প্রতীক্ষা
-যাযাবর জীবন
সীমান্তের এ পাড়ে আমি
তীর্থের কাক
কাঁটাতারের বেড়ার অনেক অনেক ওপাড়ে তুই
স্বপ্নের নদী যেখানে নিয়েছে বাঁক।
ফাগুনের আগুনে দুচোখ জ্বলে
মচমচে ঝলসানো রৌদ্দুরে বসে
তৃষ্ণায় চৌচির ছাতি, কাঠ ফাটা গরমে
ইতিউতি অবেলার পাখি উড়ে যায়
ঐ তো দেখা যায়
তৃষ্ণার জল পান নদীর ধারায়।
আমার আর সীমান্ত পার হওয়া হয় না,
সমাপ্ত মেয়াদের ভিসার দিকে তাকিয়ে
তীর্থের কাক হয়ে বসে আছি এপারে,
তৃষিত নয়নে চেয়ে সীমান্তের ওপাড়ে;
মিঠে কড়া ভালোবাসা বুকে জড়িয়ে
তোর জন্য
শুধুই তোর জন্য
তীর্থের কাক
একবার সীমান্তের ওপাড়ে
তোকে একনজর দেখার সাধ।
কি জানি? হয়তো দেখা হবে একবার
শুধুই না হয় চোখের দেখা এক ঝলকের
নয়তো ধীরে ধীরে আশাগুলো ঝরে পড়বে
মনের মুঠোর ফাঁক গলে
ঝুরঝুরে বালির মত করে
প্রতীক্ষার পথ চেয়ে চেয়ে;
বুকের গভীর কোণে তবু রয়ে যাবে
একরাশ ভালোবাসার মায়া
খুব সযতনে, তোর জন্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন