আমি একা হতে চাই না,
একা হলেই দেখি দ্বিধাহ্নিত আয়না;
একা হলেই নানা রকম ভাবনাগুলো মাথায় আসে
একা হলেই বিবেক কথা বলে
একা হলেই অতীত চলে আসে সামনে
আমি অসহায় চোখে পাপেদের নৃত্য দেখি
সুদূর অতীতের সব ভয়াবহ পাপগুলি;
বরফের মত একটা ঠাণ্ডা অনুভূতি আমার শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে যায়
আগুনের মত একটা হলকা মস্তিষ্ক পোড়ায়
আমি আগুনে পুড়ি, পুড়ি হিম বরফেও
পুড়তে পুড়তে কয়লা হতে হতে হৃদয়টা চিরে চিরে
আমার ভেতরে ঢুকে যাই আমি নিজে
শিরা উপশিরা হয়ে অলিন্দ নিলয় ঘুরে বেড়াই
ওখানে সব ছোপ ছোপ কালো কালো জমাট বাধা রক্ত
রিপু কামড়ে কামড়ে লাল রক্তগুলো কালো করে ফেলেছিলাম সেই কবেই!
আমার বড্ড দমবন্ধ লাগে
অস্থির হয়ে একাকীত্ব থেকে দৌড়ে মানুষের মাঝে চলে আসি
একটু সুস্থির হয়ে বসি,
এবার ভালো করে তাকাই
তাকাই সূর্যের দিকে - অথচ রাত দেখি চোখে
জ্যোৎস্নার দিকে তাকাতে চাই - আমাকে অমাবস্যা ঘিরে রাখে,
এবার একটা একটা করে মানুষের ভেতরে ঢুকি
ও কি! ও কি! ছুটে বের হয় আসি
এদের সাথে আমার পার্থক্য কোথায়?
এরা সবাই আমার মতই মানুষ - পাপে পাপে পূর্ণ;
আমি একটা মানুষ খুঁজছি;
হাত পা মাথা থাকলেই কি মানুষ হয়?
কত পশুরই তো হাত পা মাথা থাকে!
আচ্ছা! ওরা কি স্বজাতির কাউকে হত্যা করে?
মানুষ তো করে, কারণে আর অকারণে;
একবার আয়নার দিকে তাকাই আরেকবার পশুগুলোর দিকে
দ্বিধাহ্নিত চেয়ে থাকি মানুষ খুঁজতে গিয়ে।
৩০ জুন, ২০২১
#কবিতা
দ্বিধাহ্নিত আয়না
- যাযাবর জীবন
ছবিঃ নেট থেকে সংগৃহীত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন