বুধবার, ১৮ মে, ২০১১

টুকরো কথামালাগুলি ৩

১।

বর্ষার বিকেলেতে বারি ঝরা আকাশে
আনমনে জানালায় ঝিরি ঝিরে বাতাসে
কার কথা পরে মনে মনে জাগে ভাবনা
কার লাগি পুড়ে মন প্রানে দেয় যাতনা।


কতদিন দেখা হয়নি তার সাথে
মুখোমুখি বসে, চোখে চোখ রেখে।

কতদিন কথা হয়নি তার সাথে
হাতে হাত রেখে বসে, চোখে চোখ চেয়ে।

তবু তার উপস্থিতি রয়ে যায় অনুভবে
যেনো পুরোটা অস্তিত্ব জুড়ে।


দানে পূণ্য বাড়ে
প্রেমে কামনা
ধনে লোভ জাগে
ভালোবাসায় যাতনা।



২।

মুখ ফুটে বলতে কত লজ্জা, কত হেয়ালিপনার এই অবুঝ মন
অথচ মনের ভেতরে রয়ে যায় না থাকার শুন্যতা না পাওয়ার বেদনা
অনাস্বাদিত অনুভূতিগুলি গুমরে মরে একা একা মনে মনে
বন্যার মত ধেয়ে আসা আবেগে ভাসিয়ে দেয়া প্রেমের ভেলা
হঠাৎ করেই কারো জন্য মনের ভেতর এক বুনো নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব
কিংবা দিগন্ত রেখার ওপারে একরোখা ভালোবাসা যার জন্য
তার তরে রয়ে যায় আমাদের অপেক্ষার সারাটা জীবন।


৩।

মনের যত আবোলতাবল ভাবনাগুলো
চলে আসে স্বপ্নের মাঝে
ভাবনা গুলি মরে গেলে কি
স্বপ্ন বিদায় নেবে দুচোখ থেকে?

নাহ,
স্বপ্ন মরে গেলে মানুষ বাঁচে কি নিয়ে?
তার থেকে ভাবনাগুলোই
স্বপ্ন হয়ে বেঁচে থাকুক দুচোখ ঘিরে
হ্রদয়ের ধ্বক ধ্বক তো শুনতে পাব তোমার
স্বপ্নের মাঝে কান পাতলে...........................

৪।

কতদিন দেখা হয়নি তার সাথে
মুখোমুখি, চোখে চোখ রেখে
কতদিন কথা হয়নি তার সাথে
মুখোমুখি, চোখে চোখ চেয়ে
তবু তার অস্তিত্ব রয়ে যায় অনুভবে
আমার পুরোটা অস্তিত্ব জুড়ে।


৫।

নক্ষত্ররা একাকি জেগে রয়
একা একা কথা কয়
নক্ষত্র ধেয়ে চলে
নক্ষত্রের পানে।


৬।

কখনো নিরালায় বসে ভেবেছ কি?
আমার হ্রদয়ের কোন অংশ জুড়ে আছ ত্নুমি।
কখনো ভাবনায় এসেছে কি?
আমার অস্তিত্বের কতখানি নিয়ে গেছ তুমি।

৭।

জীবন মানে আজ ধুঁকে ধুঁকে বেচে থাকা
স্মৃতির কারাগারে অসহায় স্বপ্নের কড়াঘাত
কিছু সুখের কিছু দুঃখের, কিছু বা শুধুই তোমার।

সুখ স্মৃতিগুলো এখন আর মনে দোলা দেয় না
কস্টের স্মৃতিগুলো পীড়া দিয়ে যায়
শুধু তোমার স্মৃতিগুলো এখনো হ্রদয় দোলায়।

৮।

কস্ট কস্ট কিছু সুখ নিয়ে বেচে আছি
দুঃখ দুঃখ কিছু অনুভবগুলি হ্রদয়ে ধরে
জীবন চলছে জীবনের মত করে
সুখে দুঃখে হাসি কান্নার ভিরে
ভালোবাসার মানুষগুলো রয় দূরে সরে সরে
জীবনে ভালোবাসা রয়ে যায় অধরা হয়ে।

৯।

চাই না আমি মৃদু আলো চাই না রোদের ঢল
চাই না আমি একটি নদীর আজলা ভরা জল
চাই না আমি সবুজ পাহাড় চাই না হাওয়ার দোলা
চাই না আকাশ তুমি হীনা রংধনুর ওই মেলা।

তোমাকেই চাই শুধু তোমাতেই তুমি তুমি
তোমাকেই নিয়ে আমি, তুমি আর আমি তুমি।


১০।

রাজকন্যা পাহাড়ের এপাড় হতে আরশীতে খোঁজে কার মুখ
রাজকুমার ওপাড় হতে পথ চায় তার
আর চাঁদের আরশীতে খুঁজে ফেরে তার রাজকন্যার মুখ
মাঝে পাহাড় দাঁড়িয়ে থাকে
দু হ্রদয়ের মাঝে, কড়ির বাঁধা হয়ে।

মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০১১

গৃহত্যাগী পূর্ণিমা

আজ পূর্ণিমা
আজ জল জ্যোৎস্না
আজ পথ চলা হারিয়ে যাওয়া পথ ধরে
তোমায় খুঁজে নেয়া, হারানো মানুষের ভিরে
জল জোস্নার আলো অন্ধকারে।

আজ কোজাগরি পূর্ণিমা
বুদ্ধের গৃহত্যাগের পথ ধরে
গৃহত্যাগী হতে মন চায় নিঃশব্দ চরাচরে
তোমার ঐ বাড়ানো দুটি হাত ধরে
নীল জোস্নার আলো আধারে।

আজ অবাক করা এক চাঁদ উঠেছে আকাশে
ভাংগা বেড়ার ফাঁকে ফাঁকে একফালি জ্যোৎস্না
চুইয়ে নামছে আজ ঘুমভাঙ্গা রাতে
চুমছে আখি, হাতছানি দিয়ে ডাকে তার পানে
গৃহত্যাগের হাতছানি কে এড়াতে পারে
এই গৃহত্যাগের রাতে।

আজ পূর্ণিমা
আজ গৃহত্যাগের রাত
আকাশে ঐ এত বড় এক চাঁদ
ডাকে হাত বাড়িয়ে
আয় আয় আয়...............


সোমবার, ১৬ মে, ২০১১

টুকরো কথামালা চন্দ্রবেলা ১

১।

আজ পূর্ণিমা
আজ জল জ্যোৎস্না
আজ পথ চলা
পথ খুজে নেয়ার ভিরে
জল জোস্নার আলো অন্ধকারে।



২।

কিছু কিছু অনুভব আছে
যা মানুষ চেস্টা করেও অর্জন করতে পারে না
কিছু কিছু অনুভুতি আছে
যার জন্য চেস্টা করতে হয় না
কিছু কিছু মানুষ আছে
যারা ভালোবাসা বুঝে না
কিছু কিছু মানুষ আছে
যাদের ভালো না বেসে পারা যায় না
কিছু কিছু বোধ আছে
যা হ্রদয়ে ধরে না
কিছু কিছু মানুষ আছে
যাকে ভালো না বাসলেও হয় না
আমার কাছে তুমি সেই একজন
যাকে না ভালোবেসে
আমি আমাতে রইনা।



৩।

তুমি আর আমি
এক পালতোলা নৌকায় ছিলেম বসে সেদিন
আকাশে একফালি মেঘের ভেলা
ঢেকে দিচ্ছিল জোস্নার আলোকে।

আমি চাইছিলাম বৃস্টি
বর্ষা বিলাশ করব বলে
তুমি জেদ ধরেছিলে চাঁদের জন্য
চাঁদের আলোয় ভিজবে বলে।

সেই থেকে তুমি হয়ে গেলে চাঁদনি
আর আমি হয়ে গেলাম বর্ষা।

এখন দেখো তোমার আকাশে
চাঁদ খেলা করে বারো মাস ধরে
আর আমার আকাশে মেঘ নেমে আসে
তোমায় না পাওয়ার বেদনার
অস্রুগূলি মুছে দিবে বলে।


৪।

আজকের আকাশ-
মেঘ কি ছিলো তাতে?
নাকি নীল মেঘেরা চূড়ি হয়ে ভাসছিলো তোমার হাতে?

আজকের বাতাশ-
আগুনের হলকা ছিল কি তাতে?
নাকি শীতল পরশে ছুঁয়ে গিয়েছিল তোমাকে?

আজকের রাত -
চাঁদ কি ছিলো তাতে?
নাকি নীল চাঁদনি চুমেছিল তোমার গালে?


৫।

এখন আমার আকাশে চাঁদ ডুবে গেছে
আমাকে তারার মেলায় মায়াভরা রাতে ফেলে।


৬।

এখন আমার আকাশে চাঁদ
তোমার অবগাহন কাঠফাটা রৌদ্রে
খানিক বাদ সন্দ্যা ঘনাবে তোমার আকাশে
আমার চাঁদের দিকে তাকিয়ে দেখতো একবার
তখনো কি তোমার এলিয়েন হতে কি ইচ্ছে করে?

নাকি হবে জল জোস্নার রাতে হবে বন হরিনী
তোমার বন হরিণী রূপ দেখি না কতকাল হয়ে গেল
মন কাঁদে আজ তোমায় বন জ্যোৎস্নায় দেখব বলে
তোমাকে তোমা রূপে, তোমা রূপে।

সৌর জগতের ওপার হতে
শত কোটি বছরের পথ পারি দিয়ে
এসেছিল নেমে মর্তের মাটিতে
নীল জোস্নার ছায়া ছায়া দেশে
এলিয়েন ছিল তার আরেক নামের কায়া।

চাঁদের আলো সারা গায়ে মেখে
পথিবীর রূপ রঙ সবি ভালোবেসে
অবাক দস্টিতে তাকিয়ে রয় সুদুর পানে
পথিবীর মানুষ গুলোর ভালোবাসা মেখে
হয়ে যায় সে যে আজ বন হরিণীর মায়া।


৭।

আচ্ছা বলতো দেখি -
চাঁদ বেশি সুন্দর না তুমি?
আচ্ছা বলতো বাবু চাঁদের আলো কোমল
না তোর ভালোবাসার তীব্রতা বেশি।
আমরা চাঁদ কে ভালোবেসে যাই দূর থেকে
আসলে ভালোবাসার মানুষ থাকে আমাদের খুব কাছ ঘেসে।



৮।

আজ যে আমার চাঁদের দেখা পেয়েছি
আজ যে আমার চাঁদনি এসেছিল আকাশে
আজ যে তার ভালোবাসাটুকু ভেসে বেড়ায় বাতাশে
আমি কান পেতে রই তার চুড়ির নিক্কন ধ্বনি শুনব বলে।



৯।

তুই হিমি হ
তুই হি মি হ
জ্যোৎস্নায় হাত ধরে
পথ চলা হিমুর সাথে।

তুই হিমি হ
তুই হি মি হ
হাতে হাত রেখে
কিছু কথা হিমুর সাথে।

বন জোস্নার আলোছায়া রাতে।


১০।

জ্যোৎস্না মেলায় আলোর খেলায়
তারার আলো সব হারিয়ে যে যায়
স্বপ্নগুলো চোখের তারায়
হ্রদয়ে সব বাসনা জাগায়।

হাত বাড়িয়ে খুঁজি ফিরি
হ্রদয় দিয়ে তারেই খুঁজি
অনেক দূরে তারার মেলায়
ভালোবাসাই শুধু পুঁজি।

অনেক দূরে তাকিয়ে থাকি
ভালোবাসার মানুষ খুঁজি
হ্রদয় মাঝেই আছে যে সে
একটু যদি মনে ভাবি।

রবিবার, ১৫ মে, ২০১১

টুকরো কথামালাগুলি ১

১.

সবার জন্য লিখি না
কারো কারো জন্য
যেমন তুমি।

সবার জন্য ভাবি না
কারো কারো জন্য
যেমন তুমি।

সম্পর্কের মালা গুলি
এক এক জনের জন্য একেকরকম গাথা হয়
তোমারটা আজো গাথা হল না।

২.

বন হংসি মনোহারিনী,
তোমার আঙ্গিনার ময়ূর খেলা করে আনমনে
তোমার ছাতিম গাছে ধান শালিখেরা বাসা বাধে নির্ভয়ে
তোমার আকাশে জ্যোৎস্না নেমে আসে আলো হয়ে
তোমারি ছাদে বৃস্টি ঝরে পরে সুর হয়ে...............

আমি অন্ধকারে পড়ে রই
কালো জোস্নার তিমির আঁধারে।


৩.

আজ কি টিপ দিয়েছিলি?
কালো, নাকি লাল?
তাকে ভেবে একটু রাঙা, হলো কি তোর গাল?

আজকের আকাশ-
মেঘ কি ছিলো তাতে?
নাকি নীল মেঘেরা চূড়ি হয়ে ভাসছিলো তোর হাতে?


৪.

বৃত্তের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আছি আমি
কুল খুজে পেতে পরিধির দিকে চোখ ধায়
পূরো ব্যাসার্ধ জুড়ে আছ শুধু তুমি
সেই অসীম পর্যন্ত, যতটুকু দেখা যায়।


৫.

আমার হ্রদয়ে আঁকা ছিল যে চাঁদ
রাতের আধারেতে তোমারি বেদনায় ম্লান হয়ে যায় ডুবে
হ্রদয়ে ক্ষরণ রক্ত ঝড়ায়
ভোরের আকাশে লাল সূর্য হয়ে ভেসে ওঠে ওই পূবে।


৬.

ঝড় উঠেছে বনে
ঝড় উঠেছে মনে

বাতাস হয়েছে বাউল
তোমারো বিহনে।


৭.

রক্তের রঙ এক
অস্রু ও তেমনি
মনটা সবার কেন এক হয়না?

কষ্টেরা ছোট বড়
সুখেরা ও তেমনি
ভাবনারা তবু কেন এক হয় না?


৮.

এই আছ এই নাই
মনে ভাবি আছ তাই
চোখ মেলে দেখি নাই
শুন্যতা - একা একা
তুমি নাই পাশে নাই।



৯.

বলতে চাইনি
তবু বলতে হল
দেখত চাইনি
তবু দেখতে হল
বুঝত চাইনি
তবু বুঝতে হল
দিন থেকে রাত হল
রাত কেটে দিন এলো
বলতে চাইনি
তবু বিদায় বলতে হল
তুমি চলে গেলে
তাই একরাশ শুন্যতা রয়ে গেল।


১০.

তোমার ভেতর কে আছে হায়
লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদে !
ধরতে গেলেই পালিয়ে বেড়ায়,
আকাশ হারায় চাঁদে !

১১.

ভাবব না ভাবব না করেও মনে আসে কত ভাবনা
সামনে এগোই এক পা পেছনে টেনে ধর তুমি

রেখে যেতে চাই মনের কোনেতে কিছু
হতে হতেও কেন জানি হলো না
নুয়ে পড়ে আছে এলোচুল কিছু
মাথার পরেতে যত যাতনা

ভাবব না ভাবব না করেও মনে আসে যত ভাবনা
সামনে যে এগোতে পারি না, পেছনে টেনে ধরা আর না আর না।

১২.

বড্ড ইচ্ছে করে তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে
বড্ড ইচ্ছে করে তোমায় সাথে নিয়ে আকাশটাকে ছুঁতে................

জীবনের বেশিরভাগ ইচ্ছেগুলো অপূর্ণই থেকে যায়
স্বপ্নগুলো শুধু ডানা মেলে মনের আকাশে,
অল্প কিছু চাওয়া আর বেশিরভাগ না পাওয়ার যন্ত্রনায় ঘেরা
আমাদের এই যাপিত জীবন।

তবু আমি স্বপ্ন দেখি প্রতিদিন
তোমাকে পাওয়ার
কিংবা যন্ত্রনা ভোগ করি প্রতিক্ষণ
তোমাকে পেয়ে হারাবার।


১৩.

কাছে থাক, মনে হয় আছ তুমি এই
দূরে গেলে মনে হয় কেন তুমি নেই?
পাশে থাক, কথা নাই একা একা আমি,
মনে মনে কথা বলি একটু না থামি।
বাড়ালে দু'হাত তুমি দেইনা ক ছুঁতে
নেই তুমি, হাহাকার ছোঁয়াটুকু পেতে।
ভালবাসি বলিনাকো প্রেম মনে যত
শুনবার তরে মন পোড়ে অবিরত।


১৪.

সময়ে অসময়ে
মনের রংতুলি চলে আনমনে
আকে কার ছবি মনের ক্যানভাসে
একটু একটু করে অবয়ব ফুটে ওঠে কার জানি
তুলির টান থেমে থাকে মাঝপথে
শত দ্বিধা মনের তুলির আচরনে
ছবি শেষ হয়ে ওঠে না কভু
অন্যভুবনে তোমার রূপ যে দেখা হয়নি
দুচোখ ভরে
শুধু অবয়বটুকু রয়ে যায়
মনের পারদবিহীন আরশিতে
অনেক কস্টে দখতে চাওয়া ওই মুখ
মনের দৃষ্টিতে পরে না ধরা
ঝাপসা কাচের মত
ঝাপসা চোখ আর ঝাপসা একটু
অবয়ব মাত্র দেখি
থেমে থাকে মনের ক্যানভাসে আকা ছবি
অবয়ব হয়ে।


১৫.

সেদিনের সেই ছোট্ট বিকেল বেলা
দেখতে দেখতে নেমে এলো সন্ধ্যা
তুমি আর আমি মুখোমুখি
চেয়েছিলেম চোখাচোখি
নীরবে বলেছিলে মনের কথাগুলি সকলি
না বলা সেই কথামালাগুলি
শুধু হাতে হাত রেখে
আর চোখে চোখ চেয়ে.........


১৬.

একলা আমি বাহির হলাম
তাহার অভিসারে
সাথে সাথে কে চলে মোর
নীরব অন্ধকারে।

ছাড়তে চাই যে অনেক করে
ঘুড়ে চলে যাই দূরে
মনে করি আপদ গেছে
মন গেছে তারে ভুলে।

কিন্তু শুধু চোখ বুজলেই
আবার দেখি তারে
হ্রদয় যতই বন্ধ করি
ফিরে আসে সে ঘরে ।


১৭.

পুড়ছে হ্রদয় অনলে
দাউ দাউ জ্বলছে আগুন হয়ে
ভালোবাসাটুকু সামলে ধরে


১৮.

মন নিয়ে খেল না
মনে তুমি আছ .................................



১৯.

জীবনের বৃত্তটা বোধহয় পূর্ণ হতে চলেছে।
অনেক অনেক কাল আগের সেই হারানো মানুষগুলো ফিরে আসছে জীবনে আবার, যাদের স্মতিগূলোও হারিয়ে গিয়েছিল কালের আবর্তে মনের পর্দা থেকে।

একদিকে তাদের ফিরে পাওয়ার আনন্দ আবার আরেকদিকে ভাংগাচোরা বয়সের ভারে ন্যুজ হয়ে যাওয়া মানুষগুলোর দিকে তাকিয়ে কেমন যেন অসহায় বোধ করি। আয়নায় এখন নিজের দিকে তাকাতেও ভয় হয়। কি জানি যদি সামনে দেখা মানুষগুলোর প্রতিবিম্বই দেখি আয়নায়?

এটাই কি জীবনের আসল সত্যি?


২০.

হয়তো তোমায় হারিয়ে দিয়েছি
নয় বা গিয়েছি হেরে
সময়ের কথা সময় বলে দেবে
কে কাকে গিয়েছিলেম ছেড়ে।


২১.

মনের ভেলায় কিছু রঙ ভাসে
হ্রদয়ে দোলা দেয় কিছু ভাবনা
অবাক চেয়ে থাকি আঁখিপানে তার
তারে কিছু কইতে যে মন চায়
কিছু কথা কবিতা হয়ে গুনগুনায়
যখন আঁখিতে আঁখি হারায়।


২২.

একটা পুরো জীবন কেটে যায় প্রতিক্ষায়
খুজে ফিরে আঁখি সারাক্ষণ
শুধু একজন মানুষেরই পথ চায়
জীবনে শুধু একজন মানুষের
মূল্য বোঝার মত একটা শুদ্ধ মন
এক জীবনে, আদৌ কি খুজে পায়?

২৩.

আবার উড়ে চলা কিছু পথ
কিছু পাহাড়ের গা বেয়ে
নীল নীলিমার কোল ছুয়ে
আকাশেতে ডানা মেলা
আবার উড়ে চলা দিগন্তের পানে।

ক্লান্ত জীবন
ক্লান্ত সময়
তবুও ডানা মেলতে হয়
আকাশের গায়
বেচে থাকার তাগিদে
কিংবা নতুনের সন্ধানে
অথবা তোমায় খুঁজে ফিরে।


২৪.


পাহাড়ের কোল ঘেসে পাহাড়
সাড়ি সাড়ি পাথরের দেয়াল
দেখি আর মনে মনে ভাবি
হ্রদয়টা কেন যে পাথরে গড়া হল না!
তাহলে তো আর এলোমেলো ভাবনাগুলি
মনে এসে ঊকি দিত না,
তোমায় বার বার মনে করে
তোমাতে হ্রদয় হারাতো না।


২৫.


মাদল বাজছে পাহাড়ে
পাহাড় ডাকছে আমারে
দ্রিমিত দ্রিমিত পাহাড়ি মাদল
মাদকতা ছড়ায় মনে প্রানে।

পাহাড় ডাকছে আমারে
যেতে হবে দ্রিমিতার কাছে
মহুয়ার দোচোয়ানি
নেশা জাগায় প্রানে।

মাদল বাজছে পাহাড়ে
যেতে হবে আমারে।


২৬.


আয়নাতে নিজেকে খুজে
মনে মনে কি জানি ভাবে
আরশিতে ফুটে ওঠে প্রতিচ্ছবি তার
সে যে এক আয়নাকন্যার মুখ
একটু কি করে আছে ভার?


২৭.


সব সময় মনে একটা ভায় কাজ করে
কি জানি কি ভুল করে ফেলি
আগের কাজ গুলির দিকে নজর দিতে চেস্টা করি
প্রতিনিয়ত খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে চেস্টা করি
আর নিজেকে ছিড়ে খুড়ে রক্তাক্ত করি
তবুও ভুলগুলি সব এক এক করে ভেসে ওঠে চোখের সামনে
শুধু মনকে পীড়া দিতে।

কখনো কি মনকে ক্ষমা করতে পারব
কৃত সব অন্যায়গুলিকে কি শুধরাতে পারব?

বড্ড ভাবনা হয় কেন জানি আজকাল
যদি না পারি
যদি না পেরেই চলে যেতে হয়
তবে আমার ভুলগুলোকে কে শুধরে নিবে?


২৮.


একদিন তোমার জন্য
শীতল হাওয়ায় নৌকা বাওয়া
একদিন তোমায় নিয়ে
নীল দরিয়ায় হারিয়ে যাওয়া।
একদিন তোমার জন্য
অপেক্ষারই কথা বলা
আজো শুধু তোমার জন্যই
একা একা পথ চলা।

২৯.

নীল বেদনা পিছু ফেলে
নীল আকাশের নীলে ভেসে
নীল সাগর সব পাড়ি দিয়ে
নীল জ্যোৎস্না ফিকে করে
দয়িতা, তুমি আমার হবে।


৩০.

বলাকার ডানায় গা ছুয়ে দিয়ে
নীল পরী ভেসে চলে নীলাকাশের পানে
নীল সাগরের পাড় ঘেসে ঘেসে
সবুজ বনরাশি হাতছানি ডাকে
চোখে তার মায়াজাল
ওই দূর তারা দেশের স্বপ্নঘেরা হাতছানি
হাতখানি বাড়িয়ে আছে ধ্রুবতারার পানে
স্বপ্ন ধরবে বলে হাতে।


৩১.

পৃথিবীর এই আজব নাটক পাড়ায়
মঞ্চস্থ হচ্ছে কতই না নাটক প্রতিদিন
কত ভালোবাসাবাসি, কত মাখামাখি দুজনে দুজনায়
কতইনা চিঠি লিখা হয় প্রতিদিন
আনপনের কালিতে বা মনে মনে
ভালোবেসে নীল খামে করে
কত চিঠি পৌছে প্রাপকের কাছে
কত চিঠি রয়ে যায় পড়ে
পোস্টঅফিসের কোন এক নির্জন কোনে
অবহেলায়
ঠিকানাবিহীন ঠিকানায় লেখা এমনই একটি চিঠি পাঠানোর খায়েশ
তোমার কাছে আমার অনেক দিনের

দিবা নিশি অপেক্ষায় থাকি
যদি কোনদিন হঠাৎ একদিন ভুল করে পৌছে যায়
আমার চিঠিটি যথাযথ প্রাপকের কাছে .........


৩২.

পলি পরে গেছে জীবন নদীতে
লিলুয়া বাতাস থেমে গেছে কবে থেকে

আমি আজো অপেক্ষায় কারো পথ চেয়ে
হয়ত তার ফিরে আসা কভু হবে
মেঘগুলো দূরে সরে যাবে
দয়িতা তুমি আমার হবে

পলি পরে গেছে জীবন নদীতে
লিলুয়া বাতাস থেমে গেছে কবে থেকে


৩৩.

সবাই একদিন মাটি হব
মাটিতে সৃষ্টি মাটিতে বিলীন............

৩৪.

মনের ভেতর কুয়াশার মেঘগুলি এত ঘন কেন
কিছুতেই সিগারেটের ধোঁয়ার সাথে সাথে সাথে ওগুলো উড়িয়ে দিতে পারছি না।

৩৫.

আজ আমার লাশের শবচ্ছেদ হবে
আমারই হাতে নির্মম যাতনায়
বের করে নিতে হবে ষড়রিপু সকলি
হ্রদয় থেকে ধুয়ে মুছে

৩৬.

বিজয় আমার
দাঁত বের করা লোলুপ হায়েনার
কালো কুৎসিত মন,
বিজয় আমার
আশি বছরের থুথ্থুরী বুড়ির
চিমশানো দুটি স্তন।

বিজয় আমার
প্রি ম্যাচিওরড সন্তানের
আকালে পৃথিবির ডাক,
বিজয় আমার
কুমারী মাতার
অকাল গর্ভপাত;
আর সাথে নিয়ে কিছু
অমানুষ, হায়েনার
দুষিত রক্তস্রাব।

অসহায় অবলোকন

তুমি যেন সরে গেছ আজ দূরে, বহুদূরে
আমা হতে, আজ আমা হতে।

তুমি ছিলে কালো মেঘের ভেতর যেন এক স্বর্ণালী আলোর কিরণ
যেন মেঘে ঢাকা জ্যোৎস্না রাতের আলো ছায়া খেলা
হয়ে গেছ আজ যেন নক্ষত্রের অস্পষ্ট আকাশ
আরো দূরে সরিয়ে নিচ্ছে তোমায় বৈশাখি ঝড়ো বাতাস
যেন ভাটার টানে সরে যাচ্ছ পাড় থেকে আরো দূরে
বহুদূরে সীমানার ওপারে কোন অচিন বন্দরের কোল ঘেসে
চলে গেছে আরো সরে।

স্বপ্নের মিনায় গড়া স্বপ্নের বাসা
ভেংগে রক্তাক্ত হয় স্বপ্নের ডানা
আমি অসহায় চেয়ে দেখি, আর দেখি, আর দেখি......
ভেংগে গুড়িয়ে যায় আমার স্বপ্নের পৃথিবী
তুমি সরে চলে যাচ্ছ দূরে, আরো দূরে, বহুদূরে
আমা হতে, শুধু আমা হতে।

বুধবার, ১১ মে, ২০১১

টুকরো কথামালাগুলি ২

১.

বর্ষার বিকেলেতে বারি ঝরা আকাশে
আনমনে জানালায় ঝিরি ঝিরে বাতাসে
কার কথা পরে মনে মনে জাগে ভাবনা
কার লাগি পুড়ে মন প্রানে দেয় যাতনা।




২.

স্বপ্নের মিনায় গড়া স্বপ্নের বাসা
ভেংগে রক্তাক্ত হয় স্বপ্নের ডানা
আমি অসহায় চেয়ে দেখি, আর দেখি, আর দেখি......
ভেংগে গুড়িয়ে যায় আমার স্বপ্নের পৃথিবী
তুমি সরে চলে যাচ্ছ দূরে, আরো দূরে, বহুদূরে
আমা হতে, শুধু আমা হতে।

৩.

যখনই সময় পাই
একবার উঁকি দিয়ে যাই
ভোরের সূর্যে বা সাঝের বেলায়
ঘন বরিষণে ঝড়ের খেলায়
মনে আছ তুমি
দু চোখ জুড়ে
চোখ বুজে তোমায় দেখি শুধু স্বপ্নেরও ঘোরে
কালো রাত্রিরে তারার মেলায়
বুনো জ্যোৎস্নায় আলোর খেলায়
হায় চোখ মেললেই স্বপ্ন হারায়
বাস্তবতায়, শুধু শুন্যতা রয়ে যায়।

৪.

ভেবেছিলেম বদলেছে সময়
আসলে কিছুই বদলায় নি
সময়কে আসলে বদলানো যায় না
একই সময় ঘুরে ঘুরে ফিরে আসে
মানুষের জীবনে
শুধু স্মৃতির কস্টগুলিকে আরেকবার করে
ঝালিয়ে নিতে।


৫.

প্রদীপের টিমটিমে আলো
নিভু নিভু করে জ্বলে
হালকা বাতাসে অন্ধকারের সাথে
কেঁপে কেঁপে ঝুঝে চলে।

জীবন প্রদীপের সলতেতে হাওয়া
অন্ধকারের প্রতিচ্ছায়া যেন তারই ফাঁকে হাসে
দোদুল্যমান প্রদীপের জীবন
টেনে নিয়ে যায়, মরনের খুব কাছে।

৬.

তুমি আমায় চিঠি লিখনা হয়ে গেছে সে কতকাল
সময়ের বিবর্তনে আমিও গিয়েছিলেম ভুলে....
প্রতিদিন একটি করে হালকা সবুজ কাগজে
কলমের আকিঝুকি,
কোন মানে ছাড়া তোমার হাবিজাবি সব কথা
প্রতিদিনের দিনলিপিগুলি
কাগজের পৃ্স্ঠাভরে হাজার কথামালা
হালকা সবুজ কাগজে, ভরে নীল রঙ এর খামে
ভুল হত না তোমার পাঠাতে প্রতিদিন
একটি করে
মনে পড়ে?

৭.

আকাশে যখন চাঁদ না থাকে
তখন জ্যোৎস্না খুঁজো
জ্যোৎস্নাকে না পেলেও
পেয়ে যেতে পারো আমায়
অমাবস্যা আর আমার মধ্যে
পার্থক্য কতটুকু?


৮.

বেচে আছি আজ দুটি সত্বার ভিরে
আনন্দ ও বিষাদের মিস্রনের সুরে
কাজ আর অবসাদ এ যাপিত জীবন
তিলে তিলে করে যাই অপেক্ষার মরণ।

সাদা আর কালোর কি অপূর্ব বাধন
হলো না শুধু আমারই ভজন সাধন
ইচ্ছে আর অনিচ্ছের লাল নীল ঘুড়ি ওড়ে আকাশে
নাচে আমায় ঘিরে ঘিরে, একসাথে মিলেমিশে।

আমি অসহায় চেয়ে দেখি
দুটি আলাদা সত্বার বেচে থাকা মরনের ভিরে
একই দেহে, আমাকে ঘিরে, আমাকে ঘিরে।


৯.

একদিন আমি চলে যাব পৃথিবীর মায়া ছেড়ে
কোন দূর সুদূরের দেশে
আর পথ চেয়ে বসে থাকব তোমার অপেক্ষায়
তুমি আসবে বলে
এভূবনের সকল না পাওয়া
আর চাওয়া গুলোর ডালি সাজিয়ে
হে আমার অমরাবতি।


১০.

পাহাড় ডাকে
পাহাড় ডাকে
পাহাড়ি নদী ডাকে
পাহাড়ি ঝর্ণা ডাকে
এত ডাক উপেক্ষা করার মত
মানসিক বল আমার কোথায়?
তাই চলি নীল পাহাড়ের দেশে
সাথে নিয়ে তোমার স্মৃতিগূলো
একটি একটি করে খুলে দেখব
নীল পাহাড়ের গায়ে হেলান দিয়ে
তোমার স্মৃতিতে আমার স্থান কোথা।

পাহাড় ডাকে
পাহাড়ি নদী ডাকে
পাহাড়ি ঝর্ণা ডাকে
তোমার স্মৃতি নিয়ে অবগাহন করব সেথা।


১১.

মন ডাকে যে মনটাকে আজ
মন খারাপের কান্না ঝরে
বৃষ্টি ঝরা রাতের শেষে
হাত বাড়িয়ে তোমায় খোঁজে।


১২.

লাল আর হলুদের কিছু কিছু রং
তারি সাথে মিলেমিশে সবুজেরও ঢং
লালে আঁকা আলপনা সারা হাত জুড়ে
চুড়িগুলো অবহেলায় পাশে রয় পড়ে
মনের লালে সে যে রং মেখে খুশিতে একাকার
পরী সেজে বসে আছে জুড়ি মেলা ভার।

১৩.

তোমায় আমি ডাকি বলে
থাক তুমি সরে
তোমায় ভালোবাসি বলে
আমায় রাখ দূরে।


১৪.

তুমি আর মন খারাপের রাত
মিলে মিশে একাকার
তাই তো আকাশে আজ এত মেঘের আনাগোনা
কিন্তু বৃস্টি টা কেন জানি আসি আসি করেও
আর এলো না
ঠিক তোমারই মত
প্রতিক্ষার প্রহর গোনাই সার হল শুধু।


১৫.


ঘুম কে ডাকি চোখে
আমার মন খারাপের রাতে
ঘুম এসে যাক চোখে
তোমার মন খারাপের রাতে।


১৬.

বৃষ্টি হলে বুকের ভেতর দ্রিমিক দ্রিমিক মাদল বাজে
বৃষ্টি হলে টিনের চালে রিমঝিম ঝিম বাদল নামে
বৃষ্টি হলে ধানের ক্ষেতে পাগলা হাওয়ার দোল
বৃষ্টি হলে মনের ক্ষেতে হয় যে গন্ডগোল।

বৃষ্টি হলে সব ভুলে যাই
ঘোর বারিষে মনকে হারাই
কালো আকাশ উদাস বাতাস
মনে লাগায় দোল।

১৭.


তোমায় যতই ধরতে যাই
টুকরো জুড়ে জুড়ে,
ছায়ার মত পিছোও তুমি
ক্রমশ আরো দূরে।

হাত বাড়িয়ে তোমায় খুঁজি
হ্রদয় খুলে দেখবে তুমি!
যতই তোমায় কাছে টানি
ততই যে যাও সরে।

ছায়ার মত পিছোও তুমি
ক্রমশ আরো দূরে।

১৮.

শুন্যে ডানা মেলে শুন্যতা খুঁজে ফিরে
চাতক মন
শুন্য মনে শুধু শুন্যতা জেগে ওঠে
ভেসে ওঠে সেই
পেয়ে হারাবার ক্ষণ
শুন্যতায় শুন্য হয়ে যায় মন।

১৯.


রজনী হইস না অবসান
আজ নিশিথে আসতে পারে
বন্ধু প্রিয় প্রান।

ও চাদ যাসনে ওরে ডুবে
একটু জেগে রইস রে তুই
রবি উঠবে পূবে।

ও চাদ দেখরে আখি মেলে
কুড়ে আমার ভাইসা গেল
জ্যোৎস্না ঘরে খেলে।

রজনী হইস না অবসান
আজ নিশিথে শুনব আমি
তাহার যত গান।


২০.

তুমি আমায় চিঠি লিখনা হয়ে গেছে কতকাল
সময়ের বিবর্তনে আমিও গিয়েছিলেম ভুলে
প্রতিদিন একটি করে হালকা সবুজ কাগজে
নীল কালির আকিঝুকি
কোন মানে ছাড়া তোমার হাবিজাবি সব কথা
প্রতিদিনের দিনলিপিগুলি
কাগজের পৃ্স্ঠাভরে হাজার কথামালা
ভরে নীল রঙ এর খামে
ভুল হত না তোমার পাঠাতে প্রতিদিন
একটি করে
মনে পড়ে?

পুরোনো সেই সব দিনের কথা
আবার তোমায় মনে করে দিলেম
তুমি যেন ভুলে যেও না এবারও
চিঠি লিখার কথা ছিল তোমারই
প্রতিদিন একটি করে নীল রঙা খামে।

২১।

প্রদীপের টিমটিমে আলো
নিভু নিভু করে জ্বলে
হালকা বাতাসে অন্ধকারের সাথে
কেঁপে কেঁপে ঝুঝে চলে।

জীবন প্রদীপের সলতেতে হাওয়া
অন্ধকারের প্রতিচ্ছায়া যেন তারই ফাঁকে হাসে
দোদুল্যমান প্রদীপের জীবন
টেনে নিয়ে যায়, মরনের খুব কাছে।

২২।

মন ভালো নাই
কেন যেন আজ মন ভালো নাই......

মনকে শুধাই
মনকে শুধাই
কার বারিতে খুশিকে পাই
একটু খানি হাসতে যে চাই
সংগে তুমি থাকো।

মনের কাঠ এ ঘুন ধরেছে
মনের রঙ এ নীল এসেছে
তুমি পাশে নাই
মন ভালো নাই
তাই যেন আজ মন ভালো নাই......