বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০১৩

তেলাপোকা, রাজাকার আর ঘৃণা

তেলাপোকা, রাজাকার আর ঘৃণা
-যাযাবর জীবন

পশু প্রাণীর মাঝে সবচেয়ে বেশি করি ঘৃণা
তুচ্ছ এক প্রজাতি নাম তার তেলাপোকা
ঘৃণায় গা রি রি করে
ঘৃণার পরিনামে মনে কেমন এক ক্রোধ জাগে
দেখলেই আরশোলা
পায়ে পিশে মারি যখন দেখি তখনই
যেখানে পাই সেখানেই
স্যান্ডেল পায়ে না থাকলে খালি পায়ে পিষে
ক্রোধের আগুন বাতাসে যায় মিশে
এ যেন আসলে ঘৃণা নয় ক্রোধেরই আরেক ধরণ
কেন এমন হয়, ঠিক জানি না
তবে এটাই আমার নিয়তি করেছি বরণ।

মনুষ্য প্রজাতির মাঝে
এক প্রকার দানব বাস করে
নাম দেয়া হয়েছে তাদের রাজাকার
ওদের নাম শুনলেই ঠিক আমার
মনে ক্রোধ ভর করে তেলাপোকা দেখার;
ইচ্ছে করে পায়ে পিশে মেরে ফেলি তাদের
ঐ তুচ্ছ তেলাপোকার মত করে।

মনেরে অনেক ভাবে শুধাই
কোনোভাবেই জবাবটা মেলে না রে ভাই
কেন আমি কোনো পার্থক্য করতে পারি না
আরশোলা আর রাজাকারের মাঝে
একটা তুচ্ছ ডানায় ভর করা প্রাণী
বসবাস তার আবর্জনায়, কমোডের চিপায় চাপায়
আরেকটা বিশাল এক দানব
মন ভরা পুতি দুর্গন্ধ যুক্ত ডাষ্টবিনের ময়লা
মনুষ্য সমাজ থেকে পালিয়ে বেড়ায়;
দুটোকে দেখলেই ক্রোধ ভর করে মনে
একটাকে পদদলিত পায়ের স্যান্ডেলে
আরেকটাকে পুড়িয়ে মারতে ইচ্ছে করে
কেরোসিনের আগুন জ্বেলে পুড়িয়ে করতে গনগনে কয়লা
কিংবা ঝুলন্ত ফাঁসি কাঠে মনে মনে
প্রতিদিন প্রতিক্ষণ ঝুলিয়ে রাখি ঘৃণার আবেশে।

ঘৃণা আর ঘৃণা মিশ্রিত ক্রোধের মধ্যে
আসলে কি কোনো পার্থক্য আছে
আমি তো আমার মনের ভেতর থেকে কোনো
পার্থক্য খুঁজে পাই না
যেমন পাই না
তুচ্ছ তেলাপোকা আর রাজাকারের মাঝে।

তোমরা কেও পার কি? পার্থক্য করতে
এ দুটো প্রাণীর মাঝে
বড্ড জানতে ইচ্ছে করে।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন