সোমবার, ১২ জুলাই, ২০১০

ওপারের ডাক

আমি আজো বসে আছি পথ চেয়ে
ক্লান্ত নয়নে, হতাশায়
শুধু তোমারই প্রতিক্ষায়।

সেই যে রাগ করে বালিয়ারি ধরে হেঁটে চলে গেলে
সে কথাটি মনে আছে?
শুধু শুধু অভিমানে আমাকে কস্ট দিয়ে
তোমার সে চলে যাওয়া আজো আমার বুকে বাজে।

সেই যে রাগ করে সাগর পার ধরে হেঁটে গিয়েছিলে
জল জ্যোৎস্নায় পথ খুজে নিয়ে আর আমাকে একাকি কাঁদিয়ে
সেদিন কালো মেঘগুলো ঢেকে রেখেছিল
আমার অস্রুভেজা চোখ দুটি
যাতে সাগরে পানিতে চোখের জলের ছায়া দেখা না যায়।

সেই যে একদিন রাগ করে হেটে গিয়েছিলে বন জ্যোৎস্নায়
হারিয়ে যেতে গভীর বনের অন্ধকারে
আমাকে একা ফেলে একাকি বনের ওই নিঃসসিম অন্ধকারে
এতটুকু ভাবোনি আমার কথা একটি বারের তরেও।

আর আমি গভীর দুঃস্চিন্তায় তোমার পথপানে তাকিয়ে ছিলাম
পাগল মেয়ে করে কি ভেবে, লৌহমানবের মত অপেক্ষায় ছিলাম
ধৈর্যের দিন গুনে গুনে আর প্রতিটা পধের বাঁকে
তোমাকে বাঁচাতে জগতে সব লোলুপ নজর থেকে
পিছু নিয়েছিলাম চুপিচুপি যাতে কোথাও হারিয়ে না যাও।

প্রতিবারই ছিল মান ভাঙ্গাবার পালা আমার
প্রতিবার ই ফিরিয়ে এনেছিলাম তোমায় অনেক বুঝিয়ে
কিন্তু প্রতিদিনের এই লুকোচুরি খেলায় সেদিন ছিলাম আমি ক্লান্ত বিধ্বস্ত
তোমার নিত্যখামখেঁয়ালির সাথে তাল মিলাতে মিলাতে
আমার জীবনতাল কেঁটে গেছে কবে কখনো বুঝতেও পারি নি।

আজ পিছন ফিরে দেখি জীবনের সবই ভুল
সবই মিছে জখন শেষবারের মত তুমি চলে গেলে
পারাপারের ওপারে আমার ভালোবাসার চাঁদের দেশে
বা তাঁরার দেশে আমাকে একা ফেলে অনেক অভিমানে
যেখান থেকে তোমাকে ফিরিয়ে আনার স্বাধ্য কি আমার?
ফিরিয়ে আনার অন্যভুবন থেকে।

শুধু আমাকে দিয়ে গেলে বাকিজীবনের অপেক্ষা
আর ভালোবাসার ডাক তোমার কাছে ফিরে যাবার
ওপারের পথ ধরে।

কেঁদেছি কেঁদেছি আহা কত কথা মনে করে
কেঁদেছি সমুদ্রকে বানে ভাসিয়ে দিয়ে
কিংবা বৃস্টিকে হারিয়ে দিয়ে জল বর্ষনে
কিংবা কেদেছি তোমারে হারায়ে প্রতিদিন অনুক্ষন
নিরবে নির্জনে।

আমি আসছি সুরঞ্জনা,
ফিরে আসছি তোমার বুকে
পেছন ফেলে সব জাগতিক সুখটুকু
পারি দিয়ে পার্থিব জগতের সকল বাধা।

কিন্তু ওখানে নিয়েও আমাকে শুধু
উপেক্ষা করো না যেমন করেছিলে
সান্ধ্য প্রেমেরও কালে,
একটুকু সুযোগ করে দিও ভালোবাসিবার
যেমন দিয়েছিলে প্রথম সকালের প্রেমে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন