শুক্রবার, ২৮ মে, ২০২১

পরশ্রীকাতরতা

মাঝে মাঝেই আয়নায় চোখ চলে যায়

আমি চমকে উঠি 

ওখানে ওটা কাকে দেখছি?


ঈর্ষা বিদ্বেষ পরশ্রীকাতরতায় ভরা একটা চেহারা

আমার নিজের কিন্তু কোন কিছুর অভাব নেই 

তবুও ওর আমার চেয়ে বেশী কেন? 

হিংসায় বুক ফেটে যায় আমার;


ঐ কাজটা সম্পর্কে আমি কিছু জানিই না 

সে করছে কেন? 

ঈর্ষায় গা রি রি করে;


আমি কখনো কিছু লিখিই নি 

সে বই বের করে ফেলেছে

আমার গলায় সুর নেইই 

সে কি সুন্দর গান গাইছে

আমার গলা দিয়ে স্বর বের হয় না 

সে কবিতা আবৃতি করছে

আমি রাজনীতি বুঝিই না 

সে বিশাল নেতা হয়ে গিয়েছে 

আমার যোগ্যতা থেকে অনেক ভালো একটা চাকরি করছি

ও অফিসের বস হয়ে গিয়েছে  

আমাকে কেউ চেনেই না 

তার নামডাক মুখে মুখে

ঈর্ষায় আমার শরীর পুড়ছে

ঐ তো! আয়নায় দেখছি

আগুনে আয়না জ্বলছে;


কি করি? কি করি?

দেখি না কিছু বদনাম লেপে দেয়া যায় নাকি?

না হয় কিছু চোগলখোরি 

পারি না তাও জোর করে পিছু টেনে ধরি 

ওদের এগোতে দেয়া যাবে না 

আমি নিজেতে নিজে মরি 

ভাই! মানুষ তো! রিপুর কাছে বন্দী

ওটুকু করে একটু তো শান্তি পাই মনে?

তাও করতে দেবে না?

যাও! তোমরা তো আমার থেকে খুব একটা ভালো না! 



২২ এপ্রিল, ২০২১


#কবিতা 


পরশ্রীকাতরতা 

 - যাযাবর জীবন 





 

 


 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন