মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০১৫

ইদানীং সন্তান



ইদানীং সন্তান
- যাযাবর জীবন

সামনে ঈদ
ছেলে প্রতিবারই ফোনে জিজ্ঞাসা করে, বাবা তোমার জন্য কি পাঠাবো?
রফিক সাহেব প্রতিবারই ফোনে উত্তর দেন, কিছু লাগবে না বাবা।

আচ্ছা বাবা তাইলে রাখি, বলেই ছেলে ফোন রেখে দেয়।

রফিক সাহেব নিঃশ্চুপ হয়ে যাওয়া ফোনটার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকেন।

তারপর নার্গিস, এক কাপ চা বানিয়ে দে বলে ড্রইং রুমে এসে বসেন।

রফিক সাহেবের স্ত্রী লতিফা গত হয়েছেন তাও প্রায় তিন বছর হয়ে গেলো। এখন বাসায় মানুষ বলতে কেয়ারটেকার মজিদ আর তার স্ত্রী নার্গিস। এদের নিয়েই রফিক সাহেবের ইদানীংকার পরিবার।

ছেলে রুবেলকে সেই যে লন্ডনে পড়তে পাঠিয়েছিলেন সেই থেকে ওখানেই রয়ে গেছে, লন্ডনি বাঙ্গালী মেয়ে বিয়ে করে। শেষবার দেশে এসেছিল তাও প্রায় পাঁচ বছর আগে, লতিফা বেঁচে থাকতে। মায়ের লাশ দেখতে আসার সময়ও পায় নি লায়েক ছেলে। এখন মাসে এক দু বার নিতান্ত দায়সারা ফোনে বাবার খবর নেয়, আর কি পাঠাবে জানতে চায়।

ছেলের ফোন এলে রফিক সাহেব মনে মনে প্রতিবারই বলেন, একবার দেশে আয় বাবা, তোকে দেখি মন ভরে, তোর ছেলে মেয়েদের একবার দেখি প্রাণ ভরে; কত দিন হয়ে গেছে দেখি না তোদের!

*************

মালেক সাহেবের বয়স প্রায় আশির কোঠায়। ওনার এক ছেলে এক মেয়ে, বকুল ও জুঁই। স্ত্রী ফিরোজা প্রায় পাঁচ বছর ধরে ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করতে করতে এখন অনেকটা সুস্থ। বুড়ো বুড়ি সারাজীবন কঠিন সংযমের জীবন কাটিয়েছেন। মালেক সাহেব একটু বেশী মাত্রায় আত্মকেন্দ্রিক ছিলেন বলে আত্মীয় স্বজনের সাথে খুব বেশী একটা সখ্যতা গড়ে ওঠে নি। স্ত্রী, ছেলে মেয়ে নিয়েই তার পুরো জগত সংসার। বিয়ের পর মেয়ে কানাডা প্রবাসী প্রায় বিশ বছর ধরে। মেয়ে স্বামী সংসার নিয়ে আলাদা হয়ে যাবে এটা মালেক সাহেব মেনে নিয়েছিলেন। তবুও খুব কষ্ট হতো প্রথম প্রথম, তবে মেয়ের ঘরের নাতি নাতনিগুলোকে খুব মিস করতেন। ছেলে, ছেলে বৌ ছেলের ঘরের নাতনি নিয়ে মোটামুটি ভালোই কেটে যাচ্ছিল জীবন।

হঠাতই যেন বদলে গেলো তার জীবন। ছেলের মনেও একসময় বিদেশ পাড়ি জমানোর বাসনা উঁকি দিতে দিতে তা দুর্দমনীয় হয়ে উঠলো সময়ের সাথে সাথে। বোনের কাছে পাড়ি জমালো একমাত্র ছেলে একসময় বৌ বাচ্চা সহ। সেও প্রায় ছয় বছর হতে চলল। এখন মালেক সাহেব আর ওনার স্ত্রী ফিরোজা বেগম পুরো বাড়িতে একা, সময় কাটে তাঁদের ছেলে মেয়েদের এ্যালবাম দেখে আর তাদের কথা মনে করে চোখের পানি ফেলে।

এই ছয় বছরে ছেলে এসে গেছে দু বার, গুনে গুনে এক একবার বিশ দিনের জন্য, আর মেয়ে দুবছর পর পর একবার তাও গুনে পনেরো কিংবা বিশ দিনের জন্য। ছুটির বড্ড অভাব তাদের? অভাব সময়ের। অথচ এদিকে বাবা মায়ের হাতে এখন সময়ই সময়, সারাদিনে একবেলার রান্নায় না হয় মিসেস ফিরোজার এক ঘণ্টাই ব্যয় হয়, আর বাকি সময়? শূন্য খাঁ খাঁ বাড়িময় ঘুরে বেড়ান একাকী, চোখের পানি ফেলে দিনভর, আর ভাবে এত পানি চোখে এলো কিভাবে? কখনো কখনো খুব বেশী মন খারাপ হলে মন'কে জিজ্ঞাস করে - হ্যাঁরে মন আমি ক্যান্সারকে বশ মানিয়ে ফেললাম অথচ তোকে বশ মানাতে পারলাম না কেন রে? সন্তানের মধ্যে এমন কি আছে রে?

ইদানীং মালেক সাহেব ও ফিরোজা বেগমের সময় কাটে অপেক্ষায়
অপেক্ষা সন্তানদের ফোনের
অপেক্ষা বছর দুবছরে একবার তাঁদের চোখের দেখার
কিংবা হয়তো অপেক্ষা মৃত্যুর।

************

বিধবা আয়েশা আমেনা, এক সময়ের ডাকসাইটে স্কুল শিক্ষক। বনানীতে ওনার ছয় তলা বিশাল বাড়ি, এখন সাড়ে তিন হাজার স্কোয়ারফিটের একটি ফ্লোরে উনি থাকেন, আর বাকি পাঁচ তালা ভাড়াটিয়া। স্বামী পূর্ত মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি ছিলেন, মারা গিয়েছেন প্রায় পনরো বছর হলো। দুই ছেলে তিন মেয়ের সবাই বিদেশের বাসিন্দা। তিনজন ইউরোপে আর দুজন আমেরিকায়। আগে বছরে দু বছরে ওরা কেও না কেও দেশে আসতো, গত তিন বছর ধরে কোন ছেলেমেয়ের মুখ দর্শন হয় নি। ওদের বাবা বেঁচে থাকতে ছেলে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিল, সেই পাঠানোই কাল হয়েছে; একজন সন্তানের মধ্যেও দেশের জন্য কোন মায়া মমতা ভালোবাসার ছিটে ফোঁটা আয়েশা দেখেন নি, অথচ সারা জীবন ছাত্র ছাত্রীদের দেশ প্রেমের বুলি শিখিয়েছেন। আজ দূর সম্পর্কের এই ভাইয়ের বিধবা বৌ'টাকে নিজের কাছে এনে রেখে কথা বলার সঙ্গী করেছেন। যত না বিধবা ভাই বৌ এর প্রতি দরদে তার চেয়ে নিজের স্বার্থে। আজকাল ছেলে মেয়েরা মাসে দুই মাসে হয়তো ভুলে একবার ফোন করে মায়ের খোঁজ নেয়, আদতে জানতে চায় বুড়িটা এখনো বেঁচে আছে কি না? বুড়ি চোখ বন্ধ করলে'তো বাপের করা বাড়িটা বেঁচে দিয়ে ভাই বোনে মিলে টাকা ভাগাভাগি করে একবারে দেশের মাটির সাথে সম্পর্ক ঘুচিয়ে দেবে, এই আশাতেই হয়তো আছে তারা।

মায়ের বেঁচে থাকা আর না থাকায় তাদের কি আসে যায়?

*************

রফিক সাহেব, মালেক সাহেব ও ফিরোজা বেগম, আয়েশা আমেনা - এগুলো কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। এদের মত হাজার হাজার পরিবার (কিংবা কে জানে হয়তো লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে এ সংখ্যাটি); প্রতিদিন প্রতিক্ষণ পথ চেয়ে থাকে সন্তান'কে দুচোখ ভরে দেখার, পথ চেয়ে থাকে সন্তানের ফিরে আসার, পথ চেয়ে থাকে তার উত্তরসূরিদের এক নজর দেখার। এ সকল সন্তান'রা হয়তো বিদেশ পাড়ি জমিয়েছে কেও পেটের টানে, কেও বৈধ পথে আর বেশিরভাগ অবৈধ পথে। যারা অবৈধ উপায়ে বাইরে গিয়েছে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দেশে ফিরতে পারছে না বাবা-মায়ের কাছে। আবার কেও উচ্চ শিক্ষার জন্য বাইরে গিয়ে আর ফিরে আসে নি বাবা-মা, কিংবা দেশের টানে।

শেকড় ছিল সবারই; এ দেশেই।
কারো শেকড় হয়তো এখনো অনেক গভীর শুধু পরিস্থিতির কারণে বাধা পড়ে আছে।
কারো শেকড় আলগা হয়ে গেছে, এই টুপ করে বাকিটুকু আলগা হলো বলে;
কারো কারো শেকড় একদমই মরে গেছে।

সন্তানদের শেকড় মরে যায়
বাবা মা পথ চায়;
আজকের সন্তান সেদিন হয়তো বুঝবে, যেদিন তাদের সন্তানও শেকড় ছিঁড়ে বের হয়ে পড়বে চাকচিক্যের হাতছানিতে, অন্যদেশে।

ইদানীংকার সন্তানরা বোঝে না, বাবা-মায়েদের এখন আর জাগতিক কোন উপহারের প্রয়োজন নেই, তাঁদের প্রয়োজন একটু সঙ্গ, সন্তানদের সঙ্গ, উত্তরসূরিদের সঙ্গ, তাঁদের ভালোবাসা তাঁদের কাছে থাকা।

আজকের এইসব বাবা-মায়েদের পথ চাওয়া শেষ হবে কবে?
আজকের এই সব পথচেয়ে থাকা বাবা-মায়ের চোখের জল মোছাবে কে?


**************************************************




অনেকগুলো হিবিজিবি


অনেকগুলো হিবিজিবি
- যাযাবর জীবন


কেন অভিমানে পোড়াচ্ছিস সূর্যকে?
অভিমানটুকু উড়িয়ে দে বৈশাখী ঝড়ে
প্রেম থেকে বাঁচিয়ে রাখ নিজেকে
মধুমাস এলো বলে;
জ্যৈষ্ঠের পাকা ভালোবাসায় কাঁচা প্রেমের ঠাই কোথায়?
গোঁফে তেল দিয়ে বসে আছি এই আম পাকলো বলে।


/////////////////


আকাশে সূর্যের রূপার থালা
চোখে দুপুরের জ্যোৎস্না
ভ্রম তো হতেই পারে
নারী চিনে নিতে;
দৃষ্টি পেতে ও দিতে আমি চিরকালের আনাড়ি।


////////////////////


চল রোদে ভিজি
কামনা ধুয়ে যাক সূর্যস্নানে,
তারপর না হয় প্রেম করব।

////////////////////

তুই গল্প লিখিস
তুই কবিতা ছাপিস
তুই ছবি তুলিস
তুই ছবি আঁকিস
আমায় আঁকতে পারিস কি?
কিংবা প্রেম?

////////////////////


আগুন লেগেছে কৃষ্ণচূড়ায়
লাল রঙ দেখলেই তোর ঠোঁটের কথা মনে হয়


////////////////////

আকাশ তো কেঁদেছে রাতে
সকালে তোর চোখে পানি কেন?
তোকে আর আমার বোঝা হলো না;
তারচেয়ে কবিতা লেখা অনেক সহজ।


////////////////////

কেও কেও স্বার্থে আপন
কারো কারো কাছে স্বার্থ আপন;
এটা দৃষ্টিভঙ্গি না, জীবন কথন।

না আমি কারো আপন হতে পারলাম
না কেও হলো আমার আপন;
এটা কথার কথা না, সত্যভাষণ।


////////////////////

আব্রুতেই নারীর সৌন্দর্য;
আর নয়তো বাজারেও মাংস বিকোয় কেজি দরে,
সে কষাই বাজার হোক
কিংবা চিপাগলির রাতের বাজার।


////////////////////

রাবার ঘষে কি আর প্রেম মোছা যায়?
শুধুমাত্র ঘৃণার আগুনেই প্রেম গলে যায়;
আর বাকি সবই নিষ্ফল প্রহসন।


////////////////////

তোর রাত হয়ে আসার দরকার ছিল না
আমি তোকে ছাড়াই অন্ধকার ছিলাম।


////////////////////

আমি যা দেখি না তা আমার কলম দেখে
আমি যা লেখি না তা আমার কলম লেখে
তোর কি দায় হে দুষ্ট কলম
লেখার ঘায়ে ভালোবাসা ভেঙ্গে দিতে!


////////////////////

স্বচ্ছতা ছিল তোর ভালোবাসায়
স্বচ্ছতা ছিল আমার ভালো না বাসায়;

অস্বচ্ছতা যদি কিছু থেকে থাকে তবে
সে তোর বোঝার ভুল
কিংবা আমার বোঝানোর ভুল;

আমার কি দায় পড়েছে ভুলের মাশুল গুনে যাওয়ার?
প্রতিবার।


////////////////////


কেজি কেজি চুমু খেয়ে মন ভরালি তুই
আমার পেটে শুধুই লিপস্টিক;
এ কেমন অসামঞ্জস্যতা প্রেমের?




////////////////////

খোলা চুলে প্রেমের ঢেউ মনে
ধরতে গেলেই ভালোবাসা ধুয়ে নদীর জলে
প্রেমের সরোবর পারি দিলে দিনান্তে সূর্যে লাল রঙ ধরে
মানুষ তো কোন ছাড়!






////////////////////


ভালোই তো কাটছিল জীবনটা করে ঘরবার
ভালোবেসে বড্ড ক্ষতি করে দিলি আমার




////////////////////


রোদ মাথার ওপরে চলে আসতেই ছায়া আলিঙ্গনে
তোকে ধরতে গেলেই হাঁটি হাঁটি রোদ এগোয়
রোদ চলতে শুরু করার সাথে সাথে
ছায়াটুকু মরীচিকা হয়ে অনেক দূরে সরে যায়
প্রেমের ওৎ পাতা মনের ফাঁদে ধরা দেয় বিষণ্ণতা
বলতে পারিস, ভালোবাসা ধরা যায় কোন আঠায়?




////////////////////


মেঘ কাঁদলেই কি প্রেম হয়?
মন তো আর মেঘ নয়,
হয়তো উড়ে কিংবা নয়
ভালোবাসা শুধুই হৃদয়ের সঞ্চয়;

কেও বোঝে
কেও ধারণ করে;

আমি কোন দলেই পড়ি না।





////////////////////



ঘুমের চুমু চোখের কোনে
স্বপ্নবাসরে তুই
ঝড় এলো বলে;
ঘাসফুলগুলো নিষ্পেষণের অপেক্ষায়।




////////////////////


আকাশে মেঘ
মন বৃষ্টির কোলে
আঁধারের জন্য বসে আছি
তোর সাথে ভিজব বলে;

এসেই দেখ না একবার দুপুরস্বপ্নে
নতুন কিছু করি নিয়ে তোরে,
রাতের বেলা তো প্রতিদিনই প্রেম হয়
গাঢ় অন্ধকারে।





////////////////////


আমি কোথায়?
কিংবা কোথায় তোর বাস?
আসলে কি জানি আমরা?
আমাদের মন এক জায়গায় তো শরীর অন্য কোথাও
তবুও দেখা হয়ে যায় মাঝে মাঝে শরীরের সাথে মনের
কিংবা তোর সাথে আমার
এখানে
ওখানে
কিংবা স্বপ্নে কোথাও;
মাঝে মাঝে
খুব মাঝে মাঝে।






////////////////////


বৃত্ত বন্দী ভালোবাসায় কেন্দ্র কখনো পরিধিকে ছুঁতে পায় না,
প্রেম চক্রাকারে ঘুরছে বৃত্তের ভেতরে
তুই আমি আর সে হয়ে;
তোর আর আমার দূরত্ব মাত্র এক ব্যাসার্ধ ।



////////////////////

প্রেমের কাপে চুমুক দিয়ে
নিশ্চিন্তে বসে পরেছিস বিয়ের পিঁড়িতে;
ও লীলাবতী!
তারে কেন কলা দেখালি?
তুই কি সুখী হলি?



////////////////////

মনবনের নকশিকাঁথায় শুয়ে
যখন স্বপ্ন বুনছিলাম তোর ভেজা আঁচল তলে
বৃষ্টি চুমু খেয়েছিল কদমের ঠোঁটে
রিমঝিম কবিতার ছলে;
আষাঢ় আসলো অবশেষে
তোর পুরোটা আকাশ জুড়ে
শুধু শুধুই কান্না ঝরিয়েছিলি এতদিন
অকারণ অভিমানে পুড়ে।




////////////////////

না দেখেও'তো ভালোবাসা হয়,
মনে যখন মন মিশে রয়
হৃদয়ে অনুভূতি কথা কয়;
জেগে থাকলে অনুভবের অসীম সময়
শুধুই তুইময়
ঘুমে থাকলে তুই
স্বপ্নে স্বপ্নময়,
নিথর শবের সাথে তো মাটি কথা কয়;
তোর কথা মনে হবে কি?
সে সময়।






////////////////////


বাদল দিনে দেখি ফেবু প্রেমে ভাসে
প্রেমিকারে নিয়া কবিতা হয়
ভালোবাসার কাব্য হয়
বৃষ্টির গানে ওয়াল ভাসে;
আমার কিছুই ভালো লাগে না,
বেগুন ভাজি আর গরুর কালা ভুনা দিয়া পাতলা খিচুড়ি খাইয়া
তোর কোলে মাথা রাইখ্যা ঘুমাইতে ইচ্ছা করে;
তুই কই রে?





////////////////////




তপ্ত দুপুর তপ্ত রোদে
দেহ জুড়ে লবণ ঘামে
শরীরটা জ্বলে যায়;
তপ্ত চুমু তপ্ত ঠোঁটে
মিশে থাকে তপ্ত কামে
মনটা তোরে চায়;
এই বৃষ্টি নামলো বলে!
চল, ভিজি দুজনে
শরীরে ও মনে।





////////////////////

ধুন্ধুমার গরম চলছে
চলছে ধুন্ধুমার ছাড়াছাড়ি;
গরমে নাকি সবচেয়ে বেশী ব্রেক আপ হয়
মেক আপ সব যে ধুয়ে যায়।







////////////////////



বর্বর যুগের কাম উত্তাপে প্রেম ঝলসে গেলে
রোদ গলে পরে আমারই ওপরে,
ঘৃণার আগুনে মন জ্বালাতে তোর জুরি মেলা ভার;
পোড়া প্রেমে ঘি ঢাললেই কি আর সম্পর্ক ফিরে আসে?





////////////////////

ঝিরিঝিরি বৃষ্টির পর রোদ উঁকিতে ভ্যাপসা গরম নামে
জ্যৈষ্ঠ দুপুরে ভাদ্রপ্রেমেতে শরীরে শরীর টানে
সেগুন খাটেতে প্রেম ছেয়ে যায় শীৎকার আর ঘামে
শঙ্খবুকে পুরুষ ডুবে যায় শরীরতত্ত্ব কামে।



////////////////////

সকালটা মেঘ হতেই জানালায় বৃষ্টি ঝুম
স্বপ্নটা ভিজে গেলো ধুয়ে গেলো ঘুম


প্রকৃতি ও নারী



প্রকৃতি ও নারী
- যাযাবর জীবন

বৃষ্টিতো প্রকৃতি চাইলেই হয়
তোর কান্নার আছে কি কোন সময়?

গত কালকের রাতটা ছিল শুধুই আমাদের
রেলের ছোট্ট কামরায় শোবার সিট দুটি, ওপরে ও নীচে;
একটি সারা রাত খালিই পড়ে ছিল একা
আর অন্যটিতে তোর কোলে আমার মাথা
তোর হাত আমার মাথায়
আমি স্বপ্ন বুনেছি রেলের চাকায়;
রাত কেটে গেছে ঝমঝম গানে
রেলের চাকার
তোর কথার

জানালায় বৃষ্টির ছিটার;

বৃষ্টি তো ঝরেছে সারারাত বাইরে
তোর চোখ ভেজা ছিল কেন সকালে?

প্রকৃতি ও নারীর মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
বিসর্জনে কিংবা কান্নায়।





বুধবার, ২৪ জুন, ২০১৫

একটু পর



একটু পর
- যাযাবর জীবন

এই
একটা ফোন কর না প্লিজ,
একটু পর;
কথা বলতে ইচ্ছে করছে তো!
একটু পর;
আরে বাবা পাঁচ মিনিট মাত্র,
আরে বাবা একটু পর;

একটু পরের একটু সময় আসবে কখন?
একটু পরের সেই একটু সময় দিল না তাকে আর জীবন;
একটু পরে নিথর পড়ে থাকতে দেখলাম তারে
তারই একটু পর শুইয়ে দিলাম তাকে মাটির ঘরে।



অপচয়



অপচয়
- যাযাবর জীবন

প্রেম হিসাবের সমীকরণ নয়
ভালোবাসা কাঁদায়, সম্পর্ক নয়
চারে চারে তোর আট মিললেও
আমার সব সময়ই পাঁচ, ছয় কিংবা নয়;
আমি চোখ বন্ধ করে রাখি
তোর বিদ্যুৎ অপচয় ঘোচাতে,
সময়ের অপচয় করিস না তুই
আমায় ভালোবেসে।





সোমবার, ২২ জুন, ২০১৫

দ্বিধা




দ্বিধা

- যাযাবর জীবন

দ্বিধা কেন? মনের মাঝে
প্রেম করি চল
এলো বৃষ্টি, দুচোখ বেয়ে
ভালোবাসি বল;

চাঁদ দেখেছিস? জ্যোৎস্না হবে
ইতিউতি না তাকিয়ে
প্রেমের কথা বল
এক সাথে তুই আর আমি
চাঁদনি দেখি চল,
ও বাবু'রে একটি বার
ভালোবাসি বল;

আজ নয় কাল করে করে
অনেক করলি ছল
থাকিস নে আর পাথর হয়ে
এবার হ তুই জল;
চোখের জলের দু ফোঁটাতে
ঝুম বৃষ্টি আকাশ থেকে
মনের মাঝে কান্নাবিলাস
এবার ভিজি চল;

চুমু খাবি? একটি না হয়,
মুখ ফেরাবি? তা কি করে হয়?
অভিমান'তো অনেক হলো
প্রেমে ভিজি চল
একটা কিছু বল;
ও বাবু'রে
শুধু একবার '
মুখ ফুটে তুই
ভালোবাসি বল।



রবিবার, ২১ জুন, ২০১৫

আমি তুই সে



আমি তুই সে
- যাযাবর জীবন

তুই দৌড়া মন খুলে প্রেমের মাঠ জুড়ে
সে আছে অন্য ভুবনে, দূরে কোথাও সরে
আমি আক্রান্ত পক্ষাঘাতে, পুরোটা মন জুড়ে;

কখনো দেহ সায় দিলে মন সায় দেয় না তোতে
কখনো মন সায় দিলে দেহ খোঁজে তাকে,
আমি তুই আর সে
একই বৃত্তের ব্যাসার্ধ জুড়ে পরস্পর সম্পৃক্ত আমরা
ভয়াবহ এক জীবনচক্রে;
পক্ষাঘাতগ্রস্ত মন বেঁধে রেখেছে আমাদের মনকে
কেও কাওকে পায় না ছুঁতে
দেহ ও মনে;
শূন্যতার অনুভবে শূন্য
তুই
আমি
আর সে।




শনিবার, ২০ জুন, ২০১৫

গন্তব্য



গন্তব্য
- যাযাবর জীবন

ঘর ভরা রাশি রাশি কড়ি
এখানে ওখানে গুটি কতক বাড়ি
সার দিয়ে থাকে সেথা গাড়ি
টাকার ওপর টাকা
তার ওপর টাকা
সম্পদ যেন তোর পাহাড় সারি সারি;
কোথায় নিয়ে যাবি?

টাকার চাপে দমবন্ধ
তবুও টাকা টাকা করে মরে
বাড়িতে রাখার জায়গা নাই
ব্যাঙ্কগুলো উপচে পরে,
তবুও আরো চাই আরো চাই
আকাশ তুল্য লোভ মন তোর পেঁচিয়ে ধরে;

আরে ভেবেছিস কখনো, হে মূর্খ মানব;
কি নিয়ে যাবি মাটির ঘরে?



শুক্রবার, ১৯ জুন, ২০১৫

পরগাছা


পরগাছা
- যাযাবর জীবন

একটা চুমু না হয় খেয়েছিলই "সে"
ঠোঁট থাকলে ঠোকর মারতেই পারে পাখিতে
তাই বলে তুই মুখ ফিরিয়ে নিবি?
কেন রে?
ঈর্ষা?
এত?
অনেক ভালোবাসিস বুঝি আমায়?
কই, বুঝতে পারি নি তো আগে;

বন্ধুত্বের বটগাছে প্রেমের পরগাছা জন্মেছিল কবে?
পরগাছার এতই যত্ন নিয়েছিলি?
যে বন্ধুত্বটাই মেরে ফেললি!




মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০১৫

বেলা অবেলা



বেলা অবেলা

- যাযাবর জীবন

বুকের এপাশটা দেখ
এখানে হৃদয় আছে ভালোবাসার
ওপাশটা দেখ
ওখানে হাহাকার শূন্যতার;

বাইরে রোদ বৃষ্টি ঝড়
প্রকৃতির খেয়াল
ভেতরে দমবন্ধ
রক্ত মাংসের দেয়াল;
অবেলায় ঝড় হলেও প্রকৃতিতে খুব মানিয়ে যায়
অবেলায় তুই এলেই মন বিহ্বলতায়
বেশ তো সুখেই ছিলাম প্রেমহীন জীবনে হাসিখেলায়
সব ওলটপালট করে দিলি ভালোবেসে অবেলায়;

এলিই যদি জীবনে কেন'রে এলি শেষবেলায়?



সোমবার, ১৫ জুন, ২০১৫

আজকালকার ভালোবাসা



আজকালকার ভালোবাসা
- যাযাবর জীবন

কামারের হাপরে হৃদয়ের ওঠানামাতেই কি প্রেম হয়?
কুমারের হাতে কাদার দলা শুকোয়
পুতুল হতেও তো আগুনে পুড়তে হয়;

বাঁশরিয়া বাঁশি বাজায় নিজমনে
প্রেমিকের হৃদয় পোড়ে ক্ষরণে
কলায় ব্যস্ত প্রেমিকা স্বামী ভোলানোর গানে
রতিক্লান্ত স্বামী রমণীর বন্ধনে
কামনা পুড়ে অন্ধকার রাতে,
বাকি সবাই পুড়তে থাকে যে যার স্থানে;

সবাই ব্যস্ত যার যার মত
আজকালকার ভালোবাসায়
অনুভূতি মাপার নিক্তি কোথায়?

ই-ডাকবাক্সে ভালোবাসার চিঠিগুলো জমা হয়
স্বামী ঘুমোলে প্রেমিকা প্রেমের ঘ্রাণ নেয় বুক ভরে।





রবিবার, ১৪ জুন, ২০১৫

ই-প্রেমপত্র



ই-প্রেমপত্র
- যাযাবর জীবন

এই তো মাত্র সেদিনের কথা
বাংলিশে আমাকে লিখা তোর প্রথম প্রেমপত্র;
মনে আছে?
বাংলিশ আমার অপছন্দের জানিয়ে দিতেই তুই ভুল ভাল বানানে
বাংলায় টাইপ করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে লাগলি কম্পিউটারের কীবোর্ড ঘষে,
আমি প্রশ্রয়ের হাসি দিয়ে
তোর প্রতিটা ভুল বানান শুধরে দিতাম এক একটা চুমুতে;
সেদিনের ভুল বানানে লিখা চিঠিগুলো বড্ড আপন ছিল
প্রেমের আকুতিগুলো তোর লেখায় ফুটে উঠত;
তারপর ধীরে ধীরে যতই তুই বাংলায় পটু হয়ে উঠতে লাগলি
কমে আসতে লাগলো আমাকে প্রেমপত্র পাঠানো
সাথে সাথে কমে আসতে লাগলো আমার ভুল বের করার ক্ষেত্র;
যখনই তুই বুঝতে পারলি তোর দক্ষ হয়ে ওঠা
তখন চিঠির পরিবর্তে কবিতা বুনতে লাগলি একের পর এক
আর আমার ঠোঁট হারালো তোর লেখাগুলোর ছোঁয়া,
বড্ড মন কেমন করত সে সময়
তোকে বুঝতে দেই নি;
তারপর সময় গড়ানোর সাথে সাথে
পটু হতে হতে আজ তুই বিশাল কবি
ওখানকার পত্রিকাতে নাকি নিয়মিত তোর লেখা ছাপা হয়;

আমার ঘরে অনেক দিন ই-পিয়নের পদচিহ্ন পড়ে নি
কতদিন হয়ে গেছে আমাকে চিঠি পাঠাস নি
তোর ভুল বানানে চুমু খাওয়া প্রায় ভুলেই গেছি;
অনেক বড় লেখিকা হয়ে
কোন একদিন হয়তো আমাকেও ই-অটোগ্রাফ দিবি
ভুলে কিংবা ইচ্ছে করে,
শুদ্ধ বানানে প্রেম পত্রের বদলে;

তোকে বাংলা শেখানো আমার কি ভুল ছিল?









হৃদয়ে অনুভব



হৃদয়ে অনুভব

- যাযাবর জীবন

না দেখেও'তো ভালোবাসা হয়,
মনে যখন মন মিশে রয়
হৃদয়ে অনুভূতি কথা কয়;
জেগে থাকলে অনুভবের অসীম সময়
শুধুই তুইময়
ঘুমে থাকলে তুই
স্বপ্নে স্বপ্নময়,
নিথর শবের সাথে তো মাটি কথা কয়;
তোর কথা মনে হবে কি?
সে সময়।



শনিবার, ১৩ জুন, ২০১৫

ভ্রম


ভ্রম
- যাযাবর জীবন

সাদা কালো কিংবা রঙিন যা কিছু ছিল আমাদের ভ্রম
মনে করলেই তো মনে পড়ে যায় একে একে সব পর্যায়ক্রম;
তার থেকে থাকুক না কিছু গোপন কথা
রাতের অন্ধকারে
দূরে সরিয়েছিল যে সকল কারণ
আমা থেকে তোরে;

নিদ্রাহীন চোখ নিদ্রা দেবীর খোঁজে অন্ধকার সাজঘরে
স্বপ্ন দেখতে চাই না আর ভুল করে ঘুমঘোরে;

মানুষ না হয়ে পাথর হলে বড্ড ভালো হতো
নোনা জলের শ্যাওলায় ভালোবাসা পিছলে যেত;

চল পাথর হই
হৃদয়ের প্রেমঘরে।



শুক্রবার, ১২ জুন, ২০১৫

বিলীন



বিলীন

- যাযাবর জীবন

আমি তোকে মনে করি দিনরাত্রির অষ্টপ্রহরে
আমাকে মনে করার মত কিছুই ফেলে আসি নি তোর ঘরে;

প্রেম একতরফাই হতে হয়-
দিন আর সূর্যে
আমি না হয় হলাম রাত্রি,
চাঁদ আর চাঁদনিতে
আমি না হয় অমাবস্যা,
রাত্রি আর অন্ধকারে
আমি না হয় নিদ্রাহীন,
পানি আর সাগরে
আমি না হয় ধু ধু বালিয়াড়ি;
তুই স্বপ্নের নৌকায় দুলতে থাক
আমি না হয় জোয়ারভাটা;

আমাকে মনে করার মত কিছু নেই
আমি মিশে আছি প্রকৃতিতে
তোর সাথে,
ভালোবেসে,
তোর হয়ে, তোতে।




বুধবার, ১০ জুন, ২০১৫

তপ্ত ভেজা



তপ্ত ভেজা
- যাযাবর জীবন

তপ্ত দুপুর তপ্ত রোদে
দেহ জুড়ে লবণ ঘামে
শরীরটা জ্বলে যায়;
তপ্ত চুমু তপ্ত ঠোঁটে
মিশে থাকে তপ্ত কামে
মনটা তোরে চায়;

এই বৃষ্টি নামলো বলে!
চল, ভিজি দুজনে
শরীরে ও মনে।

মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০১৫

বিভেদ


বিভেদ
- যাযাবর জীবন

গরম পড়েছে আজকাল বড্ড হাঁসফাঁস
চারিদিকে সর্দি-গর্মি, জ্বর-জারি আর কাশ
ডিহাইড্রেশন চারিদিকে, স্যালাইনের ব্যবসা তুঙ্গে
চিড়বিড়ে রোদে বার-বি-কিউ মানুষ, পুরো বঙ্গে
মানুষে মানুষে ভেদাভেদ চিরদিনই প্রকট
অর্থের মাপকাঠিতে কেও খাটো, কেও বিকট
গরমে গরম পুড়ে যায়, তাতে কার কি?
যে যার জায়গায় আগুন কিংবা বরফ দেখি;
টাকার গরম যদি আমার বেলায়
কাঁথা গায়ে ঘুমে থাকি এসির তলায়
কাঁঠাল জনতার কাতারে যখন আমি
আমতলায় বাতাস খুঁজি রাতের বেলায়;

ইশশ্, তাল পাকা গরমে বড্ড হাঁসফাঁস
তোমাদের এসির ঘর, ঠাণ্ডায় কর বাস
উনিশ থেকে বিশ হলে তোমাদের সর্বনাশ
ইটের বালিশ মাথায় আমার বারোমাস;

ঋতুর বিভেদ মেনে নেয়া যায়
মানুষে মানুষে এত বিভেদ কেন?


দাম্পত্য



দাম্পত্য
- যাযাবর জীবন

গরমে সিদ্ধ আমি দিনে
কামে সিদ্দ তুই রাতে;
দিনমান ছুটাছুটিতে শরীর ভিজে যায় ঘামে
রাতভর ঘাম ভিজে যায় জাপটে ধরা কামে,
জোড়ায় জোড়ায় ভালোবাসা শরীর নির্ভর প্রেমে
চাহিদা মিটে গেলেই বিচ্ছিন্ন দুজন, বিছানার দু কোনে;

ডিজিটাল যুগে মানুষ ঘর বাঁধে কেন দুজনে?
বিয়ে ছাড়াও তো সন্তান জন্ম নেয় এখানে ওখানে।


সোমবার, ৮ জুন, ২০১৫

আগুন



আগুন
- যাযাবর জীবন

সূর্যের চেয়ে বালি গরম
মধ্য দুপুর হলে
অভিমানে প্রেমে আগুন
জ্বলে দাবানলে;

জ্যোৎস্না পুড়ে আলো জ্বলে
অন্ধকারে রাত পুড়ে যায়
মনের আলোয় দেখি তোকে
অমাবস্যায় কি আসে যায়?

রৌদ্র পুড়ে সূর্য তাপে
প্রেম পুড়ে যায় রাগের ভাপে
কাম পুড়ে যায় আঁধার রাতে
আমি পুড়ি শুধুই তো'তে।





রবিবার, ৭ জুন, ২০১৫

নির্ঘুম



নির্ঘুম

- যাযাবর জীবন

পানিকম্পে স্বপ্ন ধুয়ে গেলে
ঘুম ভেসে যায় ভাটার টানে
তোর কথা মনে হতেই
অমাবস্যা চাঁদনি আনে;
অনেক ভেবেছি তোর কথা
জ্যোৎস্নার কালো আঁধারে
খুঁজেছি তোকে মরুদুপুরে
খুঁজেছি তুষার পাহাড়ে;
মনকম্পে হৃদয় কেঁপেছে
প্রেমের জোয়ার আর না
চাঁদের রোদে শুকিয়ে নেব এবার
নির্ঘুম রাতের কান্না।

বৃহস্পতিবার, ৪ জুন, ২০১৫

নিদ্রাহীন



নিদ্রাহীন

- যাযাবর জীবন


আমার এখানে যখন প্রাত
তোর ওখানে নামছে রাত
আমার যখন রৌদ্র দুপুর
তোর তখন মধ্যরাত
তুই হয়তো আমার ভাবনায়
জ্যোৎস্না যখন তোর মাথায়
নিদের সাথে আমি না হয় যুদ্ধ খেলায়
তোর ভাবনায় তোর ভাবনায়;

রেলের পাতে জীবন গড়ায়
দু-ভুবনে জীবন খেলায়
তুই হয়তো আমার ভাবনায়
তুই হীনা আমি যাতনায়;

ঘুম হারিয়েছে কবেই আমার
যখন আমাদের মুলুক ভিন্নে
তুই আমার ঘুম ঘুমিয়ে নে
জ্যোৎস্না যখন তোকে চুমে।



সোমবার, ১ জুন, ২০১৫

ঝিমদুপুর



ঝিমদুপুর
- যাযাবর জীবন

দুপুর ডানায় রোদ উড়তে উড়তে
ঠিক তোর বাড়ির কৃষ্ণচূড়া গাছে
মন পুড়লে রোদের কি আসে যায়!
বিকেলবিষণ্ণ কোকিল দুপুররোদে ঝিমায়
পরাগায়ণ হয় না মৌমাছি ডানায়
কবে মধু খেয়েছে কৃষ্ণচূড়ায়?
বাগানে বিছানো পাপড়ি রক্তাক্ত লাল
কষ্টেরা সিঁদ কাটে তোর জানালায়
দুপুরের গায়ে হেলান দিয়ে মনখারাপ ঘুমায়;

রৌদ্দুর ক্ষরণ কাটছে মনকরাতের ধারে
বরফ গলছে দুপুর রোদে মনসাগরের পারে;

আমি ঘুমিয়ে বিকেলস্বপ্নে মেঘের অন্ধকারে।




জাহির



জাহির
- যাযাবর জীবন

নিজেকে জাহির করায়
আমাদের জুড়ি মেলা ভার;
ছলে, বলে কৌশলে
প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে
সামনে এর, ওর, তার;

উপেক্ষার নিয়মে উপেক্ষা
তবুও জাহির করে বার বার
সামনে এর, ওর, তার;

আসলে মানসিকতা, জাহির করার;
এভাবে, সেভাবে
নিজেরে যে কোন ভাবে,
এর সামনে
ওর সামনে
তার সামনে
নিজেরে বড় ভেবে;
মুঠোভরা উপেক্ষায় কি আসে যায়?
জাহির করেছে নিজেরে
বিকারগ্রস্তে মানসিক শান্তি পায়।