এই যে হাসতে হাসতে লেখার মাধ্যমে মানুষ'কে কাঁদানো!
এই যে প্রচণ্ড মন খারাপ নিয়েও লেখার খোঁচায় মানুষ'কে হাসানো!
এ বোধহয় লেখকদের পক্ষেই সম্ভব, তাই না?
তবে কি লেখকগুলো বড় অভিনয় শিল্পী?
নাকি হিপোক্রেট?
নাকি এরা মুখে মুখোশ এঁটে থাকা কোন অদ্ভুতুড়ে প্রাণী?
এরা কি সুন্দর করেই না বিভিন্ন খাবারের বর্ণনা দেয়!
- অভুক্ত পেটে
এরা দুর্ভিক্ষ আঁকে, ক্ষুধার স্বরূপ এঁকে মানুষ'কে কাঁদিয়ে দেয়
- ভরা পেটে
এরা ভালোবাসার আবেগে খাতার পর খাতা ভরিয়ে ফেলে
- আবেগহীন কাঠ মানব হয়ে
এরা যাবতীয় খুঁটিনাটি কঠিন বাস্তবতাগুলোকে তুলে আনে
- বুকে আবেগের পাহাড় বয়ে
এরা সংসারের যাবতীয় খুঁটিনাটি তুলে ধরে
- সংসার না করে
এরা প্রেমের সৌন্দর্য আঁকে
- প্রেমে ধোঁকা খেয়ে
এরা ভালোবাসার বাসর লেখে
- নিজেদের ভালোবাসার বিচ্ছেদে
এরা দাম্পত্যের কত কত রূপই না আঁকে!
- নিজের দাম্পত্য বিচ্ছেদ বয়ে
এরা মানুষকে পুরো পৃথিবীটা ঘুরিয়ে আনে
- ঘরকুনো ঘরে বসে
এরা মানুষের মনে স্বপ্ন এঁকে দেয়
- স্বপ্নহীন হয়ে
এরা মানুষকে হাসায়, কাঁদায়, ভালোবাসায় ডোবায়
- মুখে নির্লিপ্ততার মুখোশ এঁটে;
এদের মনে যা আসে তাই নিয়েই গল্প বানায়, ইচ্ছে হলে
এদের ইচ্ছে আঁচরে কবিতা হয় ছন্দ মিলে কিংবা না মিলে,
এদের কলমের লেখার সাথে নিজেদের জীবনের কোন মিলই খুঁজে পাওয়া যায় না
কখনো বা এরা কলমে তুলে আনে নিজের জীবনের হাসি আনন্দ, দুঃখ বেদনা, হতাশা আর যন্ত্রণা;
এরা কলমে এক মনে আরেক, এদের থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়
এদের লেখা পড়ে আবেগ-তাড়িত হয়ে প্রেমে পড়লে বাস্তবতা বুঝে নিও,
প্রেমে পড়া পর্যন্ত তবুও ঠিক আছে, মন তো ভালোবাসারই বাস
তারপর এগোতে গেলেই কিন্তু জীবনের ভয়াবহ সর্বনাশ;
যে মানুষটা কলমে আঁকছে আর যে মানুষটাকে বাস্তবে দেখছে
দু জন তো আসলে এক না
এদের সামনাসামনি মেলাতে গেলেই মনে ধাক্কা
একজনের সাথে আরেকজনের কোন কিছুতেই মেলে না।
২৩ জুলাই, ২০২১
#কবিটা
লেখক স্বরূপ
- যাযাবর জীবন
ছবিঃ নেট থেকে সংগৃহীত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন