বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২০

পুরুষের ব্যাকরণ

পুরুষ মানুষ গুলো বড্ড গোবেচারা

সেই যে বাল্যে মায়ের কাছ থেকে গো দিয়ে শুরু

মৃত্যুর আগেও সন্তানের কাছে তুচ্ছ বেচারা

আর মাঝখানের বিশাল এক সময় জুড়ে!

 - গ অক্ষরের নানা ব্যাকরণ

 - গ এর সমার্থক আর বিকল্প শব্দের প্রয়োগ  

 - গ এর নানা পদ  

এগুলো ভাষা'কে সমৃদ্ধ করতে না কিন্তু!

পুরুষ'কে বিশেষায়িত করতে; 


এই যে পুরুষ শব্দটা!

সে তো নিজেই বিশেষ্য পদ 

বেচারা দিয়ে বিশেষায়িত

মাঝে মধ্যে বেচারার আগে গো বসিয়ে দিয়ে বিশেষ্যের বিশেষণ লাগায় নারী 

মাঝে মধ্যে বোকা লাগিয়ে দিয়ে সর্বনামের বিশেষণ করে দেয়

প্রেমিক আর স্ত্রী'রা কি করে জানো? ও এর সাথে গো লাগিয়ে বিশেষণের বিশেষণ করেই ছাড়ে

এগুলো বিশেষায়ণ না বিশেষণের অতিশায়ন, কোন পুরুষটাই কবে জানতে চেয়েছে?

পুরুষ মাত্রই নানা বিশেষণ গলায় ঝুলিয়ে চলে;


এই যে পুরুষের সর্বনাম আমি, আমরা!

স্ত্রী জাতির কাছে কিন্তু সামীপ্যবাচক তুমি তোমরা 

একটা দূরত্ববাচক তৈরি করেই রাখে ঐ ওরা দিয়ে

আর সাপেক্ষ সর্বনাম তো যত্রতত্র - 'যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা

তাই আজকাল আর কিছু বলিই না';


এই যে পুরুষের প্রকারভেদ! 

উত্তম মধ্যম আর নাম পুরুষ;

কখনো নারীর প্রকারভেদের কথা শুনেছ?


আচ্ছা! অব্যয়'কে ভেঙে দেখ তো! 

'ন ব্যয়' - অর্থাৎ যে পদের কোন ব্যয় বা পরিবর্তন হয় না 

  - যার সঙ্গে কোন বিভক্তি যুক্ত হয় না 

  - পুরুষ, বচন বা লিঙ্গ ভেদে যে পদের রূপের বা চেহারারও কোন পরিবর্তন হয় না

তোমরাই বলো! পুরুষের বাইরে ও ভেতরে কি এক না?

আমি না হয় বিদেশি অব্যয় ব্যবহার করেই বলি - 'আলবৎ' 


আচ্ছা! বলতে পার ক্রিয়া পদ কাকে বলে

 - যে পদ দিয়ে কোন কাজ করা বোঝায় তাকেই ক্রিয়া পদ বলে

পুরুষ ছাড়া আর কোন পদ আছে কলুর বলদ টানে?

ও হে নারী! তোমরা যত ইচ্ছে অসমাপিকা ক্রিয়ার উদাহরণই দেখাও না কেন!

সমাপিকা ক্রিয়া কিন্তু একটিই হয় 

পুরুষ ছাড়া কর্মে সমাপন আর কিসে হয়? 

জানি তো! তোমরা বলবে প্রযোজক ক্রিয়া

আমরা সেটা জানি ও মানি; তোমাদের প্রযোজনায় সংসারে দেখেছি কত অপ্রয়োজনীয় ক্রিয়া! 

সেই যে বাল্যকাল থেকে শুরু! 

গ ঘাড়ে চাপিয়েছি গুরু;

গ বিশেষ্য না বিশেষণ! সেটাও তোমরাই বলো!

পুরুষ আপত্তি করে না কোন কিছুতেই। 


 


২৩ অক্টোবর, ২০২০ 


#কবিতা 

পুরুষের ব্যাকরণ 

 - যাযাবর জীবন 


ছবিঃ নেট থেকে সংগৃহীত। 










কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন