লেখকগুলো খুব খারাপ
এরা হুটহাট মানুষের মনে উঁকি দিয়ে দেখে ফেলে
কিভাবে যেন বুঝে ফেলে অন্যের মনের কথাগুলো
তারপর কিছু সত্যির সাথে মিথ্যে মিশিয়ে
কিছু অনুভূতি কল্পনায় বানিয়ে
এটা ওটা সেটা লিখে ফেলে কাগজে কলমে;
লেখকগুলো ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনাবলি দেখে চামড়ার চোখে
বাকিটা কল্পনা করে নেয় কল্প-চোখে
দুটো চোখের দেখা মিলিয়ে আঁকাআঁকি এক দেয়ালে
আর কাগজে দাগ কেটে যায় মনের খেয়ালে,
পাঠক কাগজের লেখাগুলো পড়ে চামড়ার চোখে
লেখকের জীবন ভেবে নেয় মনের খেয়ালে;
কত কত ঘটনাই তো ক্রমাগত আঁকা হয় কাগজে কলমে
সব কি আর ঘটে লেখকের জীবনে?
শাশুড়ি বৌ এর চিরাচরিত অশান্তি যখনই কাগজে!
পাঠকের মনে করুণা আহারে কি অশান্তিই না লেখকের মনের ভাঁজে!
চারিদিকের পরকীয়া ভাইরাস যখন কলমে আঁকে
লেখক বেচারার জীবনটাই বরবাদ পাঠকের চোখে
কলমের আঁচরে যখনই অভাব অনটন ফুটে ওঠে
লেখক অভাবে আছে ভেবে ভক্তকুল তার থেকে দূরে ছোটে;
একদিন ড্রাগস সেবনকারীদের নিয়ে একটা ফিচার লিখেছিলাম
অনেকে সন্দেহ পোষণ করেছিলো আমি ড্রাগ নেই কি না!
একদিন বৃদ্ধাশ্রমের এক বৃদ্ধের কান্নার রোল কবিতায় আঁকতেই
প্রশ্নের তীর আমার দিকে, আমি এতটাই অমানুষ যে বাবাকে পাঠিয়েছি বৃদ্ধাশ্রমে!
একদিন কোন এক লেখায় বৃহন্নলাদের জীবনযাপন নিয়ে কিছু কথা লিখেছিলাম
কেউ কেউ প্রশ্ন তুললো, ওদের দলের না হলে এগুলো কিভাবে লিখলাম?
একদিন এক কবিতায় এক নিশিকন্যার করুণ কাহিনী এঁকেছিলাম
পাঠককুলের ছিঃ ছিঃ ধ্বনিতে সেদিন চরিত্রহীনের খেতাব গায়ে মেখেছিলাম;
লেখকগুলোকে একদম বিশ্বাস করতে নেই
এরা হাসতে হাসতে কান্না লেখে
এরা কাঁদতে কাঁদতে হাসি আঁকে।
৩০ জুলাই, ২০২১
#কবিতা
লেখায় লেখক
- যাযাবর জীবন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন