সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০১০

অপেক্ষা

আজো তোমার অপেক্ষায়
ভোরের আধো অলোয়
ঘুমের ঘোরেও জেগে উঠি,
মধ্য দুপুরের প্রখড় রোদ্দুরেও
কল্পনায় তোমার ছবি আঁকি
মন খারাপের মেঘলা দুপুরে
অপেক্ষার থাকতে থাকতে
তোমার সাথে মনে মনে কথা বলি।

ক্লান্ত বিকালে আলো আধারিতে
কিংবা কুপি জ্বালা আবছা অন্ধকারে
অথবা রাতের জ্যোৎস্নারো পানে
খুঁজে ফিরি সেই প্রিয় মুখ
আজো অপেক্ষায় প্রহরে ভেসে ওঠে চোঁখে
তোমার সেই বিদায় হাসি।

শুক্রবার, ২৭ আগস্ট, ২০১০

তুমি

সে আছে
এখানেই কোথাও আছে
আমার ঠিক পাশেই আছে
একেবারে বুকের মধ্যেখানে।

শুধু দেখি না তারে চোখ মেললে
পাই না তাকে হাত বাড়ালে
তবু জানি সে আছে
আমার খুব কাছে
হ্রদয়েরও মাঝে মিশে।

যেমন আলো থাকে রৌদ্দুরেরই সাথে সাথে
বাতাস খেলা করে পাতার ফাঁকে ফাঁকে
যেমন লোহিতকনিকা খেলা করে রক্তেরও মাঝে
কিংবা লোনা ভাব থাকে অস্রুজলে মিশে।

তেমনি তুমিও আছ আমার নিঃস্বাসে
আমি জানি তুমি আছ আমারই পাশে বসে
আমার বুকের ভিতরেতে
আমাতে আমা হয়ে মিলে মিশে।

শুধু দেখি না তোমায় চোখ মেললে
পাই না তোমায় হাত বাড়ালে
তবুও জানি তুমি আছ আমার খুব কাছে কাছে
আমার হ্রদয়ও মাঝে মিশে।

বুধবার, ২৫ আগস্ট, ২০১০

চাঁদ ডাকে

আজ পূর্নিমা
চাঁদ সেজেছে নববধু রূপে
মেঘ টেনেছে ঘোমটা ওই চাঁদবদন মুখে
সলজ্জে জ্যোৎস্না উঁকি মারে ঘোমটার ফাঁকে ফাঁকে
আর আমারে করে ব্যাকুল, দিয়ে হাতছানি
তার পানে, অপার রূপের পরশে
আজ পূর্নিমা।

প্রতি ভরা পূর্নিমাতে চাঁদ ডাকে, দিয়ে আমায় হাতছানি
রূপসুধার ডালি মেলে দিয়ে ডাকে আমায় কার পানে জানি
আমি অসহায়, ঘর ছাড়া হই কি এক ব্যাকুলতায়
হয়ে শুধু খেলার পুতুল তার
আজ পূর্নিমা
চাঁদ সেজেছে নববধু রূপে
আর ডাকিতেছে আমায় তার পানে।

মঙ্গলবার, ২৪ আগস্ট, ২০১০

বৃস্টি নেমেছে

বৃস্টি নেমেছে
চোখের পাতা দুটো ছুঁয়ে দিতে
বর্যা নেমেছে আঁখি জল মুছে নিতে
কান্না বিলাস আমার, সবটুকু ধুয়ে দিতে
আহ্ কতদিন পর
অঝোর ধারায় বৃস্টি নেমেছে ।

বৃস্টি এসেছে আমার প্রেমিকার রূপে
দিয়েছে যে হাতছানি
ঘর হতে ডেকেছে আমায়
খেলতে যে জলকেলি।

একটি দুটি ফোঁটা হয়ে শুরু
একটু থমকে ধরে
একটুকু হিমেল বাতাসের ছোঁয়ায়
অঝোর কান্নায় ঝরে পরে ।

আহ্ কতদিন পর
বৃস্টি নেমেছে
অঝোর ধারায় বৃস্টি নেমেছে
চোখের পাতা দুটো ছুঁয়ে দিতে
বর্যা নেমেছে, আঁখি জল মুছে নিতে
কান্না বিলাস আমার, সবটুকু ধুয়ে দিতে।

রবিবার, ২২ আগস্ট, ২০১০

ফিরে আসবে বলে

মনের আকাশে কেমন যেন মেঘ জমে আছে
সেই কতদিন ধরে
তুমি অভিমানে চলে যাবার পরে
হ্রদয়ের চারপাশ থেকে কস্টগুলো চেপে ধরে আছে
সেই কবে থেকে পথ চেয়ে বসে আছি তোমার পরে
তুমি ফিরে আসবে বলে।

প্রতিদিন নতুন সূর্য ওঠে নতুন আশা নিয়ে
তুমি আসবে ফিরে
প্রতিদিন সাঝের বেলায় সূর্য ডুবে
চরাচর আঁধার করে দিয়ে আর তোমায়
না পাওয়ার বেদনা নিয়ে।

নতুন চাঁদ আকাশে উকি মারে, প্রতি চন্দ্রমাস আসে
নতুন আশার আলো নিয়ে
আমি প্রতিরাতে তোমার অপেক্ষায় চাঁদের পানে চেয়ে
চাদের বুকে তোমার ছবি দেখি কল্পচোখে
নির্ঘুম রাত কাটে আশাখানি বুকে নিয়ে
তুমি এই এলে বলে।

নিরাশার ভোর হয় তোমার পথ চেয়ে
দু চোখে ঘুম নেমে আসে
আর চোখ বুঁজে স্বপ্নে আঁকি তোমারই প্রতিচ্ছবি
প্রতি ভোরে নতুন সূর্যের সাথে সাথে
প্রতিক্ষায় পথ দেখি
আর মনের দুয়ার খুলে রাখি
তুমি ফিরে আসলে বলে।

জীবন যখন রঙ্গিন ঘুড়ি হয়ে
আকাশেতে ডানা মেলে
আমি চেয়ে দেখি সাদাকালো রূপে
সাদাকালো চোখে
সেখানে যে শুধু তোমার চেহারাই
ভেসে উঠে
আমি প্রতিক্ষার প্রহর গুনি
তুমি ফিরে আসবে বলে।

কল্পলোকে দেখি, তুমি উড়ে চলেছ নীল গগনেতে
আমি ছায়া হয়ে রই তোমারই পাশে পাশে
কিংবা ধুপছায়া হয়ে আপন মনেতে
আর প্রতিক্ষার প্রহর গুনি
তুমি ফিরে আসবে বলে।

যেখানেই থাক তুমি
জেনে রেখ কথাখানি
তুমি আছ মোর আলোর ভুবনে আলোময় রূপে
তুমি রয়ে গেছ মোর আলো হয়ে চোখে
আশার আলো জ্বেলে
কভু ফিরে আসবে বলে।

কি জানি কেন যেন মনে হয়
আলোতে খুঁজে চলেছি তোমায় ভুল করে
তুমি রয়ে গেছ আমার আপন মনের কোনে
অনেক আশার আলো জ্বেলে
কোন একদিন ফিরে আসবে বলে।