শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০১১

আজকের স্বাধীনতা, বাংলার স্বাধীনতা

আজ স্বাধীনতা দিবস
স্বাধীনতার ৪০বছর পার হয়ে গেছে
তবু কি পেরেছি আমরা স্বাধীন হতে?
পরাধীনতার নাগপাশ আজো কেন
বুকে চেপে আসে চারি দিক হতে।
আজকের এই দিনেও কেন এত হাহাকার
এত না পাওয়ার বেদনা
ঝড় হয়ে ওঠে।

আজো রাজাকার আল বদরের দল
ঘুরে বেড়ায় খোলা আকাশের নিচে
উন্নত শিরে
বুক টানটান করে।
আজো বিচারের আশায় ঘুরে ফিরে
শহীদের বিধবা বৌ
কোর্ট কাছারির দ্বারে দ্বারে।
হায় স্বাধীনতা!!!!!!!!!!!!!!!!

আজো বিনিদ্র রজনী কাটে ভুক পিপাসায়
৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা করিম মাঝির
নভেম্বরের গেরিলা অপারেশনে হাত হারিয়েছিল সে যে
প্রান বাঁচাতে গিয়ে তারি সহযোদ্ধা এক তরুন যুবকের
আর গুলি খেয়েছিল হাতে পালাতে গিয়ে
ঈদ্রিস আলি রাজাকারের ইশারায়।
সেই থেকে নৌকা বাওয়ার পালা হয়েছিল সাঙ্গ
বেচে আছে আজো ধুকে ধুকে সে যে
দুমুঠো ভাতের জন্য দয়ার ভিখ মেগে মেগে
আজকের দাপুটে ঈদ্রিস আলি চেয়ারম্যানের রাজ্যে।
হায় স্বাধীনতা!!!!!!!!!!!!!!!!


আজকের দিনটিতেও
গলি মুখে ভিক্ষা করে ফেরে এক অন্ধ ভিক্ষুক
আশায় বুক বেধে বেধে

যদি অন্য দিনের চেয়ে বেশি কড়ি পড়ে
তার ভিক্ষার ঝুলিতে!
আর অন্ধ চোখে স্বপ্ন দেখে ফেলে আসা সোনালী দিনগুলোর
যখন দুহাত ভরে ফসল ফলিয়েছিল
সোনার বাংলার মাটিতে।
জমি জমা সব ছিল একদিন যার,
গ্রামে ছিল তার সোনার সংসার
নদীর কাল ভাঙ্গনে ওলোট পালোট করে দিয়েছিল
জীবন করে দিয়েছিল ছিন্ন ভিন্ন একাকার
আজ ভিক্ষা মাগে পড়ে থেকে এক কোনে রাস্তার

চিকিৎসার অভাবে চোখ হারিয়ে তার।
হায় স্বাধীনতা!!!!!!!!!!!!!!!!



ঢাকা মেডিক্যাল এর বার্ন ইউনিটে
ভর্তি হয়েছে এক বাচ্চা ছেলে
আগুনের কারখানায় ঝলসে গেছে সে যে
বড়লোক এক মালিকের টাকার পাহাড় গড়তে গিয়ে
নিস্ঠুর মালিক মেতে আছে কোনো অন্ধকার লালসায় কামনায়
শিশ্নের ক্ষুধা মিটাতে
কিংবা বসে আছে বন্ধুদের সাথে মদের আড্ডায়

সামনে জুয়ার টেবিলে তাসের পসরা বিছিয়ে,
সময় কোথায় তার বাচ্চা ছেলেটির খবর নেবার?
আশে পাশের কিছু সহমর্মী লোকজন ধরাধরি করে

নিয়ে আসে তাকে মেডিক্যাল কলেজের বার্ণ ইউনিটে
ইন্টার্নি এক নতুন ছাত্রী ডাক্তার ব্যস্ত হয়ে ওঠে তাকে নিয়ে
একটু ভালো চিকিৎসা দেবার আশায়
হন্যে হয়ে খোঁজে তার সিনিয়ার প্রফেসারকে কিছু

উপদেশের আশায়।
আর প্রফেসার স্যার?
সারা মেডিক্যাল জুড়ে কোথাও নেইকো সেই প্রফেসর স্যার
ব্যস্ত সে তার ক্লিনিক নিয়ে টাকার পাহাড় গড়তে।

মেডিক্যাল কলেজের ফালতু ডিউটি কয় পয়সা দেবে তার।
রোগী মরলে দায় জুনিয়র ডাক্তার বা ইর্ন্টানীর
অথচ রোগী মরে প্রতিদিন
মশার মত, মাছির মত

রাস্তার ছাল ওঠা সব কুকুরের মত
বলার কে আছে

এই স্বাধীন বাংলাদেশে ?
হায় স্বাধীনতা!!!!!!!!!!!!!!!!

অপুষ্ট দেহ আর ক্ষুধা সাথে নিয়ে
অন্ধকার রাস্তায়
হাসিনা, সখিনা, জরিনারা ফেরি করে নরমাংস
নারিলোলুপ হায়েনাদের কাছে।
নোংরা শিশ্নের ক্ষুধা মিটিয়ে তবেই মেটায় জঠোরের ক্ষুধা
আর পৈশাচিক আনন্দের মাসুল গোনে জঠোরে ধরে অনাগত আরেক আবৈধ সন্তান
পিশাচের নোংরা বিরজে জন্ম
এক নতুন অনিশ্চিত ভবিষ্যত নাগরিক
স্বাধীন বাংলার নাগরিক
হায় আমার বাংলার স্বাধীনতা !!!!!!!!!!!!!

এই আমার দেশ
এই আমার আজকের বাংলাদেশ
স্বাধীনতার ৪০ বছর পর
যেভাবে দেখি আমাদের আজকের স্বাধীনতা,

পেটে ভাত নেই, পরনে কাপড় নেই
একটু পানের মত বিশুদ্ধ পানি নেই
আর ওদিকে বড় সাহেবদের গোয়ানস্টকে
সারি সাই চালের বস্তা শোভা পায়
চালের দাম আরো বাড়ুক
না খেতে পেয়ে অই ভিক্ষুকের ঝাড়ের
১৫টাকার চাল বিক্রি হয় ৪৫টাকা দরে
১০০০কোটি মুনাফা তুলে নিয়ে কালোবাজারী ব্যবসা থেকে
১লাখ টাকার চাল বিলিয়ে যায় বুভুক্ষের মাঝে
১০০০০কোটি টাকার ভোট ব্যাঙ্ক এর দুরাশায়
কিংবা গরিবের মাঝে চাল বিলিয়ে কিছু পূন্নের আশায়।
কেউ বা তারা কোটি টাকার গারমেন্টস একসপোরট করে
কারখানা জ্জবালিয়ে দেয় আরো শতকোটি টাকার ফায়দায়
ইন্সুরেন্সের টাকা তুলে নেয় শতগুনে একটি ফোনের কল্যানে
ইন্সুরেন্সের বড় বাবুকে সুন্দরী এক দেহপসারিনী ঘুষের বিনিময়ে
আর সেই ফ্যাক্টরির দিন আনা খেটে খাওয়া মানুষগুলো পরে রয়
অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পানে, দিন কাটে অনাহারে।
ঘরে আজ বিদ্যুত নেই বাতি জ্বালানোর মত

কিংবা চৈত্রের গরমে ফ্যান চালানোর মত
তাতে কি হয়েছে?
ছোট ছোট বাচ্চাদের পরীক্ষা সামনে
রাতের আধার কাটাতে চাই একটু আলোর দিশা
১৮ ঘন্টা খেটে খাওয়া মানুষের রাতের এক চিলতে ঘুম
অস্থির গরমে একটু পাখার হাওয়া
কিবা এসে যায় বিদ্যুত না থাকলে বংগে
আমাদের নেতাদের পুত্রের আই পি এস ব্যবসাতো আজ তুংগে।
হায় স্বাধীনতা!!!!!!!!!!!!!!!!


স্বাধীনতা নামের সোনার হরিণ
আজ আমাদের মুঠোর ভিতর।

আজ স্বাধীনতা এসেছে ভাত কাপড় বিহীন ভুখা নাংগার বেশে
কিন্তু স্বাধীনতার চেয়ে বড় বাণিজ্য আজ আর কিছু নেই এদেশে

স্বাধীনতার বুলি নিয়ে উচ্চকন্ঠ,
রাজনীতিবিদ, আমলা বুদ্ধিজীবি
কবি-সাহিত্যিক ও সাংবাদিক
শুধু বুলি, বুলি আর বুলি
বড় বড় কথার মালা
স্বাধীনতার বাণিজ্য বসে
রেডিও টিভি আর চ্যানেল গুলোয়
মাইক হাতে নিয়ে আজ
গলা ফাটিয়ে চিল্লায়
ওই একাত্তুরের কষাইরূপী খবিশ
রাজাকারের বেশ ছেড়ে আজ হয়েছে যে

প্রথিতযশা রাজনিতিবিদ ।
হায় স্বাধীনতা!!!!!!!!!!!!!!!!

হায় স্বাধীনতা!!!!!!!!!!!!!!!!
হায় আমার আজকের স্বাধীনতা।
হায় আমার বাংলার স্বাধীনতা।

ঘৃণা




২৫শে মার্চ
কালরাত্রি নেমে এসেছিল জীবনে এক
অনেক অনেক কাল আগে
সেই ১৯৭১ এ।

বর্বর কিছু নরপশুদের তান্ডব
হায়েনা রূপী মানুষের নগ্ন উল্লাস
কেড়ে নিয়েছিল সেদিন হাজার লাখো প্রাণ
ছিল তারা আমারই চারিপাশের মানুষগুলো
কিংবা আমাদের পূর্বপূরুষ
তারা হয়তোবা আমাদেরই কারো বাবা
কারো ভাই, কারো বোন বা কারো মা
ঘূনিত নরপশুদের তান্ডবলীলায়
সাংগ হয়েছিল কিছু প্রস্ফুটিত জীবন
আর লাখো বিধবার মনে চিরতরে
একে দিয়েছিল শহীদের রক্তের তাজা লাল ঘা।

রাজারবাগ পুলিশ লাইনের
হাজারো পুলিশ ভাইয়েরা সেদিন
মেশিনগানের শব্দে তালাবদ্ধ কান
লুটিয়ে পরছে এদিক সেদিক
বোবা চাউনিতে চেয়ে আছে
পাশের সৈনিকের
ঢলে পড়া লাশখানি বুকে করে
হয়তো নিজের বুক বেচেছিল
বুলেটের ঝাঝরা আঘাত হতে।

ভারী ট্যাঙ্কের ঘরঘর ঘসটে চলা
ঢাকার রাজপথ দিয়ে
কার্জন হল, শহীদ মিনার
ঢাকা ভারসিটির বুক চিরে
কান ঝালাপালা করা গুলির শব্দ
থেমে গিয়েছিল হাজারো নিরাপরাধ
খেটে খাওয়া মানুষের প্রান
স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল কত শত না
তরুন তরুনীর হাস্যোজ্জল মুখগুলি চিরতরে
ওই হিংস্র হায়েনাদের নরতান্ডবের মাঝে।

আমি বেচে আছি আজো
বেচে আছ তোমরাও
যে যার মত করে
হ্রদয়ের গভীর থেকে কি একটিবার
ঘৃণা উদ্গিরন করেছি আমরা
ওই নরপশুদের তরে?

আজো খেলার মাঠে দেখি
পাকিস্তানের ফ্ল্যাগ হাতে
আমারই দেশের মানুষ
উল্লাসে মেতে ওঠে
ওইদেশেরই বিজয় আনন্দে
যার বাবা বা চাচা
শহীদ হয়েছিল ১৯৭১এ
হয়তোবা এই খেলোয়ারদেরই
কোন পূর্ব পূরুষের হাতে।

ধিক জানাই আমি
ঘৃণা ভরা মনে
আমার দেশের ওই সব মানুষের তরে
যাদের হাতে আজো ওড়ে
পাকহানাদের ঝান্ডা
হোক সে খেলার মাঠে
কিংবা অন্য কোথা।

বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০১১

অবয়ব




মনের ক্যানভাসে কার ছবি ভাসে?
সময়ে অসময়ে
মনের রংতুলি চলে আনমনে
আঁকে কার ছবি মনের ক্যানভাসে
একটু একটু করে অবয়ব ফুটে ওঠে কার জানি
তুলির টান থেমে থাকে মাঝপথে
শত দ্বিধা মনের তুলির আচরনে
ছবি শেষ হয়ে ওঠে না কভু
তোমার রূপ যে দেখিনি কভু
অন্যভুবনে দুচোখ ভরে
কিংবা অন্যরূপে মনের ঘরে
শুধু অবয়বটুকু রয়ে যায়
মনের পারদবিহীন আরশিতে
অনেক কস্টে দেখতে চাওয়া ওই মুখ
মনের দৃষ্টিতে পরে না ধরা
ঝাপসা কাচের মত
ঝাপসা চোখ আর ঝাপসা একটু
অবয়ব মাত্র দেখি
থেমে থাকে মনের ক্যানভাসে আঁকা ছবি
অবয়ব হয়ে।

মনের রংতুলিগুলি
ভেজা জলে মেশে
নোনা হয়ে আসা
ঝাপসা দৃষ্টিতে
রংধনুও রঙ হারায়
ধীরে ধীরে শেষে
সাদা কালো হয়ে ওঠে
মনের ক্যানভাসে
অবয়বটুকু থেকে যায়
তবু মনের কোনেতে
আবছায়ার মত করে
শুধু অবয়ব হয়ে।

ঋণ

ধুলায় ধুসর মেঠোপথ খানি
খেতের আল ঘেসে পায়ে হাটা পথ
চলে গেছে কোন সুদুরের পানে
ছোট্ট একটি গাঁয়ের দিকে
ছোট ছোট সব গাঁ
যেথায় বাস দশ কোটি বাংগালির সেথা
মনে নিয়ে দশ কোটি অভিলাশ।

আর ঠিক পাশাপাশি গড়ে ওঠা
ইট কংক্রিটের সাড়ি
গড়ির ধোয়া, রিক্সার টুংটাং গান
গায়ে গা লাগিয়ে মানুষের পথ চলা
তথাকথিত নগর সভ্যতা
যেথায় বাস করে ছয় কোটি প্রান
ছয় কোটি বাংগালির বসবাসের নগরী
সাথে নিয়ে ছয় কোটি বাসনা।

গ্রাম বা শহরে মিলে মিশে
ষোল কোটি প্রান
ষোল কোটি আশা
একটি তার ভাষা
আমরি বাংলা ভাষা।

ষোল কোটি ঘুম
শুধু একটি স্বপ্ন দেখে
ষোল কোটি মুখে
শুধু একটি নাম জপে
মনে মনে প্রানে প্রানে
মুখে মুখে একটি ডাক আসে
পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইল জুড়ে
মা মা
সে যে আমাদের বাংলা মা
মনে জাগে একটি দেশ
সে যে আমার সোনার বাংলাদেশ।

রাহুগ্রস্থ আজ শুধু ষোলশ মানুষের হাতে
কিংবা হয়তো ষোল হাজার মাত্র
চল্লিশ বছরেও কুকুর রূপী ওই রাহুগুলির
ধ্বংশিবার তৈরী হয়নি আজো কোন ক্ষেত্র?

তিরিশ লক্ষ শহীদের ঋণ
শুধিবার সময় কি হয়নি আজো?

শুক্রবার, ৪ মার্চ, ২০১১

রাতের অভিসার

প্রতিদিন রাত হলে
ঘর হতে বের করে নিয়ে আস তুমি মোরে
হাতে হাত রেখে স্বপ্নেরও ঘোরে
নিয়ে যেতে চাও তুমি
কোন অভিসারে!

চোখ বন্ধ করে পথ চলি আমি
তোমার হাত দুটি ধরে
রেললাইনের পাত ধরে হেটে চলে যাই
নীল জ্যোৎস্নারও রাতে
বহুদূর পথ হেটে
চোখ মেললেই দেখি তুমি নাই
পথ চলছি একা আমি
হারিয়ে ফেলেছি নিজেকে
এক নিঃসীম অন্ধকারে।

বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ, ২০১১

আত্ম সন্ধান

প্রতি দিন যেন আমি নিজেকে খুঁজে ফিরি
সূর্যের আলোতে, ঝা ঝা রৌদ্দুর মাথায় করে
গায়ের মেঠো পথ ধরে একা একা পথ চলে
সবুজ ধানক্ষেতের আল ধরে হেটে হেটে
পানসি নৌকার বৈঠা হাতে করে
নদী নালা খাল বেয়ে
ধান শালিকের পাখায় ভর দিয়ে
দূর নীলাকাশের গায়ে।


প্রতি রাতে আমি তোমায় খুঁজে ফিরি
নীল জোস্নার মায়াময়ী রূপের ভাজে
সহস্র তারা ভরা আলোছায়ায়
দূর আকাশের গায়ে গায়ে
লাখো ফসফরাস জ্বলে ওঠা সমুদ্রের
ঢেউয়ের মাঝে
নির্জন বালুকাবেলায় পড়ে থাকা সব
ঝিনুকের বুক চিরে চিরে খুঁজে ফিরি
তুমি নামে আমার
সেই একটি মুক্তোদানা খানি।

আর নিজেকে চিনে নিতে হ্রদয় খুড়ে চলি
নির্মম কষাঘাতে।
অসংখ্য না পাওয়া সব চাওয়াগুলোর
করুণ হাহাকারে
প্রতি রাতে আমি আমার কবর খুড়ে চলি
বিজন অন্ধকারে।

বুধবার, ২ মার্চ, ২০১১

জীবন বৃত্ত

জীবনের বৃত্তটা বোধহয় পূর্ণ হতে চলেছে।
অনেক অনেক কাল আগের সেই হারানো মানুষগুলো ফিরে আসছে জীবনে আবার, যাদের স্মতিগূলোও হারিয়ে গিয়েছিল কালের আবর্তে মনের পর্দা থেকে।

একদিকে তাদের ফিরে পাওয়ার আনন্দ আবার আরেকদিকে, ভাংগাচোরা বয়সের ভারে ন্যুজ হয়ে যাওয়া মানুষগুলোর দিকে তাকিয়ে কেমন যেন অসহায় বোধ করি। আয়নায় এখন নিজের দিকে তাকাতেও ভয় হয়। কি জানি যদি সামনে দেখা মানুষগুলোর প্রতিবিম্বই দেখি আয়নায়?

এটাই কি জীবনের আসল সত্যি? আসলেই কি একটি বৃত্ত পূর্ণ হয়ে গেছে? হাতে কি তবে আর বেশি সময় নেই? কি জানি কবে ডাক চলে আসে ওপারের কুঠুরি হতে.......................................