষজন সব ভক্তবৎসল রূপে ছিল ঘিরে
মুখেতে মধু আর হৃদয়ে বিষের পেয়ালা মনেতে ধরে।
যাযাবর হতে চাইনি তবু জীবন করেছে যাযাবর মোরে
রঙ আর রূপ অনেক দেখেছি মানুষের ভেতর বাহির জুরে
লাভ-লোকশানের চুল চেরা বিশ্লেষণে আমার খাতা শূন্য
শূন্য খাতায় পাপের বোঝা মাথা পেতে নিয়ে হয়েছি ধন্য
ষটষষ্ঠী পর্যন্ত বেঁচে থাকার আমার খায়েশ নেই কোনো।
সংকীর্ণতায় ছেয়ে থাকা সং সাজা কিছু মানুষরূপী সংকর
হাসি খেলায় কাটিয়ে দিচ্ছে অবহেলায় জীবন ভর
ড় এর ওপর র উঠে যায় কামড়া কামড়ি করে
ঢ়ূড় বাস্তবে তারাই সফল টাকা পয়সার মূল্যে
য়’রা পড়ে র‘য়’ যাযাবরের মত বিফল মানুষ হ‘য়ে’
ৎ কুপোকা‘ৎ’ তাদের তৎসম জীবনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে
ং এর কংশ মামারা ওপরের মানুষগুলোর অংশ হয়
ঃ তে দুঃখ বেদনা যাযাবররা সারা জীবন ধরে সয়
“ঁ” চঁন্দ্রবিন্দু তাদের জীবনে অমাবস্যা হয়ে রয়।
অণুকথন – ৫
অণুকথন – ৫
- যাযাবর জীবন
বোধোদয়:
দেখাটা ব্যক্তি নির্ভর বোঝাটা নিজের
শোনাটা কানের শেখাটা কাজের
চিলে কান নিলো শুনে কান হাতানো
দৌড়ে চিলের পিছে নিজের কাজ পেছানো।
ভুল:
ঝরে বৃষ্টির জল সাথে কান্না
দেখতে কি পাও?
ভাঙ্গে নদী পাড় সাথে হৃদয়
শব্দ কি পাও?
তবে অমাবস্যার আঁধারে
কেন জ্যোৎস্না খুঁজতে যাও?
স্বার্থপরতা:
স্বার্থপর সকলেই আমরা
কম আর বেশী
টাকার মূল্যে স্বার্থের পাল্লা
কম বেশী থাকে ঝুঁকি
পাল্লার ফাঁক বোঝা যায় মানুষ ভেদে
জীবনের ফাঁক! মানসিকতা আর অনুভবে।
পরিণতি:
প্রেমের সাথে রক্তের কিছু স্বাদ মিলেমিশে রয়
ক্ষরণে কিংবা চোখের জলে
বিচ্ছেদের মালায় গাঁথা প্রেম কাহিনীর বড্ড করুণ পরিণয়
স্মৃতিগুলো জেগে থাকে বিস্মৃতির অতলে;
মনের চোরাবালিতে ডুবন্ত সব অপূর্ণ প্রেমের পরিণয়
হৃদয় চেরা ক্ষরণগুলোতে পুরনো স্মৃতি কথা কয়
ভাবনার ভেলায় ভেসে ভেসে কবিতার রূপ লয়
নোনতা স্বাদে রক্ত ঝরে তবু ভালোবাসা কথা কয়।
- যাযাবর জীবন
বোধোদয়:
দেখাটা ব্যক্তি নির্ভর বোঝাটা নিজের
শোনাটা কানের শেখাটা কাজের
চিলে কান নিলো শুনে কান হাতানো
দৌড়ে চিলের পিছে নিজের কাজ পেছানো।
ভুল:
ঝরে বৃষ্টির জল সাথে কান্না
দেখতে কি পাও?
ভাঙ্গে নদী পাড় সাথে হৃদয়
শব্দ কি পাও?
তবে অমাবস্যার আঁধারে
কেন জ্যোৎস্না খুঁজতে যাও?
স্বার্থপরতা:
স্বার্থপর সকলেই আমরা
কম আর বেশী
টাকার মূল্যে স্বার্থের পাল্লা
কম বেশী থাকে ঝুঁকি
পাল্লার ফাঁক বোঝা যায় মানুষ ভেদে
জীবনের ফাঁক! মানসিকতা আর অনুভবে।
পরিণতি:
প্রেমের সাথে রক্তের কিছু স্বাদ মিলেমিশে রয়
ক্ষরণে কিংবা চোখের জলে
বিচ্ছেদের মালায় গাঁথা প্রেম কাহিনীর বড্ড করুণ পরিণয়
স্মৃতিগুলো জেগে থাকে বিস্মৃতির অতলে;
মনের চোরাবালিতে ডুবন্ত সব অপূর্ণ প্রেমের পরিণয়
হৃদয় চেরা ক্ষরণগুলোতে পুরনো স্মৃতি কথা কয়
ভাবনার ভেলায় ভেসে ভেসে কবিতার রূপ লয়
নোনতা স্বাদে রক্ত ঝরে তবু ভালোবাসা কথা কয়।
রবিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১২
ইচ্ছে খেলা
ইচ্ছে খেলা
- যাযাবর জীবন
ইচ্ছে মতন যখন তখন
কাছে টেনে দূরে ঠেলা
ইচ্ছে হলেই যখন তখন
হৃদয় টেনে উপড়ে ফেলা।
ইচ্ছে খাতায় যখন তখন
তোর কলমে আঁকিঝুঁকি
ইচ্ছে হলেই যখন তখন
মনটা নিয়ে ছুঁড়ে ফেলা।
ইচ্ছে খেলায় ক্লান্ত আমি
যখন তখন কাছে টানা
ভালোবাসার ইচ্ছে খেলায়
কান্না ঝরে কেও বোঝেনা।
- যাযাবর জীবন
ইচ্ছে মতন যখন তখন
কাছে টেনে দূরে ঠেলা
ইচ্ছে হলেই যখন তখন
হৃদয় টেনে উপড়ে ফেলা।
ইচ্ছে খাতায় যখন তখন
তোর কলমে আঁকিঝুঁকি
ইচ্ছে হলেই যখন তখন
মনটা নিয়ে ছুঁড়ে ফেলা।
ইচ্ছে খেলায় ক্লান্ত আমি
যখন তখন কাছে টানা
ভালোবাসার ইচ্ছে খেলায়
কান্না ঝরে কেও বোঝেনা।
জীবন ঘড়ি
জীবন ঘড়ি
- যাযাবর জীবন
টিক টিক টিক টিক টিক টিক
এগিয়ে যাচ্ছে সময়, ঘোড়ার রেসে
সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টা, দিন, মাস, বছর
কেটে যাচ্ছে সময় চোখের পলকে।
ঢিপ ঢিপ ঢিপ ঢিপ ঢিপ ঢিপ
হারিয়ে যাচ্ছে সময়, জীবন থেকে
হৃদয়ের ধুকপুক শব্দ ধুঁকে ধুঁকে স্তিমিত
আমি পথ চেয়ে নিঃশব্দ হয়ে যেতে।
সময়কে ধরে রাখা যায় না, টিক টিক বয়ে চলে
সময়ের সাথে সাথে
মৃত্যুকে বাঁধ দেয়া যায় না, গড়িয়ে পড়ে জীবন থেকে
সময়ের সাথে সাথে।
- যাযাবর জীবন
টিক টিক টিক টিক টিক টিক
এগিয়ে যাচ্ছে সময়, ঘোড়ার রেসে
সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টা, দিন, মাস, বছর
কেটে যাচ্ছে সময় চোখের পলকে।
ঢিপ ঢিপ ঢিপ ঢিপ ঢিপ ঢিপ
হারিয়ে যাচ্ছে সময়, জীবন থেকে
হৃদয়ের ধুকপুক শব্দ ধুঁকে ধুঁকে স্তিমিত
আমি পথ চেয়ে নিঃশব্দ হয়ে যেতে।
সময়কে ধরে রাখা যায় না, টিক টিক বয়ে চলে
সময়ের সাথে সাথে
মৃত্যুকে বাঁধ দেয়া যায় না, গড়িয়ে পড়ে জীবন থেকে
সময়ের সাথে সাথে।
মন ভালো নেই
মন ভালো নেই
- যাযাবর জীবন
চাঁদ খেলা করে মেঘের লুকোচুরিতে
বিষাদ ছুঁয়ে থাকে অন্ধকার ঘিরে
তারা কথা কয় নিহারিকার সনে
আমি পড়ে আছি তিমির অন্ধকারে
মন ভালো নেই
আজ মন ভালো নেই
শুধু তুই নেই বলে।
আলোর খেলা অন্ধকারে্
জোনাক জ্বলা রাতের ভিরে
চাঁদের কথা মেঘের সনে
আমি একা অন্ধকারে
মন ভালো নেই
আজ মন ভালো নেই
শুধু তুই নেই বলে।
বিষণ্ণতা আকাশ ছোয়া
মনে মনে তোরে চাওয়া
একা একা কথা বলা তোরই সনে
আমি একা অন্ধকারে
মন ভালো নেই
আজ মন ভালো নেই
শুধু তুই নেই বলে।
বৃষ্টি ঝড়া রাতের শেষে
হাত বাড়িয়ে তোকেই খুঁজে
ভাবনাগুলো কান্না ঝড়ায়
বৃষ্টি জলে চোখ ধুয়ে যায়
মন ভালো নেই
আজ মন ভালো নেই
শুধু তুই নেই বলে।
মনের ভেতর কান্না ছায়ে
তোর কথাটি মনে হলে
অপেক্ষারই প্রহর কাটে
একা পড়ে অন্ধকারে
মন ভালো নেই
আজ মন ভালো নেই
শুধু তুই নেই বলে।
- যাযাবর জীবন
চাঁদ খেলা করে মেঘের লুকোচুরিতে
বিষাদ ছুঁয়ে থাকে অন্ধকার ঘিরে
তারা কথা কয় নিহারিকার সনে
আমি পড়ে আছি তিমির অন্ধকারে
মন ভালো নেই
আজ মন ভালো নেই
শুধু তুই নেই বলে।
আলোর খেলা অন্ধকারে্
জোনাক জ্বলা রাতের ভিরে
চাঁদের কথা মেঘের সনে
আমি একা অন্ধকারে
মন ভালো নেই
আজ মন ভালো নেই
শুধু তুই নেই বলে।
বিষণ্ণতা আকাশ ছোয়া
মনে মনে তোরে চাওয়া
একা একা কথা বলা তোরই সনে
আমি একা অন্ধকারে
মন ভালো নেই
আজ মন ভালো নেই
শুধু তুই নেই বলে।
বৃষ্টি ঝড়া রাতের শেষে
হাত বাড়িয়ে তোকেই খুঁজে
ভাবনাগুলো কান্না ঝড়ায়
বৃষ্টি জলে চোখ ধুয়ে যায়
মন ভালো নেই
আজ মন ভালো নেই
শুধু তুই নেই বলে।
মনের ভেতর কান্না ছায়ে
তোর কথাটি মনে হলে
অপেক্ষারই প্রহর কাটে
একা পড়ে অন্ধকারে
মন ভালো নেই
আজ মন ভালো নেই
শুধু তুই নেই বলে।
শনিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১২
অণুকথন – 8
অণুকথন – 8
- যাযাবর জীবন
একাকীত্ব:
হাজারো মানুষের ভীরে
বড্ড বেশি একা হয়ে যাই
তোর কথা মনে এলে;
হাজারো স্বপ্নগুলোকে
বড্ড সাদাকালো লাগে
তুই নেই বলে।
অস্তিত্বে তুই:
প্রতিদিন প্রতিক্ষণ কেন আসিস ভাবনায়?
প্রতিদিনের প্রতিটি প্রহর কেন তোরই কথা পড়ে মনে?
তোকে না পাওয়ার দহন
দুপুর রোদের বালু-ভাজা রবির কিরণ
জ্যোৎস্নার কোমল অনুভূতিতে
কোথাও তুই নেই।
অনুভূতি:
মনের বাস কোথায়
কিংবা হৃদয়ের
তোর জন্য এমন লাগে কেন?
এরে কি ভালোবাসা বলে?
চেনা অচেনা:
প্রেমের শুরুতে অনেক মজা লাগে
খটমট শুরু হলে ভালোবাসা ভাগে
মানুষ বড়ই স্বার্থপর প্রাণী
নিজেকে আমরা কতটুকু জানি?
ধামাচাপা:
নষ্ট মনেতে প্রেমের হাট
কষ্টে হৃদয়ে বিশাল ফাঁক
ছেড়া শব্দমালায় গেঁথে যাই
নষ্ট প্রেমের শব্দ বুনন;
নষ্ট হৃদয়ের ফাঁক ঢাকতে
ছেড়া প্রেমের সুতো পড়িয়ে
মনের জংপড়া সুঁই এ
সেলাই করি কবিতা কথন।
- যাযাবর জীবন
একাকীত্ব:
হাজারো মানুষের ভীরে
বড্ড বেশি একা হয়ে যাই
তোর কথা মনে এলে;
হাজারো স্বপ্নগুলোকে
বড্ড সাদাকালো লাগে
তুই নেই বলে।
অস্তিত্বে তুই:
প্রতিদিন প্রতিক্ষণ কেন আসিস ভাবনায়?
প্রতিদিনের প্রতিটি প্রহর কেন তোরই কথা পড়ে মনে?
তোকে না পাওয়ার দহন
দুপুর রোদের বালু-ভাজা রবির কিরণ
জ্যোৎস্নার কোমল অনুভূতিতে
কোথাও তুই নেই।
অনুভূতি:
মনের বাস কোথায়
কিংবা হৃদয়ের
তোর জন্য এমন লাগে কেন?
এরে কি ভালোবাসা বলে?
চেনা অচেনা:
প্রেমের শুরুতে অনেক মজা লাগে
খটমট শুরু হলে ভালোবাসা ভাগে
মানুষ বড়ই স্বার্থপর প্রাণী
নিজেকে আমরা কতটুকু জানি?
ধামাচাপা:
নষ্ট মনেতে প্রেমের হাট
কষ্টে হৃদয়ে বিশাল ফাঁক
ছেড়া শব্দমালায় গেঁথে যাই
নষ্ট প্রেমের শব্দ বুনন;
নষ্ট হৃদয়ের ফাঁক ঢাকতে
ছেড়া প্রেমের সুতো পড়িয়ে
মনের জংপড়া সুঁই এ
সেলাই করি কবিতা কথন।
শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১২
স্বরবর্ণ জীবন
স্বরবর্ণ জীবন
- যাযাবর জীবন
অকর্মার ধাড়ি এক বোহেমিয়ান মন
আগড়ম-বাগড়ম বকে সারাক্ষণ
ইশারা ইঙ্গিত বোঝে না কেও তার
ঈপ্সা হীন এক জীবন করছে পার
উড়ু উড়ু করে তার উচাটন মন
ঊর্ধ্বচারী জীবনে শুধুই পতন
ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে সারাক্ষণ
এক পা এগোতে গিয়ে দুই পা পেছন
ঐকল্য ঘিরে থাকে জুড়ে সারা মন
ওজুহাতের বেড়াজালে শুধু পলায়ন
ঔপমিক বোহেমিয়ান যাযাবর জীবন।
- যাযাবর জীবন
অকর্মার ধাড়ি এক বোহেমিয়ান মন
আগড়ম-বাগড়ম বকে সারাক্ষণ
ইশারা ইঙ্গিত বোঝে না কেও তার
ঈপ্সা হীন এক জীবন করছে পার
উড়ু উড়ু করে তার উচাটন মন
ঊর্ধ্বচারী জীবনে শুধুই পতন
ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে সারাক্ষণ
এক পা এগোতে গিয়ে দুই পা পেছন
ঐকল্য ঘিরে থাকে জুড়ে সারা মন
ওজুহাতের বেড়াজালে শুধু পলায়ন
ঔপমিক বোহেমিয়ান যাযাবর জীবন।
বুধবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১২
প্রেমের চন্দ্রবিন্দু পরিসমাপ্তি
প্রেমের চন্দ্রবিন্দু পরিসমাপ্তি
- যাযাবর জীবন
কতদিন হয়ে গেছে
খুঁজি তোরে এখানে ওখানে
গভীর রাতের একাকী অন্ধকারে
ঘুণপোকারা বাসা বেঁধেছে মনে
ঙ মন আমার।
চোখের পলকে রেখেছিলেম তোরে
ছায়া হয়ে ছিলি হৃদয়ে
জীবনের সাথে জড়াজড়ি করে
ঝাপটা বাতাসের মত গেলি হারিয়ে
ঞ’র পিঠে চড়ে।
টুকরো করে আমায়
ঠুকরে গেলি হৃদয়
ডুকরে কাঁদে মন
ঢাকে অন্ধকার
ণত্ব বিধান ভুলে গেছি আজ।
তারাভরা আকাশের ছায়াপথ দেখি
থামাতে পারিনি আমি নিয়তি
ধীর পায়ে সময় দাঁড়ায় থমকে
ধুসর কুয়াশায় চারিধার ঢাকে
না পাওয়ার বেদনাগুলোকে।
পেছনের অনেক স্মৃতিগুলো ছিল
ফুলের সৌরভে ভরা
বিচ্ছিন্ন কেন হয়েছিলি জানা হলো না
ভেতরের ক্ষরণ চোখে দেখা যায় না
মনেতে রয়ে গেছে অনেক যাতনা।
যাবার বেলায় ফিরে চাসনি
রেখে গিয়েছিলি অনেক স্মৃতি
লেখা হয় কবিতায়
শূন্য খাতা ভরে
ষষ্ঠী চন্দ্রিমার রাতে।
সেই সব বেদনারা
হাসে আমার দিকে চেয়ে
ড় এর হুমড়ি
ঢ়ূড় বাস্তবে
য় রয় পড়ে হতাশার ঘোরে
ৎ কুপোকাৎ বেদনার সাগরে
ং তোরই অংশ হয়ে
ঃ আমাদের প্রেমের যতিচিহ্ন টানে
“ঁ” তে পরিসমাপ্তি বিফল প্রেমের।
- যাযাবর জীবন
কতদিন হয়ে গেছে
খুঁজি তোরে এখানে ওখানে
গভীর রাতের একাকী অন্ধকারে
ঘুণপোকারা বাসা বেঁধেছে মনে
ঙ মন আমার।
চোখের পলকে রেখেছিলেম তোরে
ছায়া হয়ে ছিলি হৃদয়ে
জীবনের সাথে জড়াজড়ি করে
ঝাপটা বাতাসের মত গেলি হারিয়ে
ঞ’র পিঠে চড়ে।
টুকরো করে আমায়
ঠুকরে গেলি হৃদয়
ডুকরে কাঁদে মন
ঢাকে অন্ধকার
ণত্ব বিধান ভুলে গেছি আজ।
তারাভরা আকাশের ছায়াপথ দেখি
থামাতে পারিনি আমি নিয়তি
ধীর পায়ে সময় দাঁড়ায় থমকে
ধুসর কুয়াশায় চারিধার ঢাকে
না পাওয়ার বেদনাগুলোকে।
পেছনের অনেক স্মৃতিগুলো ছিল
ফুলের সৌরভে ভরা
বিচ্ছিন্ন কেন হয়েছিলি জানা হলো না
ভেতরের ক্ষরণ চোখে দেখা যায় না
মনেতে রয়ে গেছে অনেক যাতনা।
যাবার বেলায় ফিরে চাসনি
রেখে গিয়েছিলি অনেক স্মৃতি
লেখা হয় কবিতায়
শূন্য খাতা ভরে
ষষ্ঠী চন্দ্রিমার রাতে।
সেই সব বেদনারা
হাসে আমার দিকে চেয়ে
ড় এর হুমড়ি
ঢ়ূড় বাস্তবে
য় রয় পড়ে হতাশার ঘোরে
ৎ কুপোকাৎ বেদনার সাগরে
ং তোরই অংশ হয়ে
ঃ আমাদের প্রেমের যতিচিহ্ন টানে
“ঁ” তে পরিসমাপ্তি বিফল প্রেমের।
মঙ্গলবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১২
ভার্চুয়াল প্রেম
ভার্চুয়াল প্রেম
- যাযাবর জীবন
আজকাল ভালোবাসা যেন তুচ্ছ খেলনা
বড্ড সস্তাদরের চায়না মাল
ছড়িয়ে আছে অলিতে গলিতে, রাস্তা ঘাটে
বাজারে বন্দরে আর ভার্চুয়াল নেটে।
প্রথম দিন বন্ধু হবে? নেটে নতুন পরিচয়
দ্বিতীয় দিনে উম্মা উম্মা
তৃতীয় দিনে স্কাইপি কথা কয়
চতুর্থ থেকে সপ্তম দিনে প্রেম গাঢ় হয়।
তুমি আমার জান পাখি ময়না
তোমারে ছাড়া আমি বাঁচব না......
আরো কত কিছু!!
তারপর......
ভার্চুয়াল শারীরিক প্রেম
একজন ল্যাপটপ কোলে নিয়ে আরেকজন বিছানায়
প্রেম থেকে সাত দিনে রমণ হয়ে যায়
নেটের বদৌলতে
ভার্চুয়াল জগতে
প্রেমের কি নিদারুণ পরিণাম!!!
ভার্চুয়াল প্রেম, হায় কি সুন্দর এক নাম।
বোকা মেয়েগুলা একবারও ভাবে না
এর পরবর্তী পরিণাম
হোঁচট খেয়ে হুশ ফেরে
দেখে নিজের রমণের দৃশ্য
নেটেরই বদৌলতে
ততদিনে প্রেমিক তার পগার পাড়
হতভাগিনী খুঁজে মরে তার ভার্চুয়াল প্রেমিকরে
নেটে কিংবা এখানে ওখানে
পরিণাম কিছু মাদকাসক্তি
কিংবা আত্মহনন
হায় ভার্চুয়াল প্রেম!
প্রতিদিন নতুন নতুন কত যে ঘটনা দেখি
এর থেকে আমাদের মুক্তির উপায় কি?
- যাযাবর জীবন
আজকাল ভালোবাসা যেন তুচ্ছ খেলনা
বড্ড সস্তাদরের চায়না মাল
ছড়িয়ে আছে অলিতে গলিতে, রাস্তা ঘাটে
বাজারে বন্দরে আর ভার্চুয়াল নেটে।
প্রথম দিন বন্ধু হবে? নেটে নতুন পরিচয়
দ্বিতীয় দিনে উম্মা উম্মা
তৃতীয় দিনে স্কাইপি কথা কয়
চতুর্থ থেকে সপ্তম দিনে প্রেম গাঢ় হয়।
তুমি আমার জান পাখি ময়না
তোমারে ছাড়া আমি বাঁচব না......
আরো কত কিছু!!
তারপর......
ভার্চুয়াল শারীরিক প্রেম
একজন ল্যাপটপ কোলে নিয়ে আরেকজন বিছানায়
প্রেম থেকে সাত দিনে রমণ হয়ে যায়
নেটের বদৌলতে
ভার্চুয়াল জগতে
প্রেমের কি নিদারুণ পরিণাম!!!
ভার্চুয়াল প্রেম, হায় কি সুন্দর এক নাম।
বোকা মেয়েগুলা একবারও ভাবে না
এর পরবর্তী পরিণাম
হোঁচট খেয়ে হুশ ফেরে
দেখে নিজের রমণের দৃশ্য
নেটেরই বদৌলতে
ততদিনে প্রেমিক তার পগার পাড়
হতভাগিনী খুঁজে মরে তার ভার্চুয়াল প্রেমিকরে
নেটে কিংবা এখানে ওখানে
পরিণাম কিছু মাদকাসক্তি
কিংবা আত্মহনন
হায় ভার্চুয়াল প্রেম!
প্রতিদিন নতুন নতুন কত যে ঘটনা দেখি
এর থেকে আমাদের মুক্তির উপায় কি?
নিয়তি
নিয়তি
- যাযাবর জীবন
মাআআআ......
আর ভালো লাগে না এ অসহ্য যন্ত্রণা
করুণ চোখে তাকিয়ে থাকে মা
রোগশোকে ভুগে ভুগে ব্যথা বেদনায় ধুঁকে ধুঁকে
বিছানায় পড়ে থাকা ছেলের দিকে চেয়ে;
যন্ত্রণায় কাঁতর ছেলেটি ভাবে......
এভাবে বেঁচে থাকার চেয়ে একবারে মরে যাওয়া অনেক ভালো
কষ্ট কমে নিজের মুক্তি পায় কাছের মানুষগুলো
রোগের কাছে সকল চিকিৎসা কুপোকাত,
নিঃস্ব করে প্রিয়জনকে শেষ সম্বলটুকু কেড়ে নিচ্ছে সব
চিকিৎসা ডাকাত।
তবু মানুষের বেঁচে থাকার কি আপ্রাণ চেষ্টা
তবু প্রিয়জনকে বাঁচিয়ে রাখার প্রতিনিয়ত ধন্য চেষ্টা
ধন্য আমি মানুষ রূপে জন্ম আমার
ধন্য পেয়ে কাছের মানুষগুলোর ছোঁয়া ভালোবাসার
তবু হেরে যায় মানুষগুলো নিয়তির কাছে
ঠাই, সারে তিন হাত মাটির নীচে
সহায় সম্বলহীন প্রিয়জন তবু অশ্রু মালা গাঁথে
প্রিয় মুখটির স্মৃতি মনে করে।
- যাযাবর জীবন
মাআআআ......
আর ভালো লাগে না এ অসহ্য যন্ত্রণা
করুণ চোখে তাকিয়ে থাকে মা
রোগশোকে ভুগে ভুগে ব্যথা বেদনায় ধুঁকে ধুঁকে
বিছানায় পড়ে থাকা ছেলের দিকে চেয়ে;
যন্ত্রণায় কাঁতর ছেলেটি ভাবে......
এভাবে বেঁচে থাকার চেয়ে একবারে মরে যাওয়া অনেক ভালো
কষ্ট কমে নিজের মুক্তি পায় কাছের মানুষগুলো
রোগের কাছে সকল চিকিৎসা কুপোকাত,
নিঃস্ব করে প্রিয়জনকে শেষ সম্বলটুকু কেড়ে নিচ্ছে সব
চিকিৎসা ডাকাত।
তবু মানুষের বেঁচে থাকার কি আপ্রাণ চেষ্টা
তবু প্রিয়জনকে বাঁচিয়ে রাখার প্রতিনিয়ত ধন্য চেষ্টা
ধন্য আমি মানুষ রূপে জন্ম আমার
ধন্য পেয়ে কাছের মানুষগুলোর ছোঁয়া ভালোবাসার
তবু হেরে যায় মানুষগুলো নিয়তির কাছে
ঠাই, সারে তিন হাত মাটির নীচে
সহায় সম্বলহীন প্রিয়জন তবু অশ্রু মালা গাঁথে
প্রিয় মুখটির স্মৃতি মনে করে।
সোমবার, ১২ নভেম্বর, ২০১২
অণুকথন - ৩
অণুকথন - ৩
- যাযাবর জীবন
হৃদয়:
পুরতে হলে আগুন লাগে
মনের মাঝে পোড়ায় কে?
কষ্ট পেতে হৃদয় লাগে
বুকের খাঁচায় নেই যে সে......
ভ্রম:
বাসনা সব নিজের করে পাবার
বেদনা পেয়ে হারাবার
যেদিকে যাই তোকে খুঁজি
যেদিক চাই তোকে দেখি
ভ্রমে বসতি
জীবনের সর্বনাশ।
সীমাবদ্ধতা:
সীমারেখা হয় না ভালোবাসার
অনুভূতি কিংবা আবেগের
ভালোবেসে করি ভুল;
তবু সীমাবদ্ধতা রয়ে যায় সম্পর্কের
মাঝে কিছু অদৃশ্য কাঁটা তারের বাঁধা
আমারই বোঝার ভুল।
প্রবঞ্চনা:
এখানে ওখানে দিনে আর রাতে
এখানে সেখানে মনের ভেতরে
নিজেতে নিজেরে খোঁজা
কিংবা কিছু হৃদয় কথন;
চাঁদেতে বাড়ানো হাত
না পাওয়ার বঞ্চনা
আর প্রাপ্ত সকল প্রবঞ্চনা
অপটু হাতে কবিতা বাঁধন।
উড়িয়ে দিলাম:
ভালোবাসার সব মিছে ছলনা
প্রেমের ভাইরাস সব দূর হয়ে যা;
কুরকুরে হৃদয়ের মুড়মুড়ে যাতনা
ফুরিয়ে যাবার আগে চিবিয়ে খা।
পরিধি:
বৃত্তের বাইরে যেতে পারি নি আজো
মনের ভেতর থেকে পাই বাঁধা
প্রেমের বিড়ম্বনা সর্বনাশা......
তোর ভালোবাসা দিয়ে আঁকা
সীমাবদ্ধ পরিধিতে ঘুরে মরছে
জ্যামিতিক ভালোবাসা.........
- যাযাবর জীবন
হৃদয়:
পুরতে হলে আগুন লাগে
মনের মাঝে পোড়ায় কে?
কষ্ট পেতে হৃদয় লাগে
বুকের খাঁচায় নেই যে সে......
ভ্রম:
বাসনা সব নিজের করে পাবার
বেদনা পেয়ে হারাবার
যেদিকে যাই তোকে খুঁজি
যেদিক চাই তোকে দেখি
ভ্রমে বসতি
জীবনের সর্বনাশ।
সীমাবদ্ধতা:
সীমারেখা হয় না ভালোবাসার
অনুভূতি কিংবা আবেগের
ভালোবেসে করি ভুল;
তবু সীমাবদ্ধতা রয়ে যায় সম্পর্কের
মাঝে কিছু অদৃশ্য কাঁটা তারের বাঁধা
আমারই বোঝার ভুল।
প্রবঞ্চনা:
এখানে ওখানে দিনে আর রাতে
এখানে সেখানে মনের ভেতরে
নিজেতে নিজেরে খোঁজা
কিংবা কিছু হৃদয় কথন;
চাঁদেতে বাড়ানো হাত
না পাওয়ার বঞ্চনা
আর প্রাপ্ত সকল প্রবঞ্চনা
অপটু হাতে কবিতা বাঁধন।
উড়িয়ে দিলাম:
ভালোবাসার সব মিছে ছলনা
প্রেমের ভাইরাস সব দূর হয়ে যা;
কুরকুরে হৃদয়ের মুড়মুড়ে যাতনা
ফুরিয়ে যাবার আগে চিবিয়ে খা।
পরিধি:
বৃত্তের বাইরে যেতে পারি নি আজো
মনের ভেতর থেকে পাই বাঁধা
প্রেমের বিড়ম্বনা সর্বনাশা......
তোর ভালোবাসা দিয়ে আঁকা
সীমাবদ্ধ পরিধিতে ঘুরে মরছে
জ্যামিতিক ভালোবাসা.........
রবিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১২
অণুকথন-২
অণুকথন-২
- যাযাবর জীবন
অনুভব:
প্রতিদিন কিছু নতুন ক্ষত
মলম লাগায় কে?
প্রতিদিন কিছু নতুন বেদনা
আগুন লাগায় যে...............
বিলাস:
দুঃখের বেদনায় পাথর
সুখের যন্ত্রণায় কাতর
দুঃখবিলাস রক্তের ভেতর............
মুক্তোদানা:
ভালোবাসায় অবগাহন
নোনাজলে সিন্ধু-সেচন
প্রেম-সাগরে ডুব দাও
মুঠোভরা কষ্ট-মতি কুড়োও.........
ভালোবাসার নগর:
নৈঃশব্দ্যের নগরীতে অনেক কান্না জমা আছে
গুমরে মরে একা একা
নগরীর পথে ঘাটে
নিস্তব্ধ অহংকারে ভালোবাসা জেগে রয়
শব্দহীন জগতে বেদনারা কথা কয়............
নীল চাদর:
আমার জন্য তোর প্রেম একটুও কমেনি
শুধু ঘৃণাটুকু বেড়ে গেছে
ভালোবাসা ঢেকে আছে ঘৃণার চাদরে.........
- যাযাবর জীবন
অনুভব:
প্রতিদিন কিছু নতুন ক্ষত
মলম লাগায় কে?
প্রতিদিন কিছু নতুন বেদনা
আগুন লাগায় যে...............
বিলাস:
দুঃখের বেদনায় পাথর
সুখের যন্ত্রণায় কাতর
দুঃখবিলাস রক্তের ভেতর............
মুক্তোদানা:
ভালোবাসায় অবগাহন
নোনাজলে সিন্ধু-সেচন
প্রেম-সাগরে ডুব দাও
মুঠোভরা কষ্ট-মতি কুড়োও.........
ভালোবাসার নগর:
নৈঃশব্দ্যের নগরীতে অনেক কান্না জমা আছে
গুমরে মরে একা একা
নগরীর পথে ঘাটে
নিস্তব্ধ অহংকারে ভালোবাসা জেগে রয়
শব্দহীন জগতে বেদনারা কথা কয়............
নীল চাদর:
আমার জন্য তোর প্রেম একটুও কমেনি
শুধু ঘৃণাটুকু বেড়ে গেছে
ভালোবাসা ঢেকে আছে ঘৃণার চাদরে.........
ব্যস্ত সময়
ব্যস্ত সময়
- যাযাবর জীবন
ধুলো জমছে ছাপার বইগুলোতে
পড়ার সময় কই?
হেলায় পড়ে থাকে আলমিরা শয্যায়
মোটা মোটা সব বই।
ব্যস্ত পৃথিবী ব্যস্ত সময়
টাকার মূল্যে সময় বিকোয়
বড় বড় লেখা এখন আর কবিতা ধারা নয়,
অল্প কথায় ভাবের প্রকাশ
লেখার বুননে কাব্য বিকাশ
সারাংশতেই আজকের কবিতা লেখা হয়।
ব্যস্ত জীবনে সময়ের অভাব
কে পড়ে ভাবসম্প্রসারণ?
ছোট দু লাইনে ভাবের প্রকাশ
আজকের কবিতার আধুনিকায়ন।
- যাযাবর জীবন
ধুলো জমছে ছাপার বইগুলোতে
পড়ার সময় কই?
হেলায় পড়ে থাকে আলমিরা শয্যায়
মোটা মোটা সব বই।
ব্যস্ত পৃথিবী ব্যস্ত সময়
টাকার মূল্যে সময় বিকোয়
বড় বড় লেখা এখন আর কবিতা ধারা নয়,
অল্প কথায় ভাবের প্রকাশ
লেখার বুননে কাব্য বিকাশ
সারাংশতেই আজকের কবিতা লেখা হয়।
ব্যস্ত জীবনে সময়ের অভাব
কে পড়ে ভাবসম্প্রসারণ?
ছোট দু লাইনে ভাবের প্রকাশ
আজকের কবিতার আধুনিকায়ন।
শনিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১২
অণুকথন-১
অণুকথন-১
- যাযাবর জীবন
স্বার্থ:
যাপিত জীবন স্বার্থের কালিমায়
কিবা ভাই বোন কিবা বাবা মায়
স্বার্থের কাছে সব নত হয়ে যায়
এমন কেন রে পোড়া জীবন হায়!!!
নোনা জল:
চোখে জল আনতে পেঁয়াজের রস লাগে না
তোর উপেক্ষার তুলনা হয় না.........
কষ্ট:
ঘা খাওয়া মানুষগুলোকে দেখ
রসুনের পিছন সব এক......
যাতনা:
পোড়ানো ছাই উড়িয়ে লাভ নাই
ফুঁ তে জ্বলে না আগুন
পোড়া হৃদয় ধিকি ধিকি জ্বলে
কৃষ্ণচূড়ায় ফাগুন.........
ঘৃণা:
কিছু কথা এসে মাথার পরে বসে
খামচে ধরে মগজের ভেতরে
লেখনীতে প্রসব চায়
ধরলে কলম কাগজ হাতে
কবিতারা সব উড়ে যায়
তোর ঘৃণার যাতনায়............
- যাযাবর জীবন
স্বার্থ:
যাপিত জীবন স্বার্থের কালিমায়
কিবা ভাই বোন কিবা বাবা মায়
স্বার্থের কাছে সব নত হয়ে যায়
এমন কেন রে পোড়া জীবন হায়!!!
নোনা জল:
চোখে জল আনতে পেঁয়াজের রস লাগে না
তোর উপেক্ষার তুলনা হয় না.........
কষ্ট:
ঘা খাওয়া মানুষগুলোকে দেখ
রসুনের পিছন সব এক......
যাতনা:
পোড়ানো ছাই উড়িয়ে লাভ নাই
ফুঁ তে জ্বলে না আগুন
পোড়া হৃদয় ধিকি ধিকি জ্বলে
কৃষ্ণচূড়ায় ফাগুন.........
ঘৃণা:
কিছু কথা এসে মাথার পরে বসে
খামচে ধরে মগজের ভেতরে
লেখনীতে প্রসব চায়
ধরলে কলম কাগজ হাতে
কবিতারা সব উড়ে যায়
তোর ঘৃণার যাতনায়............
শুক্রবার, ৯ নভেম্বর, ২০১২
প্রেমের কথকথা
প্রেমের কথকথা
- যাযাবর জীবন
চোখে চোখে দেখাদেখি সূচনা শৈশবে
মনেতে মনেতে প্রেম একটু যেন কৈশোরে
শরীর চলে আসে প্রেমেতে যৌবনে
শারীরিক ভালোবাসা বিবাহের বন্ধনে;
প্রেমের সমাপ্তি দেহতে ছিল যত মনে
পূর্ণতা আসে যেন কামরিপুর বন্ধনে।
কিছু প্রেম ভালোবাসা কিছু প্রেম ছলনা
কিছু প্রেম শুধুই ভাইরাস কামের বাসনা
কিছু প্রেমে ঘর ভাঙ্গা কিছুতে বেদনা
কিছু প্রেম শুধুই না পাওয়ার যাতনা;
বার্ধক্যের যত প্রেম সবই মনে মনে
স্মৃতির মালা গাঁথে বুড়ো বুড়ি দুজনে।
- যাযাবর জীবন
চোখে চোখে দেখাদেখি সূচনা শৈশবে
মনেতে মনেতে প্রেম একটু যেন কৈশোরে
শরীর চলে আসে প্রেমেতে যৌবনে
শারীরিক ভালোবাসা বিবাহের বন্ধনে;
প্রেমের সমাপ্তি দেহতে ছিল যত মনে
পূর্ণতা আসে যেন কামরিপুর বন্ধনে।
কিছু প্রেম ভালোবাসা কিছু প্রেম ছলনা
কিছু প্রেম শুধুই ভাইরাস কামের বাসনা
কিছু প্রেমে ঘর ভাঙ্গা কিছুতে বেদনা
কিছু প্রেম শুধুই না পাওয়ার যাতনা;
বার্ধক্যের যত প্রেম সবই মনে মনে
স্মৃতির মালা গাঁথে বুড়ো বুড়ি দুজনে।
বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১২
ওড়ানো কবিতারা
ওড়ানো কবিতারা
- যাযাবর জীবন
হাবিজাবি অনেক কথা মাথার পাশে এসে বসে
হাত বুলিয়ে দেয় মগজের ভেতরে নীরবে নিভৃতে
তোর কথা মনে হলে, তোকে ভেবে ভেবে।
কিছু কথা কবিতা হয়ে ভাসে মনের গভীরে
অলস সময় কেটে যায় আনমনে কবিতার টুকরোগুলো ছিঁড়ে ছিঁড়ে
তোর কথা মনে হলে তোকে ভেবে ভেবে।
হারিয়ে গিয়েছিস জীবন থেকে, যাসনি বিস্মৃতির অতলে ডুবে
বইয়ের ভাঁজে শুকনো ফুলের পাপড়িগুলো এখনো পড়ে আছে এখনো
তোর দেয়া
আর ড্রয়ারের ভাজে চা বাগান থেকে নিয়ে আসা একটি কুঁড়ি দুটি পাতা
তোর দেয়া
তোর কথা মনে করিয়ে দিতে প্রতিদিন প্রতিক্ষণ।
সারা রাত ধরে মনের মাঝে কবিতারা কথা বলে মনের মাঝে
কাগজে কলম আঁকি আর স্মৃতিগুলোকে টুকরো টুকরো করে মালা গাঁথি
তোর ভালোবাসা আর ঘৃণাগুলো মিলিয়ে;
নিকষ কালো আঁধার রাতে স্মৃতিরা সব খেলা করে নিউরন কোষে
রয়ে যায় শুধু নির্জনতা আর আমি পড়ে রই একা
রাত শেষ হয় কাক ডাকা ভোরে;
ভোরের সূর্যের সাথে সাথে কবিতার টুকরোগুলোকে দেই
কাকেদের ডানায় বেধে উড়িয়ে
সূর্যের প্রখর কিরণে যদি ঘৃণা গুলো গলে গলে পড়ে।
- যাযাবর জীবন
হাবিজাবি অনেক কথা মাথার পাশে এসে বসে
হাত বুলিয়ে দেয় মগজের ভেতরে নীরবে নিভৃতে
তোর কথা মনে হলে, তোকে ভেবে ভেবে।
কিছু কথা কবিতা হয়ে ভাসে মনের গভীরে
অলস সময় কেটে যায় আনমনে কবিতার টুকরোগুলো ছিঁড়ে ছিঁড়ে
তোর কথা মনে হলে তোকে ভেবে ভেবে।
হারিয়ে গিয়েছিস জীবন থেকে, যাসনি বিস্মৃতির অতলে ডুবে
বইয়ের ভাঁজে শুকনো ফুলের পাপড়িগুলো এখনো পড়ে আছে এখনো
তোর দেয়া
আর ড্রয়ারের ভাজে চা বাগান থেকে নিয়ে আসা একটি কুঁড়ি দুটি পাতা
তোর দেয়া
তোর কথা মনে করিয়ে দিতে প্রতিদিন প্রতিক্ষণ।
সারা রাত ধরে মনের মাঝে কবিতারা কথা বলে মনের মাঝে
কাগজে কলম আঁকি আর স্মৃতিগুলোকে টুকরো টুকরো করে মালা গাঁথি
তোর ভালোবাসা আর ঘৃণাগুলো মিলিয়ে;
নিকষ কালো আঁধার রাতে স্মৃতিরা সব খেলা করে নিউরন কোষে
রয়ে যায় শুধু নির্জনতা আর আমি পড়ে রই একা
রাত শেষ হয় কাক ডাকা ভোরে;
ভোরের সূর্যের সাথে সাথে কবিতার টুকরোগুলোকে দেই
কাকেদের ডানায় বেধে উড়িয়ে
সূর্যের প্রখর কিরণে যদি ঘৃণা গুলো গলে গলে পড়ে।
অহংকার
অহংকার
- যাযাবর জীবন
এত অহংকার কিসের রে তোর
হে মূর্খ মানব............
জীবনের শুরু হয় এক ফোঁটা বীর্যে
সারা জীবন জ্বলে পুরে মরা যাতনার সূর্যে
ধুলি কণা মেখে সারা গায়
ছি! কি নোংরা বলে নাক কুঁচকায়
হায়রে মানুষ !!
মরার পর সেই তো মিশবি আবার ধুলায়
তবে এত অহংকার কিসের রে তোর?
- যাযাবর জীবন
এত অহংকার কিসের রে তোর
হে মূর্খ মানব............
জীবনের শুরু হয় এক ফোঁটা বীর্যে
সারা জীবন জ্বলে পুরে মরা যাতনার সূর্যে
ধুলি কণা মেখে সারা গায়
ছি! কি নোংরা বলে নাক কুঁচকায়
হায়রে মানুষ !!
মরার পর সেই তো মিশবি আবার ধুলায়
তবে এত অহংকার কিসের রে তোর?
বুধবার, ৭ নভেম্বর, ২০১২
রাতের আঁধারে কুকুর জীবন
রাতের আঁধারে কুকুর জীবন
- যাযাবর জীবন
মানুষ হওয়ার অনেক যন্ত্রণা, সব দেখা যায় না সব শোনা হয় না। তবু দেখতে ইচ্ছে করছে রাতের রাজপথ, অলি গলির অন্ধকারের জীবন যাপন। কি করা যায়??? একটা কুকুরের মাঝে যদি ঢুকে যাওয়া যেত প্রেতাত্মা হয়ে কি মজাই না হত!! আচ্ছা একটু কল্পনায় ঢুকেই দেখি না কি হয়? কুকুরের দেহে মানুষের চোখ...
সন্ধ্যে রাত
জিব বের করে হাঁটছি আমি রেললাইনের পাড় ধরে, বস্তির কিনারে। একটি শিশুর কান্নার ধ্বনি ভেসে আসে কুকুরের কানে; মা রে এ এ এ, দুইটা ভাত দে মা। হালকা শোনা যায় মায়ের ফুঁপিয়ে কান্না - বাজান রে, আইজকা ভিক্ষা পাই নাই, চাইল জুডে নাই; সাবেগো ফালাইয়া দেওয়া রুডির টুকরা একটা আনছি, আইজকা এইডা খাইয়া পেট ভইরা পানি খা, ঘুম যা বাজান।
মধ্য রাত
বস্তির কোনার দিকের একটি ঘর - নারী কন্ঠের কিছু অসংলগ্ন ধ্বনি কানে ভেসে আসে, সাথে যেন কুকুরের মত জিহ্বা বের করা হাঁপানোর শব্দ; শরীরের সাথে চলছে শরীরের যুদ্ধ, রমণের আদি শীৎকার ধ্বনি থেমে যায়, কিছু গালাগালি পুরুষ কুকুরটার। নারী কন্ঠের আর্তনাদ - ও সাব......দুইশ টেকা দেওয়ার কতা কইয়া লইয়া আইছেন, অহন কম দিতাছেন কেন? যাহ ছেমরি ভাগ, কুকুরের ঘেউ ডাক ওঠে, বেড়ার দরজা খুলে নত মুখে একটি কিশোরী বের হয়ে আসে, বিধ্বস্ত......... সাথে করে বয়ে নিয়ে কিছু নোংরা বীর্য। হয়তো বীজ বপন হয়েছে আজই আরেকটি অনাগত নতুন সন্তানের, কিশোরীর পেটে। ভদ্র সমাজে দেয়া হবে যার নাম - জারজ সন্তান…………
হাটতে হাটতে গলির মুখে আসি। দু তিনটি কুকুর শুয়ে আছে রাস্তার ধারে, নতুন মুখ দেখে ঘেউ করে ওঠে, যেন তাদের স্থান দখল করতে এসেছি, আমিও যেন ঘেউ করে বলি - ভাইয়েরা আমার, আমি এ পাড়ার নতুন অতিথি, শুধু তোমাদের দেখতে এসেছি; শুনে যেন, বুঝে তারা জাতি ভাইয়ের কথা, আবার চুপ করে শুয়ে থাকে......
গলির মুখে দু তিনটি ছেলে কি জানি নিয়ে হাসাহাসি করছে। একজন প্যান্টের জীপার খোলে, পরম আনন্দে ল্যাম্পপোস্টে জল ঢালে, যেন গাছে পানি দিচ্ছে। সিগারেট ঝোলা মুখে তৃপ্তির হাসি, আহহ..., যেন বড় একটা চাপ গেল……
একটা রিক্সা আসছে। হঠাৎ করেই যেন সাড়া পড়ে গেল তাদের মাঝে, কিছু ফিসফিসানি। ল্যাম্পপোস্টের আলোয় হঠাৎই তাদের হাতে ছুড়ি ঝিক করে ওঠে। বোরখাওয়ালি এক মহিলা সাথে আট দশ বছরের বালক একটি, রাস্তায় শুয়ে থাকা কুকুরগুলো হঠাতই যেন গা ঝাড়া দিয়ে দাঁড়িয়ে ওঠে মানুষরূপী ওই কুকুরগুলোর সাথে সাথে। হা হা করে রিক্সার ওপর চড়াও হয়, দুজনকে টেনে হিঁচড়ে নামায় রিক্সা থেকে; রিক্সাওয়ালা ভয়ে থরথর করে কাঁপে। একজন বোরখায় টান দেয়, এখানে ওখানে হাতরায়, বোনাস যদি কিছু পায় - যৌবন নামক কোন অমৃত। একজন নাক সিটকায়, ধুর শালার বুড়ি একটা জুটছে, কপালডাই খারাপ আইজকা, বলে কালো হাতব্যাগটা ছিনিয়ে নেয়, অবুঝ ছেলেটা বাধা দিতে চায়, ওমনি ছোঁড়া একটা ঝিলিক দিয়ে ওঠে - ছোঁড়া ছেলেটার পেটে ঢোকে, ফিনকি দিয়ে রক্ত ছোটে, ল্যাম্পপোস্ট লাল হয়ে যায় রক্তের ছিটায়......
হৈ হৈ করে ছেলেগুলো দৌড়ে গলির ভেতর ঢুকে যায়। রিক্সাওয়ালা পরম মমতায় ছেলেটিকে কোলে তুলে রিক্সায় ওঠায়, রিক্সা চলতে থাকে; ধীরে ধীরে দৃষ্টিসীমানা থেক অদৃশ্য হয়ে যায়………
কুকুরগুলোর মধ্যে থেকে একটি এগিয়ে যায় ল্যাম্পপোস্টের দিকে, লেগে থাকা তাজা রক্ত জিহ্বায় চাটে; তারপর যেন ঢেকুর তুলে আবার সেখানেই শুয়ে পড়ে।
নাহহ...... কুকুর জীবন আর ভালো লাগছে না, শেষ রাত আর দেখব না। বড় নোংরা এই রাতের শহর; অনেক নোংরামির সাথে হলো পরিচয়, কেন যে দেখতে গেলাম এতসব রাতের আঁধারে? মনটা বড়ই খারাপ হয়ে ওঠে।
শহুরের রাতের অনেক রূপ দেখে ফিরে এসেছি নিজের মাঝে আবার মানুষের রূপে; মনের মাঝে একটা বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন নিয়ে - মানুষ আর মানুষ নামের ওই কুকুরগুলোর মাঝে পার্থক্য কোথায়?
- যাযাবর জীবন
মানুষ হওয়ার অনেক যন্ত্রণা, সব দেখা যায় না সব শোনা হয় না। তবু দেখতে ইচ্ছে করছে রাতের রাজপথ, অলি গলির অন্ধকারের জীবন যাপন। কি করা যায়??? একটা কুকুরের মাঝে যদি ঢুকে যাওয়া যেত প্রেতাত্মা হয়ে কি মজাই না হত!! আচ্ছা একটু কল্পনায় ঢুকেই দেখি না কি হয়? কুকুরের দেহে মানুষের চোখ...
সন্ধ্যে রাত
জিব বের করে হাঁটছি আমি রেললাইনের পাড় ধরে, বস্তির কিনারে। একটি শিশুর কান্নার ধ্বনি ভেসে আসে কুকুরের কানে; মা রে এ এ এ, দুইটা ভাত দে মা। হালকা শোনা যায় মায়ের ফুঁপিয়ে কান্না - বাজান রে, আইজকা ভিক্ষা পাই নাই, চাইল জুডে নাই; সাবেগো ফালাইয়া দেওয়া রুডির টুকরা একটা আনছি, আইজকা এইডা খাইয়া পেট ভইরা পানি খা, ঘুম যা বাজান।
মধ্য রাত
বস্তির কোনার দিকের একটি ঘর - নারী কন্ঠের কিছু অসংলগ্ন ধ্বনি কানে ভেসে আসে, সাথে যেন কুকুরের মত জিহ্বা বের করা হাঁপানোর শব্দ; শরীরের সাথে চলছে শরীরের যুদ্ধ, রমণের আদি শীৎকার ধ্বনি থেমে যায়, কিছু গালাগালি পুরুষ কুকুরটার। নারী কন্ঠের আর্তনাদ - ও সাব......দুইশ টেকা দেওয়ার কতা কইয়া লইয়া আইছেন, অহন কম দিতাছেন কেন? যাহ ছেমরি ভাগ, কুকুরের ঘেউ ডাক ওঠে, বেড়ার দরজা খুলে নত মুখে একটি কিশোরী বের হয়ে আসে, বিধ্বস্ত......... সাথে করে বয়ে নিয়ে কিছু নোংরা বীর্য। হয়তো বীজ বপন হয়েছে আজই আরেকটি অনাগত নতুন সন্তানের, কিশোরীর পেটে। ভদ্র সমাজে দেয়া হবে যার নাম - জারজ সন্তান…………
হাটতে হাটতে গলির মুখে আসি। দু তিনটি কুকুর শুয়ে আছে রাস্তার ধারে, নতুন মুখ দেখে ঘেউ করে ওঠে, যেন তাদের স্থান দখল করতে এসেছি, আমিও যেন ঘেউ করে বলি - ভাইয়েরা আমার, আমি এ পাড়ার নতুন অতিথি, শুধু তোমাদের দেখতে এসেছি; শুনে যেন, বুঝে তারা জাতি ভাইয়ের কথা, আবার চুপ করে শুয়ে থাকে......
গলির মুখে দু তিনটি ছেলে কি জানি নিয়ে হাসাহাসি করছে। একজন প্যান্টের জীপার খোলে, পরম আনন্দে ল্যাম্পপোস্টে জল ঢালে, যেন গাছে পানি দিচ্ছে। সিগারেট ঝোলা মুখে তৃপ্তির হাসি, আহহ..., যেন বড় একটা চাপ গেল……
একটা রিক্সা আসছে। হঠাৎ করেই যেন সাড়া পড়ে গেল তাদের মাঝে, কিছু ফিসফিসানি। ল্যাম্পপোস্টের আলোয় হঠাৎই তাদের হাতে ছুড়ি ঝিক করে ওঠে। বোরখাওয়ালি এক মহিলা সাথে আট দশ বছরের বালক একটি, রাস্তায় শুয়ে থাকা কুকুরগুলো হঠাতই যেন গা ঝাড়া দিয়ে দাঁড়িয়ে ওঠে মানুষরূপী ওই কুকুরগুলোর সাথে সাথে। হা হা করে রিক্সার ওপর চড়াও হয়, দুজনকে টেনে হিঁচড়ে নামায় রিক্সা থেকে; রিক্সাওয়ালা ভয়ে থরথর করে কাঁপে। একজন বোরখায় টান দেয়, এখানে ওখানে হাতরায়, বোনাস যদি কিছু পায় - যৌবন নামক কোন অমৃত। একজন নাক সিটকায়, ধুর শালার বুড়ি একটা জুটছে, কপালডাই খারাপ আইজকা, বলে কালো হাতব্যাগটা ছিনিয়ে নেয়, অবুঝ ছেলেটা বাধা দিতে চায়, ওমনি ছোঁড়া একটা ঝিলিক দিয়ে ওঠে - ছোঁড়া ছেলেটার পেটে ঢোকে, ফিনকি দিয়ে রক্ত ছোটে, ল্যাম্পপোস্ট লাল হয়ে যায় রক্তের ছিটায়......
হৈ হৈ করে ছেলেগুলো দৌড়ে গলির ভেতর ঢুকে যায়। রিক্সাওয়ালা পরম মমতায় ছেলেটিকে কোলে তুলে রিক্সায় ওঠায়, রিক্সা চলতে থাকে; ধীরে ধীরে দৃষ্টিসীমানা থেক অদৃশ্য হয়ে যায়………
কুকুরগুলোর মধ্যে থেকে একটি এগিয়ে যায় ল্যাম্পপোস্টের দিকে, লেগে থাকা তাজা রক্ত জিহ্বায় চাটে; তারপর যেন ঢেকুর তুলে আবার সেখানেই শুয়ে পড়ে।
নাহহ...... কুকুর জীবন আর ভালো লাগছে না, শেষ রাত আর দেখব না। বড় নোংরা এই রাতের শহর; অনেক নোংরামির সাথে হলো পরিচয়, কেন যে দেখতে গেলাম এতসব রাতের আঁধারে? মনটা বড়ই খারাপ হয়ে ওঠে।
শহুরের রাতের অনেক রূপ দেখে ফিরে এসেছি নিজের মাঝে আবার মানুষের রূপে; মনের মাঝে একটা বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন নিয়ে - মানুষ আর মানুষ নামের ওই কুকুরগুলোর মাঝে পার্থক্য কোথায়?
মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর, ২০১২
অভিশপ্ত জীবন
অভিশপ্ত জীবন
- যাযাবর জীবন
ভালোবাসার আশা ছাড়্ তো এবার
এখানে আছে পোড়া হৃদয় একটা
ছাই হয়ে যাওয়া কয়লার অবশেষ
কাঁটা ভরা ক্যাকটাসের ডালের মতন
অসংখ্য আঘাতে ক্ষয়ে যাওয়া
অনুভূতিহীন নিশ্চল পাথর।
ভালোবাসার চুমুর আশা ছাড়্ না এবার
অভিশপ্ত ঠোঁটে আছে শঙ্খচূড়ের নীল বিষ
আবেগের দংশনে পাবি সাপের বিষ দাঁত
কোমল দেহে বুলানো হাতে কেউটের ছোবল
আবেগহীন কিছু প্রেম কামনা
আর রতির নামে প্রেমহীন বাসনা।
আমার অভিশপ্ত জীবন থেকে দূরে সরে যা
অনেক অনেক দূরে গিয়ে নিজেকে বাঁচা।
- যাযাবর জীবন
ভালোবাসার আশা ছাড়্ তো এবার
এখানে আছে পোড়া হৃদয় একটা
ছাই হয়ে যাওয়া কয়লার অবশেষ
কাঁটা ভরা ক্যাকটাসের ডালের মতন
অসংখ্য আঘাতে ক্ষয়ে যাওয়া
অনুভূতিহীন নিশ্চল পাথর।
ভালোবাসার চুমুর আশা ছাড়্ না এবার
অভিশপ্ত ঠোঁটে আছে শঙ্খচূড়ের নীল বিষ
আবেগের দংশনে পাবি সাপের বিষ দাঁত
কোমল দেহে বুলানো হাতে কেউটের ছোবল
আবেগহীন কিছু প্রেম কামনা
আর রতির নামে প্রেমহীন বাসনা।
আমার অভিশপ্ত জীবন থেকে দূরে সরে যা
অনেক অনেক দূরে গিয়ে নিজেকে বাঁচা।
সোমবার, ৫ নভেম্বর, ২০১২
ভুলের খেসারত
ভুলের খেসারত
- যাযাবর জীবন
তোর এলানো চুলে সৌরভ ছিল মাদকময়
আসক্ত হয়ে পড়েছিলাম মনে মনে;
তোর হেলানো দেহ ভরা ছিল মদির সুরায়
তৃষ্ণা বেড়ে যেত পানে;
বিনিময় প্রথায় তুই ও কম যেতিস না
রাক্ষসীনি রূপ তোকে বাইরে যায় না চেনা।
হাড়ের ভেতরের কিছু অস্থি মজ্জা
পাঁজরের হাড়গুলো চিবুতে কি মজা
হৃদয় চুইয়ে পড়া রক্তের ঢল
চুমুকে খেয়ে নিয়ে বেড়েছে বল
গড়িয়ে পড়া সব চোখের জল
তৃষ্ণায় পান করার ঠান্ডা জল
একে একে সব খেয়েছিস চিবিয়ে
গ্লাসে গ্লাসে ভরে নিয়ে তৃষ্ণা মিটিয়ে
তোকে দেবার এখন আর বাকি কি আছে?
তোর নেশায় বুঁদ হয়ে ভুলে গিয়েছিলাম
অতীত বর্তমান আর ভবিষ্যৎ
হারানো বেদনায় তাইতো এখন
হয়ে আছি জীবন্মৃত শব।
- যাযাবর জীবন
তোর এলানো চুলে সৌরভ ছিল মাদকময়
আসক্ত হয়ে পড়েছিলাম মনে মনে;
তোর হেলানো দেহ ভরা ছিল মদির সুরায়
তৃষ্ণা বেড়ে যেত পানে;
বিনিময় প্রথায় তুই ও কম যেতিস না
রাক্ষসীনি রূপ তোকে বাইরে যায় না চেনা।
হাড়ের ভেতরের কিছু অস্থি মজ্জা
পাঁজরের হাড়গুলো চিবুতে কি মজা
হৃদয় চুইয়ে পড়া রক্তের ঢল
চুমুকে খেয়ে নিয়ে বেড়েছে বল
গড়িয়ে পড়া সব চোখের জল
তৃষ্ণায় পান করার ঠান্ডা জল
একে একে সব খেয়েছিস চিবিয়ে
গ্লাসে গ্লাসে ভরে নিয়ে তৃষ্ণা মিটিয়ে
তোকে দেবার এখন আর বাকি কি আছে?
তোর নেশায় বুঁদ হয়ে ভুলে গিয়েছিলাম
অতীত বর্তমান আর ভবিষ্যৎ
হারানো বেদনায় তাইতো এখন
হয়ে আছি জীবন্মৃত শব।
বিকিকিনির হাটে যৌবনের পসরা
বিকিকিনির হাটে যৌবনের পসরা
- যাযাবর জীবন
ওখানে হাট বসে মধ্যরাতে
সীমানা নির্দিষ্ট করা আছে
রাতের গভীরতায় বাড়ে ক্রেতা সমাগম
খুব গোপনে সঙ্গোপনে
বিক্রেতারা সব সুন্দরী ললনা, লাস্যময়ী নারী
তথাকথিত সভ্য সমাজে নাম তাদের
প্রমোদ-বালা কিংবা দেহপসারিনি
পণ্য, উচ্ছল যৌবনের পসরা
ক্রেতা, কামুক কিছু নারী-লিপ্সু পশু
(বলতে মানা) এরাও সভ্যসমাজেরই অংশ কিছু
বিনিময়, অর্থ
জানাজানি হয়ে গেলেই যত অনর্থ।
এখানে খোলা হাট দিনে দুপুরে
এ হাটের স্থান করা হয়নি সীমাবদ্ধ
বড় বড় শপিং মলে
কিংবা অভিজাত কোনো হোটেলের লবি আর রেস্টুরেন্টে
পসরা, ঢলা যৌবনের অতৃপ্ত কামনা
ক্রেতা আর বিক্রেতা লিঙ্গ মানে না
কেও সফল ব্যবসায়ী স্বামী কেও লক্ষ্মী ঘরণী
(বলতে মানা) যে যার বাসাতে
বেচাকেনা ইশারায় ঠারেঠোরে
খুব গোপনে সঙ্গোপনে
বিনিময়, ক্ষণিক আনন্দ
একঘেয়ে পানসে দাম্পত্য জীবন, বড়ই নিরানন্দ।
- যাযাবর জীবন
ওখানে হাট বসে মধ্যরাতে
সীমানা নির্দিষ্ট করা আছে
রাতের গভীরতায় বাড়ে ক্রেতা সমাগম
খুব গোপনে সঙ্গোপনে
বিক্রেতারা সব সুন্দরী ললনা, লাস্যময়ী নারী
তথাকথিত সভ্য সমাজে নাম তাদের
প্রমোদ-বালা কিংবা দেহপসারিনি
পণ্য, উচ্ছল যৌবনের পসরা
ক্রেতা, কামুক কিছু নারী-লিপ্সু পশু
(বলতে মানা) এরাও সভ্যসমাজেরই অংশ কিছু
বিনিময়, অর্থ
জানাজানি হয়ে গেলেই যত অনর্থ।
এখানে খোলা হাট দিনে দুপুরে
এ হাটের স্থান করা হয়নি সীমাবদ্ধ
বড় বড় শপিং মলে
কিংবা অভিজাত কোনো হোটেলের লবি আর রেস্টুরেন্টে
পসরা, ঢলা যৌবনের অতৃপ্ত কামনা
ক্রেতা আর বিক্রেতা লিঙ্গ মানে না
কেও সফল ব্যবসায়ী স্বামী কেও লক্ষ্মী ঘরণী
(বলতে মানা) যে যার বাসাতে
বেচাকেনা ইশারায় ঠারেঠোরে
খুব গোপনে সঙ্গোপনে
বিনিময়, ক্ষণিক আনন্দ
একঘেয়ে পানসে দাম্পত্য জীবন, বড়ই নিরানন্দ।
রবিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১২
মধুর জনপদ
মধুর জনপদ
- যাযাবর জীবন
গভীর রাত
ষ্টেশনে একটা রেলগাড়ি থামে
জুবুথুবু কিছু নতুন মানুষ নামে
নতুন আশা বুকে নিয়ে
শহুরে জীবনের.........
ভোর সকাল
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল
সারি সারি নতুন মুখ
পিপীলিকার মত ঢুকছে শহরে
চর চরান্তর থেকে
নতুন আশা বুকে নিয়ে
শহুরে জীবনের............
ছোট্ট রাজধানী শহর
নিতে পারে না এত সব নতুন মানুষের ভর
ফুলে ফেঁপে বড় হচ্ছে আয়তনে
যেন জোর করে ভরা গ্যাসের বেলুন হয়ে ফুলে
কোন সময় যে ফেটে যাবে কে তা জানে?
তবু প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষ ঢোকে
পিপীলিকার সারি হয়ে
আশা আকাঙ্ক্ষায় বুকে বেঁধে
না জানি কি আছে এই মধুর শহরে!!
হায় নতুন মানুষ
শুধু জানে না তারা
প্রতিদিন মধু খেয়ে যাচ্ছে কত লোভী পিঁপড়ে
শহরকে করে ছিবড়ে
হারিয়ে যাবে একদিন এই মধুর জনপদ
কোটি মানুষের পদদলে।
- যাযাবর জীবন
গভীর রাত
ষ্টেশনে একটা রেলগাড়ি থামে
জুবুথুবু কিছু নতুন মানুষ নামে
নতুন আশা বুকে নিয়ে
শহুরে জীবনের.........
ভোর সকাল
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল
সারি সারি নতুন মুখ
পিপীলিকার মত ঢুকছে শহরে
চর চরান্তর থেকে
নতুন আশা বুকে নিয়ে
শহুরে জীবনের............
ছোট্ট রাজধানী শহর
নিতে পারে না এত সব নতুন মানুষের ভর
ফুলে ফেঁপে বড় হচ্ছে আয়তনে
যেন জোর করে ভরা গ্যাসের বেলুন হয়ে ফুলে
কোন সময় যে ফেটে যাবে কে তা জানে?
তবু প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষ ঢোকে
পিপীলিকার সারি হয়ে
আশা আকাঙ্ক্ষায় বুকে বেঁধে
না জানি কি আছে এই মধুর শহরে!!
হায় নতুন মানুষ
শুধু জানে না তারা
প্রতিদিন মধু খেয়ে যাচ্ছে কত লোভী পিঁপড়ে
শহরকে করে ছিবড়ে
হারিয়ে যাবে একদিন এই মধুর জনপদ
কোটি মানুষের পদদলে।
শনিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১২
অভিশপ্ত প্রেম
অভিশপ্ত প্রেম
- যাযাবর জীবন
প্রেমের জটিলতায় অভিশপ্ত জীবন
শৈশব বা কৈশোরের লুকোচুরি প্রেম
যৌবনে ঝুলে থাকা
অথবা ছাড়াছাড়ি
বিয়েতে গড়ালে মধুচন্দ্রিমা
তারপর যথারীতি
হাড়ি ভাঙা ভাঙি
রিক্সায় দুজন চুপচাপ বসে
চোখ দুজোড়া খোঁজে রাস্তার দুদিকে
চোখাচোখি
দুজনের মুখেই মিচকে হাসি
কদিন পর......
দুজন দু রিক্সায় হুড তুলে ঢাকা
সঙ্গী বা সঙ্গিনী আলাদা আলাদা
নতুন প্রেম, নাম পরকীয়া
প্রেমের জটিলতা অভিশপ্ত জীবন
তবু প্রেম চাই হোক না মরণ......
পার্থক্য
পার্থক্য
- যাযাবর জীবন
পার্থক্য কতটুকু?
দেখে শেখা আর ঠেকে শেখার মাঝে
আঘাতের ঘা খাওয়া আর পুরে যাওয়ার মাঝে
বৃষ্টি আর বেদনার অশ্রুর মাঝে
রংতুলিতে রঙ মাখানো আর রংধনুর সাজে
কবিতা কিংবা কাব্য যাতনার মাঝে
কুয়াশার রোদ আর ধুসর সূর্যাস্তের মাঝে
হিমশীতল বরফ আর তোমার হৃদয়ের মাঝে...
হাজারো প্রশ্ন ???????
উত্তর জানা নেই...............
- যাযাবর জীবন
পার্থক্য কতটুকু?
দেখে শেখা আর ঠেকে শেখার মাঝে
আঘাতের ঘা খাওয়া আর পুরে যাওয়ার মাঝে
বৃষ্টি আর বেদনার অশ্রুর মাঝে
রংতুলিতে রঙ মাখানো আর রংধনুর সাজে
কবিতা কিংবা কাব্য যাতনার মাঝে
কুয়াশার রোদ আর ধুসর সূর্যাস্তের মাঝে
হিমশীতল বরফ আর তোমার হৃদয়ের মাঝে...
হাজারো প্রশ্ন ???????
উত্তর জানা নেই...............
শুক্রবার, ২ নভেম্বর, ২০১২
মানুষ নামের অপভ্রংশ
মানুষ নামের অপভ্রংশ
- যাযাবর জীবন
নীলাকাশ ভালোবাসি আকাশের পানে দেখি
উদার নির্মল আকাশ
অথচ সেও দেয়নি ছাড়
পুড়িয়েছে সূর্যালোকে আমায়;
নদীনালা খাল পুকুর
ডুবে থাকি চৈত্র দুপুর
দেখিয়েছে ভাঙ্গনের খেলা
নদী কতগুলো ;
ভালোবাসি রাতের অন্ধকার
জ্যোৎস্নার আলো
দিন এসে সব করে দিয়ে ছারখার
গুড়ে-বালি আমার রাতের শয্যার;
ভালোবাসি পাহাড়
ভালোবাসি ঘন জঙ্গল আর সবুজের অরণ্য
ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি
জঙ্গলে বলে মঙ্গল
তাই বার বার ছুটে যাই পাহাড়ের পানে
কিংবা মঙ্গলের জঙ্গলে
চোখ জুড়ানোর জন্য
কোথায় পাহাড়?
দাঁড়িয়ে আছে টিলা কতগুলো
যেন আমার মাথার মতই নেড়া;
কোথায় সেই উঁচু উঁচু গাছগুলো ?
সুন্দরী কিংবা সেগুনের বিশাল সব গাছের সারি
জঙ্গলে আর নেড়া পাহাড়ে পড়ে আছে কিছু গাছের গুড়ি
অরণ্যের সবুজ ধুঁকে মরে আজ
পাহাড় আর ভূমি দস্যুর হাতে
অরণ্যের সবুজ লাল মাটি হয়ে
পাহাড় ধ্বসে অবশেষে;
প্রকৃতির যত রঙ রূপ গন্ধ
দিবাকে রাত্রি করেছে অন্ধ
দিয়েছে আমারে ফাঁকি;
বোকার স্বর্গে বাস ছিল চিরদিনই
তাই হয়তো ছিল মানুষে অগাধ বিশ্বাস
ঠকেছি অনেক আমি
তবু বার বার আমি প্রকৃতি হতে
মানুষেরই মাঝে ফিরে আসি।
কিন্তু এ কি দেখি?
মানুষের মাঝে এত ষড়রিপুর ছড়াছড়ি
লোভ, ঈর্ষা, লিপ্সার রাজত্বে যেন সবাই আঁটছে ফন্দি
কামনা, বাসনা আর নোংরা মানসিকতার কাছে সব বন্দী;
যুবক কিছু হাতে ধরা ছুড়ি আর ক্ষুর কাঁচি
কোমরে গোজা পিস্তল আর মাথায় ঝাঁকড়া চুল
বাবরি দুলিয়ে রাহাজানি চারিদিক
বুঝি না কোনটা শুদ্ধ আর কোনটা ভুল;
যুবতি কিছু স্বল্প বসনা
চড়ে বেড়ায় এদিক ওদিক
চোখে চোখে কি সব ভাব করে
মুখেতে আমন্ত্রণের হাসি হাসে
আমি বুঝি না;
মানুষ কতগুলো, খেলে রাজনীতির খেলা
এটাই নাকি এখন সবচেয়ে বড় ব্যবসা
টেন্ডারের নামে চলছে চাঁদাবাজি
মানুষ নাকি বিকোয় এখন টাকার মূল্যে
বিবেক আর মূল্যবোধ নাকি এখন সব তুচ্ছ
এরা মিলেই নাকি গড়ে তুলেছে এক
নতুন মানব সমাজের গুচ্ছ;
আমারই ভাই, বোন আর আত্মীয় স্বজন
সবাই দেখি হয়ে আছে এদেরই অংশ
কোথাও না কোথাও
কোন না কোন ভাবে
হয়ে রসুনের কোন এক অংশ
আমারই কোন এক বংশ।
তবে আমি কোন ছাড়
সব কিছু থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবার
বোকার মত লিখে যাই কলমে আর কালিতে
যত সব আবোল তাবোল কথাগুলো যা মনেতে আসে
দিয়ে যাই মানুষের যত অকাজের সুড়সুড়ি
কবিতার বাহানায়
বিবিধ ঢঙে বহুবিধ হতাশার কথাগুলো
নানাবিধ ছলনায়
পারি না নিজে কিছু করতে, নেই কোন ক্ষমতা
কবিতার ভাষায় শুধু ঢেকে যেতে নিজেরই অক্ষমতা;
মানুষের গালি খেতে
একা একা পড়ে থেকে
হয়ে জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন
কেন ভুলে যাই বার বার
আমিও তো মানুষ নামেরই অপভ্রংশ।
- যাযাবর জীবন
নীলাকাশ ভালোবাসি আকাশের পানে দেখি
উদার নির্মল আকাশ
অথচ সেও দেয়নি ছাড়
পুড়িয়েছে সূর্যালোকে আমায়;
নদীনালা খাল পুকুর
ডুবে থাকি চৈত্র দুপুর
দেখিয়েছে ভাঙ্গনের খেলা
নদী কতগুলো ;
ভালোবাসি রাতের অন্ধকার
জ্যোৎস্নার আলো
দিন এসে সব করে দিয়ে ছারখার
গুড়ে-বালি আমার রাতের শয্যার;
ভালোবাসি পাহাড়
ভালোবাসি ঘন জঙ্গল আর সবুজের অরণ্য
ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি
জঙ্গলে বলে মঙ্গল
তাই বার বার ছুটে যাই পাহাড়ের পানে
কিংবা মঙ্গলের জঙ্গলে
চোখ জুড়ানোর জন্য
কোথায় পাহাড়?
দাঁড়িয়ে আছে টিলা কতগুলো
যেন আমার মাথার মতই নেড়া;
কোথায় সেই উঁচু উঁচু গাছগুলো ?
সুন্দরী কিংবা সেগুনের বিশাল সব গাছের সারি
জঙ্গলে আর নেড়া পাহাড়ে পড়ে আছে কিছু গাছের গুড়ি
অরণ্যের সবুজ ধুঁকে মরে আজ
পাহাড় আর ভূমি দস্যুর হাতে
অরণ্যের সবুজ লাল মাটি হয়ে
পাহাড় ধ্বসে অবশেষে;
প্রকৃতির যত রঙ রূপ গন্ধ
দিবাকে রাত্রি করেছে অন্ধ
দিয়েছে আমারে ফাঁকি;
বোকার স্বর্গে বাস ছিল চিরদিনই
তাই হয়তো ছিল মানুষে অগাধ বিশ্বাস
ঠকেছি অনেক আমি
তবু বার বার আমি প্রকৃতি হতে
মানুষেরই মাঝে ফিরে আসি।
কিন্তু এ কি দেখি?
মানুষের মাঝে এত ষড়রিপুর ছড়াছড়ি
লোভ, ঈর্ষা, লিপ্সার রাজত্বে যেন সবাই আঁটছে ফন্দি
কামনা, বাসনা আর নোংরা মানসিকতার কাছে সব বন্দী;
যুবক কিছু হাতে ধরা ছুড়ি আর ক্ষুর কাঁচি
কোমরে গোজা পিস্তল আর মাথায় ঝাঁকড়া চুল
বাবরি দুলিয়ে রাহাজানি চারিদিক
বুঝি না কোনটা শুদ্ধ আর কোনটা ভুল;
যুবতি কিছু স্বল্প বসনা
চড়ে বেড়ায় এদিক ওদিক
চোখে চোখে কি সব ভাব করে
মুখেতে আমন্ত্রণের হাসি হাসে
আমি বুঝি না;
মানুষ কতগুলো, খেলে রাজনীতির খেলা
এটাই নাকি এখন সবচেয়ে বড় ব্যবসা
টেন্ডারের নামে চলছে চাঁদাবাজি
মানুষ নাকি বিকোয় এখন টাকার মূল্যে
বিবেক আর মূল্যবোধ নাকি এখন সব তুচ্ছ
এরা মিলেই নাকি গড়ে তুলেছে এক
নতুন মানব সমাজের গুচ্ছ;
আমারই ভাই, বোন আর আত্মীয় স্বজন
সবাই দেখি হয়ে আছে এদেরই অংশ
কোথাও না কোথাও
কোন না কোন ভাবে
হয়ে রসুনের কোন এক অংশ
আমারই কোন এক বংশ।
তবে আমি কোন ছাড়
সব কিছু থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবার
বোকার মত লিখে যাই কলমে আর কালিতে
যত সব আবোল তাবোল কথাগুলো যা মনেতে আসে
দিয়ে যাই মানুষের যত অকাজের সুড়সুড়ি
কবিতার বাহানায়
বিবিধ ঢঙে বহুবিধ হতাশার কথাগুলো
নানাবিধ ছলনায়
পারি না নিজে কিছু করতে, নেই কোন ক্ষমতা
কবিতার ভাষায় শুধু ঢেকে যেতে নিজেরই অক্ষমতা;
মানুষের গালি খেতে
একা একা পড়ে থেকে
হয়ে জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন
কেন ভুলে যাই বার বার
আমিও তো মানুষ নামেরই অপভ্রংশ।
বৃহস্পতিবার, ১ নভেম্বর, ২০১২
ঘষা কাঁচের আয়না
ঘষা কাঁচের আয়না
- যাযাবর জীবন
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব
একটু দেখা যায় হঠাৎ করেই
খুব মাঝে মাঝে
কখনো খেয়াল করা হয় না
ভাঙা একটা ঘষা কাঁচের আয়না
ঘরের কোণে একটা পড়ে আছে
নিজেকে দেখার জন্য
কখনো দেখা হয় না
তবুও মাঝে মাঝে চোখ চলে যায়
ঘষা কাঁচের আয়নায়
পথ চলতে
খুব মাঝে মাঝে।
আয়নায় নিজেকে দেখার মধ্যে
আনন্দ খুঁজে নিতি তুই
বড় একটা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে
প্রতিদিন প্রায়ঃশই
সকাল কি বিকেলে
সন্ধ্যে কি রাতে;
কি যে আনন্দ পেতিস
সে তুই ই জানিস
নিজেকে ঘুরে ঘুরে দেখতিস
বড় ওই আয়নার মাঝে;
আয়নার ওই প্রতিবিম্ব কি
তোর থেকে সুন্দর কিছু?
নাকি ঈর্ষা ছিল মনে
ঐ প্রতিবিম্বের পিছু?
নিজেকেই দেখে নিজে
সুন্দরের পূজারী
ঈর্ষায় জ্বলে মরে।
আমি খুব মাঝে মাঝে
একটু মুচকি হাসতাম
হয়তো একটু টিটকারি সুরে
কিছু না কিছু বলতাম
আয়না সুন্দরী
কিংবা
আয়না কন্যা
বলে তোকে ডাকতাম
এখন আর খুব ভালো করে মনে পড়ে না
শুধু দেখি পড়ে আছে ঘরের এক কোণে
ঘষা কাঁচের ভাঙা এক টুকরা ওই আয়না।
আজ কি যে হলো জানি না
হঠাৎ করেই যেন নিজেকে দেখার ইচ্ছা জাগলো
আমার মতই হাড়গিলে বুড়ো
ঐ ঘষা ভাঙা আয়নায়
নিজের মুখোমুখি হতে সাধ জাগলো;
অনেক দিন পর নিজের প্রতিবিম্ব দেখছি
আর নিজেই অবাক হচ্ছি
বয়স মানুষকে কোথায় নিয়ে যায় ভাবছি;
আয়নায় কার মুখ দেখা যায় ওটা?
কুচকে আছে মুখের চামড়া
সাদা সফেদ দাঁড়ি কিছু, সারা মুখ ভরা
মাথায় চুলহীন এক লোলচর্ম বুড়া।
ও কি?
কপালে ওটা কিসের দাগ?
ক্ষত হয়ে আছে যেন বুলেটের আঘাত;
নাহ, ভুল বললাম
এটা তো তোর দেয়া শেষ উপহার আমায়
অনেক দিন আগের সেই শেষ দেখায়;
ক্ষতটা শুকিয়ে গিয়েছে অনেক আগেই
তবু হঠাৎ আয়নায় দেখে মনে হলো
এখনো যেন জ্বলজ্বল করছে
এইমাত্র পাওয়া আঘাতেই;
অনেক অনেক দিন পড়
আয়নার সামনে দাঁড়িয়েছি বলে হয়তো
অনেক কথাই মনে পড়ে যাচ্ছে তাইতো;
উফফ...... মনে হলো
এইতো সেদিনের ক্ষত
তোরই দেয়া,
এখনো যেন অনেক তাজা
রক্ত ঝরছে কপাল চুইয়ে
না, না; হৃদয় থেকে
আঘাত তো শরীরে দিস নি কিছু
দিয়েছিলি সব মনে;
ধুর ছাই......
কেন যে দেখতে গিয়েছিলাম নিজেরে
ওই অলক্ষ্মী আয়নার মাঝে
কথা কইতে গিয়েছিলাম
ওই আয়নার সনে?

- যাযাবর জীবন
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব
একটু দেখা যায় হঠাৎ করেই
খুব মাঝে মাঝে
কখনো খেয়াল করা হয় না
ভাঙা একটা ঘষা কাঁচের আয়না
ঘরের কোণে একটা পড়ে আছে
নিজেকে দেখার জন্য
কখনো দেখা হয় না
তবুও মাঝে মাঝে চোখ চলে যায়
ঘষা কাঁচের আয়নায়
পথ চলতে
খুব মাঝে মাঝে।
আয়নায় নিজেকে দেখার মধ্যে
আনন্দ খুঁজে নিতি তুই
বড় একটা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে
প্রতিদিন প্রায়ঃশই
সকাল কি বিকেলে
সন্ধ্যে কি রাতে;
কি যে আনন্দ পেতিস
সে তুই ই জানিস
নিজেকে ঘুরে ঘুরে দেখতিস
বড় ওই আয়নার মাঝে;
আয়নার ওই প্রতিবিম্ব কি
তোর থেকে সুন্দর কিছু?
নাকি ঈর্ষা ছিল মনে
ঐ প্রতিবিম্বের পিছু?
নিজেকেই দেখে নিজে
সুন্দরের পূজারী
ঈর্ষায় জ্বলে মরে।
আমি খুব মাঝে মাঝে
একটু মুচকি হাসতাম
হয়তো একটু টিটকারি সুরে
কিছু না কিছু বলতাম
আয়না সুন্দরী
কিংবা
আয়না কন্যা
বলে তোকে ডাকতাম
এখন আর খুব ভালো করে মনে পড়ে না
শুধু দেখি পড়ে আছে ঘরের এক কোণে
ঘষা কাঁচের ভাঙা এক টুকরা ওই আয়না।
আজ কি যে হলো জানি না
হঠাৎ করেই যেন নিজেকে দেখার ইচ্ছা জাগলো
আমার মতই হাড়গিলে বুড়ো
ঐ ঘষা ভাঙা আয়নায়
নিজের মুখোমুখি হতে সাধ জাগলো;
অনেক দিন পর নিজের প্রতিবিম্ব দেখছি
আর নিজেই অবাক হচ্ছি
বয়স মানুষকে কোথায় নিয়ে যায় ভাবছি;
আয়নায় কার মুখ দেখা যায় ওটা?
কুচকে আছে মুখের চামড়া
সাদা সফেদ দাঁড়ি কিছু, সারা মুখ ভরা
মাথায় চুলহীন এক লোলচর্ম বুড়া।
ও কি?
কপালে ওটা কিসের দাগ?
ক্ষত হয়ে আছে যেন বুলেটের আঘাত;
নাহ, ভুল বললাম
এটা তো তোর দেয়া শেষ উপহার আমায়
অনেক দিন আগের সেই শেষ দেখায়;
ক্ষতটা শুকিয়ে গিয়েছে অনেক আগেই
তবু হঠাৎ আয়নায় দেখে মনে হলো
এখনো যেন জ্বলজ্বল করছে
এইমাত্র পাওয়া আঘাতেই;
অনেক অনেক দিন পড়
আয়নার সামনে দাঁড়িয়েছি বলে হয়তো
অনেক কথাই মনে পড়ে যাচ্ছে তাইতো;
উফফ...... মনে হলো
এইতো সেদিনের ক্ষত
তোরই দেয়া,
এখনো যেন অনেক তাজা
রক্ত ঝরছে কপাল চুইয়ে
না, না; হৃদয় থেকে
আঘাত তো শরীরে দিস নি কিছু
দিয়েছিলি সব মনে;
ধুর ছাই......
কেন যে দেখতে গিয়েছিলাম নিজেরে
ওই অলক্ষ্মী আয়নার মাঝে
কথা কইতে গিয়েছিলাম
ওই আয়নার সনে?

এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)