বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১০

হ্রদয়ের তলদেশে তুমি

হ্রদয়ের তলদেশে খুঁজে পাই
গভীর অন্ধকার
শুধু তুমিতে তুমিতে একাকার।

তোমাকে মনে পড়ছে খুব করে আজ
হ্রদয়ের পরতে পরেতে শ্যওলা জমে আছে
তোমার স্মৃতিগুলো আজ বেদনা হয়ে
টুকরো টুকরো কথামালা
আর ছোট ছোট অভিমান
মন ভার করে আছে পাহাড় সমান।

ইট কাঠ আর পাথরের শহর হতে
পালাতে হবে খুব তারাতারি
হ্রদয় পাথর হওয়ার আগে
তোমার স্মৃতিগুলো বুকে ধরে
নইলে হয়তোবা আমিও তোমার মত
কাঠ বনে যাব
বাস্তবতার কঠিন নিস্পেষনে।

বড্ড দূরে যেতে ইচ্ছে করছে আজ
নির্মম শহর ছেড়ে
আকাশের কোল ঘেষে
দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড়স্রেনীর কাছে
যেখানে ঝরণা নদী সব এক হয়ে মিশে আছে
যেখানে হ্রদয় সরোবর হতে
অস্রুধারা গুলো কুলুকুলু রবে
ধীর গড়িয়ে নেমে যাবে
পাহাড়ের কোল ঘেসে
সাগরের পানে
খুঁজে নিতে তোমায়
যেথায় তোমার বাস
নদী জল হতে অস্রুজলটুকু
আলাদা করে নিতে পারবে কি আজ!

নাহ, পাহাড়ে যাব না
যদি দুটি জলরাশি কে আলাদা করতে না পার
তবে নদীজল সব নোনা হয়ে যাবে
পৃথিবীতে নেমে আসবে মিঠে জলের হাহাকার
হ্রদয়ের হাহাকার গুলিকে ছাপিয়ে।

তার থেকে বনে চলে যাব
যেখানে বুনো ফুলের গন্ধের সাথে
মিলেমিশে এক হয়ে আছে
তোমার গায়ের গন্ধখানি
যেখানে বুনো হরিণী খেলা করে আজ
তোমার প্রথম ভালোবাসা দিনের
চপল চঞ্চলতায়
যেথায় প্রজাপতি ডানায় রংধনু রঙ ছড়ায়
তোমার ভালোবাসায় রঙে রাঙিয়ে
সিদুর লাল হতে যে ভালোবাসা
মুছে গেছে বেদনার নীলে হারিয়ে।

আবার না হয় বনের মাতাল রূপ দেখব
যত রূপে দেখেছিলেম তোমায়
তোমাকে হারানোর বেদনায়
প্রকৃতির মাঝে নিজেকে হারাব
আর খুঁজে নেব তোমায় সেথায়
হ্রদয়ের গভীর তলদেশ হতে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন