সোমবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১২

প্রতীক্ষার প্রহর শেষে

প্রতীক্ষার প্রহর শেষে
- যাযাবর জীবন

দুই দু গুনে চারের নামতা জপার দিনগুলো শেষ হয়েছে কবে
প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে নামতা গোনা ভুলে গেছি
রাতের প্রহর গোনা হয় না এখন আর আগের মতন করে
সূর্য ওঠে চাঁদ ডোবে সৌরজগতের নিয়ম মেনে
কি এসে যায় এখন আর প্রহর গুনে!!

ওই দূর পাহাড়ি বনের ধারে জুম চাষ হয় নিয়মিত
ওই ঘন বনের টাইগার ফার্ন ছায়া দিয়ে যাচ্ছে বনের বাঘেরে
ওই জল থপ থপ জলহস্তী জলকেলি করছে
ওই দূর আকাশে কিছু গাংচিল ডানা মেলে উড়ে চলছে
প্রকৃতির শোভা বাড়াচ্ছে , তাতে আমার কি আসে যায়?

দূর হিজল গাছের খড়ের পাতায় তোরই বোনা বাসা
স্বামী আর ছানা পোনায় বেধেছিস সংসার তোর
দিকভ্রান্ত এক উদ্ভ্রান্তের প্রতীক্ষায় তোর কি আসে যায়?
কর্ম ব্যস্ততার সংসার-চক্রে সারাদিন মান তোর গাধার খাটনি
সে তো আমি বুঝি;
তবুও মনের গহীন কোনে কেন প্রতীক্ষার প্রহর গোনা
বিপুল বেদনায় ভারাক্রান্ত উদ্ভ্রান্ত চেহারা,
সেই গোলাপি ঠোঁট, তীক্ষ্ণ দাঁতের আদরের দংশন
আহ্লাদী ঠোঁট বাঁকানো ঝুঁকে থাকা মুখ আমার টেবিলের ওপর
পাঁজরের হাড় ক্ষয় করা চাপে জড়িয়ে ধরা দুটি হাত
ঠোঁটের গভীরে ঘন নিঃশ্বাস আর ক্ষণে ক্ষণে আদরের দংশন
সে কি পরাবাস্তব জগতের কোন এক সময় ঘটে যাওয়া স্বপ্ন?
আমি বুঝি না
বড্ড অচেনা মনে হয় আমাকে নিজেরই
বড্ড অচেনা সময়গুলো বাস্তব আর কল্পনারই
যখন থাকি কল্প জগতে তোরই সাথে মিলেমিশে।

ভাবালু নিশির কালরাত শেষ হবে কবে
আমি জানি না
তবে প্রহর আর গুনব না
প্রতীক্ষার কিংবা অপেক্ষার
কারো জন্যই
যুগ পার হয়ে যাক আলোক গতিতে,
তোরে খোঁজার পালা শেষ হয়েছে!
হাতের রেখায় ভাগ্য আছে লেখা
কপালেতে ভাগ্য ছেপে দিয়ে দিয়েছেন বিধাতা
আমিও তাই আজ ভাগ্যকে মেনে নিয়েছি
সময়কে ভাগ্যের হাতে সপে দিয়েছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন