আমি যখনই কোন দাওয়াতে যাই
আশেপাশের মানুষগুলোকে দেখি
তাদের চোখগুলো লক্ষ্য করি, কিছু কিছু জ্বলজ্বলে চোখ
চেয়ে আছে খাবারের ডিশের দিকে,
খেতে তো আমরা সবাই এসেছি, দাওয়াত সবারই
তবুও এর মধ্যেও দু চারজনের আচরণ সবার নজর কাড়ে
এরা যেন সকলের মাঝে আলাদা, আচরণে নিজেরাই প্রমাণ করে,
আচ্ছা! খাবার কি ফুরিয়ে যাবে, আগে না নিলে?
নাকি আর রিফিল দেয়া হবে না ডিশের খাবার শেষ হয়ে গেলে!
খাবারের টেবিলে বসলে ওরা প্রিয় ডিশটা হাত বাড়িয়ে টেনে নেয় তার দিকে সবার আগে
ডিশগুলো থেকে নিজের পছন্দের টুকরোগুলো আগে আগে তার পাতে
বাকিদের ভাগে কি থাকলো, তাদের থোড়াই কেয়ার তাতে!
এগুলো কি স্বভাবে? নাকি অভাবে?
আমি বলবো অভাবে
শিক্ষার অভাব, সহবতের অভাব;
ঐ যে বুফে খাবারের টেবিলটা দেখছ?
ওখানে দেখবে কয়েকজন যেন হামলে পড়ে
কাড়াকাড়ি হুড়োহুড়ি
যেন এখনই খাবার শেষ হয়ে গেলো!
অথচ বুফের রিফিল হয় যথারীতি বিরতিতে,
যে দাওয়াত করেছে সে তো হিসেব করেই করেছে
দাওয়াত দিয়ে কে আর কম খাওয়ায় বলো!
ঐ ওদের, এটা কে বোঝাবে?
মানুষকে বেড়ে খাওয়ানোর মধ্যেও কিন্তু অন্যরকম একটা আনন্দ আছে
নিজে না নিয়ে আগে মানুষকে বেড়ে দেয়াতেও একটা সুখ আছে
যে খাওয়াতে জানে, সেই বোঝে
আর বাকিরা গিলে যায়, গোগ্রাসে।
১৬ মার্চ, ২০২১
#কবিতা
দাওয়াত
- যাযাবর জীবন
ছবিঃ নেট থেকে সংগৃহীত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন