বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

জ্যোৎস্না রাতে রূপসা পারে, জলপরী ও আমি



জ্যোৎস্না রাতে রূপসা পারে, জলপরী ও আমি

- যাযাবর জীবন

অনেক দিন কথা হয় নি তার সাথে
অনেক দিন হয় নি দেখা স্বপ্নদেশে
রূপকুমারী কেমন আছে চাঁদের দেশে
জলপরীটা কেমন আছে জলের নীচে?

অনেকটা সময়ই কেটে গেছে আমার কালঘুমে
স্বপ্নহীন কালোরাতে,
হয়তো সে এসেছিল খুঁজতে আমায় পরীর বেশে
হয়তো স্থলে ডানা মেলে
হয়তো জলে ডুবসাঁতারে
হয়তো রাতে জ্যোৎস্না মেখে
হয়তো উড়ে মেঘে ভেসে,
আমি ছিলেম হয়তো তখন
নিদের দেশে
ঘুম আবেশে,
হয়নি দেখা পরীর সাথে স্বপ্ন দেশে
ভালোবেসে
ভালোবেসে;

চোখ মেলতেই যখন আমার সূর্য চোখে
পরী তখন অনেক দূরে তারার দেশে,
ঘুম আবেশে চোখ জড়িয়ে
ঘুম আবেশে;
রূপসা পারের জলপরীটা অভিমানে ডুব দিয়েছে
আকাশ পরী কেমন আছে মুখভারে চাঁদের দেশে?

ঘুম ভাংতেই দেখতে তোমায় ইচ্ছে করে
জলপরীকে জ্যোৎস্না রাতে
রূপসা পারে;
ঠোঁটে ঠোঁটে ডুবে যেতে ইচ্ছে করে
চাঁদনি রাতে ভালোবেসে
প্রেম সাগরে।



ভালোবাসার নতুন সূর্যোদয়



ভালোবাসার নতুন সূর্যোদয়

- যাযাবর জীবন

একদিন
কোন একদিন
খুব হঠাৎ
হারিয়ে যাওয়া চুপিচুপি
না ফেরার দেশে
একেবারে;

তুমি কাঁদবে
চোখ ভাসবে
মন শ্যাওলা কিছুদিন;
আঁচলে বর্ণহীন নোনা শুকোতে সময় লাগে কতটুকু?
অতটুকুই আমার অনুভব;

তারপর আবার নতুন জ্যোৎস্না
নতুন চাঁদে নতুন হাত
নতুন পদচিহ্ন নতুন সূর্যে
নতুন অনুভবে নতুন ভালোবাসা
নতুন জীবন নতুন সময়ে;

কালকের ভালোবাসা আজকের ইতিহাস
কে আঁকড়ে রাখে পুরনো অনুভব?
আমি তো সেই কবেই মাটি হয়ে গিয়েছি,
এখন তোমার নতুন সময়;

ও ভুবন থেকে শুভেচ্ছার হাওয়া পাঠালাম কিছু
গায়ে জড়িয়ে নিও বাসি বেলির অনুভবে
মনে জ্যোৎস্না বৃষ্টি হলে।




সূর্যে অমাবস্যা



সূর্যে অমাবস্যা
- যাযাবর জীবন

সন্ধ্যা ঘনাতেই তুই চাঁদ
কোথায় ছিলি দিনে?
চাঁদনি খুঁজতে খুঁজতে আমি অন্ধ হয়েছি সূর্যে,
তুই যখন মেঘবিকেলের তারা
আমি রাত্রি হতে হতে অমাবস্যা;
মিলন হবে কি গ্রহণে?
চাঁদ আর সূর্যের
আলো আর আধারের
তোর আর আমার?
কেন অলীক স্বপ্ন দেখিস দুপুরঘুমে?
প্রজাপতি চুমবে না তোর চোখ;

কান্না মেশে কি জোয়ার জলে?
মোহনার ভাটা কেন লোনা?
যে ভেজে নি পাহাড়ি ঝর্ণায়
চোখের জলে তার কি আসে যায়া?
পাথরে শুধুই পিছল শ্যাওলা
কান্নায় ক্ষয় ধরে না;

সেদিন এক চুমু দূরত্ব পারি দেয়া হয় নি
আজ ডুবসাঁতারে কার প্রতীক্ষা?
সময় তো কবেই বয়ে গেছে ভাটায়
এখনো কেন গ্রহণের অপেক্ষা?
অপেক্ষা চাঁদে সূর্য মেলার
অপেক্ষা অমাবস্যায় জ্যোৎস্নার;
সকাল দেখেই তো দিন চেনা যায়,
কেন নোনায় ভাসিস আমার অপেক্ষায়?

আমি সূর্য নই, ঘোর অমাবস্যা।


অলীক নিক্তি



অলীক নিক্তি
- যাযাবর জীবন

ঘণ্টির টিং টিং টিং টিং
দরজায়,
অসময়ে কার আগমন জীবনে?
কেওর মেলতেই মন খারাপের হো হো বাতাস
যাহ্‌!
দুয়ার ফাঁকা
বাতাসও রঙ্গ শিখে গেছে
তোর মত;
অথচ আসার কথা ছিল তোরই,
দুয়ার খুলে
কড়া নাড়িয়ে;

ঘণ্টির টিং টিং টিং টিং;
রঙিলা বাতাস,
দরজায় ঝাপটা মারে
নিঃসঙ্গ রাতে,
অদ্ভুত এক নির্জনতা গ্রাস করে
দুয়ার খুলে,
বড্ড অসহায় লাগে;

মন খারাপ মাপার নিক্তি আবিষ্কার করেছিল,
কে
কবে?

সম্পর্কের বোধোদয়



সম্পর্কের বোধোদয়
- যাযাবর জীবন

কিছু কিছু সম্পর্ক'কে মনে হয় গভীর
খুব গভীর
ঠাঁই খুঁজতে গেলে অঠাই
তল খুঁজতে অতল
একদিন কথা না হলে অস্থির জীবন
দেখা না হলে হরিণ মন
যেন তৈরিই হয়েছে একের জন্য অপর;
আদতে?
পাপড়ি টোকা স্বার্থে
ভাঙ্গে দুজন
ভাঙ্গে জীবন
চুরচুর কাঁচে ক্রমাগত হৃদয় কাটে;
কোথায় সম্পর্ক?

কিছু কিছু সম্পর্ক অবোধ্য
বোঝাই যায় না কোথাও সুঁতোগাথা আছে
কথা হয় এদের কালে ভদ্রে
তবে কোথায় জানি একটা অনুভব
অনুভূতি বুকের ভেতরে
পরস্পরের তরে,
বিপদে আপদে বোঝা যায় সম্পর্কের গভীরতা
বলতে হয় না কাওকে
অথচ সমস্যার সমাধান চুপিসারে
তারপর আবার চুপ
দুজন দুপ্রান্তে
অনুভবে অনুভবে;
কোথায় সম্পর্ক?
কোথাও না কোথাও তো আছেই,
এদের মাঝে।

আমি না বুঝলাম আমাকে
না তোকে
না মানুষকে,
সম্পর্ক-তো বোঝা ই হলো না আমার আজো।




সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

অন্যরকম তোর আবেশে


অন্যরকম তোর আবেশে
- যাযাবর জীবন

আজ সকালটা অন্যরকম
ক্রিং ক্রিং ক্রিং ক্রিং
স্বপ্ন ভাঙলো ফোনে
ঘুমঘোরে হ্যালোও
মধু গুঞ্জন কানে
চোখের ঘুম উধাও
চাঁদ উঠলো দিনে
চাঁদনি সুধা মনে;

আজ দিনটা অন্যরকম
অন্যরকম
অন্যরকম
তোর ফোনে;

আজ রোদ উঠেছে
মেঘ করেছে
বৃষ্টি নেমেছে ঝুম
আজ সূর্যই আমার চাঁদ
তো'তে মেতে আজ
চাঁদনি স্নানের ধুম;

আজ দিনটা অন্যরকম তোর আবেশে
ভিন্নরকম স্বপ্নাবেশে
সারাটা দিন তো'তে মেতে
তোর ফোনেতে
তোর ফোনেতে;
আজ দিনটা অন্যরকম
অন্যরকম
অন্যরকম।




রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

সময়ের ভুল



সময়ের ভুল
- যাযাবর জীবন

তোর সবচেয়ে বড় ভুল - 'আমায় ভালোবাসা'
আমার সবচেয়ে বড় ভুল - 'তোকে বোঝাতে না পারা'
কিছু কিছু ভুল কখনোই শুধরানো যায় না
তবুও চেষ্টা করে যেতে হয়;

সময় সব দুঃখ ভুলিয়ে দেয় একসময়;
অনেক অনেক দিন পরে
আজকের ভুলগুলো মনে করে মুচকি হাসিতে চিন্তা করবি একা বসে -
"কি ছেলেমানুষিই না করেছিলাম এক সময়"
আজকের ভুলগুলো উড়তে থাকবে সময়ের আকাশে - "টিপ্পনী মেখে"।

আমি আজও হাসি তোর ছেলেমানুষি দেখে
সেদিনও না হয় হাসব আবার তোর সাথে মিশে।



বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

চাঁদে কান্না



চাঁদে কান্না
- যাযাবর জীবন

তুই আমায় চাঁদ দিয়েছিস
চাঁদনি আঁকব কোন তুলিতে?
কাঁদছিস কেন রে ভালোবেসে?
জলরঙে কি কান্না আঁকা যায়?

একদিন আমরা মানুষ ছিলাম
ভালোবেসে তুই কান্না হলি
আমি রাত্রি হলাম;
এখন চাঁদনি কাঁদে অমাবস্যায়,
বৃষ্টি কোথায় চাঁদে? কান্না ধুয়ে নিতে;

অন্ধকারের চেয়ে বাস্তব কবিতা আর কি হতে পারে?
তুই আমায় রাত্রি দিয়েছিস।


নিষ্কর্মা দুপুর


নিষ্কর্মা দুপুর
- যাযাবর জীবন

কেন লাল হলি রে লাজে?
এই দুপুর রোদের ভাঁজে,
কই? এখনো আঙ্গুল ছোঁয়াইনিতো তো গালে,
চুমিনি এখনো তোর ঠোঁট;

তবে কেন লাল হলি তুই আজ?
সারাটা দিন তোতে মেতে মেতে
বয়ে গেলো বেলা
হলো না আজ আর কোনো কাজ।


জলকুমারীর কান্না



জলকুমারীর কান্না
- যাযাবর জীবন

রঙ্গিন তো সবাই দেখে
আমি না হয় সাদাকালোই দেখলাম;
সাদাকালো চোখে সাদাকালো মন
ফকফকা রৌদ্রজ্জ্বল শুভ্র সাদা, জলকুমারীকে দেখেছি যেমন
মনের ক্যানভাসে আঁচর কাটার চেষ্টা তেমন,
কি হয়েছে জানি না
তবে খুব একটা খারাপ হয় নি, বলছে মন;

রঙ্গিন তো সবাই আঁকে
তবে বেশ মানিয়েছে কিন্তু তোকে সাদাকালোতে;
যেন তোরই মনের প্রতিচ্ছবি
শুভ্র সাদা
দিনের দিন,
তুলিতে কিছু মিশিয়ে নিয়েছি কালো
আমার মন থেকে
আমি তো সেই কবে থেকেই রাতের রাত
অন্ধকার;

দিনের বেলায় মুখ তোলে জলকুমারী
রাতের নদীতে কালো পানি
মনখারাপে জলকুমারী পানিতে ডুব দেয়
নদী জল অশ্রুজল ধুয়ে নেয়;

আমার থেকে মাঝে মাঝে সে কান্না লুকাতে চায়
জলকুমারী কেন ভুলে যায়?
অন্ধকারে অন্ধের কি এসে যায়;
আমি তোর হাসি কান্না পড়ি মনের চোখে।