পাপ-ঘড়ি
- যাযাবর জীবন
ঘড়ির কাঁটা বয়ে চলে টিক টিক করে
সময়কে দেখায় বুড়ো আঙ্গুল
এগিয়ে চলে ধাবমান কালের স্রোতে;
সন্ধ্যে না হতেই রাত গড়িয়ে আসে
আঁধারে চারিদিক ছেয়ে নিতে
অন্ধকারে ঐ রাতের রমণীরা
সাজের জৌলুষে
কাম দেবতার আরাধনা চলে
আধো আলো আধো অন্ধকারের দেশে
টুং টাং মদের গ্লাসে
মৃদু হাসি রাতের রমণীর মুখে
শীৎকার কামের আবেশে
তারপর ভদ্রলোকেরা যে যার ঘরে ফেরে
অনাবিল এক বিজয় উৎসবে
রাতের রমণীকুল সকালের সূর্যোদয়ে
দু-মুঠো চাল কিনে বাড়ি ফেরে
কাজের ছলনায় কামের বলি হয়ে
সময় গড়িয়ে চলে টিক টিক করে
পাপ-ঘড়ির দোদুল্যমান কাঁটায়।
ঘরের মাঝেও শুনি
ঘড়ির টিক টিক ধ্বনি
ফিকে হতে থাকা বিনম্র অন্ধকার
ছেয়ে যায় গাঢ় কালিমায়
সময়ের পথ ধরে
ফাটল ধরা সম্পর্ক গুলো
ধীরে ধীরে অন্ধকারে লুটায়
বিচ্ছিন্নতায় পর্যবসিত সম্পর্ক
স্বামী-স্ত্রী, পড়ে রয় বিছানার দু কোনে
পাপ-ঘড়ির কাঁটা দোদুল্যমান দোলে
নির্বিকার, ঘরের এক কোনে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন