ইট কাঠের জঙ্গল
- যাযাবর জীবন
ভোর হওয়া দেখি না কতদিন হয়ে গেছে,
সূর্য আজকাল ওঠে বিশাল সব অট্টালিকার গা বেয়ে
ইট জংগলের শহরেতে
পাখিদের কিচিমিচি বিহীন
রবি ওঠা ভোর
এখন আর কে দেখে?
জানালার শার্সির ফাঁকে এখন ভোর না হলেও
সকাল ঠিকই হয় চামড়া পোড়া সূর্যের আগমনে
পাহাড় প্রমাণ অট্টালিকা পার হয়ে
হয়তো তখন সকাল দশটা বেজে গেছে
পাখ পাখালির তখন প্রায় দুপুর ঘনিয়েছে
শহুরে আমি চোখ ডলে ঘুম থেকে জেগে উঠে
ঘড়ির কাঁটার দিকে নির্লিপ্ত তাকাই
ও মা! দশটা বেজে গেছে!
এই তো সেদিনের কথা এখনো মনে আছে
খুব ভোর বেলায় ঘুম ভাঙত প্রতিদিন
ভোরের পাখপাখালির কান ঝালাপালা কিচিমিচি ডাকে,
রবি তখনো উঁকি দেয় নি আমার জানালার শার্সিতে
আড়মোড় ভেঙ্গে চোখ ডলে ডলে চেয়ে থাকতাম
চারিদিক খাঁ খাঁ ধানের মাঠের পরে
প্রতীক্ষায় সূর্যদেবের আগমনের
মাঠ প্রান্তরের গ্রাম্য পরিবেশে।
সেদিনও ভোর হতো রবির আগমনে
দূর মাঠে
আজো সকাল হয় সূর্যের খাড়া তাপে
ইট কাঠের শহরেতে,
চোখের নিমিষেই যেন গ্রাম হারিয়ে গেল
শহরের কালগ্রাসে;
সূর্য সেই আদি থেকে একই আছে
শুধু সময় বদলে গেছে
সভ্যতা বদলের সাথে সাথে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন