মানুষ জন্মের পর বেড়ে ওঠে ধীরে ধীরে
শিশুকাল থেকে নিয়ে বৃদ্ধ অবস্থা স্তরে স্তরে
ছেলেবেলাটা বড্ড মধুর, খেলা খেলা সারাবেলা
এর মাঝেই কিছু বোধোদয়
একজন দুজন করে দাদা-দাদী, নানা-নানী
কোথায় জানি চলে যায়! কোন এক মৃত্যু নামক জায়গায়
সেই বয়সে আমরা মৃত্যু বুঝি না তবে ওনাদের চলে যাওয়া বুঝি
একটা শূন্যতা সৃষ্টি হয় আদরের জায়গাগুলোতে;
তারপর মানব শিশু আরেকটু বড় হয়
জীবন মৃত্যু বুঝতে শিখে
তারপর জীবনের বিভিন্ন স্তরে একজন দুজন করে গুরুজনের বিদায়
সেটা ততদিনে সহনীয় হয়ে গিয়েছে, পরিণত হয়ে গিয়েছে অভ্যাসে
তারপর একটা সময় যৌবন পার হয়ে সংসার ধর্মে
এখানে সেই ছোট্ট মানব শিশুটা জীবনটাকে বুঝে গিয়েছে
বুঝে গিয়েছে মৃত্যু নামক এক এক অমোঘ বিধান,
স্বাভাবিক নিয়মে এবার বাবা-মায়ের পালা
সারাক্ষণ ভয় ভয়, কখন জানি ওনাদের কি হয়
তারপর কালের স্রোতে একে একে ওনারা বিদায় হন
থেমে থাকে না মানুষের বয়স, থেমে থাকে না মৃত্যুর মিছিল
বাবা-মায়ের পরে একে একে চাচা-চাচী, খালা-খালু, মামা-মামী
তারপরের সিরিয়ালে আমি, আমার ভাই-বোন, আমার জেনারেশন;
মৃত্যু ভয় এবার আমার মনে
না চাইলেও কোথাও না কোথায় এ ভয়ের বাস খুব গোপনে
একটা অদ্ভুত অপেক্ষাটা, প্রতীক্ষা এক অজানা গন্তব্যের
অপেক্ষা এক অজানা সময়ের
আজ, কাল, পরশু
এখন, তখন, যে কোন মুহূর্তে
মৃত্যুটা আসবেই, সময়'টা কেউ জানে না,
অপেক্ষায় আছি আমি
ভেতরে ভেতর পরকালের কিছু প্রস্তুতি নিচ্ছি
হাজার হোক আস্তিক তো!
কোথায় জানি একটা ঘড়ির কাঁটা অবিরাম ঘুরে যাচ্ছেই
অপেক্ষার ঘড়ি
টিক টিক টিক.........
১০ ডিসেম্বর, ২০২১
#কবিতা
অজানা অপেক্ষার ঘড়ি
- যাযাবর জীবন
ছবিঃ নেট থেকে সংগৃহীত, এডিটেড।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন