দু ভুবনের হিসেব
- যাযাবর জীবন
চড়াই উৎরাইয়ের জীবন
পাড়ি দেয়া হলো
বেশ অনেকটা পথ,
অনেক হলো দেখা
অনেক হলো জানা
কাণ্ডারি জীবন রথ।
শেখায় নি কেও পথ চলতে
দেখে শেখার তালিম ছিল না জানা
দ্বারে দ্বারে শিখেছি ঠেকে
তবু রয়ে গেছে কত অপার অজানা।
আশীর্বাদের বাড়ানো হাত পাই নি কখনো জীবনে
পথ চলতে হোঁচট সামলেছি কতবার পড়ে ধরণী তলে
দেখেছি কত প্রিয় মুখ ভেবেছি আপন যারে
পেছন ফিরতেই তাচ্ছিল্যের হাসি মুখটিকে বাঁকা করে
সামনে থাকতে মধুর ফুলঝুরি মুখ ফুটে ঝরে পড়ে
পেছন ফিরতেই ছোরা বিঁধিয়েছে আমারই পিঠের পরে
রিপুর কথা শুনেছে সবে দেখেছে কে তার রূপ
আমি দেখেছি কালো থাবা মেলা ষড়রিপুর আসল স্বরূপ
স্বার্থের নায়ে মাঝি সকলে
যার যার নিজস্ব বৈঠা হাতে
এ যুগে বল কোন বোকা আছে
বাদাম তোলে শান্তির নায়ে
ভেসে যেতে মৃদু সমীরণে;
রেসের ঘোড়ায় চাবুক আরো জোরে
পৌঁছতে হবে কে কার আগে
একজন আরেকজনের পথ মাড়িয়ে
মেঠোপথের ধুলো কে মাখে পায়ে?
ঠকায় সবাই স্বার্থের খেলায়
জীবনের প্রতি বাঁকে
বোঝে না মানুষ খেলোয়াড় নই আমি
দূরে সরে রই তাই ফাকে
বোকা বলে কত অপমান করেছ সবাই মিলে
তোমাদের তথাকথিত স্বার্থের খেলা আমি বুঝিনি বলে
সুযোগ হয়েছে যখনি যার
স্বার্থের খাঁড়ার নিয়েছি ভার
তাচ্ছিল্যের মালা গলে পড়েছি
মেনে নিয়ে মণিহার
স্বার্থের খেলায় তোমাদের জিত
আমার হয়েছে হার।
হিসেবে আমি বড্ড কাঁচা
পাওয়ার হিসেব করিনি তাই
সারে তিন হাত মাটির তলায়
সকলেরে যেতে হবে রে ভাই;
হারের মণিহার গলে পরে
এ-ভুবনে না হয় ন-মানুষ হলাম
ও-ভুবন রয়েছে পড়ে
স্বার্থের খেলা যতই খেল
যেতেই হবে তার কাছে।
টাকা কড়ি বাড়ি গাড়ি নিয়ে যেও সেদিন
পোটলা বেঁধে সাথে করে
একটি কড়িও যেওনা রেখে
সাত-ভুতে তবে খাবে যে লুটে
মানুষ ঠকিয়ে পাহাড় গড়েছ আজ উপচে পড়ছে টাকা
নির্মম সত্য ভেবেছ কখনো? মাটির তলায় রইবে চাপা।
তোমাদের সকল কর্ম কাণ্ডের আসল হিসেব শুরু হবে যেদিন
ন-মানুষ কিছু আছে পৃথিবীতে তাদের অল্প কিছু হিসেব দেবে সেদিন
তোমাদের কাছে নয়, তোমাদের কাছে নয়
ওপরওয়ালার কাছে, ঐ দূর আসমানে যে বসে আছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন