বুধবার, ২৯ আগস্ট, ২০১২

মান অভিমানের পালায় দেখি নিজের সর্বনাশ


মান অভিমানের পালায় দেখি নিজের সর্বনাশ


উদ্ধত অন্ধ অহমিকায় বসবাস, তোর আর আমার – দুজনারই;
কেও কারো থেকে কম যাই না আমরা
না ভালোবাসায় না দুঃখ কষ্টে
তবু অন্ধ রাগে আর অভিমানে আত্মাকে আমরা পুড়িয়ে করি ছাই
হার না মানি কেও কারো সামনা সামনি হতে না চাই
তবু দূর হতে লুকিয়ে দেখার অপচেষ্টা জারি রয় দুজনারই
একে অপরকে দূর থেকে দেখব বলে এদিক ওদিক উঁকিঝুঁকি মারি;
সামনা সামনি হতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়, কি যেন এক উদ্ধত অহমিকা বোধ।

মুঠোফোনে কথা বলতে বড্ড মন চায়
যেমন আমার, তেমন তোর; আমাদের দুজনারই
তবু মুঠোফোনকে ব্যস্ত রাখার ছলে
পরস্পর মেতে থাকি অন্য কারো সাথে কথা বলে বলে
হাসি ঠাট্টার ছলে উড়িয়ে দিতে চাই মনের গ্লানিগুলো
তবুও কি মন মানে?
দুজনেই মুঠোফোনের দিকে তাকিয়ে থাকি
নিজের অজান্তে, আনমনে
মনের ভেতর কি এক আশা বাস করে
যদি তার নাম্বারটা ভেসে ওঠে মুঠোফোনের কলে
তবুও আমরা অন্ধ হয়ে রই অভিমানে
কথা বলি না কেও কারো সাথে আগের মতন করে
মুঠোফোনে অবিরত, ঘণ্টার পর ঘনটা ধরে
চোখের পানি মনে শুকিয়ে আসে, শুধুমাত্র অন্ধ অহমিকার বলে।

হৃদয় খুলে রেখেছি আমি হাত বাড়িয়ে, ছুঁতে পারছি না তবু তোর হাত
আমার হাতে মুঠো করে; তুইও হয়তো বাড়িয়ে রেখেছিস হাত
আমার হাতের ছোঁয়া পেতে; তবু কেও কাওকে ধরতে পারছি না আজ
দুজনেই করে যাচ্ছি বাস, অন্ধ এক অহমিকার তলে ।

মান আর অভিমানের আগুন জ্বেলে পুড়ে চলেছি আমরা দুজনে
রাগ আর দুঃখগুলো মনে টকটকে লাল আগুন হয়ে জ্বলে
সে আগুনে পুড়িয়ে দিতে চলেছি আমরা নিজেরে নিজে
নিজের ই আত্মাকে গুড়ো করে চলেছি আজ আমরা
কষ্টের হাতুড়িতে বাড়ি মেরে মেরে, সর্ব শক্তি দিয়ে।

কেও আমরা এগোতে পারছি না পরস্পরের দিকে
একটু সহানুভূতিশীল হয়ে, মনের মাঝে দ্বিধার ঝড় ওঠে
অভিমানের দেয়াল যেন মনের মাঝে কাঁটাতারের বেড়া হয়ে আছে
অথচ ভালোবাসার আগুনে পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছি দুজনেই মনে মনে
যেমন সিগারেটের আগুন পুড়ে পুড়ে ছাই করে নিজেকে।







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন