মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১০

ঘুনপোকা

জানালার শার্শীতে গাল ঠেকাই এপাশ হতে
হিম শীতের রাতে
ওপাশে তে জমে ঘন কুয়াশা
এপারে আমার স্মৃতির অস্রুগুলি
নেমে আসে গাল বেয়ে
কুয়াশা গভীর ঘন হতে হতে
ওপারে নামে যে কান্না
জানালার চোঁরা ফাক গলে ভেসে আসে
শীতের হিমেল হাওয়া
মনের চোঁরা ফাক গলে ঢুকে পরেছ
কখন তুমি জানি না
ঘুনপোকা হয়ে বাসা বেধেছ
আমার শরীরে
আমার অস্তিত্তের মাঝে
স্মৃতি নামক ঘুনপোকাটি বাসা বেধেছে
মস্তিস্কের ভেতরে
তুমি নামক ঘুনপোকাটি বাসা বেধে আছ
হ্রদয় গভীরে
স্মৃতিগুলো আচর কাটছে আজ নিওরন কোষে
তুমি ঘুনপোকা হয়ে খুড়ছ হ্রদয়, রক্ত ঝরাতে।

রবিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১০

হারানো মুখ

কত শত মানুষ দেখি
প্রতিদিন রাস্তায়
খুঁজে ফিরি তোমায় আমি
লক্ষ কোটি মানুষের ভিরে
শুধু একটিবার দেখিবার তরে।

স্টেশনে বসে থাকি প্রতিদিন
ঠিক ট্রেনটা আসার কালে
খুঁজে ফিরি সেই মুখখানি
হাজার মানুষের ভিরে
ট্রেন আসে ট্রেন যায়
পাই না দেখা তোমার।

লক্ষ কোটি তারার মেলায়
খুঁজে ফিরি একটি জ্বলজ্বল নক্ষত্র
হারিয়ে ফেলেছি যারে
কোন এক অন্ধকারে
আমারই কিছু ভুলে।

কস্ট

আমি তোমায় দেখি না, সে কতকাল হয়ে গেছে

এখন শুধু ভাপ ওঠা ধোঁয়া ভাসে আকাশে বাতাশে

কস্টগূলো পুড়ে পুড়ে

তোমাকে না পাওয়ার বেদনাটুকু খুড়ছে হ্রদয়

রক্তে ভাসাতে, একটু একটু করে।

শনিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১০

প্রতিক্ষার প্রহর

এক মুঠো রৌদ্দুরের প্রতিক্ষায়
শীতার্ত আমি কতকাল
সূর্য ওঠার আগে উঠোনে বসে আছি
গায়ে কিছু রৌদ্র মাখব বলে
রবি এসে লজ্জায় মাথা নোয়াবে
হীম গায়ে তুমি এসে চুমে দিলে
তোমার ভালোবাসার তাপে গলে।

এক ফালি চাঁদের আশায়
বসে আছি সেই সন্ধ্যে থেকে
কতদিন জ্যোৎস্না দেখি নি বলে
তোমার ছবিটি ভাসে নি এখনো
ওই চাঁদের গায়ে
তুমি চাঁদ হয়ে উঠে এসো
আর ভাসাও আমায় জ্যোৎস্না জলে।

এক নদী জল পান করব বলে
বসে আছি নদীকুলে
তৃষ্নার্ত আমি কতকাল
তোমার ঠোটের সুধা পরে
একরাশ কামনামদির নয়নে এসে
সিক্ত কর আমায়
তোমার ভালোবাসার জলে।

এক সাগর ভালোবাসা বুকে ধরে
প্রতিক্ষার প্রহর গুনি শুধু
তুমি ফিরে আসবে বলে
প্রতিক্ষা ঘড়ির ঘন্টা শেষে
নীল কস্টগুলোকে পিছু ফেলে
ভালোবাসায় ভাসিয়ে নিয়ে যাবে
আমায় তুমি ওই সাগর নীলে।

শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১০

অপেক্ষা অন্যভুবনে

একদিন আমি চলে যাব পৃথিবীর মায়া ছেড়ে
কোন দূর সুদূরের দেশে
আর পথচেয়ে বসে থাকব তোমার অপেক্ষায়
তুমি আসবে বলে
এভূবনের সকল না পাওয়া
আর চাওয়া গুলোর ডালি সাজিয়ে
হে আমার অমরাবতি।

তুমি অভিমানে গাল ফুলিয়েছিলে
দেইনি বলে একগাছি বেলিমালা
সেদিন তোমার খোপায় গুজে।
কি করে দেব বল?
সেই কোন সুদুর দেশে বসে
বেলিমালা চেয়েছিলে
পাঠিয়ে চিঠি মেঘপিওনের কাছে,
আমি এক এক করে মালা গেথে তুলে রেখেছি আজো
তুমি আসবে বলে - কথা রাখনি,
শুধু অভিমান আর অভিমানে মুখ ফিরিয়েছ
হে অভিমানি বালিকা।

আচ্ছা তুমি এত হিংসুটি কেন?
চাঁদের গায়ে তোমার ছায়া দেখি বলে
চাঁদটাকে তুমি দেখতে পার না দু চোখে
আমি কি আকাশে চাঁদের রূপ দেখি
না মনে মনে ওখানে তোমার ছবি আকি?
কি করব বল -
আমার আকাশে যখন চাঁদ ওঠে
তোমার আকাশে তখন সূর্য হাসে
শুধু তোমার ভালোবাসার কিরণটুকু পাঠিয়ে দেয়
আমার আকাশে
চাদের রূপ ধরে
তাইতো আমি চন্দ্রাহত
হে হিংসুটি বালিকা।


অনন্ত নক্ষত্রবিথী বিছিয়ে রাখব আকাশে আমি
তোমায় পথ দেখাবে বলে,
চাঁদটাকেও না হয় বলে দেব
পূর্নিমার কিরন হয়ে যেন হাটে তোমার সাথে
গোলাপের পাপড়িগুলো সব থাকবে
বিছিয়ে তোমার পথে পথে
আর বেলিমালা গেথে বসে থাকব প্রতিক্ষায়
তুমি আসবে বলে।


মেঘ পিওনের চিঠি

মেঘ পিওন
ও মেঘ পিওন
একটু দাড়াও না ভাই
দেখ না খুঁজে তোমার চিঠির ঝোলাটা একটু
ঝোলার কোনো ফাঁকে পড়ে রয়েছে নাকি
আমার অমরাবতির চিঠিখানি ।

সে যে কথা দিয়েছিল
চিঠি পাঠাবে আমায়
প্রতিদিন না হলেও মাসে একটা অন্তত
তাও যদি না হয় তাহলে বছরে
না হয় যুগে একটা করে
নিজে পোস্ট করতে না পারলে
দিয়ে দেবে মেঘপিওনের কাছে।
দেখ না খুঁজে তোমার চিঠির ঝোলাটা একটু
ঝোলার কোনো ফাঁকে পড়ে রয়েছে নাকি
আমার অমরাবতির চিঠিখানি ।

সেই কবে থেকে পথ চেয়ে বসে আছি
চিঠিখানার জন্য আকুল হয়ে
তুমিও আসো না সহসা
দরজায় কড়া নেড়ে বল না যে
নিয়ে এসেছি তোর অমরাবতির চিঠিখানি
তোর সেই অনেক দিনের প্রতিক্ষার চিঠিটা।

তাই আমি নিজেই তোমায় খুঁজে ফিরি
এদিক ওদিক
আজ খুঁজে পেয়েছি বহুদিন পরে তোমায়
আমার মেঘ পিওন ভাই ।
ও মেঘপিওন ভাই
দেখ না খুঁজে তোমার চিঠির ঝোলাটা একটু
ঝোলার কোনো ফাঁকে পড়ে রয়েছে নাকি
আমার অমরাবতির চিঠিটা?

মনের কথাটা সে মুখ ফুটে বলে নাই কভু
বুঝিয়েছিল ইংগিতে শুধু
আর যাওয়ার সময় বলে গিয়েছিল
চিঠি দেবে মেঘপিওনের কাছে
সেই থেকে বসে আছি পথ চেয়ে
তোমার আগমনের
ও মেঘপিওন ভাই
দেখ না খুঁজে তোমার চিঠির ঝোলাটা একটু
ঝোলার কোনো ফাঁকে পড়ে রয়েছে নাকি
আমার অমরাবতির চিঠিটা?

বুধবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১০

তোমার জন্য

অভিমানে যখন গাল ফুলিয়েছিলে
আমি আদর করেছিলেম তোমার গালে
তোমার অভিমান পড়েছিল গলে গলে

রাগে দুঃখে যখন নিজের হাত কামরে ধরতে
আমি পালিয়ে পাশের বাড়ির ছাদে তখন
ফিরে আসি তোমার রাগ প্রশমিত হলে

আদর করে যখন কাছে ডাকতে
আমি কোলে আশ্রয় নিয়েছি তোমার
আদরে আদরে খুনশুটি করব বলে

যখন জীবন সংগ্রামে বিপর্যস্ত ছিলেম
মন মন চালের বোঝা নিয়ে আমি কুলি হয়েছিলেম
তোমাকে না জানিয়ে, শুধু তোমায় দু মুঠো ভাত খাওয়াব বলে


যখন তুমি প্রসব বেদনায় কাতর হয়ে মা মা করছিলে
আমি পাগল হয়ে ছুটোছুটি করছিলেম
গভীর রাতে এম্বুলেন্সের খোজে

যখন আমাদের অনাগত সন্তানটি চিরতরে বোবা হয়ে গিয়েছিল
তুমি একদম ভেংগে পড়েছিলে
একবুক জ্বালা নিয়ে আমি গাছ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেম তোমার মাথার পরে

বৃস্টির রাতে জখন তুমি জুবুথুবু হয়ে শুয়ে ছিলে
আমি কান্না হয়ে ঝরে পরেছিলেম তোমার ছাদে
রিমঝিম শব্দের তালে তালে তোমাকে ঘুম পারাব বলে

পূর্ণিমার রাতে জানালার ফাকে যখন নিঃশব্দ উদাস তাকিয়ে ছিলে
আমি জোৎস্না হয়ে চুমেছিলাম তোমার চিবুক জুড়ে
তুমি আবেশে ঘুমিয়ে পরেছিলে

অন্ধকার রাতে আমি দূরে সরে গিয়েছিলাম তোমায় ছেড়ে
শুধু হ্রদয়ের ব্যাথাগুলো বুকে নিয়ে
যাতে আমার কস্টগুলো তোমায় ছুতে না পারে।

বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১০

হ্রদয়ের তলদেশে তুমি

হ্রদয়ের তলদেশে খুঁজে পাই
গভীর অন্ধকার
শুধু তুমিতে তুমিতে একাকার।

তোমাকে মনে পড়ছে খুব করে আজ
হ্রদয়ের পরতে পরেতে শ্যওলা জমে আছে
তোমার স্মৃতিগুলো আজ বেদনা হয়ে
টুকরো টুকরো কথামালা
আর ছোট ছোট অভিমান
মন ভার করে আছে পাহাড় সমান।

ইট কাঠ আর পাথরের শহর হতে
পালাতে হবে খুব তারাতারি
হ্রদয় পাথর হওয়ার আগে
তোমার স্মৃতিগুলো বুকে ধরে
নইলে হয়তোবা আমিও তোমার মত
কাঠ বনে যাব
বাস্তবতার কঠিন নিস্পেষনে।

বড্ড দূরে যেতে ইচ্ছে করছে আজ
নির্মম শহর ছেড়ে
আকাশের কোল ঘেষে
দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড়স্রেনীর কাছে
যেখানে ঝরণা নদী সব এক হয়ে মিশে আছে
যেখানে হ্রদয় সরোবর হতে
অস্রুধারা গুলো কুলুকুলু রবে
ধীর গড়িয়ে নেমে যাবে
পাহাড়ের কোল ঘেসে
সাগরের পানে
খুঁজে নিতে তোমায়
যেথায় তোমার বাস
নদী জল হতে অস্রুজলটুকু
আলাদা করে নিতে পারবে কি আজ!

নাহ, পাহাড়ে যাব না
যদি দুটি জলরাশি কে আলাদা করতে না পার
তবে নদীজল সব নোনা হয়ে যাবে
পৃথিবীতে নেমে আসবে মিঠে জলের হাহাকার
হ্রদয়ের হাহাকার গুলিকে ছাপিয়ে।

তার থেকে বনে চলে যাব
যেখানে বুনো ফুলের গন্ধের সাথে
মিলেমিশে এক হয়ে আছে
তোমার গায়ের গন্ধখানি
যেখানে বুনো হরিণী খেলা করে আজ
তোমার প্রথম ভালোবাসা দিনের
চপল চঞ্চলতায়
যেথায় প্রজাপতি ডানায় রংধনু রঙ ছড়ায়
তোমার ভালোবাসায় রঙে রাঙিয়ে
সিদুর লাল হতে যে ভালোবাসা
মুছে গেছে বেদনার নীলে হারিয়ে।

আবার না হয় বনের মাতাল রূপ দেখব
যত রূপে দেখেছিলেম তোমায়
তোমাকে হারানোর বেদনায়
প্রকৃতির মাঝে নিজেকে হারাব
আর খুঁজে নেব তোমায় সেথায়
হ্রদয়ের গভীর তলদেশ হতে।

বুধবার, ১০ নভেম্বর, ২০১০

অজানার পথে

তুমি আর আমি পথ চলেছিলেম
কোন এক সাঁঝের বেলায়
স্বপ্নেরও ঘোরে
হাতে হাত রেখে
অজানার পথে।

মাথার উপর দিয়ে সন্ধ্যাকাশে উড়ে চলেছিল
ঝাঁকে ঝাঁকে পাখীসব ডানা মেলে দিয়ে
নীরে ফেরার তরে।

লাঙ্গল কাধে কৃষকের বাড়ি ফেরার পালা
সারি বেধে আউশ ক্ষেতের আইল ধরে,
সাথে করে ক্লান্ত হালের বলদ্গুলি
সারাদিনের পরিশ্রমে, সারি সার বেধে।

রাখাল বালকের দল মেঠো পথ ধরে
গরুর পাল নিয়ে বাড়ি ফেরে
এক পা দু পা করে
মাঝে মাঝে বেজে ওঠে ক্লান্ত সূরে
রাখালিয়া বাঁশিখানি
ক্লান্ত তার ঠোটের ওপরে ।


তাড়া ছিল বাড়ি ফেরার তরে সবার,
শুধু তুমি আর আমি চলেছিলেম
ডুবন্ত সূর্যাস্তের পানে
অজানার পথে
হাতে হাত রেখে
বিলীন হয়ে যেতে ওই
সূর্যাস্তের দেশে
কিংবা,
অনেক দূরে কোথাও
যেথায় কুয়াশার চাদর
মিলে মিশে একাকার হয়ে আছে
দিগন্তের ওপারে
আধো অন্ধকারে।

তুমি আর আমি পথ চলেছিলেম
হাতে হাত রেখে
অজানার পথে
অজানার পথে
অজানার পথে..................

রবিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১০

হ্রদয়ে কান পেত না

হ্রদয়ে কান পেত না
সইতে পারবে না।

কান পেতো না বুকে মোর
ওখানে হ্রদয় ধ্বক ধ্বক করে না
এখানে কোন মিস্টি কবিতা গুনগুন করে না
এখানে কোন পাখি কোকিল সুরে ডাকে না
ওখানে যে হ্রদয়ের পরতে পরতে লুকিয়ে আছে
না বলা সব কথামালা
না দেখা অনেক কান্না
আর হাহাকার ধ্বনি সব
সইতে পারবে না।

তবু কান পাতবে বুকে মোর?
সইতে কি পারবে সব?
যদি কান পাত বুকে মোর -

এখানে শুনবে রাজনীতিবিদ, আমলা বুদ্ধিজীবি
কবি-সাহিত্যিক ও সাংবাদিকদের
উচ্চকন্ঠে বলা সব ফাকা বুলি ,
বড় বড় কথা মালা
স্বাধীনতা নিয়ে, স্বৈরাচার নিয়ে, রাজাকার নিয়ে
কিংবা শুধু কথায় দেশটাকে বেচে দিয়ে।

ওখানে যে শোনা যায় খিদের যন্ত্রনায় কাতর
অভুক্ত সব পথ শিশুদের কান্নার ধবনি
কিংবা ছাল ওঠা ভুখোপেটা কুকুরের আর্তনাদ
মিলে মিশে একাকার হয়ে।

মাতমের মাদল ধবনি বাজে ওখানে,
সন্ত্রাসীদের হাতে বিধবা ওই নব্য বিবাহিতা কিশোরীর
কিংবা সন্তান হারানো মায়ের
কিংবা বাবা হারানো ওই ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুলির ।

ওখানে রয়ে গেছে বুড়ো বাবা মায়ের একেলাপন, দীর্ঘশ্বাস
তাদের না দেওয়া সব অভিশাপগুলো,
যা ছিল ওই কুলাঙ্গার সন্তানের প্রাপ্য
যে আজ রেখে এসেছে বাবা-মা’কে বৃদ্ধাশ্রমে
কোন এক কুহকিনীর মায়ার ছলানায় ভুলে।


ওখানে শুনতে পাবে অন্ধকার রাস্তায় কুহেলিয়া বাঁশি ধবনি
যেখানে জরিনা, সখিনারা ফেরি করে নরমাংস
নারিলোলুপ হায়েনাদের কাছে
শুধু দু মুঠো খাবার জোটানোর তাগিদে;
শুনবে কি
ওই বেশ্যাদের বোবাকান্না
মাংসলোভী পিশাচের অট্টহাসি আর
নোংরা শিশ্নের ক্ষুধা মেটানোর শিৎকার ধ্বনি?
আর পৈশাচিক আনন্দের মাসুল ওই
লোলচর্ম বেশ্যার জঠোরে ধরা
পিশাচের নোংরা বিরজে জন্ম
অবৈধ নবজাতকের কান্না।

বলেছিলেম তোমায় –
হ্রদয়ে কান পেত না

সইতে পারবে না।

বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১০

তুমি আর তুমিতে মাখামাখি


তোমাকে নিয়ে আমার স্বপ্নগুলো
আঁকিঝুকি কাটে মনের আকাশে
আমার অনেক পাওয়া আর না পাওয়ার বেদনাবিধুর
ওই স্বপ্নগুলি মোর

জীবনের ভিরে জীবন সংগ্রামে হারিয়ে যাই মাঝে মাঝে
তাই কথা হয় না সহসাই তোমার সনে
কিন্তু তুমি আছ, থাক প্রানে মোর সর্বদাই
চেতনায়, কিংবা কল্পনায়, মনে মনে।

কিছু কিছু মুখ আছে যাকে ভাবতে হয় না
চেহারাটা ভেসে ওঠে মনের আয়নায়
যেমন তুমি

কিছু কিছু রূপ আছে ভোলা যায় না
যারা স্নিগ্ধ কিরণ ছড়ায় মনের আকাশে
যেমন তুমি

কিছু কিছু মানুষ আছে যারা মনে আসে সর্বদাই
চিন্তায় বা চেতনায়
যেমন তুমি


যার মুখ নেই সে কথা বলে হাতে লিখে
যার হ্রদয় নেই সে প্রকাশ করে ভালোবেসে
আর আমার তো আমি’তেই নেই
হারিয়েছি কবে তোমার মাঝে
শুধু তোমায় ভালোবেসে।

টুকরো কথাগুলি সাজাই শুধু
মনে মনে
আর কথা বলি নিজমনে
একাকি তোমার সনে।

তুমি শুধু তুমি নয় আজ
হয়ে আছ আমার জীবনে শুধু
তুমি হয়ে
আমার জীবনের সাথে মিলেমিশে
তুমি আর তুমি'তে মাখামাখি হয়ে।