বড্ড স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে করে
বড্ড ইচ্ছে করে ঐ আকাশটাকে ছুঁতে,
নীল আকাশের গাঁয়ে যখন সাদা সাদা মেঘগুলো ছুটে চলে
ইচ্ছে করে ঐ মেঘের ভেলায় ভেসে হারিয়ে যাই দূরে কোথাও
সেই সুদূরের পানে,
রাখালিয়া যখন বাঁশরীতে টান দেয় ভাওয়াইয়া কোন সুর ধরে
ইচ্ছে করে তার সাথে সাথে বটমূলে হেলান দিয়ে বসে দেখি
মধ্য দুপুরের অলস নিস্তব্ধতা,
গায়ের বধু যখন কলসি কাঁখে পানি ভরে আনে
ঐ দুরের সেই চৌধুরি বাড়ির টিউবয়েল থেকে
ইচ্ছে করে হাত পেতে সামনে দাড়াই
অঞ্জলি ভরে পানি খেতে,
গায়ের মেঠোপথ ধরে চলতে চলতে থমকে দাড়াই
আর দেখি দামাল ছেলেদের দলবেধে ঝাপিয়ে পড়া
ঐরাবতী নদীর ভাঙ্গা পাড় থেকে
আমারও ইচ্ছে জাগে মিশে যেতে
ওই দস্যু ছেলেদের পালের ভিড়ে,
শীতের ভোরে মেঠো পথে হেটে চলি আর দেখি
ঘাশের শীষে শিশির বিন্দু খেলা করে
পাখিদের কিচির মিচির গানের শব্দে মুখরিত চারিধার
বড্ড ইচ্ছে করে তোমার গালে বুলিয়ে দেই শিশিরের বিন্দুগুলি
আর শোনাই তোমায় পাখিদের ভৈরবি গানের সুর,
সরতের বিকেলের মিঠে আলোতে হালকা বৃস্টির ছাট
রংধনুর রঙ ছড়ায় পূবের আকাশে পড়ন্ত সূর্যের বাকা কিরণে
বড্ড ইচ্ছে করে তোমায় ডেকে এনে দেখাই
সবুজ ধানের মাঠের ওপর থেকে
সূর্যের সাথে মেঘের আর রংধনুর রঙ্গিন খেলা,
যখন পাগলা কোকিলের পাগল করা কুহুতান শুনি
পাগল সুরে খুজে ফিরে কোকিলারে
তখন তোমার কথা মনে পড়ে আর ইচ্ছে করে
তার মত তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখি ঘর বাধার,
বড্ড ইচ্ছে করে তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে
বড্ড ইচ্ছে করে তোমায় সাথে নিয়ে আকাশটাকে ছুঁতে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন