মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০১১

অস্তিত্বে তুমি

স্বপ্ন দেখে যাই প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ
তোমাকেই, শুধু তোমাকেই
আর অপেক্ষার প্রহর গুনে যাই
তোমার ফিরে আসার পথ চাই
প্রতিক্ষার প্রহর গুনি বসে অনন্তকাল ধরে।

সাগরের ঢেউগুলো খেলা করে একটি একটি করে
পাহাড়ের বুক চিড়ে পাহাড় খেলা করে সারি বেঁধে
দুধ সাদা মেঘেরা ভেসে বেড়ায় মেঘের ভেলার পড়ে
কিংবা আকাশ জুড়ে হাসে নক্ষত্র রাশি রাশি
প্রতিক্ষার অবসান হল বুঝি এবার, তুমি আসবে বলে।

কাল ছিলে তুমি যেন, কল্পনায় আঁকা ছবি এক
স্বপনেরও মাঝে ঘেরা অস্পস্ট কল্পনায়
একটু একটু করে যেন স্পস্ট হয়ে উঠছে মুখ ছবিখানি
মনের ভেতরের এক গহীন আয়নায়
স্বপ্নেরই দেশে, স্বপ্নে ভেসে ভেসে।

কল্পনার আঁকা রংতুলিতে কার ছবি এঁকে যাই
আপনি আপন হয়ে, একলা মনেতে
ছায়া ছায়া হিম কুয়াশার ওপার তীর হতে
অবয়ব যেন কার স্পস্ট হয়ে ওঠে, মনের কোনেতে
স্বপ্নেরই দেশে, স্বপ্নেরই রেশে।

তুমি আসবে বলে ছাদ রাখিনি আমি মাথার ওপরে
যদি টুপ করে নীলপরী হয়ে
নেমে আস ওই আকাশের বুক চিরে
অপেক্ষার কুয়াশা নেমেছে আজ ঘন হয়ে মাথার পরে
ধোঁয়া ধোঁয়া হয়ে আসে চারিপাশ বিবর্ণ সন্ধ্যা জুড়ে।

অপেক্ষার দীর্ঘ সময় হাত বাড়িয়ে আছি তোমা পানে
শুন্যতায় ভরা হাতে শ্যওলা পড়ে গেছে তাতে
আঙুলে আঙুল এ জড়িয়ে আসা শ্যাওলার স্তর গুনি
একা বসে আনমনে শ্যওলা মাখা হাত ঘসি
তোমার গাল জুড়ে, স্বপ্নকে ঘিরে।

আঙুল পিছলে খেলা করে তোমার খোলা ঠোঁটে, মুখে বুকে
লতানো শ্যওলার মতো একটু একটু করে
তোমার ঠোটের স্পর্শ, একরাশ এলোচুলের বুনো গন্ধ
তোমায় জড়িয়ে ধরার বাসনা রয়ে যায় মনের কোনেতে
তবু প্রাণের স্পন্দন হয়ে রয়ে যাও আমার স্বপ্নেরই ঘোরে।

পাহাড় দাঁড়িয়ে রয় পাহাড়ের কোল ঘেসে
আর নক্ষত্র রাশি জ্বলে ওঠে অন্ধকারের আলোর বেশে
সারি সারি নীল ঢেউ বয়ে চলে এঁকে বেঁকে সাগরের বুক চিরে চিরে
চিরে দেখেছ কি হ্রদয় আমার কভু
ছিলে তুমি আমার কতটা হ্রদয়ের গভীর অস্তিত্ব জুড়ে?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন