শুক্রবার, ১২ অক্টোবর, ২০১২

তুই আর যন্ত্রণার দিন-রাত্রির পর্ব গুলো - ভোরের পর্ব

তুই আর যন্ত্রণার দিন-রাত্রির পর্ব গুলো

ভোরের পর্ব –

কাক ডাকা কাকাভোরে
তোরে বড্ড মনে পড়ে
চারিদিকে কোথাও কেও নেই
বিজন রাত্রির আঁধার এখনো ছেয়ে আছে চারিধার
শুধু কটি কাক ডাকছে কা কা রবে
সারারাত জেগে আছি তোকে মনে করে
কেন জানি ইদানীং তোকে বড্ড বেশি মনে পড়ে
নিদ্রা দেবী দেয় না ধরা এখন আগের মতন করে
একটু খানি ঝিমানি ধরা ডরমিকামের ঘোরে
ওলোট পালট অনেক হল সারাটি রাত ধরে
আজান শুনে উঠি এবার আড়মোড়ার পরে
পা বাড়াই একপা দুপা মসজিদের তরে
সকাল বোধহয় হয়েই গেল স্বপ্ন গেলে উড়ে
সারাটি রাত পড়ে ছিলাম তোর বুকের পরে
কল্পনারই ঘোরে
অলীক সব ভাবনা গুলো ছিল মাথা ভরে
তোরে বড্ড মনে পড়ে ইদানীং অনেক বেশি করে
নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে
মাথার ভেতর কেমন জানি কিলবিলিয়ে ওঠে
ভাবনাগুলো মনে আসে কবিতারই ছলে
খুঁজে বেড়াই কাগজ কলম কিছু লিখব বলে
ভোরের বেলায় খালি রাস্তায়
কাগজ কলম কে বয়ে যায়
মনের জমা কথাগুলো আকুলবিকুল করে
বিড়বিড়িয়ে কথা বলি নিজের মনের সাথে
পথের সাথে পা মিলিয়ে চলার ফাঁকে ফাঁকে
উড়িয়ে দিতে যন্ত্রণা ওই মনে যত আসে
কাগজ ছাড়া কাব্য লিখি চিড়বিড়িয়ে দাঁতে
বাতাসেতে উড়িয়ে দেই হাওয়ার সাথে সাথে
হঠাৎ দেখা অল্প কিছু নিশি কন্যার সাথে
ফিরছে বাড়ি সারা রাতের নষ্ট কাজের শেষে
বিড়বিড়ানি তারাও শোনে পাগল ভাবে আমায়
ফকির কিংবা পাগল ভেবে অবাক চোখে চায়
আলতো করে পাগল থেকে দূরে সরে যায়
বোঝে না তো বিড়বিড়ানি কিসের যন্ত্রণায়
কি করব বল? তোরে বড্ড মনে পড়ে হায়
কবিতারা মাথা কুটে আমার মাথা খায়।

আপন মনে আউড়ে চলি আছে যা মনের ভেতরে
নিঃসরিত কথামালাগুলো বের কষ্টে, কবিতার আকারে
ভোরের পাখিগুলো কিচিমিচি করে আমার মাথার ওপরে
তারাও আমায় পাগল ভেবে মাথার ওপর দেয় ঠুকরে
ঠিক তোরই মতন করে, যেন খুবলে নেবে উপড়ে
ভাবিসনি যেমন তুইও ঠোকর দেবার কালে
খেলার পুতুল ভেবেছিলি, খেলেছিলি ছলে
একটু ভাবিস মানুষ আমি, আমারও হৃদয় পোড়ে
রক্তাক্ত হৃদয়ে পথ হেটে চলি ভোরের আধো-অন্ধকারে।

হয়নি সাধন লালনেরও সারাটি রাত ভজে
কেমনে হবে তোরই সাধন একটি রাতের খোঁজে?
প্রেমের ভজন কত ভাবে সাইজি গেয়ে যায়
তোর উপেক্ষার কাব্যগাঁথা মনে বিড়বিড়ায়।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন