১।
আজ পূর্ণিমা
আজ জল জ্যোৎস্না
আজ পথ চলা
পথ খুজে নেয়ার ভিরে
জল জোস্নার আলো অন্ধকারে।
২।
কিছু কিছু অনুভব আছে
যা মানুষ চেস্টা করেও অর্জন করতে পারে না
কিছু কিছু অনুভুতি আছে
যার জন্য চেস্টা করতে হয় না
কিছু কিছু মানুষ আছে
যারা ভালোবাসা বুঝে না
কিছু কিছু মানুষ আছে
যাদের ভালো না বেসে পারা যায় না
কিছু কিছু বোধ আছে
যা হ্রদয়ে ধরে না
কিছু কিছু মানুষ আছে
যাকে ভালো না বাসলেও হয় না
আমার কাছে তুমি সেই একজন
যাকে না ভালোবেসে
আমি আমাতে রইনা।
৩।
তুমি আর আমি
এক পালতোলা নৌকায় ছিলেম বসে সেদিন
আকাশে একফালি মেঘের ভেলা
ঢেকে দিচ্ছিল জোস্নার আলোকে।
আমি চাইছিলাম বৃস্টি
বর্ষা বিলাশ করব বলে
তুমি জেদ ধরেছিলে চাঁদের জন্য
চাঁদের আলোয় ভিজবে বলে।
সেই থেকে তুমি হয়ে গেলে চাঁদনি
আর আমি হয়ে গেলাম বর্ষা।
এখন দেখো তোমার আকাশে
চাঁদ খেলা করে বারো মাস ধরে
আর আমার আকাশে মেঘ নেমে আসে
তোমায় না পাওয়ার বেদনার
অস্রুগূলি মুছে দিবে বলে।
৪।
আজকের আকাশ-
মেঘ কি ছিলো তাতে?
নাকি নীল মেঘেরা চূড়ি হয়ে ভাসছিলো তোমার হাতে?
আজকের বাতাশ-
আগুনের হলকা ছিল কি তাতে?
নাকি শীতল পরশে ছুঁয়ে গিয়েছিল তোমাকে?
আজকের রাত -
চাঁদ কি ছিলো তাতে?
নাকি নীল চাঁদনি চুমেছিল তোমার গালে?
৫।
এখন আমার আকাশে চাঁদ ডুবে গেছে
আমাকে তারার মেলায় মায়াভরা রাতে ফেলে।
৬।
এখন আমার আকাশে চাঁদ
তোমার অবগাহন কাঠফাটা রৌদ্রে
খানিক বাদ সন্দ্যা ঘনাবে তোমার আকাশে
আমার চাঁদের দিকে তাকিয়ে দেখতো একবার
তখনো কি তোমার এলিয়েন হতে কি ইচ্ছে করে?
নাকি হবে জল জোস্নার রাতে হবে বন হরিনী
তোমার বন হরিণী রূপ দেখি না কতকাল হয়ে গেল
মন কাঁদে আজ তোমায় বন জ্যোৎস্নায় দেখব বলে
তোমাকে তোমা রূপে, তোমা রূপে।
সৌর জগতের ওপার হতে
শত কোটি বছরের পথ পারি দিয়ে
এসেছিল নেমে মর্তের মাটিতে
নীল জোস্নার ছায়া ছায়া দেশে
এলিয়েন ছিল তার আরেক নামের কায়া।
চাঁদের আলো সারা গায়ে মেখে
পথিবীর রূপ রঙ সবি ভালোবেসে
অবাক দস্টিতে তাকিয়ে রয় সুদুর পানে
পথিবীর মানুষ গুলোর ভালোবাসা মেখে
হয়ে যায় সে যে আজ বন হরিণীর মায়া।
৭।
আচ্ছা বলতো দেখি -
চাঁদ বেশি সুন্দর না তুমি?
আচ্ছা বলতো বাবু চাঁদের আলো কোমল
না তোর ভালোবাসার তীব্রতা বেশি।
আমরা চাঁদ কে ভালোবেসে যাই দূর থেকে
আসলে ভালোবাসার মানুষ থাকে আমাদের খুব কাছ ঘেসে।
৮।
আজ যে আমার চাঁদের দেখা পেয়েছি
আজ যে আমার চাঁদনি এসেছিল আকাশে
আজ যে তার ভালোবাসাটুকু ভেসে বেড়ায় বাতাশে
আমি কান পেতে রই তার চুড়ির নিক্কন ধ্বনি শুনব বলে।
৯।
তুই হিমি হ
তুই হি মি হ
জ্যোৎস্নায় হাত ধরে
পথ চলা হিমুর সাথে।
তুই হিমি হ
তুই হি মি হ
হাতে হাত রেখে
কিছু কথা হিমুর সাথে।
বন জোস্নার আলোছায়া রাতে।
১০।
জ্যোৎস্না মেলায় আলোর খেলায়
তারার আলো সব হারিয়ে যে যায়
স্বপ্নগুলো চোখের তারায়
হ্রদয়ে সব বাসনা জাগায়।
হাত বাড়িয়ে খুঁজি ফিরি
হ্রদয় দিয়ে তারেই খুঁজি
অনেক দূরে তারার মেলায়
ভালোবাসাই শুধু পুঁজি।
অনেক দূরে তাকিয়ে থাকি
ভালোবাসার মানুষ খুঁজি
হ্রদয় মাঝেই আছে যে সে
একটু যদি মনে ভাবি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন