সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১০

আঁচরের গভীরতা হ্রদয়ে

ভালোবেসেছিলে তুমি আমায় ঝড়ো হাওয়া হয়ে ঝড়ের মত করে
ভালোবাসা জাগিয়েছিলে তুমি আমার হ্রদয়ে
ধিরে ধিরে, মৃদু মধুর বাতাশের লয়ে

ভালোবেসে তুমি আছড়ে পড়েছিলে সাগরের তীব্র ঢেউ এর মত করে
আমি বয়ে চলেছিলেম ঐ নদীটার শান্ত ছোট ঢেউ হয়ে
কুলুকুলু বেগে এগিয়েছিলেম তোমা পানে

ভালোবাসার দহনে তুমি জ্বালিয়েছিলে পেট্রোলিয়ামের তীব্র দহে
আমি জ্বলেছিলাম কয়লার আগুন হয়ে
ধ্বিকিধ্বিকি পুড়ে নিঃশেষ হতে

তুমি ভালোবেসেছিলে মধ্যগগনের সূর্যটার তীব্রতা নিয়ে
আমি ভালোবেসেছিলেম তোমাকে
জ্যোৎস্নার স্নিগ্ধতায় মেখে

তুমি ভালোবেসে খরগোসের গতিতে ছুটে এসেছিলে আমার পানে
আমি কচ্ছপের গতিতে হেঁটেছিলেম
তোমা পানে ধীর লয়ে

আজ আর সেই ভালোবাসা নেই
তোমার, আমার কিংবা
আমাদের দুজনের কারো মাঝেই
শুধু রয়ে গেছে আঁচর কিছু হ্রদয়ের মাঝে
কারোটা হালকা হয়ে
আর কারো গভীর ভাবে।

সাগরের ঢেউ আছড়ে পরে শেষ হয়ে যায় বালুকাবেলায়
নদীর ঢেউ বয়ে আনে বন্যা চারি ধার
তীব্র ঝড় লন্ডভন্ড করে দেয় আশ পাশ
ক্ষনিকের তরে
ধীরে আসা বন্যা ক্ষতি করে যায় চারি পাশ
রেখে যায় তার দীর্ঘছাপ
বহুকাল ধরে
তেলের আগুন পুড়ে নিঃশেষ হয় বাতাসে
কয়লার আগুন জ্বলে ধ্বিক ধ্বিক করে
সূর্যের দাহ পোড়ায় শুধু কস্ট দিতে
জ্যোৎস্না কিরণ বিকায় আজো শান্তি রূপে।

বন্য ভালোবাসা চলে আসে হঠাৎ করে
তীব্র রূপে ক্ষনিকের তরে
হ্রদয়ে হয়তো আঁচর কাটে
গভীর হয়ে না বসে;
ধীর লয়ে যে ভালোবাসা আসে
কোমল রূপে ধিরে ধিরে
ধীর লয়ে দাগ কাটে হ্রদয়ে
দাঁত বসাতে থাকে আস্তে আস্তে করে
মস্তিস্কের কোষে কোষে
আঁচর কাটে গভীর করে
আর কামড়ে ছিঁড়ে হ্রদয় প্রতিদিন
শুধু রক্ত ঝরাতে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন