সোমবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

কাম-দৃষ্টি



কাম-দৃষ্টি
- যাযাবর জীবন

চড়ানো কাপড় চামড়ার ওপর
হরেক রঙ বাহারি
মাটির চামড়া শুধুই সাদা কালো
আর নয়তো রঙ বাদামি,
উদলা বুক নরম গরম
দৃষ্টিতে কাম
কামে রমণ
চামড়ার ওপর খুঁজিস কেন মন?

উদলা বুকে প্রাণ নাই রে মাটির দেহে, চামড়ার ওপর
অন্তর্দৃষ্টি ভালোবাসার বাস মাটির দেহে, মনের ভেতর।




শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

অর্ধ চিন্তা



অর্ধ চিন্তা
- যাযাবর জীবন

ভালো লাগা আর না লাগার মাঝামাঝিতে ঝুলে থাকি
দিন আর রাত্রির মাঝামাঝি অবস্থানে,
অর্ধেক আলো আর অর্ধেক অন্ধকারে আধো দেখি
অর্ধেক চাঁদ আর অর্ধেক সূর্য চোখে নিয়ে;
একজন পূর্ণ মানবীকে একই সাথে ভালোবেসে
আর ভালো না বেসে মরেবেঁচে আছি, অর্ধ মানব হয়ে।





বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

ঘুমঘুম রাত



ঘুমঘুম রাত

- যাযাবর জীবন

সবাই ঘুমিয়ে গেলে জেগে থাকে রাত;
বুকে বালিশ চাপা দিয়ে আমি,
চিড়ে চ্যাপ্টা হতে হতে
তোর স্মৃতির পাহাড় তলে;

কোন এক রাতে ঠিক ঠিক আমিও ঘুমিয়ে যাব,
একেবারে;

সেদিন দেখিস তুই স্বপ্ন বেশী করে
দাগ লাগা বালিশ বুকে
শুকিয়ে আসা চোখের জলে।




মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

মন খারাপের রাত



মন খারাপের রাত
- যাযাবর জীবন

আজকে বাতাস বড্ড চুপচাপ
বাতাসের আজ খুব মন খারাপ;
এই তো ফুরফুরে ফাল্গুনের রাতে বেড়াতে বের হয়ে উত্তর বাড়িতে ঢু মেরে দেখে
সাদা থান পড়া আলুথালু বৌটা ডুকরে কাঁদছে একাকী বালিশ বুকে চেপে,
অথচ স্বামীর হাতটাকে টেনে মাথার নীচে না নিয়ে আসলে ওর ঘুমই হতো না কখনো;
আজ রাত আছে
বালিশ আছে
আকাশে বিশাল এক চাঁদ আছে
কেঁদে কেঁদে ফুলে যাওয়া লালচে দুটো চোখ আছে
চোখে হয়তো ঘুমও আছে
শুধু মানুষটাই চলে গেছে
হাতের বদলে বৈধব্য দিয়ে গেছে রাতে;
বৌটা কাঁদছে।

বাতাসের সাথে সাথে আকাশ থেকে টুপ করে নেমে এসে
চুপিসারে ঘরে ঢুকে পড়েছিল ফকফকা সাদা জ্যোৎস্না
একসাথে খেলবে বলে,
বাতাসের থমকে যাওয়া দেখে চাঁদটাও চমকে গেছে
সাদা জ্যোৎস্নায় বৈধব্যের কালো রূপ দেখে,
তারপর দুজনেই কিছুক্ষণ মনখারাপ করে থমকে থেকে
ঘর থেকে বের হয়ে আসে একসাথে;
ঘরে ঢুকতে চাঁদনির অনুমতির দরকার হয় না
অনুমতির দরকার হয় না বাতাসেরও
তারা যখন ইচ্ছে মানুষের ঘরে ঢুকে পড়ে
যখন ইচ্ছে মানুষের মনের কথা পড়ে ফেলে;
অথচ বছরের পর বছর পাশাপাশি বাস করে শুধু মানুষই পড়তে পারে না মানুষকে,
কেন যে এমন হয়, কে জানে?





রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

জ্বর



জ্বর
- যাযাবর জীবন

মানুষ মাত্রই জ্বর আসে
নানা সময়
নানা বেশে,
কারো ভাইরাল
কারো কাম
কিংবা কারো প্রেম;

ভাইরাল ঔষধে সারে
কারো দুদিনে
কারো সাত দিনে
কারো মাস ব্যাপী ভোগার পরে
ভাইরাসের প্রকার ভেদে;

কামজ্বর বিছানায় গেলেই সারে
খুব অল্প সময়ে;

প্রেম জ্বর সারতে কিছু সময় লাগে
কারো কিছু দিন
কারো কিছু মাস
কারো হয়তো বা বছর,
কোন প্রেম সারে চুমুতে
কোনটা কামে
কোন কোনটা তো এমনি এমনিই সেরে যায়
সময় গেলে,
আবার কোনটা গড়ায় বিয়েতে;

আমরা আদতে বড্ড অস্থির প্রকৃতির
জ্বর হতে না হতেই ঔষধ খুঁজি;
অথচ জ্বর কিন্তু সেরেই যায়
এক সময় না এক সময়
সকল জ্বর,
যথা সময়;
শুধু একটু সময় দিতে হয়।


বাহানা


বাহানা
- যাযাবর জীবন

জল পড়ার শব্দে পিপাসা
গ্লাসটা খালি
মন মানে না;

এই যে দিন রাত্রির আনাগোনা
হেলে পড়া সূর্যে বিষণ্ণ বিকেল
পাতাঝরা ফাল্গুনের বিবর্ণ সন্ধ্যা
আকাশে একলা জ্যোৎস্না
খারাপ আর ভালো লাগার মিশ্রণ
মনের ব্যারোমিটারে যখনি গ্রহণ;

কল থেকে জল ঝরছে
টিপ টিপ টিপ টিপ
গ্লাসে পিপাসা
ঠোঁট শুকনা;

মনের ব্যারোমিটার উঠছে
টিক টিক টিক টিক
মনে তৃষ্ণা
ঠোঁট ছুঁয়ে দেয়ার বাহানা;

কল থেকে এক ফোঁটা জল ঝরলো হাতে
একটি চুমু তোর ঠোঁটে;

এবার বুঝলি তো!
তোকে পাওয়াটা কত সোজা;
কোন দূরত্বেই আর দূরে নাই
আমার কাছে তুই
ইচ্ছে হলেই আমি তোকে পাই
ইচ্ছে হলেই ছুঁই
যখন তখন;
এই তো আজকে যেমন
জলের শব্দে তোকে খুঁজে নিলাম
মনে উঁকি দিতেই
তুই এখন।




বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

সময়



সময়
- যাযাবর জীবন

সেদিন তুই কিশোরী ছিলি আমি যুবক;
মন দেয়ে নেয়া
তারপর যতিচিহ্ন;

আজ তোর মাথা থেকে কালো হারিয়ে গেছে সাদা চুলের ভীরে
আমার পুরো মাথা জুড়ে চকচকে বারান্দায় রোদ খেলা করে;

এখনো অপেক্ষার ঝুল বারান্দায়
প্রতিদিন দেখা করি আমরা;

মাত্র'তো অল্প কটা দিন
কিশোর থেকে বার্ধক্য পর্যন্ত;
ভালোবাসা চিরদিন।


মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

অঙ্গাঙ্গী




অঙ্গাঙ্গী
- যাযাবর জীবন

কবিতার আঙিনায় হঠাৎই একদিন নূপুরের শব্দ
তোর আগমনের দিনটার কথা বলছিলাম;

কবিতায় পা রেখে উঠে এসেছিস বুক পর্যন্ত হেঁটে
খুব নিঃশব্দে, বোঝা আর না বোঝার অবসরে
তারপর আমিও যেন সাবলীল তোতে
ঠিক আমার হাত পা কিংবা মাথার মত
কিংবা শীতে জড়িয়ে থাকা শাল
কিংবা গরমে ফ্যানের হাওয়া
কিংবা শরতের মেঘ
কিংবা শ্রাবণে বৃষ্টি
অমাবস্যার অন্ধকার কিংবা চাঁদের চাঁদনি
কিংবা, কিংবা আর কিংবা করতে করতে
অঙ্গাঙ্গী হতে হতে কোন এক সময় তুই কবিতার খাতা
তারপর নিজেই হয়ে গেলি কবিতা;

তোকে নিয়ে অনেক ভালোবাসায় কবিতা গড়েছি
বিচ্ছেদের কাব্য লিখব না;

হাত ধরে বসে থাকার প্রয়োজন হতে পারে ভীত প্রেমীদের
আত্মায় জড়িয়ে থাকলে স্পর্শের প্রয়োজন কোথায়?



সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

পরিপূরক




পরিপূরক
- যাযাবর জীবন

তালা আর চাবি না হয় পরিপূরক শাব্দিক সম্পৃক্ততায়
এক'কে ছাড়া অন্যজন তো শুধুই লোহার দলা
কাছে আসলে তবেই না তালায় চাবি গলে;

পাশাপাশি পড়ে থাকে কয়লা আর উনুন
সলতেতে আগুন জ্বললে তবেই না
মোমদন্ডে ঘর্মাক্ত মোম গলে;

শীতে কি যায় আসে?
আলিঙ্গনে যখন তুই আর আমি
শরীরে সূর্য জ্বলে;

প্রেমে অভিমান তো হতেই পারে
কাম'কে তখন ঘুম পারাই ডীপ-ফ্রিজে,
সারা মাসই তো রান্না হয় উনুন জ্বেলে;

দু-চারদিন জ্বলুক না উনুন দু-পায়ের ভাঁজে!
মাঝে মাঝে তো রান্না নাই হতে পারে
জল দূষিত হলে রান্নার কলে;

তুই যখন খেজুর খুঁজিস ঘন বনে
আমি পাহাড় হাতে
ভিজতে থাকি সাগর জলে;

কত ঠোঁটই তো ভিজে প্রেমরাতে
এবার না হয় তুইও ভিজ
লোনা কিংবা নোনা জলে।


রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

ভালোবাসা দিবস


ভালোবাসা দিবস
- যাযাবর জীবন

কানের কাছে সারাক্ষণ "I love you" এর মালা জপার নাম ভালোবাসা - কে বলেছে?
কথায় কথায় চকাস চকাস করে চুমুর বন্যা - ভালোবাসার প্রকাশটা বড্ড স্থুলো হলো না?
ভালোবাসি ভালোবাসি বলে গায়ের সাথে লেপ্টে থাকার নাম প্রেম মলম - কোন কিতাবে লেখা?
৩৬৫ দিনের এক দিন ভ্যালেন্টাইনের নামে কামের মচ্ছব, ডিনারের উৎসব - কি চমৎকার ভালোবাসার প্রকাশ!

ভালোবাসাকে কেন খুঁজতে হবে উৎসবের লন্ঠন জ্বালিয়ে?
আরে ভালোবাসা তো আত্মা আর আত্মার বন্ধনের অনুভব
কাছে এসে কিংবা দূরে থেকে;

আমরা কখনোই ভ্যালেন্টাইন মানাই নি
তুই আর আমি মিলে;
তবুও আমি এখানে ভালোবাসার চুমু খেলে
হাজার মাইল দূরে তোর দরজায় উথাল পাথাল ঝড় ওঠে;
তোর চোখে জল এলে
আমার ঘরে বান ডাকে।
ভালোবাসা আমাদের কাছে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা হিসাবে বছরে ৩৬৫ দিন,
তোর আর আমার কাছে।




শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

মন-রহস্য



মন-রহস্য
- যাযাবর জীবন

যতদিন চোখে ছিলি
তোর নামটি মনে ছিল,
চোখের আড়ালে মনের আড়াল;

কোকিল কুহু ডাক দিলেই
সাদা থান পড়া মেয়েটির কথা খুব মনে হয়,
বসন্ত কোথায়?

চাঁদ ডুবে যাওয়ার সাথে সাথে
ভুলে যাই চাঁদনির কথা,
তুইও এবার ভুলে যা আমায়;

আষাঢ়ে বৈশাখী ঝড় কোথায়?
পুরুষ আর্দ্রতায় সিক্ত হয় অন্ধকারে,
আমি কখনো কাঁদি না;

তাল পাকা ভাদ্রে কুকুর জিভে লালা
তোর গরমে আমি পেকে যাই প্রতিরাতে,
অসভ্য কোথাকার;

আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর, অমানুষ
কত বিশেষণের সীলমোহরই না লাগিয়েছিস আমার গায়!
খুব ভালোবাসিস বুঝি আমায়?






বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

মাটির ইতিহাস



মাটির ইতিহাস
- যাযাবর জীবন

বেশ তো কাটছিল সময়
মিলে মিশে হাসি কান্নায়
গল্পে আর আড্ডায় মেতেছিল দুপুরটা,
হঠাৎ
খুব হঠাৎই কি যে হলো!
সরব মানুষটা থেমে গেলো,
জীবন্ত দেহটা হলো শব
চোখের নিমিষে
পলক ফেলতে;
বড্ড কষ্ট পেলো প্রিয়জন
কান্নার রোল
গোসল
কাফন,
তারপর সন্ধ্যে নামতেই মাটিতে মাটির দেহের চিরঘুম;

রাত ঘন হতেই মৃত বাড়িতে শত মানুষের আনাগোনা
এ বাড়ি ও বাড়ি থেকে ভাতের হাঁড়ি
কেও ভর্তা তো কেও তরকারি
চা পর্ব থেকে শুরু করে ডিনার
পেট পূর্তির উৎসব
সবই তো চলছে আগের মতন
অপেক্ষায় কে কার জন্য?
শুধু বিকেলের গোধূলিতে পড়ে থাকা "শব" ছিল যতিচিহ্ন;

মাটির দেহ মাটিতে মিশে হয় মাটি,
মধ্যে কিছুদিনের হাসি আনন্দ
দুঃখ বেদনা
আর প্রিয়জনের সাথে কিছু খুনসুটি।

জীবন এগিয়ে চলে জীবিতদের ঘিরে
আর তাদের ঘিরে কিছু অনুভূতির প্রকাশ,
শবের স্থান কোথায় বাস্তব জগতে!
ওরা'তো শুধুই ইতিহাস।




রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

একাকীত্ব



একাকীত্ব
- যাযাবর জীবন

বসবাস খুব পাশাপাশি তবুও খুব একাকীত্বে ভোগে দুটি চোখ
গালের খুব কাছেই চিবুক তবুও দেখা হয় না পরস্পর
মাঝে মাঝে স্পর্শ দুপাটি ঠোঁটের তবুও তারা এক হয় না
একই অক্সিজেন টেনেও দু-ছিদ্র নাক কেও কাওকে পায় না
পাশাপাশি বাস অলিন্দ আর নিলয়ের তবুও স্বচ্ছ পর্দায় আলাদা
একাকীত্বের বোঝা টেনে যাচ্ছে সকলে একই দেহে হয়ে অচেনা;

একাকীত্ব বোঝে একলা পাখির মন
একাকীত্ব চেনে দু-ভুবনের দুজন,

আমরা দুজন দুজন'কে ভালোবেসেও অচেনা
আমাদের বাস একাকীত্বের একলা ঘরে, একেলা।

প্রেমাগ্নি



প্রেমাগ্নি
- যাযাবর জীবন

মরার নির্দিষ্ট কোন সময় নেই
ভালোবাসার ইচ্ছে মরে গেলেই রিগর মর্টিস শুরু;
হৃদয়ে মদের বোতল উপুড় করে স্যভলনের প্রলেপ
নেশার ধোঁয়ায় দেহাগ্নি
বাহ! কি চমৎকার মরণ।

ধেনো গিলে আঁধারে অশ্রুবর্ষণ প্রেম নয়;
তার থেকে মাটি হওয়া বেশ।


বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

গল্প ঢেঁকুর (১-২৫)



কিছু গল্প ঢেঁকুর (১-২৫)
- যাযাবর জীবন


গল্প ঢেঁকুর: ১

নির্বাক দু-জন দু-পাশ ফিরে
দুটো বালিশ ভিজছে দুজনার নীরব চোখের জলে;
মধ্যেখানে কোলবালিশ হাসছে শুয়ে - অভিমান হয়ে।


গল্প ঢেঁকুর ২
বাবা মা প্রেমে বাধ সেধেছিল সেদিন।
দুই যুগ পরের কথা -
মেয়েটি তার মেয়ের বিয়ের দাওয়াত দিচ্ছে;
ছেলেটি বিয়ে করেনি আজো।


গল্প ঢেকুর - ৩ঃ
তোর আর আমার দিনলিপিগুলো কাগজে টুকে রাকছিলাম;
ভাবি নি কবিতা হয়ে যাবে।


গল্প ঢেঁকুর - ৪:
একটা ছেলে, একটা মেয়ে;
মত্ত ছিল গভীর প্রেমে।
ভালোবাসার ভয়াবহ অপরাধে ধরা পরে গেল বাবা মা'য়ের হাতে।
নির্মম পারিবারিক আদালত রায় শোনালো- "যাবজ্জীবন কারাদণ্ড"।
পক্ষে গেল তো-
দুজনই পাপের ঘানি টানছে; সংসার কারাগারে।
বিপক্ষে তো-
দুজনই জ্বলছে বিচ্ছেদ আগুনে; মনের কারাগারে।


গল্প ঢেঁকুর - ৫ঃ
চলমান প্রেম কাহিনী -
আমি তোমাকে ভালোবাসি,
তুমি আমাকে ভালোবাসো
জানটুস, মানটুস
উম্মা উম্মা।
চূড়ান্ত সমাপ্তি-
বিছানায় চল।


গল্প ঢেঁকুর - ৬ঃ
প্রেমিকা বাদাম খেতে খেতে ফ্যোত করে খালি হাতে নাক ঝাড়া দিয়ে সেই হাতে প্রেমিককে বাদাম ছিলে দেয়।
প্রেমিক সোনা মুখ করে বাদাম চিবোয়।
প্রেমিকা খ্যাক থুউউউউউ করে এক দলা কফ ফেলে।
প্রেমিক - আহা হা, আহা!! থুথু ফেলাও যে আর্ট তোমাকে না দেখলে জানতাম না।

প্রেমে পড়লে ছেলেদের কি বোকা হতে হয়?
প্রেম অন্ধ, গুরূজনে কয়।


গল্প ঢেঁকুর - ৭ঃ
Possessive প্রেমিকা ফোন করেই যাচ্ছে প্রেমিকের মুঠোফোনে।
সারাদিন রিং বেজে বেজে ক্লান্ত মুঠোফোন সন্ধ্যেয় প্রেমিকার SMS পেলো -
"আমাদের সম্পর্কের ইতি।
নতুন প্রেমিকা, নতুন জীবন মোবারক"
সাড়ে তিন হাত অন্ধকার ঘরে দুপুরে ঘুমিয়ে পড়া প্রেমিক জানতেও পারলো না SMS এ কি লেখা হয়েছিল।

গল্প ঢেঁকুর - ৮ঃ
সেদিনও তুই ছিলি অহর্নিশি চঞ্চল প্রজাপতি;
আমার মন ভরে যেত তোর উড়ে চলা দেখে।
আজ সংসার জোয়াল ঘাড়ে সকাল সন্ধ্যের কোন মুহূর্তেই দম ফেলার সময় নেই তোর।
আমি তোর আর গাছের মাঝে পার্থক্য খুঁজি।
সময় বদলে দেয় জীবন'কে, কিংবা হয়তো মানুষটাকেই।


গল্প ঢেকুর - ৯ঃ

জীবনকে ক্যানভাসে রাঙাচ্ছিলাম।
রক্ত ছড়ালো কেন?


গল্প ঢেকুর - ১০ঃ

ফেসবুকের আইডিগুলো সবচেয়ে বেশী বদলায় তার নিজের চেহারা -
ছবিতে ছবিতে
মন আর মনে
মুহূর্তে মুহূর্তে, ক্ষণে ক্ষণে;
যেমন বাইরে
তেমনি ভেতরে
নতুন রূপে, নতুন করে।


গল্প ঢেঁকুর - ১১ঃ
কে কাকে কার থেকে বেশী ভালবেসেছিল
এ নিয়ে বড্ড তর্ক হতো দুজনার সংসারে;
সবকিছু এখন কেবলমাত্র স্মৃতি, একজন চলে যাওয়ার পরে।


গল্প ঢেঁকুর - ১২ঃ
পুরুষ মানুষ মাত্রেই আলুর দোষ কিছু না কিছু থাকেই,
প্রকাশ্য কিংবা অপ্রকাশ্য
কম আর বেশী ,
আর নয়তো শতভাগ হিপোক্রেসি;
নারীরই বা আগ্রহ কোথায় মহাপুরুষে?
মহাপুরুষ'তো শুধুমাত্র কিতাবে মেলে।


গল্প ঢেঁকুর - ১৩ঃ
প্রেমটা ফেসবুকে শুরু হয়েছিল
সমাপ্তিটাও ফেসবুকে;
শুধু একটুখানি ব্যথা রয়ে যায় বুকে।


গল্প ঢেঁকুর - ১8ঃ
কারো কারো ভালবাসার এক তুই এ একটা জীবন পার
কারো কারো প্রেম ঠোকর ঘাটে ঘাটে ঘর বার।



গল্প ঢেঁকুর - ১৫ঃ
ঠোঁটের উষ্ণতায় ভিজছে বরফ
তুই এলেই শীতরাত কামভেজা হবে।



গল্প ঢেঁকুর - ১৬ঃ
বিকেল নামতে নামতেই রোদ ফুরিয়ে গেলো
ঠিক তোর প্রেমের মত,
আসলে সবই ফুরিয়ে যায়
সময়ের ধারায়।



গল্প ঢেঁকুর - ১৭ঃ
চোখের নিচে এখন আর কালি পড়ে না
মন মরে যাওয়ার পরে।



গল্প ঢেঁকুর - ১৮ঃ
বিকেল হলে এখনো পা হেঁটে যায় আমগাছটার দিকে,
তুই অপেক্ষায় থাকতি যেখানে;
একলা সন্ধ্যে গড়ালে মনে পড়ে
তুই তো সেই কবেই দেশ ছেড়েছিস।


গল্প ঢেঁকুর - ১৯ঃ
পাতাঝরা শীতে তুই আর্দ্র কেন?



গল্প ঢেঁকুর - ২০ঃ


আমাদের কোন শুরু ছিল না;
তবুও সমাপ্তি।


গল্প ঢেঁকুর - ২১ঃ

তুই চোখ বুজতেই আমি রাত্রি


গল্প ঢেঁকুর - ২২ঃ

এখানে ওখানে সবাই দেখি প্রেমে পড়ে
নিত্যই নতুন করে
বাস্তব কিংবা ভার্চুয়ালে;
আমার শুধু তো'তেই চলে।




গল্প ঢেঁকুর - ২৩:

পথ চলতে চলতে দুপুর সূর্যটা ঝাপসা হতে হতে অন্ধকার হয়ে আসে

এখন সে ঘুমিয়ে আছে সাড়ে তিন হাত ঘরে।




গল্প ঢেঁকুর - ২৪:


প্রেম বাঁধাগ্রস্ত হয়েছিল তোর নীরবতায়।




গল্প ঢেঁকুর - ২৫:


তুই পুচ্ছ লাগিয়ে ঘুরিস
আমি কাক ভালোবাসি।



দুরকম



দুরকম
- যাযাবর জীবন

আমি যখন নিজেকে খুঁজে বেড়াই হৃদয় খুঁড়ে
তুই তখন আমার অপেক্ষায় সাগর তীরে

আমায় খুঁজিস তুই দিনের আলোয়, রাতের আঁধারে
আমি সূর্যের টর্চ জ্বেলে খুঁজে ফিরি জীবিকারে

আমায় দেখতে চাস তুই দিন রাত সন্ধ্যে কিংবা ভোরে
তোর কথা হয়তো কখনো আমার মনে হয় মধ্য দুপুরে

অষ্টপ্রহর তোর মন খারাপ আমার কথা মনে হলে
তোর কথা মনে হয় আমার মাঝেমধ্যে ঢলা বিকেলে

আমাদের বাস দুজন দু-ভুবনে
আমরা বাঁচি দুজন দু-সময়ে
আমাদের চিন্তা ভাবনা দুজনের দুরকম
আমাদের চাহিদা দুজনের দুরকম
আমাদের বয়স দুজনার দু প্রান্তে
মিল যদি থাকে তা অল্পকিছু অনুভবে;
তোর বুকফাটা কান্না
আমার কাছে অনেকটাই বিলাস বিরহ
তুই যাকে ভালোবাসা বলিস
আমার কাছে কেবলমাত্র অপত্য স্নেহ;

ভুল হয়েই যায় কোথাও না কোথাও
চিন্তা
চেতনায়
সময়ে
স্থানে
সম্পর্কে
প্রেমে
কিংবা জীবনে,
তোর
আমার
তার
আর বাকি সবার;

ভুলের পর্দা উঠতেই হবে সময় থাকতে
তোর
আমার
তার
আর বাকি সবার;
বিবেক কুঁড়ে খাওয়ার আগে।