আয়নার প্রতিচ্ছবিতে মুখোশ, মুখোশে ঢাকা মন।
সংসারের মুখোশগুলো বড্ড গোলমেলে, কিছু চেনা চেনা
বেশিরভাগ চেনাগুলোই আদতে অচেনা। ভালোমানুষ আকৃতির
এক একজন সব দানব দানব চেহারা। আমার ভয় লাগে।
ভাতের পাতে বিষ দেয়া হয় শুনেছি - কথার বিষ।
পানির গ্লাসে কথার ছোবল, চুমুকেই শরীর নীল।
আমি আজকাল কারো কথাই পান করি না, খেতে বসলে
কান বন্ধ করে রাখি, মুখোশ দেখলে চোখ ঢাকি।
আমার মুখোশে বড্ড এলার্জি, সারা গা ফুলে যায়
চুলকোতে চুলকোতে তাই দিনের বেলায়ও ঘর অন্ধকার
করে রাখি। তবুও আয়নায় যখনই তাকাই তখনই
বীভৎস সব মুখোশ দেখি, আর মন হয়ে যায় রাত্রি।
আচ্ছা! সংসারও কি একটা মুখোশ? ঐ যে বাবা-মা!
ঐ দেখ স্বামী-স্ত্রী, ঐ যে তাঁদের কতগুলো সন্তান!
এরা কি সবাই মুখে মুখোশ এঁটে? স্বার্থের মুখোশ!
তা না হলে সারাক্ষণ কেন লড়ে? এক অপরে!
আমার মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে সবগুলো মুখোশ খুলে ফেলতে!
তারপর একঝাঁক মানুষের ভিড়ে একঝাঁক পশুর লড়াই দেখব।
একঝাঁক পশুর মধ্যে একটি দুটি মানুষ ছুঁড়ে দেব; দেখব পশুগুলো
মানুষ'কে কি করে! ধ্যাত! আমাকে দেখ, তাহলেই হবে।
০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
#কবিতা
মুখোশ পশু
- যাযাবর জীবন
ছবিঃ নেট থেকে সংগৃহীত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন