মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর, ২০১২

ব্যঞ্জন জীবন

ব্যঞ্জন জীবন
- যাযাবর জীবন


কক্ষচ্যুত জীবনের ছিল না কোন লক্ষ্য, বুঝিনি আগে
ক্ষয়িষ্ণু মানবতার মাঝে হারিয়ে ফেলেছি নিজেকে
গ-সাগু লসাগু অঙ্ক কষিনি কখনো জীবনের
ঘাম ঝরানো জীবনের ঘানি টেনে গেছি কলুর বলদের
ঙ আমায় করেছে কাঙাল, বোধোদয় এই শেষ বেলায়।

চতুরস্র কক্ষে আবদ্ধ জীবন গলা চেপে ধরত আমায়
ছকে বাঁধা জীবন থেকে ছিটকে গিয়েছিলাম তাই তো হায়
জগৎসংসার থেকে বিচ্ছিন্ন দিনাতিপাত বড্ড বেশি ঝুঝে ঝুঝে
ঝড়ের ঝাপটা সব সয়ে গেছি একাকী মুখ বুজে
ঞ’র কুজ পিঠে করে সয়ে গেছি সব ঝঞ্ঝা।

টাকা পয়সা গাড়ি বাড়ির অনেক বড় স্থান জীবনে
ঠকিয়েছে চারিধারে মানুষগুলো পদে পদে, বুঝিনিকো আগে
ডাকাতিয়া কোন এক বাঁশীর সুরে ঘর ছেড়ে বেড়িয়েছিলাম
ঢাকের বাঁয়া গলে করে পথে পথে ঘুরেছিলাম
ণত্ব বিধির ণিচ্ কাজগুলো মনেতে জাগাতো সঙ্কা।

তঞ্চকতা সয়ে গেছি ভেবে, যদি হয় উপকার কাছের লোকের
থতমত খেয়েছি অনেক, হয়ে বলির পাঠা ফলস্রুতিতে মানুষের
দক্ষিণায়নান্তবৃত্ত ঘুরে বেড়িয়েছি মানুষের সন্ধানে
ধকল সকল কাঁধে বয়ে জীবনের, ধন্যা এই পৃথিবীতে
নৈর্ব্যক্তিক নিরাশায় ছাওয়া বেদনাবিধুর অনুভূতিতে।

পাছে লোকে কত কথা বলে গেছে মোরে
ফানুশ উড়িয়েছি সেসব পেছনের কথাগুলোরে
বক্রোক্তির সব বঁইচির অম্ল স্বাদ খেয়েছি মধুর ভেবে
ভক্তবিটেল মানুষজন সব ভক্তবৎসল রূপে ছিল ঘিরে
মুখেতে মধু আর হৃদয়ে বিষের পেয়ালা মনেতে ধরে।

যাযাবর হতে চাইনি তবু জীবন করেছে যাযাবর মোরে
রঙ আর রূপ অনেক দেখেছি মানুষের ভেতর বাহির জুরে
লাভ-লোকশানের চুল চেরা বিশ্লেষণে আমার খাতা শূন্য
শূন্য খাতায় পাপের বোঝা মাথা পেতে নিয়ে হয়েছি ধন্য
ষটষষ্ঠী পর্যন্ত বেঁচে থাকার আমার খায়েশ নেই কোনো।

সংকীর্ণতায় ছেয়ে থাকা সং সাজা কিছু মানুষরূপী সংকর
হাসি খেলায় কাটিয়ে দিচ্ছে অবহেলায় জীবন ভর
ড় এর ওপর র উঠে যায় কামড়া কামড়ি করে
ঢ়ূড় বাস্তবে তারাই সফল টাকা পয়সার মূল্যে
য়’রা পড়ে র‘য়’ যাযাবরের মত বিফল মানুষ হ‘য়ে’
ৎ কুপোকা‘ৎ’ তাদের তৎসম জীবনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে
ং এর কংশ মামারা ওপরের মানুষগুলোর অংশ হয়
ঃ তে দুঃখ বেদনা যাযাবররা সারা জীবন ধরে সয়
“ঁ” চঁন্দ্রবিন্দু তাদের জীবনে অমাবস্যা হয়ে রয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন