বাবা-মায়ের অনেকগুলো ছেলেমেয়ে, বাবা-মা সব ছেলেমেয়ের জন্যই করে
কারো জন্য একটু বেশি কারো জন্য একটু কম, কাউকে বেশি দেন কাউকে কম
বাবা-মায়ের কম আর বেশিটা শুধু সন্তানরাই বোঝে, বাবা-মা কি কখনো বোঝে?
বুঝুক আর নাই বুঝুক তারা তাদের দায়িত্ব পালন করে যান, কর্তব্য মনে করে;
সব সন্তান কিন্তু বাবা-মায়ের জন্য করে না, সন্তান হবার দায়িত্ব কি সেটা বুঝেও বোঝে না
তাদেরও সংসার আছে, বৌ বাচ্চা আছে; কে আর অশান্তি বয়ে নিয়ে যেতে চায় ঘরে
তবে সব সন্তানের মধ্যে কেউ না কেউ কিন্তু বাবা-মায়ের জন্য ঠিকই করে, শেষদিন পর্যন্ত করে
বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সেই একজন, যাকে বাবা-মা দিয়েছিলো সবচেয়ে কম করে;
বাকি সন্তানগুলো কিন্তু একবারে ছেড়ে দেয় না বাবা-মাকে! ওরা ভাই এর বাসায় আসে
সময় সময় বাবা-মায়ের খবর নেয়, হাতে করে এটা ওটা সেটা নিয়ে আসে
নিয়ে তো আসে! তবে যে ভাই এর বাসায় এসেছে তার পরিবারের জন্য নয় কিন্তু!
বাবা-মায়ের জন্য, ঠোঙ্গায় করে; বাবা-মা তাতেই খুশিতে বাগবাকুম করে;
আর যে সন্তানটা করেই যাচ্ছে! তাকে দেখিয়ে দেখিয়ে কখনো মুখে বলে কখনো খোঁটায়
এই যে আমার এই সন্তান আজ এটা এনেছে, কাল অন্যের'টা দেখিয়ে বলে সেটা এনেছে
যে করে, সে দেখে; দীর্ঘশ্বাস মনের ভেতর চেপে রেখে বাবা-মায়ের সামনে মুচকি হাসে
বাবা-মা'কে হাসিমুখ দেখাতে দেখাতে সে তার কাজ করেই যায়, চুপিসারে;
কোন পালা পার্বণে সব ভাই বোন একসাথে জড়ো হয়, বাবা-মায়ের ঘরে
সমালোচনার ঝড় ওঠে এটা করা হয় নি, ওটা করা হয় নি; কখনো বা কৈফিয়ত দাবি
বাবা-মা কখনো চুপ থাকে, কখনো বা ওদের সাথে তাল মেলান; তখনই দুঃখ লাগে
যে করছে, সে চুপ করে শুনে যায়, কর্তব্য করতে করতে; বাকিরা শুধুই সমালোচনা করে।
২৯ জুলাই, ২০২১
#কবিতা
কর্তব্য
- যাযাবর জীবন
ছবিঃ নেট থেকে সংগৃহীত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন