শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১০

বেচে থাকা – ১

বেঁচে আছি আমরা প্রতিনিয়ত কাজের ভিরে
বেঁচে আছি আমরা জীবন যুদ্ধের মাঝে
প্রতিদিন নানা কাজকে ঘিরে
এক একজনের কাছে বেঁচে থাকার মানে এক এক রকম
কেও বেঁচে থাকে দুমুঠো ভাতের আশায়
কেও অপচয় করে ডাস্টবিনে ভাত ছড়ায়।
চাষী ভোর বেলায় লাঙ্গল কাধে ছোটে ক্ষেতের পরে
কালোবাজারী সার ফেরী করে ঘুরে চাষী দের ঘরে ঘরে
সেচের পানি পায় নাকো চাষী খরার চৈত্র মাসে
সোনার বাংলার অলিক ইলেক্টিসিটি দেবে কবে আর সেচের মেশিন পড়ে
আমাদের সোনার সরকারের বড় বড় বুলি আওড়ে যায়
প্রতি দিনের এজেন্ডায়
সেশ সম্বল হাতে টানা সেচ, খালের পানি হয়ে গেল শেষ
তবুও কেচে নেয় বালটি ভরে অথবা আজলায়
শুধু ধান পাকা সোনাফলা ওই খেত কে বাচাতে
তীব্র খড়ার কবল থেকে একটু একটু করে।



রক্ত পানি করে গোলা ভরা ধান তোলে
পেটের ধান্ধায়
না পারিলে যে মহাজনের খড়া
দাদনের বোঝা গায়।
হয়তো কোন বছর অনেক কস্টে ধান ওঠে গোলা ভরে
হাসিতে ভরে ওঠে চাষীর মুখখানি
দাদন মেটাবে, ভাত জুটাবে
সংসারের ঘানি টানি।
সেখানেতেও পায় কি সুখ
চেপে ধরে এসে কালো বাজারী চোখ
২০টাকার চাল কিনে নিয়ে যায়
১০টাকা সের ধরি
না বেচিলে পড়ে থাকে গোলে
পচে যায় ধান পচে যায় চাল
গেজায় নতুন বীজ
মহাজনের দেয়া পায়ে বেড়ী,
তার থেকে ১০টাকা ধরে বেচে দেয় সবই
পড় থাকে যা গোলা তলে
আবার না খেয়ে থাকা আবার যুদ্ধ লাঙ্গল কাধে তুলে।

মধ্য স্বত্তাভোগী ধান সংগ্রহে ট্রাক ভরে গোলা ঘরে
জমায় যে ধান, খুদ কুড়া সব গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে
মহাজন আসে কিনিতে সবই একবারে লট ধরে
১০টাকার ধান ১২ টাকায় কিনে মনে থাকে চিন্তার বান
আড়তে যাবে , প্যাকিং হবে, কত শত তার ঝামেলার কাম
১০টাকার ধান প্যাকিং শেষে ৩০টাকায়
বেচবে বলে বাসনা;
হায়রে জীবন, হায় নিয়তি
১০টাকার ধানের পরিনতি হয় ৩০টাকা কেজি ধরে
চাষী কিনে খায় জীবন চালায় তারই উৎপাদিত ঘামঝরা শশ্যদানা
১০টাকার ধান কিনতে যে হয় ৩০টাকায়
মনে ধরে যাতনা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন