অভিমানের বেড়াজাল
- যাযাবর জীবন
আজ চন্দ্রের কততম দিবস? - ভুলে গেছি;
হিসেব রাখা হয় না অনেক দিন ধরে
অথচ চাঁদের সাথে আমার প্রেম কাহিনী
সে আর কে না জানে? রাত্রি ও ধরণী!
অথচ দেখ জীবনটাই কেমন বদলে গেছে আজ
এখন আমার মধ্য দুপুর অথচ পৃথিবীর নিশুতি রাত
আমি জেগে আছি অন্ধকার ঘরে আর আকাশেতে জেগে চাঁদ
মনে পড়ে দুজনকেই দুজনের
তবু দেখা হয় না কারো সাথে কারো
খুব জানা কারণে আর তুচ্ছ অকারণে
অল্প কিছু ভুলে কিংবা অনেক দিনের জমানো অভিমানে;
আমি পড়ে থাকি অন্ধকারের কোণে
চাঁদ আলো বিলিয়ে যায় ধরিত্রীর কোনে কোনে
আমার অভিমানে চাঁদের কি এসে যায়?
আজ আমার আর চাঁদের মাঝখানে
হাইফেনের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে মাথার ওপরের ছাঁদ
যেমন তোর আর আমার মাঝে ছোট্ট একটু অভিমানের ফাঁদ।।
আমার আর চাঁদের মাঝে ভেঙ্গে যাবে অভিমান
খুব সহজেই, খুব সহসাই
যখনই সরে যাবে মেঘের চাদর
তার আর আমার মাঝে
কিংবা আমার ইচ্ছে হলে
মাথার ওপরের ছাঁদটাকে পদতলে
কাঁচকলা দেখিয়ে অন্ধকারের কালোয়;
মন ভরে তাকে একবার দেখলেই
ভাসিয়ে দেবে আমায় আলোর বন্যায়
ভেসে যাবে আমাদের সব অভিমান
চাঁদের আলোকিত আলোয়।
কিন্তু তুই? আমার আর তোর মাঝের
অভিমানের অদৃশ্য বেড়াজাল
যেটায় আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছি দুজনে বেদনায়?
কে কাটবে ঐ বেড়াজাল?
তুই না আমি?
কেও পা বাড়াই না;
অক্ষমতার হাঁ হুতাশ বুকে নিয়ে আমরা দুজন
দু ভুবনে পড়ে আছি;
সেই কতদিন হয়ে গেছে আমরা কোথাও যাই না
আসলে আমাদের কোথাও যাওয়ার যায়গা নেই
একে অপরকে ছাড়া;
শুধু শূন্য হাহাকার বুকে নিয়ে ঘুরি ফিরি খাই দাই
আর রাতের নির্জন আঁধারে দুজন
নির্জনতার গান শুনি
একে অপরের অতৃপ্ত বুকে ঘ্রাণ শুঁকি মনে মনে
মনের ঘরে বন্দী হয়ে অন্ধকারে তাকাই
যদি কোথাও জোনাক জ্বলে ওঠে
একটুখানি আলোর দিশা কোন এক সুদূর থেকে
পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে আমাদের দুজনকে দুজনার পানে।
অপেক্ষায় আমি
প্রতীক্ষায় তুই
প্রহর গোনার প্রহর বয়ে চলে টিক টিক অবিরাম
যেন সেই বিগ-ব্যাং থেকে আজ অবধি
দুজনার এই অতৃপ্ত প্রতীক্ষার প্রহর
কখনো সমাপ্ত হবে কি?

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন