স্বাধীনতা ও বিজয়
- যাযাবর জীবন
লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি একটি পতাকা
পেয়েছি আমার বাংলা মায়ের স্বাধীনতা
অনেক বাবার রক্ত ঝরেছে অনেক মায়ের খালি বুক
অনেক বোনের সম্ভ্রম আর অনেক ভাই এর আর্তনাদের মুখ
শুধু একটি পতাকার জন্য
একটি স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য।
অনেক আশায় বেধেছিলেম বুক এদেশ স্বাধীন হলে
রাজাকার আর আলবদরদের দেখে নেব এক হাত
উন্মত্ত উল্লাসে যারা কেটে নিয়েছিল আমারই বাবার দুটি হাত
আমার বোনের সম্ভ্রম লুটেছিল পিশাচ ওই পাকসেনা
রাজাকারগুলো বিকিয়েছিল বিবেক ঘরে ঘরে দিয়ে হানা
বাবা ভাইদের বুকে ছুরি মেরে মা বোন দের ঘর থেকে তুলে
পিম্পের ভূমিকা বেজন্মাগুলোর যাই নি রে আজো ভুলে
ক্ষরণ জাগায় হৃদয়ে আমার যখন তাদের দেখি
কষ্ট হয় বিশ্বাস করতে দেখছি আজ এ কি?
স্বাধীন বাংলার পতাকাবাহী গাড়িতে চড়ে যায়
আজো এই বাংলার মানুষ তাদের এম পি আর মন্ত্রী বানায়
বড্ড কষ্ট লাগে মনে।
মনে পড়ে কত লাখো শহীদের অকাতরে আত্মদান
বাঘের মতন যুদ্ধ করেছিল সম্মুখ সমরে দিয়েছিল প্রাণ
বাঁচাতে মোদের ওই পাক হানাদের বর্বর অভিযানে
ভুলিনি আমরা আজো তোমাদের রেখেছি তোমাদের মনে
দিয়েছিল প্রাণ অকুতোভয়ে বাংলা মায়ের তরে
দামাল ছেলেরা কাতারে কাতারে শহীদের পথ ধরে।
প্রতিটি বছর বিশেষ কিছু দিন আমরা পালন করি
ফেব্রুয়ারিতে ভাষা শহীদদের গুন কীর্তন করি
প্রতিটি বছর স্বাধীনতা দিবসে অর্ঘ্য ঢেলে শহীদ মিনারে
বিজয় দিবসে ফুলে ছেয়ে যায় শহীদ মিনার অঙ্গনে অঙ্গনে
তবু যেন হায় বাংলার আকাশে আজো কাঁদে সব শহীদের আত্মারা
তবু যেন কোথায় শ্রদ্ধা জানাতে কি যেন বাকি রেখেছি আমরা
একটু যদি ভাবি ...............................
রাজাকার আর আলবদর গুলোকে মন্ত্রী বানাব কি?
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো লাল ওই পতাকা
সম্ভ্রম হারানো বোনের সারিতে সবুজ ওই পতাকা
পত পত করে ওড়ে স্বাধীন বাংলার আকাশে
কিছু বিশেষ দিনগুলো তাদের স্মৃতিতে না হয় অর্ধেক নেমে থাকে।
তাদের আত্মার বুকচেরা আর্তনাদ শুনতে কি আমরা পাই না?
তবে কেন ওই রাজাকারদের ফাঁসিতে ঝোলাতে পারি না?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন