শুক্রবার, ৩১ আগস্ট, ২০১২

নীল জ্যোৎস্নার আলো আঁধারে



নীল জ্যোৎস্নার আলো আঁধারে

নীল জ্যোৎস্নার আলো মাখতে গিয়েছিলেম সারা গাঁয়ে
চাঁদটা আকাশে উঁকি দেয়ার সাথে সাথে
আমার প্রতিটা শিরা-উপশিরার রক্তে জোঁয়ার আসে
প্রতিটা চাঁদনি রাতে, জ্যোৎস্না মাখি গাঁয়ে যেন সাবান ডলে
দূর করতে মনের গ্লানিগুলো সব কথা কই চাঁদের সাথে।
চাঁদনি এসে চুপিচুপি আজ যেন কানেকানে বলে গেল
এমন ভাদর জ্যোৎস্না আর আসবে না তোর জীবনে
আজ হা করে তাকিয়ে থাক আকাশের দিকে
দেখে নে আলো-ছায়ার মায়াবী খেলা
গলায় বেঁধে নে তোর হরিৎ নিয়তি
আমি আকাশের গাঁয়ে যতক্ষণ থাকি।

আজ দেখে যা পাখির দল সব পাগল হয়েছে আমার রূপে
উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে ভালোবাসা-বাসি করছে
একজন আরেকজনের সাথে সবকিছু ভুলে গিয়ে
আজ দেখে যা হায়েনা আর নেকড়ের দল সব হিংস্রতা ভুলে
মিলে মিশে একাকার মানুষের দলে
ভালো করে তাকিয়ে দেখ তোর প্রেমিকাও আছে কোথাও দাঁড়িয়ে
হয়তো পান করে যাচ্ছে নীল জ্যোৎস্না নিজেকে হারিয়ে।

মেঘের ছায়া নেমে আসলে হলুদই কি আর ধূসরই-বা কি
ধোঁয়াশা ধোঁয়াশা হবে তোর স্নায়ু পরিযায়ী
আমি জানি ছিন্নভিন্ন হয়ে থাকে হৃদয় তোর আমার বিহনে
নিঃসঙ্গ ছায়ার মতন লেপ্টে থাকিস আমার সাথে
তাই প্রতিটা জ্যোৎস্না রাতে
আজ আকাশও বেপরোয়া, বেপরোয়া তোর চাঁদ আর চাঁদনি
অন্ধকারে বেঁচে আছিস সেই কতকাল
আজকে না হয় আমার নীল জ্যোৎস্নায় করে নে বসবাস
যার জন্য স্বপ্ন দেখিস দিনরাত।

আমি সেই নীল জ্যোৎস্না আজকে এসেছি তোর ঘরে
আজকে না হয় বেঁচে উঠ আবার নতুন করে
নীল জ্যোৎস্নার আলো আঁধারে
শুধু আজকের মতন শেষবার আমাকে আপন করে;
ভালোবাসার নীল অহল্যা বিষ অনেক করেছিস পান
আজ না হয় তৃষ্ণা মিটিয়ে নে আমার স্নিগ্ধ আলোর
ভুবন ভোলানো এক পেয়ালা মদিরা সুধা পান করে।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন