শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০১১

ঘৃণা




২৫শে মার্চ
কালরাত্রি নেমে এসেছিল জীবনে এক
অনেক অনেক কাল আগে
সেই ১৯৭১ এ।

বর্বর কিছু নরপশুদের তান্ডব
হায়েনা রূপী মানুষের নগ্ন উল্লাস
কেড়ে নিয়েছিল সেদিন হাজার লাখো প্রাণ
ছিল তারা আমারই চারিপাশের মানুষগুলো
কিংবা আমাদের পূর্বপূরুষ
তারা হয়তোবা আমাদেরই কারো বাবা
কারো ভাই, কারো বোন বা কারো মা
ঘূনিত নরপশুদের তান্ডবলীলায়
সাংগ হয়েছিল কিছু প্রস্ফুটিত জীবন
আর লাখো বিধবার মনে চিরতরে
একে দিয়েছিল শহীদের রক্তের তাজা লাল ঘা।

রাজারবাগ পুলিশ লাইনের
হাজারো পুলিশ ভাইয়েরা সেদিন
মেশিনগানের শব্দে তালাবদ্ধ কান
লুটিয়ে পরছে এদিক সেদিক
বোবা চাউনিতে চেয়ে আছে
পাশের সৈনিকের
ঢলে পড়া লাশখানি বুকে করে
হয়তো নিজের বুক বেচেছিল
বুলেটের ঝাঝরা আঘাত হতে।

ভারী ট্যাঙ্কের ঘরঘর ঘসটে চলা
ঢাকার রাজপথ দিয়ে
কার্জন হল, শহীদ মিনার
ঢাকা ভারসিটির বুক চিরে
কান ঝালাপালা করা গুলির শব্দ
থেমে গিয়েছিল হাজারো নিরাপরাধ
খেটে খাওয়া মানুষের প্রান
স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল কত শত না
তরুন তরুনীর হাস্যোজ্জল মুখগুলি চিরতরে
ওই হিংস্র হায়েনাদের নরতান্ডবের মাঝে।

আমি বেচে আছি আজো
বেচে আছ তোমরাও
যে যার মত করে
হ্রদয়ের গভীর থেকে কি একটিবার
ঘৃণা উদ্গিরন করেছি আমরা
ওই নরপশুদের তরে?

আজো খেলার মাঠে দেখি
পাকিস্তানের ফ্ল্যাগ হাতে
আমারই দেশের মানুষ
উল্লাসে মেতে ওঠে
ওইদেশেরই বিজয় আনন্দে
যার বাবা বা চাচা
শহীদ হয়েছিল ১৯৭১এ
হয়তোবা এই খেলোয়ারদেরই
কোন পূর্ব পূরুষের হাতে।

ধিক জানাই আমি
ঘৃণা ভরা মনে
আমার দেশের ওই সব মানুষের তরে
যাদের হাতে আজো ওড়ে
পাকহানাদের ঝান্ডা
হোক সে খেলার মাঠে
কিংবা অন্য কোথা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন