কখনও কখনও মনে হয়
পশু হয়ে জন্মালে কি ভালোই না হতো!
মানুষগুলো খায় দায় আনন্দ করে
হাসে, কাঁদে, ঝগড়া করে
বাড়ি, গাড়ি, অর্থ, সম্পত্তি, প্রতিপত্তি, খ্যাতি
মানুষের কত কিছুই না থাকে!
মানুষগুলোর থেকে সুখী আর কে আছে?
আমি আয়নার দিকে তাকাই,
- মানুষের অবয়বে পশুর চেহারা ভেসে ওঠে
- আয়নায় হিংস্রতা, কুটিলতা, লোভ, লিপ্সা ফুটে ওঠে;
আচ্ছা! মানুষের অবয়বে কি আছে?
দুটি হাত, দুটি পা, দুটি চোখ, একটি জিহ্বা!
বুক চিরলে একটি হৃদপিণ্ড!
মাথা ভাঙলে হলুদ মস্তিষ্ক!
সে তো যে কোন পশুরই আছে,
আর জিহ্বা?
পশু আর মানুষের ওখানেই মনে হয় কিছু পার্থক্য আছে,
জিহ্বা দিয়ে মানুষ কথা বলে, পশুও বলে তাদের ভাষায়
ক্রমাগত বিষ উগরায়
ওটা দিয়েই মানুষ গীবত করে
ষড়যন্ত্র করে - কে কিভাবে কার কতটা ক্ষতি করবে,
আর দেখ! পশু জিহ্বা দিয়ে শুধুই কিছু শব্দ করে, ভাব বিনিময়ে
তাহলে মানুষ আর পশুর পার্থক্য কি জিহ্বায়?
আমি আয়নায় হা করে জিহ্বা বের করে দেখি
হা করতেই গীবতের দুর্গন্ধ বের হতে থাকে
ভয়ে মুখ বন্ধ করে ফেলি
আর চেয়ে চেয়ে আয়নায় মানুষের অবয়ব দেখি;
আজকাল কথা বলা কমিয়ে দিয়েছি
একদম বন্ধ করে দিতে পারলে বোধহয় ভালো হতো
অন্তত মানুষের অবয়বে পশু তো হতাম!
আচ্ছা! ইশারায় ভাবের আদান প্রদান করলে কি কথার দুর্গন্ধ থেকে বাঁচা যেত!
- নাকি ভাবের আদান প্রদানেই মানুষ গীবতের দুর্গন্ধ ছড়াতো?
মাঝে মাঝে খুব জানতে ইচ্ছে করে
চারিদিক দেখেশুনে আজকাল বড্ড পশু হতে ইচ্ছে করে
- মানুষের অবয়বে
মুক, বধির, নীরব পশু।
০২ জুলাই, ২০২১
#কবিতা
পশু
- যাযাবর জীবন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন