শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

যেদিন আমি রইব না

কোন একদিন হয়তো
জীবনে আসবে সেদিন আমার
যেদিন না দেখা স্বপ্নগুলো
ভেসে ওঠবে চোখের পরে
না পাওয়া যত চাওয়াগুলো হবে পূর্ণ।

অনেক প্রতিক্ষার প্রহর গুনে গুনে
হয়তো সেদিন সে আসবে ঘরে
হয়তো থাকবে সে আমার খুব কাছাকাছি
রাখতে চাইবে হাতে হাত দুটি
চলতে চাইবে কিছু পথ
চরণে চরণ এক সাথে মিলে
স্পন্দিত বুকে মাথা রেখে আবেগে
মিশে যেতে চাইবে আমাতে আমা হয়ে।

হায় সে দিন হয়তো আমি আর
থাকব না তার হয়ে
হাত দুটি মোর বুকের পরে
পড়ে রইবে আড়াআড়ি
পা দুটি টান টান হয়ে দক্ষিণমুখী
হ্রদয় স্পন্দন শুন্য।

সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

তার ভাবনা

যত ভাবি তাহার কথা
হ্রদয় ওঠে ভরে

যত দেখি তাহার স্বপন
আরো প্রানে বাজে

আমার মন কেমন করে
আমার প্রান কেমন করে

দয়িতা

নীল বেদনা পিছু ফেলে
নীল আকাশের নীলে ভেসে
নীল সাগর সব পাড়ি দিয়ে
নীল জ্যোৎস্না ফিকে করে
দয়িতা, তুমি আমার হবে।

ভুল

সব সময় মনে একটা ভায় কাজ করে
কি জানি কি ভুল করে ফেলি
আগের কাজ গুলির দিকে নজর দিতে চেস্টা করি
প্রতিনিয়ত খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে চেস্টা করি
আর নিজেকে ছিড়ে খুড়ে রক্তাক্ত করি
তবুও ভুলগুলি সব এক এক করে ভেসে ওঠে চোখের সামনে
শুধু মনকে পীড়া দিতে।

কখনো কি মনকে ক্ষমা করতে পারব
কৃত সব অন্যায়গুলিকে কি শুধরাতে পারব?

বড্ড ভাবনা হয় কেন জানি আজকাল
যদি না পারি
যদি না পেরেই চলে যেতে হয়
তবে আমার ভুলগুলোকে কে শুধরে নিবে?

পাহাড় ডাকে

মাদল বাজছে পাহাড়ে
ডাকছে পাহাড় আমারে
দ্রিমিত দ্রিমিত মাদল
মাদকতা ছড়ায় মনে প্রানে।

পাহাড় ডাকছে আমারে
যেতে হবে দ্রিমিতার কাছে
মহুয়ার মাতাল হাওয়া
প্রানে তোলে নেশার ছায়া।

মাদল বাজছে পাহাড়ে
যেতে হবে আমারে।

পাথর হ্রদয়

পাহাড়ের কোল ঘেসে পাহাড়
সাড়ি সাড়ি পাথরের দেয়াল
দেখি আর মনে মনে ভাবি
হ্রদয়টা কেন যে পাথরে গড়া হল না!
তাহলে তো আর এলোমেলো ভাবনাগুলি
মনে এসে ঊঁকি দিত না,
তোমায় বার বার মনে করে
তোমাতে হ্রদয় হারাতো না।

খুঁজে ফিরা


ডানা মেলে দিয়ে
আকাশের গা ঘেসে
উড়ে চলা কিছু পথ
পাহাড়ের গা ভেসে
নীল নীলিমার কোল ছুঁয়ে
উড়ে চলা দিগন্তের পানে।

ক্লান্ত জীবন
ক্লান্ত সময়
তবুও ডানা মেলতে হয়
আকাশের গায়
বেচে থাকার তাগিদে
কিংবা নতুনের সন্ধানে
অথবা তোমায় খুঁজে ফিরে।

খোঁজ

একটা পুরো জীবন কেটে যায় প্রতিক্ষায়
খুজে ফিরে আঁখি সারাক্ষণ
শুধু একজন মানুষেরই পথ চায়
জীবনে শুধু একজন মানুষের
মূল্য বোঝার মত একটা শুদ্ধ মন
এক জীবনে, আদৌ কি খুঁজে পায়?

নিঃস্বঙ্গতা

নিঃস্তব্ধতা খেলা করে আজ
মনের কবিতার ভিরে
নিঃস্বঙ্গতা ঘিরে রাখে সারা মন
শুধু, তুমি থাক মন জুড়ে
আপনার চেয়ে আপন যে জন
পড়ে আছে আজ দূরে
বারে বারে তারে মনে পড়ে পড়ে
মন যে কেমন করে।

হ্রদয়েতে তুমি


সাগরে পানি বয়
আকাশেতে চাঁদ
মেঘেতে বারি ঝরে
পাহাড়ে তুষার।

ঝিনুকে মুক্তো ধরে
হ্রদয়েতে তুমি
হারিয়েছি তোমাতে আমায়
ভালোবেসে আমি।

ভালোবাসার পরিনাম - মাটির ঘর

সময় বয়ে চলে ঝড়ের গতিতে
তোমার জীবনে
সুখের আবেশে কাজের মাঝে
সকাল না হতেই বেলা বয়ে যায়
দুপুর গড়িয়ে আসে
রোদ মাথার উপর উঠতে না উঠতেই
বিকেল গড়ায়
সন্ধ্যা নামে ধড়াচড়ে
নেমে আসে নিষক কালো রাত
সময় বয়ে যায়
সুখের সময়টুকু তোমার
দিনের ব্যস্ততায় কেটে যায়
আর রাত কেটে যায়
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখায়
সুখের হাতছানি তোমার কপলে
স্পর্শ বুলায়
আমার কথা ভাবার সময় কোথায় তোমার?

সন্ধ্যার আলো নিভে আসে যখন
অন্ধকার গভীর হতে হতে গহীনে নেমে পড়ে
যখন তারগুলোও মিটমিট করা বন্ধ করে দেয়
যখন চাদ মুখ লুকোয়া সূর্যের অপর পৃস্ঠ গিয়ে
আমাকে আলো দিতে হবে বলে
তখন আমার দিন শুরু হয়
তোমার কথা ভেবে
তোমার ব্যথায়
হ্রদপিন্ডের নিলয়ে বয়ে চলা লাল রক্তগুলি
বেদনায় নীল হয়ে
শুধু তোমার কথা ভেবে।
ঘোর অমাবস্যায় জীবনটাকে ঢেকে দিয়ে
যে রাতের কোন আদি নাই, অন্ত নাই
শুধুই কালো রাত রয়ে যায়
আলোর আশায়
তোমার প্রতিক্ষায়।
আমি অনেক চেস্টা করে যাই
পাথরে পাথর ঠুকি, করে হাত রক্তাক্ত
যদি একটু আলোর ঝলকানি দেখা পাই
হায় সেথা হতে শুধু রক্তই ঝরে পরে
নীল বেদনায় কালো কালো অন্ধকারের
রূপ নিয়ে।
আচ্ছা বলতো, পাহাড় কি আর ঠেলে সরানো যায়
একা একা, যদি হাত না বাড়াও
কিংবা পাথর কি আর ভাংগা যায় মাথা ঠুকে
যদি না ভালোবাসার ঢাল নিয়ে দাড়াও পাশে
কিংবা কাঠ ফাটা রোদ্দুরে একটু ছায়া
যদি না মাথার ওপর তোমার আচল বিছাও।

আচ্ছা বলতো সাগড়ে কতটা জল আছে
কিংবা আকাশে কতগুলি তারা
হিমালয় বেয়ে নেমে আসে কতটুকু বরফ
আর এন্টারটিকায় বরফ গলে নেমে আসে
কতটুকু পানি?
কখনো মেপে দেখেছ কি?
তাহলে কোন সাহসে আমার ভালোবাসার
পরিমাপ কর তুমি
সুখের নিদ্রায় শুয়ে শুয়ে
সাথী কে সংগে করে নিয়ে
আমাকে অপেক্ষায় রেখে
আরেকজনের ঘর হতে ডেকে নিয়ে
পরিমাপ যন্ত্র হাতে দিয়ে
তোমার জন্য ভালোবাসার পরিমাপ
লিখে আনতে বল আজ।
আমি সেদিনও বলেছিলেম তোমায়
আজো বলি,
আমার ভালোবাসায় পরিমাপ করতে চাও তো
মেপে নাও আকাশের পরিমাপ
কারন নীলাকাশ জানে আমার ভালোবাসার নীল দুঃখগুলোকে
যেগুলোকে বুকে ধরে ধরে সে হয়ে ওঠে গাড় নীল মাঝে মাঝে

আর বিস্তৃতি ছড়াতে ছড়াতে গিয়ে
ঠেকে সপ্তাকাশ পানে
শুধু আমার ভালোবাসাকে তার বুরকে ধরে রাখতে।

তাই তো তোমাকে বলি শুখের ঘরে
সোনার পালংকে শুয়ে আমার ভালোবাসায়
পরিমাপ করতে যেও না কখনো;
আমার ভালোবাসার গভীরতা বুঝতে পারবে
যেদিন আমাকেও শোয়া পাবে তোমার মত করে
সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরে।

বাংলা আমার বাংলা


মনের ভেলায় কিছু রঙ ভাসে
হ্রদয়ে দোলা দেয় কিছু ভাবনা
অবাক চেয়ে থাকি আঁখিপানে তার
তারে কিছু কইতে যে মন চায়
কিছু কথা কবিতা হয়ে গুনগুনায়
যখন আঁখিতে আঁখি হারায়।

আহ কি সুখ
আমি লিখছি বাংলায়
মনের কথাগুলিকে তুলে ধরছি বাংলা তুলির আচরে
বাংলা ক্যানভাসে।

লক্ষ কোটি সালাম জানাই
আজ ভাষা শহীদদের
যারা আমাদের দিয়ে গিয়েছিল
প্রানখুলে বাংলায় লেখার স্বাধীনতা
তাদের রক্তের বিনিময়ে।

আসলে কি তারা শহীদ হয়েছে
নাকি বেচে আছে আজো হ্রদয় মাঝে
১৫কোটি বাংগালীর হ্রদয় জুড়ে।

মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

ভালোবাসা

আজো কেন জানি
ভালোবাসা শেখা হল না
কেমন করে ভালোবাসা হয় বলতে পার কি?

সেই কোন ছোট্টবেলায় তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখতাম ঘর বাধার
মনের আয়নায় আকতাম তোমার লাল টুকটুকে বউ সাঁঝ
পুতুল খেলার ছলে প্রতিদিনই তোমার কাছ ঘেসে বসতাম
নিতেম তোমার এলোচুলের গন্ধটুকু প্রানভরে
বেলিফুল কিছু তোমার মাথার পরে ছড়িয়ে দিয়ে
তুমি বিরক্ত হয়ে বলতে দুস্টুমি করো নাতো সবসময়, সরে বস আমার কাছ থেকে!
আবার দুদিন বেলি না তুলে আনলে কথা শোনাতে ছাড়তে না কিন্তু অভিমান ভরে।
বলতে, কিগো পুতুল বর, বেলির দিন কি শেষ হয়ে গেছে?
বাগানে কি ফুল ফোটে নি আজ?
তোমার ভাষা আমি বুঝতে পারিনি সেদিন
যেমন বুঝি না আজো

তাই তো তোমায় আমার ভালোবাসার কথা মুখ ফুটে বলা হয় নি কখনো
আসলে অনেক ভিতু ছিলেম সেদিন, যেমন আছি আজো ।
শুধু তোমার কাছে ভালোবাসার প্রকাশ করতে না পারায়,
ভালবাসা হল না আমার আজো।
ভালোবাসতে পারি নি মনে হয় আজো সঠিক ভাবে
ঠিক যেভাবে মেয়েরা চায়, বা তুমি চেয়েছিলে হয়তো
আমার মুখফুটে ভালোবাসার কথা শুনতে।

যেদিন কাকভোরে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলে
কুয়াশা ভেজা সূর্যকিরণ গায়ে মাখাতে
শিশির ভেজা ধান খেত ধরে হেটে গিয়েছিলে আমার হাত দুটি ধরে
আর মনে মনে গুনগুনিয়েছিলে নদীপারের ধারে
আমি কিছুই বুঝি নি সেদিনও
ঐরাবতি নদীতীর ধরে হেটে চলেছিলেম তোমার কোমল হাত দুটি ধরে
তুমি হয়তো কিছু আবেশে কাধে মাথা রেখে হেটে চলেছিলে আমার পাশে পাশে ঘেষে
কিংবা সেদিন তুমি আমাকে টেনে হিচরে নিয়ে চলেছিলে চন্দ্রনাথা পাহাড় বাইতে
আমি এক পা দু পা করে তোমার সাথে সাথে তাল রেখে রেখে
হেটে চলে এসেছিলেম চন্দ্রানাথের মাথায়
ওই অত ওপর থেকে, ঝাউবন ঘেড়া সাগর দেখে উচ্ছলে আমায় জড়িয়ে ধরেছিলে
কানের কাছে কিছু গান গুনগুনিয়েছিলে
কি জানি বুঝাবার তরে।
আমি বুঝতে পারি নি তোমার গাওয়া রবিঠাকুরের ওই প্রেমের বানীগুলি
যা গান হয়ে বেজে ওঠেছিল সুরের অপার্থিব ঝংকারে তোমার কন্ঠ নির্গত হয়ে।

মনে আছে সেই যে আরেক বিকেলে কিছুটা জোর করে
ছেলেমানুষের মত আমায় সাগরবেলায় নিয়ে গিয়েছিলে
সেই বিকেল থেকে সন্ধ্যাবধি হাতে হাত রেখে সারাটা বীচ জুড়ে
হেটে বেড়ালে নানা ঢঙ এর কথা বলে
কতই না আবোল তাবল কথা বলতে,
কিছু বা ভালোবাসার কথা কিছু বা অবুঝকে বুঝ দিয়ে পাশে ডাকার প্রলোভন।
আমি সেদিনও বোকা ছিলেম, আজো ঠিক তেমনি বোকা আছি
তোমার মনের ভাব না বুঝে
তাইতো আজো ভালোবাসা হল না তোমায় মন ভরে
কল্পনাকে করে নিয়ে পরিনত বাস্তবে।

তোমার কি মনে আছে?
রেললাইনের দুপাশে স্লিপারএ পা রেখে আমার হাত ধরে হেটে যেতে
যতক্ষন একপাশ থেকে একটি রেলগাড়ির কু-ঝিক ঝিক শোনা যেত
তুমি আমার হাত ছাড়তে চাইতে না,
বলতে যাক না দেখি রেলগাড়িটা আমাদের মাড়িয়ে দিয়ে
ভিতু আমি ভয়ে সরে গিয়ে নেমে পড়তাম রেলের স্লিপার থেকে,
তুমি ঠিকই হেটে চলে যেতে একদম রেল গাড়ির সামনে,
ঠিক দুহাত ফারাকে নেমে যেতে আস্তে করে রেললাইনের পাথর ধরে,
আর আমাকে বলতে,
ডরপোক তুমি, তোমার সাথে নাকি আমি মরতে ভয় পাই।
আসলে কি তাই?
আমি তো মনে মনে আজো
তোমায় নিয়ে রেলের পাত ধরে হেটে চলি
ঠিক রেললাইনের সমান্তরাল পথে
তোমায় নিয়ে ঢুকে পরে রেলের ইঞ্জিনের ভেতরে,
হাতে হাত ধরে।
যেথায় কয়লার গনগনে আগুন আমার বুকের আগুন নিভিয়ে
ভাসাবে তোমার প্রেমের সরবরে।
আসলেই আমি প্রেম করতে শিখি নি,
জানি না কিভাবে ভালোবাসতে হয়
বা ভালোবাসার কথা বলতে হয়।

মনে আছে কি তোমার
পাশের বাসার ছোট্ট মেয়েটা যখন আমায় জড়িয়ে ধরত
খেলার ছলে ভাইয়া ভাইয়া করে
তুমি কেন জানি অগ্নিদৃস্টি হেনে তাকিয়ে থাকতে
আমার দিকে দুদিনের আড়ি নিয়ে
আর কথা বলতে গেলেই বলতে – যাও ওর পুতুল বর হও গিয়ে আমাকে বাদ দিয়ে
আমি ছাই সেদিন কি বুঝেছিলেম তুমিও আমায় ভালোবাসতে নিজের মত করে
আর জ্বলে পুরে ছাই হতে আমার পাশে অন্য কাওকে পেলে
তখন তোমার এসব মান, অভিমান, রাগ, অনুরাগের ভাষা বুঝিনি
বুঝতে পারি নি যে তুমিও আমায় ভালোবাস তোমার নিজের মত করে।
ক্ষমা করে দিও হে প্রিয়তমা,
আমার ছোট্টবেলার খেলার সাথি তোমায় বুঝতে পারি নি বলে
আর তোমার মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারি নি
তোমাতে তোমারই হয়ে।

আজ এতদিন পড়ে,
মরনের কালে যখন পুরো জীবন ফ্লাসব্যাক এর মত জ্বলে উঠেছে,
মনে হয় তোমাকে একটু একটু বুঝতে প্রেরেছি অথবা
বুঝেছি তোমার ভালোবাসার আকুলতা আমাকে ঘিরে
এই শেষ বয়সে এসে সেদিনের সেই ভাবনা গুলি কি
আজো তোমার মাঝে উকি দিয়ে যায় হে প্রিয়তমা?
আজো কি সেই ভালোবাসাটুকু বেচে আছে তোমার হ্রদয়গভীরে?
বড্ড জানতে ইচ্ছে করে
বড্ড জানতে ইচ্ছে করে।

সেদিনও আমি তোমার ভালোবাসা বুঝি নি
আজো তুমি রয়ে গেছে আমার কাছে অমাবস্যার চাঁদ হয়ে
কিন্তু শুধু জেনে রেখ, তোমায় আমি ভালোবেসেছিলেম সেদিনও
যেমন ভালোবেসে যাই আজো।

শুধু আমার ভালোবাসা শেখা হল না সেদিনও আর আজও
তোমাকে পাওয়ার মত করে।

সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

মহাকাল

কোথা দিয়ে শৈশব গেল
কোথা দিয়ে যৌবনকাল
প্রৌড়ত্বে পা ফেলার আগেই
চলে এল বৃ্দ্ধকাল।

জন্মের দিন ক্ষণ কার মনে আসে?
মরণের হাতছানি চোখে যেন ভাসে।

একটা পূরো জনম কেটে গেল যেন মূহুর্তের কালে
অনেক পূর্ণতায় ভরা কিছু বা অপূর্ণ সাধে
কিছু চাওয়া, কিছু না পাওয়ার হাহাকার
আর কিছু প্রপ্তির অনুভবে।

জীবন কেটে গেল যেন আজ
পলক ফেলতেই
অনেক আকাংখার চিতাগ্নিতে
তবু হতে হয় সমাপ্তি তার
ক্ষণস্থায়ী এই মানব জীবন কালের;
মহাকালের ভীরে হারিয়ে যায়
ক্ষণিক জীবন কাল।