হুটহাট একটা মানুষ চলে আসে জীবনে
যার সাথে না ছিলো পরিচয় না আত্মীয়তা
অথচ কোথা থেকে যেন উড়ে এসে জুড়ে বসে পরস্পরের জীবনে
হ্যাঁ, আমি দাম্পত্যের কথা বলছি;
একটা ছেলে আর একটা মেয়ে
আগে কখনো পরিচয় ছিলো না তাদের
খুব হঠাৎ করেই একদিন দেখা
চোখাচোখি কিছুদিন, তারপর চোখেচোখে কথা
তারপর আরেকটু এগিয়ে এসে পরিচয়
পরিচয়ের সূত্র ধরে এগিয়ে প্রণয়
অবশেষে পরিণয়,
এ তো গেলো প্রেমের কথোকথা
সুখের দাম্পত্য গাঁথা;
অন্যদিকে একটা ছেলে আর একটা মেয়ে
পরিচয় হওয়ার কারণই ছিলো না তাদের কখনো
তবুও আত্মীয় স্বজন এর মাধ্যমে দেখা
আত্মীয় স্বজন এর মাঝে কথা
তারপর দুপক্ষের বাবা-মার মতের মিল হলে
নিজেদের মাঝে পরস্পর বোঝাপড়া
আসলে সম্মতি তো দেয়া হয়ে গিয়েছে আগেই
সেই কথা চালাচালির মাঝামাঝি সময়েই
তবুও ক্ষেত্র বিশেষে কিছু বোঝাপড়া
আসলে বিয়ের আগে প্রেমের একটা মহড়া
মন কেমন কেমন করাটা তো প্রেমই, তাই না?
তারপর তো সেই বিয়ের পিঁড়ি
আর মুরুব্বীদের মাধ্যমে জুড়ে দেয়া
চিরাচরিত দাম্পত্য কথোকথা;
এই যে রক্তের সম্পর্ক ছাড়াই একটা সম্পর্ক!
কি মনে হয়!
হুট করে উড়ে এসে জুড়ে বসা?
ধরলাম হুট করেই উড়ে এসে জুড়ে বসলো
তারপর যে অদ্ভুত এক মায়া!
অপার্থিব এক ভালোবাসা
দুজন দুজনার জন্য মন কাঁদা!
এর কোন ব্যাখ্যা আছে?
রক্ত সম্পর্ক তো নেই, তাহলে দাম্পত্য সম্পর্ক কিসের ভিত্তিতে?
তবে কি এ বন্ধনটা অন্য ভুবনে গাঁথা?
কত রকম দাম্পত্যই না আজকাল দেখা যায়!
অল্প কিছু দাম্পত্য তো বাসরের ফুল শুঁকোতে না শুঁকোতেই ঝরে যায়,
আর কিছু দাম্পত্য প্রথম প্রথম অল্প কিছুদূর এগোয়
তারপর জীবন রেসে ক্লান্ত হতে হতে দুজন দুদিকে হারায়;
অনেকগুলো দাম্পত্য জীবনে অনেকদূর এগিয়ে যায়
সন্তান, সংসার ভালোই চলতে থাকে
তারপর কি কি সব আজব এক এক কারণে
সম্পর্কটা খুব হুট করেই ছিঁড়ে যায়
পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়, সন্তানরা এক এক জায়গায়
আর দাম্পত্য! কখনো রাগে, কখনো অভিমানে, কখনো ইগোতে
কখনো বা পরকীয়া ভাইরাসে কুরে কুরে খায়
আর আশেপাশের বাকি সকল সম্পর্কগুলোকে কাঁদায়;
আর বেশীরভাগ দাম্পত্য হাতে হাতে, অনুভবে অনুভবে
পরস্পর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায়, জীবনের শেষদিন পর্যন্ত চলতেই থাকে
এদের জন্য মৃত্যু এক অমোঘ বিধান
দাম্পত্যে পরস্পরকে আলাদা করতে।
১৯ এপ্রিল, ২০২১
#কবিতা
দাম্পত্যের হরেক রকম
- যাযাবর জীবন
ছবিঃ নেট থেকে সংগৃহীত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন