শুক্রবার, ৩ আগস্ট, ২০১২

দ্বিখণ্ডিত ভালোবাসা


কত আর কষ্ট দেবে ভালোবাসায়
কত বার উপেক্ষা করে যাবে আমার ভালোবাসাকে
কত আর মিঠে কথার ছুঁড়িতে দাগ ফেলবে হৃদয়ে
কত আর পোড়াবে আমায় সিগারেটের ছাইয়ের মত করে
কত শত রাত আর জাগিয়ে রাখবে অপেক্ষার প্রহর গোনাতে
কত শত দিন কাটবে মেঘের আনাগোনায় তোমার মুখচ্ছবি ভেবে?

প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে এক সময় কেমন যেন না পাওয়া ঘোরের জগতে চলে যেতে হয়
বন্য ভালোবাসার গাছে জড়িয়ে যায় স্বর্ণালী লতা, ছায়া পড়ে যায় ভালোবাসার গাছে
প্রখর সূর্যের কিরণের ন্যায় যে ভালোবাসার তেজ তাও এক সময় স্তিমিত হয়ে আসে ক্রমাগত মেঘের আনাগোনায়
ধেয়ে আসা ভালোবাসার বন্যায় ভাসিয়ে দেয়া চারিধার এক সময় জলীয়বাষ্প হয়ে উবে যায়
পাহাড়ি ঝর্ণার মত ভালোবাসার তীব্র স্রোত শান্ত নদীতে পর্যবসিত হয় সময়ের কাল ধরে।

কতদিনে তুমি আর আমায় ভালোবাসার প্রলোভনে হাতছানি দিয়ে ডাকবে
ভুলে যেও না, আমিও মানুষ; হৃদয়ের ক্ষরণ হতে হতে এক সময় শুকিয়ে যাবে লৌহ-কণিকাগুলো
তাজা ঘা সময়ের সাথে সাথে ভরে আসবে বেঁচে থাকার তাগিদে
একসময় ভালোবাসার তীব্র ক্ষরণে জমাট বেধে উঠা রক্তবিন্দুগুলো
কেও একদিন হয়তো তুলো আর ব্যান্ডেজে বেধে রোধ করে দেবে নতুন করে ভালোবেসে
ক্ষতের পুঁজ-রক্ত বের করে ফেলে দেবে ডাস্টবিনের কোনে
হয়তো নতুন করে আমার ক্ষতগুলোকে শুকিয়ে দেবে ভালোবাসার বন্ধনে।

সেদিন কিন্তু আমায় তুমি দোষারোপ করতে পারবে না
তোমায় ভালোবেসে কাঠ-পেন্সিলের কালিতে যে ছবি তোমার এঁকে যাচ্ছি সাদা ক্যানভাসে
সেদিন হয়তোবা সে ধরিয়ে দেবে রং-তুলি আমার হাতে
আর সামনে বসে থেকে রঙ্গিন ক্যানভাসে অনুনয় করবে নুতন করে আঁকতে তার ছবি
যে ভালোবাসায় তোমায় আমি ভাসাতে চেয়েছিলেম,
সেই বন্য ভালোবাসায় সে যদি আমায় ভাসিয়ে দিতে চায়
তবে আমি কি করব সেদিন? আমায় বলে দিয়ে যাও।
তোমায় নিয়ে পেন্সিলে লেখা খাতার কবিতাগুলো ই-রেজার ঘসে তুলে দিয়ে
হয়তো কলম ধরিয়ে দেবে সে আমার হাতে
গাঢ় নীল-কালিতে কবিতা লেখার জন্য
তার ভালোবাসার মানুষের কাছে, আমার কাছে।

কি করব আমি সেদিন?
পেন্সিল আর কলমের যুদ্ধে করে যাব আমার ভালোবাসার ব্যবচ্ছেদ
নতুন আর পুরাতন ভালোবাসার মধ্যখানে বসে দ্বিধা আর দ্বন্দ্বের মাঝে
সত্যিই হয়তো কবিতার ছলে এঁকে যাব আমার হৃদয়ের রক্তক্ষরণ
আমার ভালোবাসাকে দ্বিখণ্ডিত করে।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন